ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরির ম্যাচে একাই ৭ উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। এবার বিশ্বকাপে বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন ভারতের ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল না হলেও একা লড়াই করেন ড্যারিল মিচেল। শামির ডেলিভারিতে পরপর যখন একদিক থেকে উইকেট হারায় ভারত।৬৯ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসনও। কিন্তু থামেননি ড্যারিল মিচেল। ১৩৪ রান আসে তাঁর ব্যাটে। ৩৩ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু শামির বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ ফিরতে হয় মিচেলকেও। কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাও একটি করে উইকেট তুলে নেন। আর খেলায় ফিরতে পারেনি কিউয়ি শিবির।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল বিরাট-রোহিতদের। এবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রবিবার আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
এক বিখ্যাত ব্যক্তি বলেছেন, বিশ্বকাপ জেতা না হলে, জীবনে কোনও কিছুই পূর্ণ হয় না। মুম্বইয়ে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে মেসি মন্ত্রকেই স্মরণ করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জানালেন, পিছনে নয়, তাঁর টিম ইন্ডিয়া সামনে তাকাতে চায়। তাই ১৯৮৩ থেকে ২০১৯, কী হয়েছিল এই সময়ে তা ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। বরং ফোকাস করছেন ১৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে কী হতে চলেছে।
ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ের সময় তাঁর জন্ম হয়নি। ১২ বছর আগে ভারতে দ্বিতীয় বিশ্বজয়ে জাতীয় দলে তাঁর ঠাঁই হয়নি। এসব কিছু তিনি বা তাঁর দল ভাবছে না। প্রথম সেমিফাইনালে আগে রোহিত জানিয়েছেন, এই দলের অর্ধেক সদস্য ১২ বছর আগে দলে ছিলেন না। তাতেও বিশ্বকাপের উপলব্ধি বুঝতে কারুর কোনও অসুবিধা হয়নি।
ধর্মশালায় ২০ আগে বছর বিশ্বকাপের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে বুধবার ফের রোহিতদের সামনে কিউইরা। তবে ল্যাথম নন, টিম ইন্ডিয়ার চ্যালেঞ্জ এবার কেন উইলিয়ামসন। মাঠে নামার আগে রোহিতের দাবি, ইতিহাস ভুলতে তাঁরা নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন। এটাই তাঁর টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যাশা।
ম্যানচেস্টারের বদলা কোন পথে ? মুম্বইয়ে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে এখন এটাই আলোচনা ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। রোহিতদের হেড স্যর রাহুল দ্রাবিড়ের মাথায় এখন তিনটি বিষয় ঘুরঘুর করছে। এক, ব্যাটিং শক্তিকে আরও মজবুত করা। দুই ম্যানচেস্টারের স্মৃতি প্রতিটি ক্রিকেটারের মাথা থেকে মুছে ফেলা। আর তিন মাঠের মধ্যে আরও দৃঢ় হওয়া।
এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছেন রোহিত শর্মারা। সেটা বিশ্বাস করেন খোদ রাহুল দ্রাবিড়ও। তবুও মুম্বই ম্যাচের আগে বাড়তি কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তিনি। কারণ, ধর্মশালায় কিউইদের হারালেও, ওই ম্যাচে ভারতকে জিততে খানিকটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল। দ্রাবিড় মানছেন, উইলিয়ামসন দলে আসায় মুম্বইয়ে আরও শক্তিশালী কিউইরা।
এই শক্তি পরীক্ষাতেই নিজেদের উজার করে দিতে চান ভারতীয়রা। ছত্রিশ বছর পর ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। ১৯৮৭ সালে এই মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রিলায়েন্স কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল কপিল দেবের ভারত। ৩৬ বছর পর বিদায় নয়, রোহিত শর্মাদের টার্গেট সোজা আমেদাবাদ।
শ্রীলঙ্কাকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। ১৬০ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কিউয়ি ব্রিগেড। এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠার পথ মসৃণ করলেন কেন উইলিয়ামসনরা। পয়েন্ট টেবিলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থেকে গেলেন তাঁরা। চাপ বাড়ল পাকিস্তানের।
এদিন চিন্নাস্বামীকে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন ও রচিন রবীন্দ্রের বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেন শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরার ৫১ রান ও থিকশানার ৩৮ রানের ইনিংসে ১৭১ রান তোলে তাঁরা।- ৩ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
এদিন এত অল্প রান তাড়া করতে নেমেও উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রচিন রবীন্দ্র ৪৫ ও ৪২ রান করেন। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ১৪ রানে বোল্ড করে ফেরান ম্যাথিউজ। কিন্তু ৩১ বলে ৪৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ম্যাচ শেষ করে আসেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম।
ইডেনে নামার আগেই কি সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত ভণ্ডুল পাকিস্তানের! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের কঠিন সমীকরণে পাকিস্তানের কাছে এক অদ্ভুত লক্ষ্যমাত্রা এসে দাঁড়িয়েছে। কী সেই হিসেব!
যদি পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে, তা হলে ২৮৭ রানের ব্যবধানে জিততে হবে তাঁদের। যার অর্থ, পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান করলে ১৩ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে হবে। প্রথমে পাকিস্তান বল করলে অন্তত ২৮৪ বল আগে খেলা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ ওভারের ম্যাচ পাকিস্তানকে ২.৪ ওভারেই শেষ করতে হবে।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে ভারত। দুই নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে আছে অস্ট্রেলিয়া। এই চার নম্বর স্থানের জন্য় নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের লড়াই। শ্রীলঙ্কাকে ১৬০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে রানরেট অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা।
বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। পরপর সাত ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে রোহিত ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কাকে ৩০২ রানে হারানোর পর ভারতের নেট রান রেট অনেকটাই বেড়ে গেল। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে অনেকটাই স্বস্তি টিম ইন্ডিয়ার। পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে সেমিফাইনালে যাওয়া আর অনিশ্চিত নয় ভারতের।
ম্যাচের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানান, "আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, এই খবর পেয়ে খুবই খুশি। এটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। ব্যাটার ও সিমার, দুজনেই দুজনের লক্ষ্যপূরণ করেছে।" রবিবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই পয়েন্ট টেবিলের সমীকরণ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। কোন দল প্রথমে শেষ করবে, সেই লড়াইয়েই ইডেনে নামবেন কুইন্টন ডি কক-বিরাট কোহলিরা।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩০২ রানে জেতে ভারত। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতে টিম ইন্ডিয়া। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জেতে টিম। ইংল্যান্ড ম্যাচে ১০০ রানে জয়ী হয় রোহিত ব্রিগেড।
টানা চার ম্যাচ হারের পর অবশেষে ইডেনে জয়ের মুখ দেখেছে পাকিস্তান । পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন বাবর আজমরা। তাই এখনও সেমিফাইনালে যাওয়া সুযোগ রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের বাংলাদেশকে হারানোর পর সেই বিষয়ে কী বলছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম ?
বাংলাদেশকে হারিয়ে অবশেষে একটু আশার আলো দেখছেন বাবরেরা । পাক অধিনায়ক জানাচ্ছেন, তাঁদের হাতে শুধু নিজেদের ম্যাচই আছে। তাই পরের দু'টো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবেন তাঁরা। বাকিটা ভাগ্যের ব্যাপার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বাকি দুই ম্যাচ রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দু’টি ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ চার নম্বরে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বাবরদের।
তবে, পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে গেলে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও হারতে হবে। এই মুহূর্তে ৭টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে জিতেছে ২টি ম্যাচে। পয়েন্ট ৬। নেট রানরেট -০.০২৪। পরবর্তী দু'টি ম্যাচ জিতলেই ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন বাবররা। এদিকে, চলতি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের (World Cup) সেমিফাইনালে (Semi Final) মুখোমুখি হোক ভারত-পাকিস্তান (India)। এমনটাই চাইছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ছাড়া আরও তিনটি দলকে এগিয়ে রেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন সৌরভ।
সৌরভ জানিয়েছেন, সেমিফাইনালে চার দল বেছে নেওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে পাঁচটি দল বেছে নিতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড আছে। বড় প্রতিযোগিতায় নিউ জিল্যান্ডকেও বাদ রাখা যায় না। পাকিস্তানকেও তালিকায় রাখব।' সৌরভ আরও জানান, তিনি চাইছেন ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল হোক । তা হলে ইডেনে খেলা হবে । রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শে ভারত ভাল খেলবে, এই বিষয়ে আশাবাদী সৌরভ।
উল্লেখ্য, ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ।
সেমিফাইনাল (Semi Final)-সহ ভারতের মাটিতে পাঁচটি বিশ্বকাপের (World Cup) ম্যাচ পেল কলকাতা (Kolkata)। পাঁচ নভেম্বর ইডেনে খেলবেন রোহিত শর্মারা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ইডেনে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হবে ২৮ অক্টোবর। ওই দিন এই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হবে কলকাতায়।
১৯৯৬ সালে ইডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচ আজও অভিশপ্ত বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে। দর্শক গন্ডগোলের জেরে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই ম্যাচ। পরিত্যক্ত সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ২৭ বছর আগের সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ভারতের মাটিতে এদিনের ক্রীড়া সূচিকে স্বাগত জানিয়েছে সিএবি। সিএবি কর্তাদের দাবি, ২৭ বছর আগের অভিজ্ঞতা ভুলে তাঁরা নতুন করে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। এই বছর অক্টোবরের শেষে পুজো। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী। লক্ষ্মী পুজো ২৮ তারিখ। কোজাগরীর সন্ধ্যাতে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ কলকাতায়।
প্রসূন গুপ্ত: রাত ১২.৩০ মানেই আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। আয়েশি বাঙালি যতই ঘুমকাতুরে হোক না কেন রাতে বিশ্রাম নেই। আসলে রাতের খেলাগুলো কাতারে বড় দলগুলির খেলা ছিল বলেই, হয়তো রাত জাগাকে ভবিতব্য মেনে নিয়েছে খেলা পাগল এই জাতি। এখানেই শেষ নয় ব্রাজিল বিদায় নেওয়ার পর সাপোর্টারের ভিড় ছিল আর্জেন্টিনার দিকে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে সবাই রাত জেগেছিলো। বাদ যাননি ব্রাজিলের কোনও এক গোড়া সমর্থক। খেলায় একটি করে গোল হয়েছে আর টালিগঞ্জ বা দমদমে পটকা ফেটেছে। রাত আড়াইটার পর তো কালীপুজোর রাত হয়ে গিয়েছিলো, কলকাতা এবং শহরতলিতে যেন অকাল দিওয়ালি। আর তো মাত্র একটা রাত জাগার ব্যাপার। এরপর তৃতীয় স্থানের লড়াই আর ফাইনালের সময় তো চমৎকার, ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০। ফিফা কমিটি স্বীকার করেছে ভারত, বাংলাদেশের মতো দর্শক সারা বিশ্বের কোথাও নেই। সুতরাং তাঁদের কথা ভেবে এবং বিজ্ঞাপনের ভাবনা থেকে সম্প্রচারকারী টিভি কোম্পানির দাবিই নাকি ছিল যে ভাবেই হোক ৮.৩০-এর সময়কে ফাইনালের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
ফলে মস্কো ফাইনাল এবং কাতার ফাইনাল এই সন্ধ্যারাতেই হচ্ছে। সে যাই হোক বুধবার মধ্যরাতের খেলায় এগিয়ে কে? অন্য সময় হলে নিশ্চই বলা যেত এমবাপের ফ্রান্স। ফ্রান্সের কিন্তু প্রচুর সমর্থক বাংলায়। জিদানের সময় থেকে এই ফ্রান্স ভক্তি। এবার তো আরও অনেকে আছে। ইংল্যান্ড ফ্রান্সের খেলায় ফ্রান্সের সমর্থক ছিল বেশি। এবারে হেরে যাওয়া ব্রাজিলের সমর্থকরা নিশ্চিত ফ্রান্সকে সমর্থন করবে এমনটাই ভাবা হয়েছিল।
কিন্তু জানা যাচ্ছে আফ্রিকার সিংহ হয়ে ওঠা মরোক্কোর দিকে আজ রাতে সমর্থন থাকবে বেশি। ফ্রান্সের আক্রমণ রোখা মুশকিল, তবুও বলা যেতে পারে উত্তর আফ্রিকার এই দেশের হারানোর কিছু নেই। তাই ৯০ মিনিট সেরা খেলাটাই খেলবে তাঁরা।
কাতার বিশ্বকাপ সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের চোখে। খেলা দেখে কী লিখছেন তিনি
আহ কি খেলাটাই দেখলাম মঙ্গলবার রাতে! খেলা শুরু হয়েছিল আমাদের ঘড়ির রাত ১২.৩০-এ, শেষ হলো ঠিক ২.২০-তে। তারপর বাকি রাতটা আর ঘুম এলো না। স্বাভাবিক এরকম একটা স্বপ্নের ফুটবল ম্যাচ তাও সেমিফাইনাল এবং সঙ্গে মেসি সঙ্গে ৩টে অসাধারণ গোল ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে গেলো। ফুটবল প্রেমীর চরিত্রের উপর প্রশাসনের আবরণ পরে এবার সকালে প্রশাসনিক কাজে বেরোতে হবে যে। হাওড়ার বাসিন্দা কাজেই ফুটবল আমাদের রন্ধ্রে-অণুতে। আমি কিন্তু খাঁটি ভারতীয় তারপর মোহনবাগানী কাজেই বিশ্ব ফুটবলে কোনও সুনির্দিষ্ট দলের সমর্থক নই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল ভালো লাগে এবং অবশ্যই লাতিন আমেরিকার ফুটবলের স্কিল। আমার ভালো লাগার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো ২০০২-এর পর। ওই শেষ বারের মতো ব্রাজিলের পায়ের কাজ দেখেছিলাম রোনাল্ডো,রবার্তো কার্লোসদের। তারপর একেবারেই ইউরোপিয়ান ঘরানার প্রেসিং ও পাসিং ফুটবল।
মঙ্গলবার রাতে ফের শিল্প ফায়ার এলো মেসি বাহিনীর হাত ধরে। ৩টি গোল, কোনটাকে কার আগে রাখবো এখনও বুঝতে পারছি না। সকলেই ধরে নিয়েছিল ব্রাজিলকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া কাজেই আর্জেন্টিনা আর কী করতে পারে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার দলের চরিত্রই হচ্ছে ডিফেন্স আলগা রেখে আক্রমণে যাও। কিন্তু ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্রাজিলের মতো আক্রমণে প্রথমে যায়নি আর্জেন্টিনা। আল্ট্রা ডিফেন্স রেখে খেলা শুরু করেছিল অর্থাৎ ক্রোটদের আক্রমণ করতে দাও পরে আলগা বল ধরে প্রতি-আক্রমণ। ডিফেন্স এবারে যথেষ্ট ভালো আর্জেন্টিনার। গোলে মার্টিনেজ, উইথড্রল স্টপার মাক্যালিস্টার একটু নিচ থেকে রড্রিগো দি'পল।
শুরুতে ডিফেন্সের পথে না গিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ গেলো মড্রিচের দল। কিন্তু কিছুতেই বক্সের ভিতরে যেতে পারলো না। ৩০ মিনিট এভাবেই চলার পর হঠাৎ চলতি বল নিয়ে যাওয়ার পথে বক্সে ক্রোট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ, আলভারেজকে ফাউল করে বসে, পেনাল্টি ১০০% | মেসি এসে বাঁ পায়ে গোলকিপারের বাঁদিকের কোন দিয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দেশকে। এরপর ৫ মিনিটের মধ্যে ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলো জুলিয়ান আলভারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে একই বল নিয়ে বুলডোজারের মতো ক্রোটদের পাশে রেখে একার কৃতিত্বে বুটের টো দিয়ে জালে বল জড়ান। আগামীতে মেসি চলে যাওয়ার পর নতুন সুপারস্টার পেয়ে গেলো আলভারেজকে। এরপর আরও একটি গোল হতে পারতো। দুটি গোল খেয়ে মদ্রিচ, পেরিসিচ, কোভাচিচরা খেলা থেকেই যেন বেরিয়ে গেলো। এমনিতেও এই বিশ্বকাপ এদের অনেকের শেষ বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের সঙ্গে খেলে এনার্জিটা ছেড়ে এসেছিলো কি? তৃতীয় গোল সেই ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলেন মেসি। ডান দিক থেকে গতি বাড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার জাস্কো গার্ডিওলকে ঘাড়ের কাছে রেখেই একের পর এক ইনসাইড আউটসাইড ডজ এবং লম্বা স্প্রিন্ট। একটা সময় গার্ডিওলকে ডজ করে পিছনে ফেলে বারের এক প্রান্তে গিয়ে ঠিকানা লেখা পাস বাড়ালেন আলভারেজকে। গোলমুখ খুঁজতে ভুল করেননি বছর বাইশের আলভারেজ। তিনি ঠিকানা লেখা পাস জালে জড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন বোঝালেন এবার আমি এসে গিয়েছি।
সেরা খেলা দেখলাম মঙ্গলবার মধ্যরাতে। তুলনাহীন, এবারে কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে যতটুকু ফারাক রইলো রবিবাসরীয়তে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
মুন্নি চৌধুরীঃ মহারণের অপেক্ষায় লুসাইল স্টেডিয়াম (Lusail Stadium)। নীল-সাদা বনাম লাল-সাদা। বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর্জেন্টিনার (Argentina) সামনে ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। ভারতীয় সময় ম্যাচ শুরু বুধবার রাত সাড়ে ১২টা অর্থাৎ মঙ্গলবার মধ্যরাত। এই মেগা ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে অদ্ভুত পরিসংখ্যান ঘুরছে কাতারে। বিশ্বকাপ (World Cup 2022) সেমিফাইনালে কখনও হারেনি আর্জেন্টিনা। এবার স্কালনির দল আর ফাইনালের মাঝে দাঁড়িয়ে শুধু ক্রোট-রা। ২০১৪-র পুনরাবৃত্তি কি হবে লুসেইল স্টেডিয়ামে। ৮ বছর বাদে কি আবার ফাইনাল খেলবেন মেসিরা?এ ধরনের কাধিক প্রশ্ন ঘুরছে ফুটবল প্রেমী বাঙালির মনে। যদিও কাতার কাপযুদ্ধে মেসি (Lionel Messi) ম্যাজিকের দিকেই তাকিয়ে আর্জেন্টিনা সাজঘর।
টুর্নামেন্টে চার গোল হয়েছে লিওর। প্রতি ম্যাচেই ধেয়ে আসছে কড়া ট্যাকল। আটকানো যায়নি মেসিকে। ডালিচের দলের জমাট দুর্গ ভাঙতে মারাদোনার দেশ তাকিয়ে মেসির বাঁ পায়ের দিকে। তবে স্কালনির কাজটা মোটেও সহজ নয়। ৫-৩-২ আর্জেন্টাইন কোচের প্রিয় স্ট্রাটেজি। সিঁড়ি ভাঙা অংকের মতো সেটা কখনো হয়ে দাঁড়ায় ৪-২-৩-১ সিস্টেমে। লুকা মদ্রিচদের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রবল চিন্তায় নীল-সাদার কোচ। কার্ড সমস্যার কারণে নেই লেফটব্যাক আকুইনা, নেই মন্ত্রিয়েল।
কোচের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে ক্রোট কোচের স্ট্রাটেজি। দুটো উইংকে চমৎকার ব্যবহার করেন ডালিচ। ব্রাজিল ওখানেই ডুবেছে। স্কালনি সেই ভুল করতে চান না। ফ্যাক্টর আরও আছে। দুই গোলকিপারের ডুয়েল। মেসির দলে মার্টিনেজ আছেন। মদ্রিচদের আছেন লিভাকভিচ। দুজনেই টাইব্রেকারে বিশেষজ্ঞ। মার্টিনেজ শপথ নিয়েছেন মেসির হাতে কাপ তুলেই ছাড়বেন। ডাইনামো জাগরেবে খেলা লিভাকোভিচ এবার গোল্ডেন গ্লাভসের দাবিদার। ২০১৮-র পর ২০২২। টানা দু'বার ফাইনালে ওঠার হাতছানি ক্রোয়শিয়ার সামনে।
টাইব্রেকারে এই দল অপ্রতিরোধ্য। ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে চাইবে আর্জেন্টিনা। ডিফেন্স জমাট করে ম্যাচটা রবারের মতো টেনে নিয়ে যেতে চাইবে ডালিচের দল। কাউন্টডাউন কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে।
সেমি ফাইনালে (Semi Final) সম্ভবত বিপক্ষের জোনাল বা ম্যান মার্কিংয়ে পড়বেন না লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) সেমিফাইনালের দিন দুই আগে এই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ক্রোয়েশিয়ার (Argentina-Croatia) ফুটবলার ব্রুনো পেটকোভিচ। চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচ থেকেই দেখা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলতে নামলেই, তাঁর গায়ে সেঁটে থাকে বিপক্ষ দলের ফুটবলার। তিনি বল ধরে দৌড়লে পিছনে বিপক্ষ দলের অন্তত তিন জন থাকেন। আর্জেন্টিনার আক্রমণের স্তম্ভ লিওনেল মেসিকে আটকানোই এযাবৎকাল বিপক্ষ কোচের কৌশল হয়ে এসেছে। কিন্তু সেই কৌশল ভেদ করেই এখনও পর্যন্ত সফল বিশ্ব ফুটবলের এলএম-১০। এবার চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসিকেই কিনা আটকানোর পরিকল্পনা নেই ক্রোটদের?
এই প্রশ্নের জবাবে ব্রুনো জানান, 'আমরা মনে করি মেসিকে শুধু আটকালে হবে না। গোটা দলকে আটকাতে হবে। আমরা মেসিকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা এখনও করিনি। সাধারণত আমাদের ডিফেন্সের কৌশলের কোনও এক বিশেষ ফুটবলারকে আটকানোর চেষ্টা থাকে না। আমরা গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা করি।'
ব্রুনোর আশঙ্কা শুধু মেসিকে আটকালে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই টিম আর্জেন্টিনার আক্রমণের অন্য স্তম্ভদের আটকাতে চায় ক্রোয়েশিয়া। খানিকটা সেই ইঙ্গিত দেন ব্রুনো।
প্রসূন গুপ্ত: টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জঘন্য পরাজয় ভারতের। টস হারা থেকে শুরু করে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা। এসব কাটিয়ে ভারত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তোলে। নেপথ্যে পান্ড্যর ঝড়ো ব্যাটিং, বিরাটের হাঁফ সেঞ্চুরি। কিন্তু অ্যাডিলেড ওভালের মতো মাঠে এই লক্ষ্যমাত্রা হেলায় তুলে দেয় ইংল্যান্ড। নেপথ্যে ভারতের বোলিং ব্যর্থতা এবং বাটলার-হেলসের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি। ৪ ওভার বাকি থাকতেই বিনা উইকেটে ১৭০ রান তুলে ফাইনালে ব্রিটিশরা।
বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই এদিন ভারতকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। স্বল্প ওভারের ক্রিকেটের একটা পদ্ধতি আছে। ওপেনিং জুটিকে ভালো খেলতেই হয়। কিন্তু এই বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই ফ্লপ রোহিত-রাহুলের জুটি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা যত দ্রুত সম্ভব এই টি-২০-কে ভুলে যেতে চাইবে। যদিও এদিন সেমিফাইনালে আশা করা গিয়েছিল এই দুই ওপেনারের কাছ থেকে ভালো রান। কিন্তু হিটম্যান নিজের নামের সঙ্গে ন্যায় করতে পারেনি। শুধু বিরাটের ৫০ এবং হার্দিকের ৬৩; ভারতকে ১৬৮-তে পৌঁছতে সাহায্য করে। যদিও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শেষ বলে হার্দিক হিট উইকেট না হলে ভারত শেষ করত ১৭২ রানে।
গোটা টুর্নামেন্ট ভালো খেলেও আজ বাজে শট সিলেকশন করে সূর্যকুমার দ্রুত আউট হয় গেলেন। এদিন রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই চাপকে মাথায় বসতে দেননি ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার আলেক্স হেলস এবং জস বাটলার। ভারতীয় বোলিংয়ের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার করে ১৬ ওভারেই রান তুলে দিলেন তাঁরা। যদিও মর্নিং শোজ দা ডে'র মতো বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই বোঝা গিয়েছিল ম্যাচের জল কোনদিকে গড়াচ্ছে। বোলিংয়ে ভারতের ৫ বোলার পুরোপুরি ব্যর্থ। এবার দেশে ফিরে রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তন-ইংল্যান্ড ফাইনাল দেখার পালা।
তাহলে এবার প্রশ্ন, যা সিএন পোর্টাল রবিবারেই জানিয়েছিল যে আচমকা কপাল জোরে পাকিস্তান যে ভাবে সেমিফাইনালে গেল, তা কিন্তু ১৯৯২-এর বিশ্বকাপকে মনে করিয়ে দেয়। সেবারও টুর্নামেন্ট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে এবং পাকিস্তান খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিফাইনালে পৌছেছিল। সেবারও ভারতের কাছে গ্রুপ ম্যাচে পাক দল হেরেছিল। সেবারেও সেমিফাইনাল হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের। কিউইরা সেবারও হট ফেবারিট থাকলেও সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। সেবারও ফাইনাল হয়েছিল ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের। ৩০ বছর এবারও ফাইনাল হচ্ছে এই দুই দলের মধ্যে এবং মাঠটিও এমসিজি অর্থাৎ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। হিস্ট্রি কি রিপিট হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা রবিবার বিকেল অবধি।
প্রসূন গুপ্ত: গ্রুপ লিগের ম্যাচে পাকিস্তানকে দেখে কেউ ভাবতেই পারেনি যে এই দলটি টি-২০-র ফাইনালে উঠবে। দলের সেরা ব্যাটার অধিনায়ক বাবর আজম বিশ্বের অন্যতম সেরা হওয়া সত্বেও লিগ ম্যাচগুলোতে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের মেন্টর ম্যাথু হেডেন কিন্তু আশা হারাননি, বলেছিলেন বাবার ঠিক সময়ে আসল খেলাটি খেলে দেবে। বলা যেতেই পারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনওভাবে সেমিফাইনালে উঠেছিল তাঁরা। কৃতিত্ব অবশ্যই দেওয়া যেতে পারে নেদারল্যান্ড দলটিকে। আচমকাই রবিবারের সকালে টুর্নামেন্টের রং বদলে দিয়েছিলো চিরকালের চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে। বলা যেতে পারে ভাগ্যের জোরে সেমিফাইনালে উঠেছিল তাঁরা। লিগের শেষ ম্যাচে অবশ্য অনায়াসেই বাংলাদেশকে হারিয়ে উঠেছিল চূড়ান্ত পর্বে। এই একই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯২-তে। সেবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ইমরান খানের দল বিশ্বকাপ জিতেছিল।
বুধবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে মেলবোর্নের পথে পাকিস্তান। অপেক্ষা এবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। আজকে কখনওই পাকিস্তানকে চাপের মুখে পড়তে হয়নি।বোলিং বা ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের থেকে অনেক ভালো খেলেছে। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ১৫২ রান করে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামস এবং মিচেল জুড়ি ভালো না খেললে এই রান উঠতো কিনা সন্দেহের। পাক বোলিংয়ে উইকেট টু উইকেট বল করার নির্দেশ ছিল মেন্টর ম্যাথু হেডেনের থেকে। ব্যাট করতে নেমে আজ নিজেকে অবশেষে তুলে ধরতে পারলেন বাবর। তাঁর সংগ্রহ ছিল ৫৩ এবং জুটির অন্য খেলোয়াড় মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৫৭। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে হ্যারিস করেন ৩০ রান। একেবারে শেষ মুহূর্তে দুটি উইকেট পরে গেলেও তখন জেতাটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
১৯৯২-তে পাকিস্তান সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারায়। এবার কি সেদিকে যাচ্ছে ফাইনালের সমীকরণ। পরের সেমিফাইনালে অবশ্য ভারতকে ইতিহাস বদল করতে জিততেই হবে। ইংল্যান্ড দলটি কিন্তু যথেষ্ট ভাল। এবার ১৪০ কোটির টেনশন বৃহস্পতিবার বারবেলার দিকে তাকিয়েই।