চাকরির সুপারিশ পাওয়ার ২ বছর পরও মেলেনি নিয়োগ। ঘটনায় গাফিলতি স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেক্রেটারি। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অনুকম্পা জনিত নিয়োগের জন্য উমা প্রামানিক নামে এক প্রার্থীকে বাঁকুড়ার শালতোড়া গার্লস স্কুলে ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু তারপর প্রায় ২ বছর কেটে গেলেও তাকে নিয়োগ না দেওয়ার কারণে পর্ষদের সেক্রেটারির কাছে জবাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে সোমবার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন পর্ষদ সেক্রেটারি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সেক্রেটারির পাঠানো ওই ক্ষমাপত্র গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি কোন ক্ষেত্রে কত শূন্য পদ আছে তা নির্ধারণের জন্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নিজেদের মধ্যে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ওই বৈঠকে যে তথ্য উঠে আসবে তা আদালতে জানাতে হবে। তারপরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী ২২ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দুর্নীতির জালে ইতিমধ্যে কালিমালিপ্ত গোটা বাংলা। নিয়োগে কারচুপিসহ একাধিক অরাজকতায় বেসামাল বঙ্গ রাজনীতি। আদালতে থরে থরে জমে দুর্নীতির মামলা। এই আবহে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। আদালতের রায়ে আগামীদিনে দুর্নীতিমুক্ত বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য প্রশাসনে ফের বড়সড় রদবদল করা হল। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। আর রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন বিপি গোপালিকা। আজ অর্থাৎ রবিবারই বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ায় গোপালিকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল। বিদায়ী মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ ভবনের সচিব থাকার সময় একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অবশেষে তাঁকেই স্বরাষ্ট্রসচিব করা হল।
এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে ছিলেন বিপি গোপালিকা। ফলে তিনিই যে পরবর্তীতে মুখ্যসচিব হতে চলেছেন, তা জানাই গিয়েছিল। আজ অর্থাৎ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্নে দায়িত্বভার নিলেন বিপি গোপালিকা।
কিন্তু রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বভার নন্দিনী চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ চমক ছিল। তিনি পর্যটন দফতরের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে ঘোষণা করল সরকার। পর্যটন দফতরের দায়িত্বও তাঁর হাতেই থাকছে। নন্দিনী চক্রবর্তীই রাজ্যের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন।
রাজ্যের পুলিস ও প্রশাসনিক পদে হতে চলেছে বড়সড় রদবদল, আর তা বুধবারই ঘোষণা করেছে। চলতি মাসে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপরই সেই পদে আসতে পারেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে থাকা বি পি গোপালিকা। তিনি মুখ্যসচিব হলে স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন কে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। বৃহস্পতিবার সেই নাম নিয়ে শুরু হল গুঞ্জন। আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র হতে পারেন নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব। বর্তমানে তিনি একাধিক দফতরের সচিব পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁকেই স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে আনা হতে পারে। নবান্ন সূত্রে খবর এমনই। তবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্বরাষ্ট্র সচিব পদে এগিয়ে রয়েছেন আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র। ১৯৮৯ ব্য়াচের আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারে বিভিন্ন দফতরের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। এই মুহূর্তে তিনি সেচ ও জলপথ, পরিবহন দফতরের সচিব। তার আগে পরিবেশ দফতরের সচিব পদও সামলেছেন। এবার তাঁকেই স্বরাষ্ট্র সচিব পদে বসাতে চলেছে নবান্ন।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক আধিকারিক। নবান্ন সূত্রে খবর ডেঙ্গি মোকাবিলায় কয়েকটি নতুন রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ জেলাগুলিতে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি হয়েছে সেই সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলাশাসকরা। কোথাও জল জমলে তা বের করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি ডেঙ্গি দমনেও পঞ্চায়েতগুলিকেও সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোটের উপর ডেঙ্গি নিয়ে যে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গির গ্রাফ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪০ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া সূত্রের খবর, প্রতিদিন বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্তের বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৪৬ জনৰৰ মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গির রাশ টানতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব। আর এই বৈঠকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে রূপরেখা।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন নবান্ন। সেকারণে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জেলাশাসক, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যে সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে সেই সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার কাউন্সিলরদের সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রমণ আটকানোর জন্য পুলিস প্রশাসনকেও যুক্ত করতে হবে। জমা জল বের করার জন্য কমিশনার অফ পুলিস এবং পুলিস সুপারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল বৈঠকে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামাঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলির জন্য মাইক্রোপ্ল্যান তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসওপি। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে সঠিক ও যথাযথ ডেটা এন্ট্রি করার নির্দেশ সরকারি হাসপাতালগুলিকে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নবান্ন।শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। গ্রাম অঞ্চলের বাজার, হাটগুলি পরিষ্কার করার প্রতি বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে দৈনিক প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেকারণে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ওই বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব।
শুধু শহরাঞ্চল নয়, গ্রামীণ অংশেও ডেঙ্গি বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু এলাকাকে ডেঙ্গি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
ফের আদালতে ধাক্কা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আদালত অবমাননার দায়ে প্রাথমিক বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারিকে বহিষ্কারের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে আদালতে নির্দেশ বিচারপতির। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ প্রশ্ন ভুল মামলায় ওই নম্বর পরীক্ষার্থী সুমনা চট্টোপাধ্যাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রমান হিসেবে ওই পরীক্ষার্থী আদালতে ওএমআর জমা দেন। তার প্রেক্ষিতেই গত ২৩ অগাস্ট এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদিও ওই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও ওই নম্বর দেয়নি পর্ষদ। যার ফলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বহিষ্কারের পাশাপাশি ২ সপ্তাহের মধ্যে ৫ হাজার টাকা আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মেয়াদ বৃদ্ধি রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi)। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হিসেবে তাঁর মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Goverment)। শুক্রবারই তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি না-আসায় প্রশাসনিক মহল খানিকটা উদ্বেগে ছিল। কিন্তু তার সঙ্গেই আশাবাদীও ছিল যে, শুক্রবার দিন শেষের আগেই ওই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র এসে যাবে। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না। সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ, প্রশাসনে দ্বিবেদী তাঁর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত।
মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন দ্বিবেদীও। গত কয়েকদিন তিনি সে ভাবে কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। যখন দ্বিবেদীর মেয়াদ না-বাড়লে গোপালিকার নামই পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে সবচেয়ে আগে বিবেচিত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, দ্বিবেদীর মেয়াদ যাতে না-বাড়ে, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি যে দ্বিবেদীর ‘পক্ষে’ নন, তা একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিবিধ অধিযোগও তিনি এনেছিলেন দ্বিদেবীর বিরুদ্ধে। এবং তা-ও প্রকাশ্যেই।
বলিউডের অন্য ধারার অভিনেতাদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম লিখিয়েছেন মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee)। অভিনয় জীবন ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তেমন প্রচারের আলোয় আসে না। ফলে চর্চাও কম হয়। কিন্তু অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনার প্রসঙ্গ রয়েছে। বিয়ে করেছেন অন্য ধর্মে। বাড়িতে মেনে নিলেন? এই ধর্মীয় বিভেদ সম্পর্কের মাঝে বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়? এই পার্থক্যের পরও সম্পর্ক অটুট রাখার মন্ত্র কী? নিজের মুখেই বললেন মনোজ।
মনোজ বাজপেয়ী বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী শাবানা রাজার সঙ্গে। বেশ কয়েকটি ছবি করেছিলেন শাবানা। তবে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন অভিনয় জগৎ থেকে। এরপর বিয়ে করেন মনোজ বাজপেয়ীকে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেন, 'তিনি ধর্মে কুলীন ব্রাক্ষণ। পরিবারের বেশ প্রতিপত্তি ছিল। তবে তাঁর পরিবার এই বিয়ে নিয়ে আপত্তি করেননি। এই বিষয়ে বেশ অবাকও হন মনোজ।'
তবে এই ধর্মীয় বিভেদ কী কোনওদিনও মনোজ ও শাবানার সম্পর্কের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি? মনোজ এই বিষয়ে বলেন, 'আমার স্ত্রী গর্বিত মুসলিম, আমি গর্বিত হিন্দু। আমাদের ধর্ম কোনওদিন আমাদের সম্পর্কের মাঝে বিভেদ তৈরী করেনি। আমরা ধার্মিকের থেকেও বেশি আধ্যাত্মিক। 'মনোজ আরও বলেন, 'আমার এবং শাবানার মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি রয়েছে। আমরা কোনওদিন একে ওপরের ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলব না।'
হিসেবে গরমিল, তাই টাকা আটকে আছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) প্রশ্নের জবাবে জানালেন কেন্দ্রীয় (Central) কৃষি সচিব (Agriculture Secretary)। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে দিল্লির কৃষি ভবনে গিয়েছেন অভিষেক-সহ ২৫ জন সাংসদ। সূত্রের খবর, বুধবার তাঁরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে হাজির হন কেন্দ্রীয় কৃষি সচিবের ঘরে। কেন্দ্রীয় কৃষি সচিবের কাছেই তাঁদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি তুলে দিলেন।
বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নেতৃত্বে ২৫ জন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির কৃষি ভবনে যান। কিন্তু মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সচিবের কাছেই নিজেদের দাবির কথা জানান সাংসদরা। সচিবের সঙ্গে কথোপকথনে অভিষেক বলেন, '১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এলে প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুন, আদালতে যান, কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে দিন।' টাকা আটকে রাখার কারণ হিসাবে কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব হিসাবে গরমিলের কথা জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই ওই মন্তব্য করেন অভিষেক।
রাজ্যগুলি থেকে নেওয়া রাজস্বের একটা অংশই কেন্দ্র পুনরায় রাজ্যগুলিকে পাঠায়, এ কথা জানিয়ে অভিষেকরা বলেন, 'কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখায় বাংলার ১৭ লক্ষ পরিবার পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। তাই তাদের স্বার্থে বকেয়া ৭ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক।'
আর কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে আটকে থাকা টাকা আদায়ে ‘সক্রিয়’ হতে চাইছে তৃণমূল। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার’ দাবিতে রেড রোডে দু’দিনের ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নার শেষে, আন্দোলনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তারপরই রবিবার দিল্লি সফরে যান অভিষেক।
পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা এবং বাল্যবিবাহ (Child Marriage) রোধে শিথিলতার অভিযোগ। আর সেকারণেই বাংলার নারী-শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে (Principal Secretary) দিল্লিতে তলব। সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
সূত্রের খবর, ১৬৩০টি বাল্যবিবাহের ঘটনায়, পুলিসকে ইনফরমেশন দেওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এমনকি প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, বাল্যবিবাহ রুখতে তৎপর নয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরও খবর, কালেক্টরদের থেকে তথ্য না পাওয়ার কারণে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিবকে তলব করা হয়েছিল।
প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে ৬৭৩৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনা পুলিসের নজরে এসেছে। ৫০৯৩টি ঘটনায় পুলিসের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ রোধ করা গিয়েছে। চেয়ারপার্সন প্রশ্ন, ১৬৯০টি ঘটনায় পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এছাড়া প্রিয়াঙ্কের আরও অভিযোগ, প্রধান সচিবের দেওয়া তথ্যে এফআইআর সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য নেই। সে জন্যই সংশ্লিষ্ট দফতরের সেক্রেটারিকে তলব করা হয়েছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (Student Union Election) দাবিতে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের (Medical Student) আন্দোলনের চলছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে (Calcutta Medical College and Hospital)। এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিতে একেবারেই অপারগ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী ছাড়াও রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম (Health Secretary) কথা বলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে। পাশাপাশি বৈঠক করেন প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এবং এমএসভিপি ডক্টর অঞ্জন অধিকারীর সঙ্গে।
ঠিক হয়েছে আগামী মঙ্গলবার, ছাত্র প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে স্বাস্থ্য ভবনে। প্রিন্সিপাল আশাবাদী, 'ওই বৈঠক থেকে নির্বাচন নিয়ে সমাধান সূত্র বের হয়ে আসবে।' সবপক্ষই দেখতে চায় নির্বাচন নিয়ে, যখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন স্বাস্থ্য ভবনের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে, সেই জায়গায় কী সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য ভবন।
এদিকে, আজ চতুর্থ দিনে পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভোটের দাবিতে আমরণ অনশন। রবিবার ছুটি থাকলেও হাসপাতালে নিজের দফতরে আসেন প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। এদিকে, প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাস দফতরে আসা মাত্রই, প্রথমে চলে যান অনশন মঞ্চে। সেখানে তিনি, অনশনকারী ছাত্রদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। জানতে চান তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে। জানা গিয়েছে, অনশনের ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের একজনের গাঁয়ে সামান্য জ্বর রয়েছে। কয়েকজনের ইউরিনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে ছাত্র সংসদ সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে সব পক্ষকে ডাকা হয়েছে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে। প্রিন্সিপালের দাবি তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন স্বাস্থ্য সচিব। ছাত্রদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি,আগামী মঙ্গলবার কখন বৈঠক হবে, কোথায় বৈঠক হবে, সেকথা আলোচনা করে কিছুই নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হয়নি। আদৌ স্বাস্থ্য ভবনের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকব কিনা। আমরা নিজেরা বৈঠক করে,প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতীক ও দল হিসেবে তাদের অনুমোদন প্রত্যাহারের ইচ্ছাপ্রকাশ, নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এই বিষয়ে জানানোর ভাবনা পর্যবেক্ষণের সুরে করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেনামী আবেদনপত্র মামলায় শুক্রবার কোর্ট নির্দেশে হাজিরা দেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই পর্যবেক্ষণের সুরে এই মন্তব্য বিচারপতির (Justice Ganguly)। তিনি জানান, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তাঁরা আদালতের (Calcutta High Court) নামে যা ইচ্ছা বলছেন। বলছেন যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে আসলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে?' ক্ষোভের সুরে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এদিন এজলাসে তিনি জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসেছে। আমি মানি, তাই আমি এই মামলায় কোনো নির্দেশ দিতে পারছি না। আজকের কোনও রেকর্ড আমি রাখতে পারবো না।
তবে এদিন এজলাসে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে বেনামী আবেদনপত্র মামলায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ বা সুপার নিউমেরিক পোস্ট সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?' শিক্ষা সচিব জানান, 'হ্যাঁ।' তারপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিল। আমাদের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়েছে।' পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?'
শিক্ষা সচিবের তরফে জবাব আসে 'না'। বিচারপতির প্রশ্ন, 'আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?' এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' এরপরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির প্রশ্ন, 'আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? যেখানে আইনের কোন সংস্থান নেই। আপনি কী মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'না'।
এরপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?' মণীশ জৈন উত্তরে জানান, আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' বিচারপতির প্রশ্ন, 'এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে? আবার বলা হচ্ছে যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোন লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য।' জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, 'আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছি।'
এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন? কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?' মণীশ জৈন জবাবে বলেন, 'আমি সেখানে ছিলাম না।' এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সুরে বার্তা, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। ক্যাবিনেটকে বলতে হবে অযোগ্যদের পাশে তারা নেই।
১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না-হলে এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশ কখনও দেখেনি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।' তাঁর মন্তব্য, বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী, আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না।'
ইতিমধ্যে বেআইনি আবেদনপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসি। হাইকোর্টের ২৩ নভেম্বরের নির্দেশের উপর তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসির মামলা দায়ের প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানান, দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তিনি গুরুত্ব বুঝে তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামি শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেই মোতাবেক কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। ২৩ নভেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত নিয়ে এসএসসির আবেদন সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, পুরো বিষয়টা স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
যৌন ব্যবসার (Sex Racket) সঙ্গে যুক্ত খোদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের (Andaman and Nicobar) প্রাক্তন মুখ্যসচিব (Former Chief Secretary) জিতেন্দ্র নারাইন। এমনটাই অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। পোর্ট ব্লেয়ারের নিজের বাড়িতে অসংখ্য, অন্তত ২০ জন মহিলা এনে যৌন ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ করেন এক তরুণী। কেবল মুখ্যসচিবই নয়, প্রশাসনের আরও এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ (Gang Rape) এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন ওই তরুণী।
২১ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, 'কাজের সন্ধান করছিলেন বহুদিন ধরে। এক হোটেল মালিক আন্দামানের শ্রম-মহাধ্যক্ষ আরএল ঋষির সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেন। এরপর ঋষি তাঁকে মুখ্যসচিবের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তাঁকে মদ্যপান করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি। এরপর সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করা হয়।' দুই আমলার বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তরুণী আরও জানান, দু'সপ্তাহ আগে ফের তাঁর সঙ্গে একই ব্যবহার করেন তাঁরা। চাকরি তো অনেক দূরের ব্যাপার, উল্টে ঘটনার কথা যেন কাউকে না বলে, সেই হুমকিও দেওয়া হয় তরুণীকে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জিতেন্দ্র অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। ঋষির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পুলিস কল রেকর্ড চেক করেন। তরুণীর বয়ানের সঙ্গে সেই সব মিলে গিয়েছে। এসব বিতর্কের ফলে গত ১৭ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। যদিও মুখ্যসচিব এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
রাজ্য নারকোটিকসের (State Narcotics Bureau) ফরেন্সিকে বিভাগের শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব (Home Secretary) বিপি গোপালিকাকে এজলাসে তলব করে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য নারকোটিকসের ফরনেসিক বিভাগে এই মুহূর্তে ১৭টি শূন্যপদ। তার মধ্যে ১০টি পদে পুজোর আগেই নিয়োগ নির্দেশ হাইকোর্টের। নচেৎ আদালত অবমাননার রুল জারির সম্ভাবনা। এভাবেই স্বরাষ্ট্র সচিবকে সমঝে দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য নারকোটিকসের ফরেন্সিক দফতরের শূন্যপদ পূরণ এবং পরিকাঠামো বৃদ্ধি চেয়ে মামলা দায়ের আদালতে। সেই মামলায় স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিকেল তিনটের মধ্যে ফের স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানাতে হবে রিপোর্ট। পিএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্টকে জানাবেন স্বরাষ্ট্র সচিব। এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭টি শূন্যপদের মধ্যে ১০টি পদ পূরণে রাজ্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোর্টের পাল্টা প্রশ্ন, 'কেন ১৭ পদে নিয়োগ নয়?'
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, এই দফতর তৈরি ২০১৮ সালে। পিএসসি এই দফতরে নিয়োগ করে।আমি পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলছি।
রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের বিরুদ্ধে কেন জারি হবে না আদালত অবমাননার (Contempt of Court) রুল? ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি ও অর্থসচিব মনোজ পন্থের থেকে হলফনামা তলব করল আদালত। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা তলব বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চের। বকেয়া ডিএ প্রদানে গড়িমসি করে আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য। সেই অভিযোগে দায়ের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি। মহার্ঘ ভাতা মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ। এদিকে, DA বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (Mamata Government)। বকেয়া ডিএ প্রদান সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের। মে মাসের রায় বহাল রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে বৃহস্পতিবার আবার জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে অর্থাভাবের যুক্তি দেওয়া হলেও, সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে পুজোর আগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফুটবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবে তারা। তাই আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে সরকারি কর্মী ফেডারেশন। যাতে তাঁদের না জানিয়ে কোনও শুনানি না হয় আদালতে। কর্মী সংগঠনের দাবি, 'শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়বে সরকারের। বরং সুপ্রিম কোর্ট সুদ-সহ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিতে পারে। কারণ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে কেন ডিএ বকেয়া রাখা যাবে না।'
সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একজন জানান, ২০১৬ থেকে স্যাট, হাইকোর্ট, হাইকোর্ট স্যাট করে বকেয়া ডিএ প্রদান দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে। বরং রাজ্যকে কটাক্ষের সুরে হাইকোর্ট বলেছে আপনারা নতুন করে আবেদন করছেন কেন? রায় পুনর্বিবেচনা মানে আগের রায়ে কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা সংশোধন। তাই আপনাদের এই আবেদন গৃহীত নয়য়। ২০ মে ২০২২-র রায় মেনেই ডিএ দিতে হবে।'