নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাড়াপোতা এলাকার নির্যাতিতার পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত আটটা নাগাদ নির্যাতিতার কাকাকে বাড়ি থেকে বের অভিযুক্তরা মারধর চালায় বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নদিয়ার হাঁসখালিতে গণ যৌন নিগ্রহের পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করা হয়। অভিযোগ, নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতিরা গণধর্ষনকাণ্ডের মৃতা নির্যাতিতার একমাত্র সাক্ষী তাঁর এক আত্মীয়কে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও খুনের হুমকি দেয়। এমনকি রানাঘাট কোর্টে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠরা।
রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তা দেওয়ার পরেও কী করে এই ধরনের ঘটনা সম্ভব ? তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। যদিও নিরাপত্তার তাগিদে কেন্দ্রীয় পুলিস দেওয়া দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অন্য়দিকে সি এন এর খবর হওয়ার পরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। হাঁসখালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন।
১৩ বছরের ভাইজিকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত পিসেমশাই। অভিযোগ, ভাইজির ছবি তুলে বারংবার হুমকি দিত পিসেমশাই। এরপর সব জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে অশোকনগর থানায় নির্যাতিত ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরেই অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে (৪৮) ঈশ্বরী গাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানা।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুল যাওয়ার পথে অভিযুক্ত পিসেমশাই প্রায়ই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকত। সেই সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে। এবং ছবি তুলে রেখে হুমকি দিত রীতিমত অভিযুক্ত হুমকি দিত বলে অভিযোগ। যারফলে দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহ চালত। হমকির ভয়ে ওই নাবালিকা কাউকে কোনদিন কিছু জানায়নি।
পরবর্তীতে ওই নির্যাতিত নাবালিকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপর ঘটনাটি শোনা মাত্রই ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিসের পক্ষ থেকে পকসো আইনের মামলা রুজু করা হয়। বুধবার পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।
বাড়ি থেকে জোরপূর্বকভাবে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভোর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ির থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক খড়গ্রাম থানার বাসিন্দা।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে রাখে অভিযুক্ত ওই যুবক। তারপর সেখানেই রাতভোর যৌন নির্যাতন করা হয় এবং শনিবার ভোরবেলায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে নির্যাতিতা নাবালিক তার নিজের বাড়িতে যান এবং সম্মানহানির কারণে গায়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। এরপর স্থানীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
নৃশংস এই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ওই যুবক সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিস। ঘটনার জেরে মৃতার পরিবার সহ প্রতিবেশীরাও ক্ষোভে ফুঁসছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (sexual harassment) করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত জালাস নিজামতারা অঞ্চলের নরদেবজোত গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (Police) ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ভবানন্দ সিংহ। অভিযুক্ত তার ঘরে একাই থাকত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ওই ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মহিলারা জানান, বুধবার রাতে ওই ব্যক্তির ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। সেই আওয়াজ শুনে স্থানীয় মহিলারা অভিযুক্তের ঘরে ঢুকে দেখেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা অপ্রস্তুত অবস্থায় খাটের উপর শুয়ে রয়েছে। এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
ফের রাজ্যে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার (sexual harassment) ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল মালদহের (Maldah) মানিকচক। অভিযোগের তীর গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্থার ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) নাবালিকা বর্তমানে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ১৫ বছর। স্থানীয় নুরপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে নাবালিকা বের হয়। এরপর গ্রামেরই এক যুবক মহম্মদ সোহেল ওই নাবালিকার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আম বাগানে আম পাতা মজুত রাখার একটি কুঁড়ে ঘরে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সেই কুঁড়ে ঘরেই অচৈতন্য হয়ে অবস্থায় পড়ে থাকে নির্যাতিতা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্থানীয় এক মহিলা নির্যাতিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি নাবালিকাকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে নাবালিকা গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। নাবালিকার মায়ের দাবি, মেয়েকে খোঁজাখুঁজির সময় তাঁরা জানতে পারেন, গ্রামের এক মহিলা অভিযুক্ত যুবক সোহেলের সঙ্গে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে রাতে দেখতে পেয়েছিলেন। শুক্রবার নাবালিকার জ্ঞান ফিরতেই সমস্ত ঘটনা তার মা-বাবাকে জানায়। সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে মানিকচক থানার পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিস।
একজন সমাজকর্মী এবং লেখক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে যৌন হয়রানির (Sexual harassment) অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারিণী মামলাও করেন তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার কেরলের আদালত (Kerala court) চন্দ্রনকে (Chandran) জামিন দেয়। এবং বিচারক জামিনের রায়দানের সময় বলেন, অভিযোগকারিণী একটি যৌন উত্তেজক পোশাক (sexually provocative dress) পরেছিলেন। তাই একে যৌন হয়রানি বলা যায় না।
অভিযোগকারিণী ২০২০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি নন্দী বিচের একটি ক্যাম্পে থাকাকালীন ওই লেখক তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলেন, ৭৪ বছর বয়সী লেখক তাঁকে ক্যাম্পে ডাকেন। এরপর জোর করে তাঁর কোলে বসান। এবং গোপন অংশ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন।
লেখক তাঁর জামিনের আবেদন করার সময় আদালতে অভিযোগকারিণীর ছবিও দিয়েছিলেন। তারপরই বিচারক বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারার অধীনে অপরাধটি কার্যকর নয়। কারণ মেয়েটি "যৌন উত্তেজক পোশাক" পরেছিলেন।
কেরল হাইকোর্ট আরও বলে, ওই লেখক শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম। অন্য ব্যক্তির উপর জোর করতে পারেন না। সেখানে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ খানিকটা ভিত্তিহীন।
কোয়েলন্দি পুলিস ২৯ জুলাই আইপিসির ধারা ৩৫৪এ (২), ৩৪১ এবং ৩৫৪ এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল।