
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে দুটি ভাগে দল ঘোষণা করা হয়েছ। প্রথম দুটি ম্যাচের জন্য এবং তৃতীয় ম্যাচের জন্য আলাদা আলাদা দল ঘোষণা করা হল।
সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে চোটের সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। সেকারণে প্রথম দুই ম্যাচে বাদ রাখা হয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা সহ একাধিক ক্রিকেটারকে। যদিও তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের প্রত্যেককেই দলে রাখা হয়েছে। মূলত এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই যাঁরা খেলেছেন তাঁদের প্রথম দুটি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রথম দুটি ম্যাচের অধিনায়ক থাকছেন কে এল রাহুল এবং তৃতীয় ম্যাচের জন্য রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করা হয়েছে।
প্রথম দুই ম্যাচের দল- কেএল রাহুল (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, ঈশান কিশান, শার্দূল ঠাকুর, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ার,মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যশপ্রীত বুমরা, এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
তৃতীয় ম্যাচের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), কেএল রাহুল , শার্দূল ঠাকুর, অক্ষর পটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, সূর্যকুমার যাদব, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ।
মৃণাল সেনের ছবি 'ইন্টারভিউ' দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। তারপর কয়েক দশক অভিনেতা ধারাবাহিকভাবে সিনেমা করেছেন। টলিউড ছবির জগতে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নবাব নন্দিনী, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদের মতো জনপ্রিয় ছবিও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। পরিচালকেরা জানতেন, সিনেমা যদি ফ্লপও হয়, রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) একাই সেই ছবির রেশ ধরে রাখবেন। তবে এবার ছবি ছেড়ে নতুন মাধ্যমে দেখা যাবে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে।
বর্তমান দশক ওটিটি, ওয়েব সিরিজের। এবার সেই মাধ্যমেই পদার্পণ করতে চলেছেন রঞ্জিত মল্লিক। হাত মিলিয়েছেন বর্ষীয়ান পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে তৈরী হয়েছে ওয়েব সিরিজ, 'ঘোষ বাবুর রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান'। এই সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ঘোষ বাবু। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই চরিত্রে দেখা যাবে রঞ্জিত মল্লিককে। কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই তাঁর জীবন আগের থেকে বদলে যাবে। কিভাবে এই বদলগুলির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, তাঁর জীবনদর্শন সবটাই ফুটে উঠবে এই ওয়েব সিরিজে।
এই সিরিজে অভিনয় করবেন অভিনেত্রী অনুরাধা রায়। তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে অদৃজা রায়, আরিয়ান ভৌমিকের মতো অভিনেতাদেরও। আগামী মাসেই নাকি মুক্তি পেতে চলেছে সিরিজটি।
টলিউডে টানটান ব্যোমকেশ (Byomkesh) দ্বৈরথ। একদিকে বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য। অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দুর্গরহস্য। বিরসার ব্যোমকেশের চরিত্রে প্রথমবার দেখা যাবে অভিনেতা দেবকে (Dev)। অন্যদিকে সৃজিতের ব্যোমকেশ অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের অফিশিয়াল ট্রেলার রিলিজ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখা যাবে ১১ আগস্ট।
অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দুর্গ রহস্য কোমর বাঁধছে উন্মোচনের জন্য। শনিবার মুক্তি পেয়েছে প্রথম ঝলক। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে সেই ঝলক শেয়ার করে লিখেছেন, দুর্গের দুয়ার খুলছে আসতে আসতে, সত্যের পথ হচ্ছে পরিষ্কার।' যদিও এর থেকে বেশি কিছু এখন জানাননি পরিচালক। এই সত্যের খানিকটা ঝলক দর্শকেরা পাবেন ১৮ জুলাই।
সৃজিতের দুর্গ রহস্যে সত্যবতীর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে। অন্যদিকে অজিতের ভূমিকায় অভিনয় করবেন রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়। এই সিরিজ মুক্তি পাবে ওটিটিতে। তবে সেই শুভদিন জানা যায়নি এখনও। টলি পাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক বিরসা এবং সৃজিত দুজনেই। দুই ব্যোমকেশের গল্প যে একই তাও বোঝা হয়ে গিয়েছে। কেবল অভিনয়ে-পরিচালনায় কে কাকে টেক্কা দেবেন, এইবার সেটাই দেখার।
অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার (Tamannaah Bhatia) সঙ্গে বিজয় বর্মার প্রেমের গুঞ্জন সারা বলিউডে। শুধু গুঞ্জন নয়, তাঁদের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু মুহূর্ত পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যদিও তাঁরা সম্পর্ক নিয়ে সাফ জবাব দেননি। কিন্তু চোখে মুখে প্রেম একেবারে স্পষ্ট। তামান্নাকে আর কিছুদিন পরেই ওটিটির পর্দায় দেখা যাবে বিজয়ের (Vijay Verma) সঙ্গে। সিরিজের নাম 'লাস্ট স্টোরিজ-২', তাই সিনেমায় সাহসী দৃশ্য থাকবে না তা কী হয়! তেমনই চরিত্রে দেখা যাবে প্রেমিক যুগলকে।
সেইরকম দৃশ্যের একটি ভিডিও শেয়ার করে তামান্না একটি বিশেষ বার্তা দিলেন আসন্ন কাজ প্রসঙ্গে। অভিনেত্রী বললেন, 'লাস্ট স্টোরিজ ২ দেখার সময় ঘরে কেউ চলে এলে ঘাবড়ে গিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এর মধ্যে লালসা ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। ড্রামা রয়েছে, রোম্যান্স রয়েছে,অ্যাকশন রয়েছে, মায়ের ভালোবাসা রয়েছে, ঠাম্মার ভালোবাসা রয়েছে, প্রাক্তনের ভালোবাসা রয়েছে, কাজের লোকের ভালোবাসা রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, তামান্নার এত বছরের কেরিয়ার জীবনে তাঁকে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা যায়নি। এই প্রথম প্রেমিক বিজয়ের সঙ্গে তিনি সাহসী দৃশ্যে ধরা দেবেন। এই নিয়ে অভিনেত্রী অবশ্য নিজের যুক্তি দিয়েছেন। তবে নেটিজেনরা বলছেন, বিপরীতে প্রেমিক বিজয় থাকাতেই তামান্না তাঁর চারপাশের রক্ষণ ভেঙেছেন অবলীলায়।
কী হবে অ্যাসেজ সিরিজের (Ashes Series) প্রথম টেস্টের (Test) পঞ্চম দিনে? বৃষ্টিতে কি গোটা দিন খেলা হবে? এই নিয়েই সংশয়ী ওয়াকিবহালমহল। ম্যাচ জিততে গেলে অজিদের (Ausies) করতে হবে আরও ১৭৪ রান। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই এজবাস্টনের আকাশের মুখ গোমড়া। সকাল ১১টা থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে তা স্পিথদের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যার পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, চলতি টেস্টের তৃতীয় দিনেও বৃষ্টির জন্য ম্যাচ অনেকটা সময় ধরে স্থগিত ছিল। যে কারণে চতুর্থ দিনে অতিরিক্ত সময় খেলা হয়। যদিও, বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল চতুর্থ দিনেও।
পঞ্চম দিনে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মেঘলা আকাশ থাকবে। অর্থাৎ বল সুইং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বিপদে ফেলে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের।
উসমান খোয়াজার (Usman Khawaja) ব্যাটেই বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার (Australia) জিয়ন কাঠি। অ্যাসেজ সিরিজের (Ashes Series) দ্বিতীয় দিনের শেষে এখনও ৮২ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। স্বস্তি একটাই তৃতীয় দিন অপরাজিত ১২৬ রান থেকে শুরু করবেন খোয়াজা। সঙ্গী উইকেট কিপার ব্যাটার অ্যালেক্স কেরি। তাঁর অবদান অপরাজিত ৫২। চার উইকেটে ১৪৮ রান থেকে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পাঁচ উইকেট ৩১১। অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে মইন আলির অবদান দুই উইকেট।
১১২ রানের মাথায় আউট হয়েছিল উসমান খোয়াজা। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে বোল্ড হয়েছিলেন। কিন্তু নো বল করায় সেই আউট বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনা নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে অজিদের। কারণ, দ্বিতীয় দিনের শুরুতে যে ঝটকা খেতে হয়েছিল সদ্য বিশ্ব টেস্ট জয়ীদের, তাতে লজ্জা অপেক্ষা করছিল। ৬৭ রানের মধ্যে ধসে গিয়েছিল টপ অর্ডার। ওভালের মাঠে শতরান করা স্টিভ স্মিথও আউট হলেন ১৬ রানে। তার আগে ওয়ার্নারে ৯ আর বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার মানার্স ল্যাবুশানে শূন্য।
এই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ভারতের বিরুদ্ধে ওভালে শতরানকারী ট্রাভিস হেডের। অল্প সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ক্যামরন গ্রিনের। ইনিংসে এখনও পর্যন্ত দুটি করে উইকেট ব্রড এবং মইনের। একটি উইকেট ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের। সেটাও আবার স্টিভ স্মিথের। প্রথম ইনিংসে আট উইকেট তিনশো তিরানব্বই রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। পরিস্থিতি যা তাতে বিরাট অঘটন না ঘটলে ফয়সালার পথে অ্যাসেজের প্রথম টেস্ট।
যীশু সেনগুপ্ত কোথায়? টলিউডের (Tollywood) দর্শক বেশ কিছুদিন ধরে এই একটিই প্রশ্ন করছেন। টলিউডে যীশুকে (Jissu Sengupta) শেষবার দেখা গিয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত 'অভিযান' সিনেমায়। তারপর কোথায় তিনি? কিছুদিন আগে অভিনেতাকে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণী ছবি 'শকুন্তলম'-এ। কিন্তু টলিউডে তেমন দেখা মিলছে না অভিনেতার। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরবর্তী সিরিজের ঝলক।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যীশুর পরবর্তী সিরিজ 'দ্যা ট্রায়াল' আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে সিরিজের ট্রেলার। কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে কাজলকে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন যীশু। ট্রেলার দেখে স্পষ্ট এই সিরিজে যীশুকে বেশ অন্যরকম চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে। ১৪ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে সিরিজটি। কিন্তু এই সিরিজের ট্রেলার দেখে দর্শক ও অভিনেতার বাঙালি ভক্তদের প্রশ্ন, তাহলে কী তিনি টলিউড ছাড়তে চলেছেন?
বাঙালি অভিনেতার তকমা পেরিয়ে যীশু বর্তমানে সর্বভারতীয় অভিনেতা। শোনা যায়, পছন্দের পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতেই নাকি টলিউড-ছাড়া হয়েছিলেন অভিনেতা। তবে এইসব কথাকে তুড়িতে উড়িয়েছেন তিনি। তবে এবার বেছে বেছে সিরিজে অভিনয় করছেন যীশু। কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত পরবর্তী বাংলা সিনেমা 'পালান'-এ দেখা যেতে চলেছে অভিনেতাকে।
অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায়কে (Solanki Roy) নিয়ে এবার বিতর্ক। শ্যুটিংয়ের একেবারে মুখে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের (Rahool Mukherjee) সিরিজ 'কেয়ার অফ চৌধুরী বাড়ি' থেকে নাকি সরে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। হঠাৎ এই মতবদলের পর সোলাঙ্কির অভিযোগ ছিল পরিচালক নাকি তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। তাই তিনি সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে পরিচালক অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অভিনেত্রীর দিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাহুল একাধিক কারণে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সোলাঙ্কিকে।
এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, 'সোলাঙ্কি এবং আমি বন্ধু ছিলাম। সিরিজে তাঁকে নেওয়ার জন্য আমি রীতিমত লড়াই করেছি। কিন্তু সে আমার মান রাখেনি। সোলাঙ্কি যা করেছে তা অনৈতিক, অপেশাদার।' রাহুল বলেন, 'সোলাঙ্কি তাঁর টেলিভিশনের কাজ শেষ করে আমাকে জিজ্ঞেস করে সিরিজের কাজ হচ্ছে কিনা। আমি তাঁকে হ্যাঁ বলতে, সেও কাজ করতে চায়। তবে যে পারিশ্রমিকের উল্লেখ করেন তা খুব বেশি ছিল। পরে মধ্যস্থতা করে সেই টাকার অর্থ কিছুটা কমাতে সক্ষম হই। সিরিজে সোলাঙ্কিকে অভিনয় করতে হত মাত্র ১১-১২ দিন। এরপর সোলাঙ্কি লুক টেস্টে আসেন। আমাদের কস্টিউম ডিজাইনারের সঙ্গে শপিংও করতে যান।'
এরপর কী হয়? রাহুল বলেন, সিরিজের অভিনেতা সত্যম চৌধুরীর সঙ্গে কর্মশালায় নাকি সোলাঙ্কি আসেননি। শ্যুটিংয়ের ঠিক ২ দিন আগে নাকি সোলাঙ্কি আবারও বলেন, তাঁর পারিশ্রমিক কম এবং আবারও বড় সংখ্যার টাকা পারিশ্রমিক চান। সোলাঙ্কি অভিযোগ তুলেছিলেন, পরিচালক নাকি তাঁকে প্রযোজনা সংস্থায় আর কাজ দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন। এদিকে রাহুলের দাবি, তাঁকে ভুল বুঝেছেন অভিনেত্রী। পরিচালক নাকি অভিনেত্রীকে বলেছেন, আর কখনও তিনি সোলাঙ্কির সঙ্গে কাজ করবেন না। এই তরজার মধ্যে নাকি পরিচালক সোলাঙ্কির বিকল্প ভেবে ফেলেছেন। সিরিজে সোলাঙ্কির চরিত্রটি করবেন অভিনেত্রী সৃজলা গুহ।
টলিউডে নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র (Sauraseni Maitra)। মডেলিং করে যেমন প্রশংসা অর্জন করেছেন, অভিনয় করেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অঞ্জন দত্তের বিপরীতে অভিনয় করেও নিজস্ব পরিচিতি তৈরী করেছেন। টলিউডে সাহসী চরিত্রগুলিতে তাঁকে এতদিন দেখা গিয়েছে। এবার টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও (Bollywood) পদার্পণ করলেন অভিনেত্রী। 'তাজ' (Taj) ওয়েব সিরিজে বিশেষ চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে সৌরসেনীকে।
ওটিটিতে এর আগে মুক্তি পেয়েছিল ওয়েব সিরিজ তাজ। নাসিরুদ্দিন শাহ, অদিতি রাও হায়দারীর মতো অভিনেতাদের দেখা গিয়েছিল পর্দায়। দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মুঘল আমলের রাজ সিংহাসনের লড়াইয়ের রাজনীতি-কূটনীতি। এইবার সেই সিরিজে যুক্ত হলেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। ইতিমধ্যেই তাঁর চরিত্রের ঝলক প্রকাশ পেয়েছে নেট দুনিয়ায়।
আকবর পুত্র জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মেহের-উন-নিসার চরিত্রে দেখা যাবে সৌরসেনীকে। টিজারের ঝলকে ইতিমধ্যেই তিনি নজর কেড়েছেন। বাদশাহী পোশাকে তিনি একেবারে অনন্যা। এই সিরিজেও সাহসী চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। তাজের আগের সিজনে আনারকলির চরিত্রে অদিতি যতটা নজর কেড়েছিলেন, সিক্যুয়েলে সৌরসেনী ততটা নজর কাড়তে পারেন কি না সেইটাই দেখার। তবে ইতিমধ্যে টিজার দেখে বেশ আশাবাদী দর্শক।
সৌমেন সুরঃ পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে বিশ্বায়নের হাত ধরে। বাংলাও বিশ্বমুখী। বাঙালিই বা থেমে থাকবে কেন? বাঙালির আজ বং-ট্রেন্ডের হাওয়াতো গায়ে লাগবেই। ম্যাটিনী শো'তে হলে বাঙালির ভেসে যাওয়ার দিন শেষ। একথা মেনে নেওয়াই ভালো। বাংলা সিনেমা দেখা মানে পয়সা নষ্ট। একসময় বাংলা সিনেমা দেখার জন্য টিকিট কাটার লম্বা লাইন চোখে পড়তো। সে অনেককাল আগে। এমনও দিন গিয়েছে সিনেমার কনটেন্ট নিয়ে আলোচনায় একেবারে যুদ্ধং দেহি মনোভাব। কিন্তু বর্তমানে শুনশান আবহাওয়া। ইশ, তুই অমুকের ছবি দেখিস! পথে যেতে যেতে এরকম উড়ো কথায় মনে ভয় এসে যায়। ভয় আসে এই অর্থে, বাংলা ছবি দেখে সমাজদূত হওয়ার। আশা জাগানো প্রতিভাবান ফিল্মমেকার ভাল সুযোগের হাতছানিতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তাহলে দর্শকরাই বা কম কিসে! আমরাও turn back করি।
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকেরই হাতে মোবাইল ফোন। অর্থাৎ পৃথিবীটা তার হাতের মুঠোয়। একটু অন্যভাবে দেখলে দেখা যায়, ওয়ের সিরিজ হোলে মোবাইল হবে উপযোগী। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির হাতের মুঠোয় পৌছে যাবে সৃষ্টিশীল কাজ ক্ষুদ্র গন্ডী পেরিয়ে। বিপুল সংখ্যক বাঙালির কাছে পৌছে যাবে নানা সৃষ্টি। এই ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ হতে থাকবে সৃষ্টিধরের সৃষ্টিশীল কর্ম, যা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌছে যাবে অত্যন্ত স্মার্ট পরিবেশনে। দূরে থেকেও বাঙালি হারাবে না তার বাংলাকে, তার গৌরবকে। শুরু হোক নতুন স্টাইল, নতুন ভাবনা, নতুন পথ। বস্তাপচা চেনা ছক বদলাবে ওয়ের সিরিজের হাত ধরে। তথ্যঋণ-শুদ্ধশীল বসু
কোথায় গেলেন চিরঞ্জিত? সিনেমার পর্দায় বহুদিন তাঁকে দেখতে না পেয়ে এমনই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সমসাময়িক সময়েই উত্থান তাঁর। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিতের 'জুবিলী' ওয়েব সিরিজ। নেট দুনিয়া জুড়ে শুধুই বুম্বাদার চর্চা। এর মধ্যে কী হারিয়ে গেলেন চিরঞ্জিত? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দর্শকমনে। তবে এবারে শোনা গেল খুশির খবর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata Chatterjee) পরিচালনায় অভিনয়ে ফিরতে চলেছেন চিরঞ্জিত (Chiranjeet Chakraborty)।
মে মাসেই একটি নতুন সিরিজ পরিচালনা করতে চলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছে, সেই সিরিজের মূল চরিত্রেই অভিনয় করার ডাক পেয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এর আগেও একসঙ্গে কাজ করেছেন টলিউডের এই দুই তারকা, তবে সহ অভিনেতা হিসেবে। এইবার সেই সমীকরণেই কিছুটা বদল আসবে। এই সিরিজের বিষয় মূলত হরর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালক। তাই চিত্রনাট্যের প্রতি আকর্ষিত হয়েই এই কাজ করতে রাজি হয়েছেন চিরঞ্জিত।
সিরিজের শ্যুটিং হতে চলেছে পাহাড়ে। চিরঞ্জিতের পাশাপাশি এই সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব গিয়েছে, অনিন্দিতা বসু, গৌরব চক্রবর্তী, অর্ণ মুখোপাধ্যায় এবং সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পরিচালক বা প্রযোজনা সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।
দীপিকা দাস: ভ্যাম্পায়ার ও মানুষের প্রেমকাহিনী বলতে প্রথমেই মাথায় আসে হলিউডের 'টোয়ালাইট' (Twilight), 'ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিস'-এর কথা। কিন্তু এবারে ভ্যাম্পায়ার ও মানুষের প্রেমকাহিনীকে ভারতীয়করণ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে 'টুথ পরী: হোয়েন লাভ বাইটস' (Tooth Pari: When Love Bites) ওয়েব সিরিজ। বলিউডে (Bollywood) এখনও পর্যন্ত হয়তো ভ্যাম্পায়ার নিয়ে তেমনভাবে কাজ করা হয়নি। ফলে এই ওয়েব সিরিজটি একটু অন্য স্বাদের, ফলে দর্শকদের কাছে এটা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কল্পবিজ্ঞান, রোমাঞ্চ ও রহস্যে ঠাসা এই সিরিজ যেন এক রূপকথার গল্প। কলকাতার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা এই সিরিজ নজর কাড়বে দর্শকদের, বিশেষ করে কলকাতাবাসীর।
প্রতীম দাশগুপ্তের হাত ধরেই ভারতবাসী এবারে বলিউডে একটু ভিন্ন স্বাদের সিরিজ দেখার সুযোগ পেলেন। ছবিতে যেমন বাংলা ভাষার সচরাচর ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনি দেখানো হয়েছে, কলকাতার মেট্রো, ভিক্টোরিয়া, আনাচে-কানাচে অন্ধকার গলি, হাওড়া ব্রিজ। আবার সিরিজে দেখা গিয়েছে বাংলার অনেক জনপ্রিয় চেনা মুখ। অনেক বাঙালি অভিনেতা যেমন- অনিন্দিতা বোস, অঞ্জন দত্ত, খরাজ, ভাস্করকে দেখা গিয়েছে। ফলে শহরবাসীরা চুটিয়ে মজা নিয়েছে এই আট পর্বের সিরিজের। সিরিজের যে প্রধান চরিত্র শান্তনু মাহেশ্বরিও কলকাতার ছেলে।
এবারে আসা যাক, সিরিজের গল্পে। ভ্যাম্পায়ার হয়ে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানিয়া মানিকতলা। তাঁকে এখানে রুমি নামে দেখা যায়। শান্তনুকে দেখা যায় এক ক্ষীণ হৃদয়ের, নরম মনের সাধারণ মানুষ ড. বিক্রম রায় নামের চরিত্রে। যিনি একজন ডেন্টাল সার্জেন। এই দু'জনের মধ্যেই হয় কীভাবে ধীরে ধীরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও ভালোবাসার জন্য পরবর্তীতে কী কী করতে রাজি হয়, তা নিয়েই এই সিরিজ। প্রথমত সিরিজে সাধারণ মানুষ ও ভ্যাম্পায়ারদের পৃথকভাবে দেখানো হয়েছে, মাটির উপরের মানুষ ও মাটির নীচের মানুষ হিসাবে দেখানো হয়েছে। মাটির নীচে যারা থাকেন, তাদের কেমন ভাবে জীবন-যাপন করতে হয়।
প্রথম থেকে রুমি ও ড. রয়ের মধ্যে কেমিস্ট্রি ভালোভাবেই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু পরে কোথাও যেন গল্প একঘেয়ে লাগছিল। কোনও কোনও জায়গায় গল্পের প্লট অন্য ছবির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা বলেও মনে হয়েছে। যেমন- মেট্রো প্ল্যাটফর্মের থামে হাত দিতেই অন্য দুনিয়ায় যাওয়ার রাস্তা খুলে যাচ্ছে। এমনটা হলিউড ছবি 'হ্যারি পটার'-এও দেখা গিয়েছে। আবার ভ্যাম্পায়রা দিনের আলোয় বেরোতে পারে না, রূপো-রসুনে তাদের অস্বস্তি হয়, এসবই হলিউড ভ্যাম্পায়ার ছবি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে করা।
সিরিজে সিনেমাটোগ্রাফি, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক, ভালো মনে হলেও, স্টোরি লাইনে তেমন টানটান উত্তেজনা ছিল না। এত ভালো ভালো অভিনেতাদের নেওয়া হলেও তাঁদের দক্ষতাকে ঠিক মতো কাজে লাগানো হয়নি। শান্তনুর অভিনয় ছিল নজরকাড়া, শ্বাশত-তিলোত্তমার অভিনয় তাক লাগিয়েছে। তবে রুমির চরিত্রতে তানিয়ার অভিনয় তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। ভ্যাম্পায়ার হিসাবে তিনি নিজেকে আরও ভালোভাবে ফুটিয় তুলতে পারতেন। তবে সবমিলিয়ে অন্য ধরনের স্বাদ পেতে এই সিরিজ দেখাই যায়, ভ্যাম্পায়ারপ্রেমীরা মিস করতে ভুলবেন না। সিরিজের শেষে এটাও নিশ্চিত যে এটাই শেষ পর্ব নয়, আরও সিজন আসতে চলেছে ভবিষ্যতে।
হইচই-'তে (Hoichoi) সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজ। কল্লোল লাহিড়ীর গল্প অবলম্বনে, দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এই সিরিজ বর্তমানে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সিরিজের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে গানগুলি। 'পাখিদের স্মৃতি', 'দেহতরী', 'আমি একা চিনি'র মতো গানগুলি এখন সংগীত-প্রেমীদের কানে বাজছে। কিন্তু এরই মাঝে আজ সৃষ্টি নয়া বিতর্কের। নেটমাধ্যমে বিস্ফোরক হয়েছেন বিশিষ্ট গায়িকা জয়তী চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' সিরিজে 'আমি একা চিনি' গানটি গেয়েছিলেন জয়তী। গানটি গেয়ে আপনজনদের বলেছিলেন তাঁর তৃপ্তির কথা। সকলকে বলেছিলেন সিরিজটি দেখতে। কিন্তু এরপরেই আশাহত হন তিনি। সিরিজটির প্রথম সিজন মুক্তি পেতে দেখা যায় 'আমি একা চিনি' গানটি রয়েছে ঠিকই, তবে তা জয়তীর কন্ঠে নয়, গেয়েছেন অন্য এক শিল্পী। এরপরেই তিনি ফেসবুকে নিজের বক্তব্য লেখেন।
জয়তী ফেসবুকে লেখেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিরিজে আমার কণ্ঠে একটি গান আছে বলে জানতাম। অনেক আশা নিয়ে দেখতে বসে দেখলাম গানটি আমার কণ্ঠে নেই।' গায়িকা আরও লেখেন, 'বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তিনি আঘাত পেয়েছেন। তাঁর কণ্ঠ বাদ দিয়ে, যার কণ্ঠে এই গানটি রয়েছে সেই গুণী শিল্পীরও অপমান। পছন্দ না হওয়াটা গর্হিত অপরাধ নয় বটেই। কোনও শিল্পীর আশাভঙ্গ হওয়ার দায়ও কোনোদিন কেউ নেয়নি আর নেবেনও না একথাও সত্যি।'
এই বিষয়ে জয়তীর সঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি এই বিষয়ে বেশি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। যদিও তিনি ফেসবুকে সেই পোস্টের একেবারে শেষে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে লেখেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে আমার কোনও গান নেই। কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না আশা রাখবো।' গায়িকা লিখেছেন সিরিজটি খুব ভালো। সকলকে দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে সিএন ডিজিটাল থেকে কথা বলা হয় 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজের পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি আমাদের জানান, 'পুরো ওয়েব সিরিজ এখনও আসেনি। গানটা যে সিরিজে রাখা হয়নি, তা তিনি জানলেন কী করে! দ্বিতীয় সিজনে যদি গানটি না থাকে তখন তিনি বলতে পারেন গানটি নেই। তিনি জয়তীদির বিরাট ভক্ত। আমি একা চিনি গানটি জয়তীদি দারুন গেয়েছেন।' খুব সম্প্রতি গানটির সিঙ্গল ভিডিও রিলিজ করবে, একথাও পরিচালক জানান সিএন ডিজিটালকে।
প্রসূন গুপ্ত: তিনটি টেস্ট ভারতের মাটিতে হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। গত দুই শতাব্দী ধরে বলতেই হবে ক্রিকেট বিশ্বে অজিরাই সেরা। কিন্তু এহেন অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে টক্কর তো ভারত দিয়েছে। বছর দুয়েক আগে ভাঙাচোরা দল নিয়ে তাদের মাটিতে সিরিজ জয় করেছিল সফরকারী ভারত। এবারও ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩টি টেস্টের মধ্যে দুটিতে পরাজিত করে অবশেষে পরাজিত হতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। অজিদের নতুন টেস্ট অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
কোনও টেস্টই আড়াই বা তিন দিনের বেশি গড়ায়নি বিদঘুটে ঘূর্ণি পিচের কল্যাণে। এমন উইকেট বা পিচ করা হয়েছে যে স্পিনারদের বল লাট্টুর মতো ঘুরেছে। দুই দলের কেউই সুবিধা করতে পারেনি। ক্রিকেট বিশ্বে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে এ কেমন উইকেট?
এই ঘূর্ণি পিচ যে এর আগে কখনও হয়নি তা নয়, কিন্তু অনেকের মতে এ যেন ধানক্ষেতের মতো উর্বর মাঠ। প্রথম বল থেকেই বল ঘুরছে। এই নিয়ে অবশ্য রবি শাস্ত্রী প্রমুখদের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে কি ওরা স্পোর্টিং পিচ দেবে? সেখানে তো সবুজ পিচ ফাস্ট বোলারদের চারণভূমি!
কিন্তু এটা মোটেই সঠিক যুক্তি নয়। ফাস্ট বোলারদের পিচে গাভাস্কার থেকে তেন্ডুলকররা অজস্র রান করেছেন। উইকেট পেয়েছেন কপিল দেব থেকে আজকের শামিরা। বাস্তবিক অর্থে আজকে ভারতের হাতেও সত্যিকারের ফাস্ট বোলার রয়েছে অন্তত এক ডজন। যাদের মধ্যে হাফ ডজন নিয়মিত টেস্ট বা ওয়ান ডে খেলছেন। নিশ্চয় ভারত স্পিনিং ট্র্যাক করতেই পারে, কিন্তু তাই বলে এমন উইকেট যেখানে খেলা তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়!
বুমেরাং হয়েছে গত ইন্দোরের টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া এবারের সফরে ৪ স্পিনার নিয়ে এদেশে এসেছিল, আজ তাঁরাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এমনটি দাঁড়িয়েছে যারা আগে টস জিতবে বা পিচ দেখে ব্যাট করবে, তারাই ম্যাচের সিকন্দর হবেন।
কামিন্স দেশে ফিরে যাওয়ার দায়িত্বে এসেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি দেখিয়ে দিলেন ভারতের মাটিতে এবং স্পিনিং ট্র্যাকে কীভাবে জিততে হয়। চতুর্থ টেস্ট আহমেদাবাদে ৯ মার্চ থেকে। এর আগে হোলি উৎসব কাজেই হালকা মেজাজে রয়েছেন খেলোয়াড়রা। চতুর্থ টেস্টে জিতলে বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের ফাইনালে যেতে পারবে ভারত। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই ফাইনালে চলে গিয়েছে। রোহিত শর্মা ভাবছেন কী?
সৌমেন সুর: মানুষের জীবনে সবচেয়ে সুন্দর সময় হলো শৈশব। কোন পিছুটান নেই। শুধু খেলা, মজা আর আনন্দ। তবে সবার জীবন সমান নয়। কারো কারো জীবনে আনন্দের লেশমাত্র নেই। প্রখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছেলেবেলা কেমন ছিল সেটাই আজ আলোচনা করবো। প্রথম পর্বের পর...
ঈশ্বরের দুষ্টুমির জন্য় পাড়ার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যেতো। কখনও কারও বাগানে ঢুকে চুপি চুপি ফল খেয়ে ফেলতেন। কেউ কাপড় শোকাতে দিলে, সেই কাপড়ে ময়লা দাগ লাগিয়ে দিতেন ঈশ্বর। কখনও ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে, ধানের শিষ মুখে দিয়ে চিবাতেন তিনি। একবার যবের শিষ চিবাতে গিয়ে গলায় কাঁটা আটকে যায়। দূর্গাদেবী অনেক চেষ্টা করে গলায় আঙুল দিয়ে সেই কাঁটা বের করেন। ঈশ্বরের আবার কোনওকিছুতে ভয় ছিল না। এমনকি বাবাকেও ভয় পেতেন না।
বাবা যা বলতেন তার বিপরীত কাজ করতেন ঈশ্বর। এমন গোঁ ছিল তাঁর। যাই হোক আট বছর পর্যন্ত কালীকান্তের পাঠশালায় পড়াশোনা করলেন। একদিন গুরুমশাই ঠাকুরদাসকে ডেকে বললেন, 'ঈশ্বরের যা মেধা, আমার মনে হয় কলকাতার স্কুলে পড়াশোনা করলে অনেক বিদ্বান হবে। এখানে ওর প্রয়োজন নেই'। ঠাকুরদাস অনেক চিন্তা করে ঈশ্বরকে নিযে এলেন কলকাতা। একদিন বীরসিংহ থেকে বেড়িয়ে পড়লেন কলকাতার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে।
ভাবুন পথটা! যাত্রায় ঠাকুরদাস, ঈশ্বরচন্দ্র আর গুরুমশাই কালীকান্ত। হাঁটতে হাঁটতে ঈশ্বর খেয়াল করলেন, রাস্তার পাশে লঙ্কা বাটার মতো পাটা পোঁতা। ঈশ্বর প্রশ্ন করলেন বাবাকে, এটা কী? ঠাকুরদাস বলেন, এটাকে বলে মাইলস্টোন।কলকাতা থেকে এক মাইল অন্তর পাথর পোঁতা আছে। যাতে মানুষের পথ মাপতে বুঝতে অসুবিধা না হয়। মেধাবী ঈশ্বরচন্দ্র পরের পোঁতা পাতর দেখে বলে দেয়, কত মাইল তাঁরা হেঁটে চলেছে। গুরুমশাই কালীকান্ত ঈশ্বরের মেধা দেখে আর্শীবাদ করে বলেন, 'এই ছেলে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে'। (চলবে)