বেআইনি সর্ষের তেলের গোডাউনে (illegal mustard oil godown) হানা (Raid) দিল এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের (EB) আধিকারিক ও পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে শাসন (Shasan) থানার অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকায়। ওই বেআইনি গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঠিক কি কারণে এত তেল ওই বেআইনি গোডাউনে মজুত করা হয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে ইবি এবং শাসন থানার পুলিস আধিকারিকেরা।
ইবি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় শাসন থানার গোলাবাড়ি এলাকার একটি গোডাউনে বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে সর্ষের তেল। এই খবর পাওয়ার পরেই জেলা ইবি আধিকারিকেরা হানা দেয় ওই অবৈধ গোডাউনে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন, যা থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার লিটার সর্ষের তেল। ইবি আধিকারিকদের দাবি, এই ঘটনায় ওই গোডাউনের মালিক তেল মজুত করে রাখার কোনও কাগজ পত্র দেখাতে পারে না, এমনটাই দাবি ইবি আধিকারিকদের।
দীর্ঘ ১২ বছর পর শাসনের (Shasan) মাটিতে লাল পতাকা উড়েছিল। পুরনো দলীয় কার্যালয় আবার রং করে পাটিকর্মীরা সমাদরে বসতে শুরু করেছিল। তবে সেই খুশিটা ছিল শুধু ক্ষণিকের। শনিবার রাত ১২ টা নাগাদ শাসনের একমাত্র সিপিআইএম-র (CPIM) দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গা হয় দরজা-জানালা, চেয়ার-টেবিল। এমনকি মাটিতে ছুঁড়ে ফলে দেওয়া হয় সিপিআরএম-র দলীয় লাল পতাকাও।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার পথ অবরোধ করে বামপন্থীরা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বামপন্থীরা। যার ফলে ওই রাস্তায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস (Police)। এমনকি দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করার আশ্বাস দেয় পুলিস। আর পুলিসের এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই সিপিএম নেতৃত্ব অবরোধ তুলে নেন।
এই ঘটনায় সিপিআইএম-র নেতৃত্বদের দাবি, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সিপিআইএম-র এই কার্যালয়টি বন্ধ হয়েছিল। তবে প্রায় দু আড়াই মাস আগে এই কার্যালয়টি আবার খোলা হয়। সেই নিয়ে বেশ খুশিতেই ছিলেই বামপন্থীর সদস্যরা। তবে এই দু আড়াই মাসে সিপিআইএম-এ তৃণমূল থেকে দলে দলে লোক এসে যোগ দেয় এই কার্যালয়ে। আর তা নিয়েই দু দলের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। আর তার জন্যই শনিবার গভীর রাতে সিপিআইএম-র দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই দাবি সিপিআইএম-র নেতৃত্বদের।
ম্যাটাডোর চুরি (Theft) করে তা শ্বশুর বাড়িতে রেখে আরামের ঘুম দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়েই গেল বাক শক্তিহীন এক যুবক সহ আরও তিনজন। তাদের ধরতে পেরে ইলেকট্রিক পোস্টে বেধে মারধর (Beaten) করে শাসন থানার পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেন ক্ষিপ্ত জনতা। উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের (Shasan) বোয়ালঘাটা এলাকার ঘটনা। পুলিস ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর বোয়ালঘাটা এলাকার ব্রিজের উপর গাড়ি রেখে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন গাড়ির মালিক রবিউল ইসলাম। তবে রবিবার সকালে এসে দেখেন গাড়িটি উধাও। তারপরেই তিনি অভিযোগ জানান শাসন থানায়। সূত্রের খবর, পুলিসের তদন্তের আগেই রবিউল জানতে পারে এলাকার এক বাক শক্তিহীন যুবক এই গাড়ি চুরির সঙ্গে যুক্ত। অনেক খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সেই যুবকটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে। তখনই রবিউল সহ কয়েকজন যুবক জয়নগরে যান। সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখেন চুরি করা গাড়িটি শ্বশুর বাড়িতে রেখে আরামে ঘুমাচ্ছে ওই যুবক। এই দেখে অভিযুক্ত যুবককে ঘুম থেকে তুলে মারধর করলে সে আরও দুই অভিযুক্তদের চিনিয়ে ধরিয়ে দেয়।
তবে বাকি দুজন পালিয়ে যায়। তারপরেই শুরু হয় ক্ষিপ্ত জনতার মার। বেশ কিছুক্ষণ তাদের ইলেকট্রিক পোস্টে বেধে মারধর করেন জনতা। তারপরেই অভিযুক্তদের তুলে দেওয়া হয় শাসন থানার পুলিসের হাতে।