লোকসভা নির্বাচনের আবহেই মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েন। যার কারণে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে সংঘ পরিবার। এবার মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়েও পারস্পরিক বিরোধিতা গড়াল আদালত পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিস। যার ফলে আদালতের দ্বারস্থ শান্তনু। আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় মামলার করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চে দ্বারস্থ হন। আগামী বুধবার মামলার শুনানির সম্ভবনা।
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলে এবার হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) এজলাসে ওই মামলার শুনানি হবে। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসংঘের মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মন্দিরের তরফে থানায় অভিযোগ করা হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিস। উলটে কয়েকজন ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
১১ জুন তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির জন্য ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি মতুয়া মহাসংঘের মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেন। এরপর মূল মন্দিরে না ঢুকে পাশের একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। এই ঘটনার পর কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের। তাঁর বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে গিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু নির্দোষ কয়েকজন ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শান্তনুর আরও অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকে ঠাকুরবাড়ির সম্মানহানি করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১১ জুন ওই ঘটনার পর ঠাকুরনগরেই শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনমাস অন্তর অন্তর ঠাকুরনগর যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।