কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রের থ্রিডি নকশা মেনে তৈরি করতে হবে সেলফি পয়েন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালদের এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মণীশ জোশী। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এর পিছনে ইউজিসির যুক্তি, সেলফি পয়েন্ট ক্যাম্পাসে ভেদাভেদ বন্ধ করতে সাহায্য় করবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মাহাত্ম্য তুলে ধরতে সাহায্য় করবে।
কিন্তু প্রশ্ন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কোথায় হবে সেলফি পয়েন্ট? যদিও নির্দেশিকায় থ্রিডি নকশার মাধ্যমে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই সেলফি পয়েন্ট তৈরি করতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কোনও কোনও সূত্র মারফত খবর, সেলফি জোনের পটভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখতে বলা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ নির্দেশিকায় কোথাও নেই।
আর ইউজিসির এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের। এমনকি মোদীর প্রচারের ক্ষেত্রে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে ইউজিসির মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
শুধু তাই নয়, দেশের তরুণ সমাজকে নিশানা করতেও এহেন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজনৈতিকমহলের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি গ্রান্ট কমিশন অর্থাৎ ইউজিসির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যেভাবে বিতর্ক যেভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে তাতে এহেন নির্দেশ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত সরকার নেয় সেদিকেই নজর সবার।
সেলফি (Selfie) তোলার জের! এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে, সেলফি তুলতে ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে একাধিক মানুষের। আর এবারেও তেমন ঘটনার ভিডিওই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান এক ব্যক্তি, এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আশেপাশের মানুষেরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কেদারনাথের (Kedarnath)। তবে এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
One selfie could coast a Life. Tourist falls into Mandakini River, Kedarnath.#kedarnath #kedarnathdham #selfie #mandakiniriver #tourist @UTDBofficial pic.twitter.com/Dbxx24MDh0
— Vinod Katwal (@Katwal_Vinod) September 5, 2023
সূত্রের খবর, সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে কেদারনাথে। জানা গিয়েছে, কেদারনাথ যাওয়ার পথে মন্দাকিনী নদীর ঠিক উপরের ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন এক যুবক। এর পর আচমকাই পা পিছলে যায় তাঁর। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খরস্রোতা মন্দাকিনী নদীর জলে পিছলে পড়ে যাওয়ার পর এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে চিৎকার করছেন তিনি। এই অবস্থায় ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষ। তাঁরা উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও সক্ষম হয়নি। পরে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নদীর মধ্যে থাকা এক পাথরের উপর দাঁড়িয়ে যুবককে ছুড়ে দেন দড়ি। এরপর অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা।
ভিডিও দেখেই গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। মন্দাকিনীর জলের স্রোতের মধ্যে এক পাথরকে আঁকড়ে ধরে আর্তনাদ করতে দেখে অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন যে, আর একটু হলেই তলিয়ে যাবেন মন্দাকিনীর উত্তাল স্রোতে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানেই পৌঁছে যেতেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয় বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তিনি নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন বলে অনেকেই কমেন্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে।
'ব্যাস্টিল ডে' উপলক্ষ্যে ফ্রান্সের আমন্ত্রণে 'গেস্ট অফ অনার'-এর নিমন্ত্রণ পেয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দু'দিনের সফর সম্পূর্ণ হওয়ার পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দিকে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যারিসে ব্যাস্টিল ডে-এর অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হওয়ার পর বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। এবারে সেদেশ ছাড়ার আগে ইমানুয়েলের সঙ্গে সেলফি তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই ছবিও শেয়ার করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। আবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।
১৩ জুলাই ফ্রান্সের মাটিতে পা দেওয়ার পরই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। এরপর বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্য়াক্রোঁর সঙ্গে। এরপর মোদীকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিতও করেন ম্যাক্রোঁ। এরপর বৈঠকের পর দেশ ছাড়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সেই ছবি টুইটে শেয়ার করে লিখেছেন, 'ভারত-ফ্রান্সের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।' নরেন্দ্র মোদীও তাঁর টুইটারে সেই ছবি শেয়ার করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন।
এরপরই সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি আজ দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট শেইখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাইহানের সঙ্গে। দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক বেশ কিছু আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে আড়ম্বরে স্বাগত জানানো হবে এই সফরের মধ্যে।
'সেলফি' (Selfie) বর্তমান যুগে যেন প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সেলফি ছাড়া যেন কোনও কিছুই সম্পূর্ণ হয় না। কোথাও বেড়াতে গেলেও সেলফি, কারো সঙ্গে দেখা করলেও সেলফি, এককথায় সেলফি ছাড়া মানুষ যেন এখন অসম্পূর্ণ। কিন্তু এই সেলফি তোলায় যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বা সেলফি তুললেই যদি ভালো অঙ্কের জরিমানা (Fine) দিতে হয়, তবে কেমন হয় বিষয়টা, ভাবতে পারছেন? হ্যাঁ, এমনই এক জায়গা আছে, যেখানে সেলফি তুললেই দিতে হবে জরিমানা। ইতালির পোর্তোফিনো (Portofino) নামক শহরে পর্যটকদের জন্য এই নিয়ম। তবে কেন এই নিয়ম জেনে নিন।
ইতালির পোর্তোফিনোর অপরূপ দৃশ্য, মনোরম আবহাওয়া সমস্ত কিছুই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু সেলফিপ্রেমীদের জন্য এই শহর একেবারেই উপযুক্ত নয়। পোর্তোফিনোর মেয়র জানিয়েছেন, পর্যটকদের সেলফি তোলার কারণে চারিদিকে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। পর্যটকরা রাস্তা বন্ধ করে ভিড় করে সেলফি তুলতে থাকেন। ফলে এতে যানজটের সমস্যা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।
জানা গিয়েছে, এই সেলফি তোলার নিষেধাজ্ঞা সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জারি থাকে। অক্টোবর পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে সেখানে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে সেলফি তুলতে দেখলেই তাঁর থেকে ৩০৩ ডলার বা ভারতীয় অর্থে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ধার্য করা হবে।
মর্মান্তিক! সেলফি (Selfie) তুলতে গিয়েই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গেল উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand)। হেলিকপ্টারের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ (Kedarnath) ধামে। মৃতের নাম জিতেন্দ্র কুমার সৈনি। জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে সেলফি তুলতে গিয়ে রোটরের কাছে চলে যান সেই যুবক। আর সেই রোটরের আঘাতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিস জানিয়েছে, জিতেন্দ্র কুমার ছিলেন উত্তরাখণ্ডের অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোলার। সূত্রের খবর, কেদারনাথ ধামের হেলিপ্যাডে কপ্টারটি অবতরণ করার পর সেলফি তুলতে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। নীচে নামার পরও সেই কপ্টারটির পেছনের দিকের পাখা বা রোটর চলছিল। কিন্তু জিতেন্দ্র সেদিকে নজর না দিয়ে সেলফি তুলতে চলে যান। সেলফি তুলতে এতটাই মত্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি বুঝতেই পারেননি যে রোটরের খুব কাছে চলে এসেছেন তিনি। আর সেই মুহূর্তেই ব্লেডে তাঁর মাথা কেটে দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।।
১৬ জানুয়ারি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) উঠে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি। ট্রেনের দরজা আটকে বিজয়ওয়ারা পৌঁছে যান তিনি। ঘটনাটি ঘটে রাজামুন্দ্রি রেলস্টেশনে। বিশাখাপত্তনম থেকে বিজয়ওয়ারাগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে রাজামুন্দ্রি স্টেশন থেকে ওঠেন ওই ব্যক্তি। উপলক্ষ্য সেলফি (Selfie Case) তোলা। কিন্তু সেই সময় ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেই ট্রেন বিজয়ওয়ারা পৌঁছলে তাঁকে আবআর রাজামুন্দ্রি ফিরতে হয়েছে। এই কীর্তি ভাইরাল হওয়ায় টনক নড়েছে ভারতীয় রেলের।
ভারতীয় রেলের এক কর্তা জানান, ওই ব্যক্তি বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠেছিলেন। ভাইরাল হওয়া সেই ব্যক্তি জানান, তিনি শুধু সেলফি তুলতে উঠেছিলেন। আচমকা দরজাটি বন্ধ হয়ে যাবে তিনি বুঝতে পারেনি। এছাড়া তিনি এটাও বলেন তিনি কীভাবে ফিরবেন এবং ট্রেন থেকে নামবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তাই তিনি টিকিট কেটে ফিরতি ট্রেনে আবার ফিরে আসেন।
রেল জানিয়েছে, ব্যক্তি ভুল বুঝতে পারায় তার কাছ থেকে কোনও জরিমানা আরোপ করেনি রেল। এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন বাংলায় চালু হওয়ার পর থেকে বিতর্কে জড়িয়েছে। যাত্রাপথে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
সেলফি (Selfie Accident) তুলতে গিয়ে বেসামাল হয়ে জলে পড়ে তলিয়ে যান সৈয়দ। তবে ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পরেও এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ সৈয়দের। ফলে পুলিসি তদন্তে বিলম্বের অভিযোগ তুলে থানায় ক্ষোভ প্রকাশ পরিবারের। জানা গিয়েছে, টালা থানার (Tala PS) অন্তর্গত শ্রীশ চন্দ্র চোধুরী লেনের বাসিন্দা শেখ সৈয়দ। মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের (Manindra College) প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছয় বন্ধুর দাবি, সেলফি তুলতে গিয়ে বেসামাল হয়ে জলে পড়ে তলিয়ে যান সৈয়দ।
সৈয়দের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, এটি দুর্ঘটনা নয়, ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে সৈয়দকে। পরিবারের দাবি, শনিবার কলেজ বন্ধ থাকার পরেও সৈয়দের বন্ধুরা কলেজের নাম করে সৈয়দকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় আর তারপরই এই ঘটনা। তাদের দাবি, পুলিস তদন্তে বিলম্ব করছে।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, সোমবার সকাল দশটায় নর্থ পোর্ট থানায় ডেকে পাঠানো হয় সৈয়দের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের প্রথমে বলা হয়েছিল, তারা থানায় পৌছনোর পর তাদের নিয়ে বাগবাজার ঘাটে যাওয়া হবে। সেখানে ডুবুরি নামিয়ে দেহের খোঁজে তল্লাশি করা হবে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন জোয়ার চলছে তাই তল্লাশি করতে দেরি হবে। এই কথা শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এবং থানা চত্বরেই ক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।
নৃশংসতার চরম পর্যায়! শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডের (Murder) পর একের পর এক খুনের পর খণ্ডিত দেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসছে। বিহারে (Bihar) ভরাবাজারে তরুণীর দেহ খণ্ড খণ্ড করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনাও সামনে এসেছে সম্প্রতি। তার মধ্যেই ফের খুন। জানা গিয়েছে জমি বিবাদের জেরে তুতো ভাইকে গলা কেটে খুন করেছে এক যুবক। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্ত ও তাঁর বন্ধুরা। সেই কাটা মুন্ডুর সঙ্গে সেলফিও তোলে। কতটা বিকৃত মস্তিষ্কের হলে এমন কাজ করা সম্ভব! ইতিমধ্যে ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত-সহ, তাঁর স্ত্রী এবং ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম কানু মুন্ডা। নিহতের বাবা দেসাই মুন্ডা জানান, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তিনি চাষের কাজে ক্ষেতে ছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন কানু। ঘরে এসে দেখেন ছেলে নেই। ছেলেকে অপরহরণ করে নিয়ে গিয়েছে ভাইপো সাগর মুন্ডা ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে কানুকে হত্যা করেছে সাগর।
কানুর খোঁজে সাবডিভিশনাল পুলিস অফিসার অমিত কুমারের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তে নামে। দ্রুত গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। ধৃতকে জেরা করে কুমাং গোপলা জঙ্গলে দেহের খোঁজ মেলে। যদিও মুন্ডুটি ছিল ১৫ কিলোমিটার দূরে দুলওয়া টাংরি এলাকায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃতের মোবাইল-সহ ৬টি ফোন, ২টি ধারালো রক্তমাখা অস্ত্র, একটি কুঠার ও একটি এসইউভি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, তদন্তে জানা গিয়েছে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।