
বর-কনে ((Groom-Bride) বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে, বিভিন্ন রীতি-নীতি মেনে সম্পূর্ণও হয়েছে বিয়ে (Wedding)। কিন্তু এরপরই অস্বাভাবিক ব্যথা নববধূর পেটে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেই চিকিৎসকদের কথা শুনে হতবাক বরের বাড়ির লোকজন। চিকিৎসকরা জানান, নববধূ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)। এই শুনে মাথায় হাত ছেলের বাড়ির লোকেদের। এমনকি পরের দিন কন্যা সন্তানের জন্মও দেন সেই কনে। ঘটনাটি গ্রেটার নয়ডার (Greater Noida)। ২৬ জুন তাঁদের বিয়ে হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুন গ্রেটার নয়ডার এক গ্রামের যুবকের সঙ্গে তেলেঙ্গনার সেকন্দ্রাবাদের এক তরুণীর বিয়ে হয়। এরপরই ঘটে বিপত্তি। বিয়ের রাতেই হঠাৎ কনের পেটে ব্যথা। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই জানানো হয়, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরেই দিন জন্মওদেন কন্যা সন্তানের।
এরপরের ঘটনাটি আরও অবাক করে ছেলের বাড়ির লোকেদের। তাঁরা জানতে পারেন যে, মেয়ের বাড়ির সবাই এই বিষয়ে জানতেন। তবে তাঁরা বলেননি। ছেলের বাড়ির তরুণীর স্ফীতোদর দেখে সন্দেহ হলে মেয়ের বাড়ি থেকে বলা হয়েছিল যে, কিছুদিন আগে তাঁর অপারেশন হওয়ায় পেট ফুলে রয়েছে। তবে আসল কথা জানার পর ছেলে ও তাঁর বাড়ির লোকজন এই বিয়ে মেনে নেননি। ফলে তরুণী ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন সেকেন্দ্রাবাদে ফিরে আসেন। দানকউর পুলিস স্টেশনের ইন-চার্জ সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই বিষয়ে খবর এসেছে। তবে এই নিয়ে পুলিসে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ছেলের বাড়ির লোকজন।
ফের (Odisha) ট্রেনে বিপত্তি। মঙ্গলবার সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেস (Secunderabad-Agartala Express) ট্রেনের একটি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এরপর ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামাতে বাধ্য় হন রেলকর্মীরা। ধোঁয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। কোনও বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় তাঁরা কামরা বদলের দাবি জানাতে থাকেন। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পরে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। তবে কোনও হতাহতের খবর আসনি বলে সূত্রের খবর।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে একের পর এক ট্রেনে বিপত্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। এবারে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের বি-৫ অর্থাৎ এসি কোচ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে থাকলে যাত্রীরা ভয়ে-আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এরপর ট্রেনটিকে ব্রক্ষ্মপুরে থামিয়ে দেওয়া হয়। কেবলমাত্র বি-৫ কোচই নয়, পাশাপাশি অনেকগুলি কোচ থেকেই যাত্রীরা নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলওয়ে কর্মীরা।
রেলসূত্রে খবর, সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসটির এই কামরাতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছিল। তবে সেই আগুন সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ট্রেন থামানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত হয় রেলে কর্মরত কর্মীরা। কিছুক্ষণ ধরে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।