রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাকর্মীর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত পুলিস কর্মীর নাম ইসরাফিল সাহাজি (৩০)। কল্যাণী ব্লকের মদনপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। কল্যাণী হাউজিং-এর পুলিস কোয়ার্টারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
পরিবারের দাবি, তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বের হন ইসরাফিল। কিন্তু রাত দশটার বেশি বেজে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেন না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ শুরু করে। বারবার ফোন করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফোন বেজে গেলেও কেউ তোলেননি। অবশেষে রাত বারোটা নাগাদ কল্যাণী মেনস্টেশনে কর্মরত রেলের এক আধিকারিক ফোনটি তোলেন। এরপরেই এই দুঃসংবাদ জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। ওই রেল আধিকারিক জানান, কল্যাণী সাহেব বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে পুলিস কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
কল্যাণী মেন স্টেশনে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন রেলের আধিকারিকেরা এবং মোবাইলে ছবি দেখানো হয়। জানানো হয় তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে রানাঘাটে।
পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারছেন না, আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছেন ইসরাফিল? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা ছিল নাকি ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের কলকাতার উপকণ্ঠে দুঃসাহসিক ঘটনা। এক বেসরকারি সংস্থার পাঁচিল টপকে আচমকাই হাজির এক চোর (thief)। তবে উদ্দেশ্য হল না সফল। গা ঢাকা দিতে গিয়ে সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীর (Security Guard) নজরে পড়ে যায় সেই অল্পবয়সী তস্কর। আর তাতেই বিপত্তি। নিরাপত্তা কর্মীর চিৎকার-চেচামেচিতে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে সেই ছিঁচকে চোরটি। ঘটনাটি মহেশতলা (Maheshtala) থানার অন্তর্গত চন্দননগর এলাকার একটি সংস্থার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চোরের নাম কৌশিক সেনগুপ্ত।
কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড জানান, শুক্রবার ভোররাতে চোর নজরে পড়তেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে সবাই বেরিয়ে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে চোরকে। এরপর কোম্পানির ভিতরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় চোরকে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়।