জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, সইফুদ্দিন খুনে জড়িত রয়েছেন তাঁদের বাড়ির কয়েকজন সদস্য। যদিও পুলিশের তরফে সরাসরি এখনও কিছু জানানো হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতা খুনে শাহরুল, আনিসুর ও কামালউদ্দিন ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। পুরো পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র ৩ জনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্কর। নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আনিসুরই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে খুনের ঘটনা ঘটে। তারপর তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত শাহরুল ওই এলাকারই বাসিন্দা মোতালেক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া ছিল। ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি। ঘটনার প্রথম দিন থেকেই পুলিশ জানিয়েছিল, খুনের ঘটনায় পাকা মাথা রয়েছে। যদিও ওই পাকা মাথা কে সেবিষয়ে মুখ খোলেনি তারা। শুধু একদিনের পরিকল্পনায় যে খুন করা হয়নি সইফুদ্দিনকে তা পরিষ্কার ছিল পুলিশের কাছে।
ফের গ্রামে গ্রামে দাঁতালের (Elephant) আতঙ্ক। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫ টি দাঁতাল হাতির দল। মঙ্গলবার সকালেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হুলা পার্টির সদস্যরা। লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার খাবারের সন্ধানে দাঁতালের দলটি জঙ্গল ছেড়ে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে। দাঁতালের দলটি চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ৩ থেকে ৪ বিঘা চাষের জমি নষ্টও করেছে দাঁতালের ওই দলটি। আরও জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের তপসিয়া,কেন্দুয়ানা সহ একাধিক এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে দাঁতালের ওই দলটি। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন হাতির এই তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। এমনকি বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। তাই স্থানীয়দের দাবি, বন দফতর থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।
সিনেমার অভিনেত্রী না হয়েও সবসময় শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। সম্প্রতি ফ্যাশনে (Fashion Sense) নতুনত্ব আনার জন্য পুরষ্কারও পেয়েছেন উরফি। এই কারণেই সমাজমাধ্যমে বেশ চর্চিত তিনি। বড়ে ভাইয়া কি দুলহনিয়া, চন্দ্রনন্দিনী, কসৌটি জিন্দগি কে-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন উরফি জাভেদ। এমনকি রিয়্যালিটি শোয়ে (Reality Show) অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে উরফির প্রতি মাসের আয় কত? কীভাবে আয় করেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। যতবার উর্ফিকে এধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে ঠিক ততবার মজা করে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবু তার মাসিক আয় প্রকাশ্যে এসেছে।
উরফি যে অনুষ্ঠানগুলি করেন, তার প্রতি পর্বের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নাকি ৪০ লক্ষ টাকা থেকে ৫৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। প্রতিদিনই প্রায় তাঁকে দেখা যায় এয়ারপোর্টে। কেন, কী কারণে তা এখনও অজানা। এক সাক্ষাৎকারে উরফি বলেন, 'তাঁর কাজ নেই, তাই অর্থ নেই। তাই তিনি পোশাক নিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার করেন ছোট থেকেই। সে জন্য নিন্দা এবং প্রশংসা দুই-ই জোটে।'
তবে ফ্যাশনই তাঁর প্রথম প্রেম। সবকিছু দিয়েই পোশাক তৈরি করেন তিনি। পুরনো জামা কেটে কিংবা পুরনো জামার সঙ্গে জুড়েই তিনি নতুন জামা বানিয়ে নেন। কাপড় কাটা এবং সেলাই করায় তিনি ওস্তাদ! নিজের পোশাক নিজেই বানিয়েছেন। বর্তমানে মনের মতো এক পোশাক ডিজাইনারদের পেয়েছেন তিনি। এমনটাও জানিয়েছেন এই ইন্টারনেট সেনসেশন।
চাঁদার জুলুমবাজি। ক্লাবের দাবিমাফিক চাঁদা দিতে না পারাতে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ক্লাবের চার সদস্যর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর (Durgapur)। ইতিমধ্যেই ওই ব্যবসায়ী ক্লাবের (club) চার সদস্যর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ (written complaint) দায়ের করছেন।
ঘটনার সূত্রপাত, দুর্গাপুজোর চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে। বেনাচিতির মহিস্কাপুর প্লটে ফার্নিচারের একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে মিথিলেশ শর্মা নামে এক ব্যবসায়ীর (businessman)। অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা দুর্গাপুজোর সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে তাঁর কাছ থেকে। এক দু হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। তবে তখনকার মতো ব্যাপারটা ধামা চাপা পড়ে গেলেও দুর্গাপুজো মিটতেই ফের স্থানীয় ওই ক্লাবের জনা চারেক সদস্য দাদাগিরি শুরু করে দেন বলে অভিযোগ।
ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ফোনে প্রায়সই তাঁরা পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য দাবি জানাতে থাকেন। এই ঘটনার অশান্তি চরমে পৌঁছয় গত শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ। ব্যবসায়ী মিথিলেশ শর্মার অভিযোগ, সেদিন আচমকা অভিযুক্ত চার ক্লাব সদস্য তাঁকে ক্লাবের সামনে ডাকেন। দাবি করেন পঞ্চাশ হাজার টাকাই দিতে হবে। এক দু হাজারে চলবে না। ব্যবসায়ী ফের তাঁর অসামর্থর কথা জানিয়ে দেন। এরপর তাঁর ওয়ার্কশপের সামনে অভিযুক্ত চার সদস্য তাঁদের অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে এসেন, প্রথম দোকানের বৈধ নথি দেখতে চান। এরপর ব্যবসার ট্যাক্স দেওয়া আছে কিনা তার নথি দেখতে চান। জিএসটি দেওয়া আছে কিনা তার কাগজও দেখতে চান। কিন্তু এবার রুখে দাঁড়ান ব্যবসায়ী আর তাঁর স্ত্রী ও এক ভাই। অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে দু এক কথা বলতে বলতে মারধর শুরু করে দেন। তাঁর স্কুটি ফেলে দেওয়া হয়। শাসনি দেওয়া হয়, যতদিন ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা না দিতে পারবেন ততদিন ওয়ার্কশপ বন্ধ রাখবেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা ব্যবসায়ী শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত এজোন ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ন্যায় বিচারের আর্জি জানান প্রশাসনের কাছে।
যদিও মারধরের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এক অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যরা। তাঁরা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পাল্টা এলাকায় অশান্তি তৈরির অভিযোগ আনেন। সন্ধ্যা নামলেই ওই ওয়ার্কশপে মদের আসর শুরু হয়ে যেত, পাড়ার লোক লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল ক্লাবে। শনিবার সেই জন্যই এসব না করার জন্য ওয়ার্কশপে গিয়েছিলেন তাঁরা, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এ কথা ঠিক কিন্তু মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত এক ক্লাব সদস্য।
তবে অভিযোগ পেয়ে পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।