উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল গত সোমবার। বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে রেল কলোনির বন্ধ কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালায়। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম অংশুমান সিং(১৭)। এমপি বিলাস স্কুলের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। বাড়ি বেহালা পাঠকপাড়ায়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে গত সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল অংশুমান। মঙ্গলবারও অংশুমান বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অংশুমানের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওরকম ভাবে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সেই বন্ধুরাও কেউ ফোনে পাচ্ছিল না অংশুমানকে।
এরপরই পরিবারের লোকজন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহালা গোলশাপুর রেল কলোনির বদ্ধ বিল্ডিং গুলিতে খোঁজ করতে গিয়ে ৩৫ নম্বর বিল্ডিং-এর চার তলায় অংশুমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তড়িঘড়ি অংশুমানকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
কীভাবে কী কারণে এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অংশুমান অনলাইন গেম খেলায় আসক্ত ছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে তার কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বন্ধু দের কাছে। পরিবারকে কিছুই জানায়নি। সোমবার অংশুমান-এর বন্ধু মারফত তাঁরা তা জানতে পারেন।
চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে এবছরের উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। সেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অ্য়াডমিড কার্ড না পেয়ে অথৈ জলে এক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, স্কুলে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা হলেও মেলেনি অ্য়াডমিড কার্ড। যা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। এমনকি মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুরে।
জানা গিয়েছে, কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিপি স্বর্ণকার। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে লিপিও। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ডও পেয়ে গিয়েছিল। এমনকি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল ভালো হয়েছিল তার। পরবর্তীতে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিল লিপি। কিন্তু স্কুলে প্রত্য়েককে অ্য়াডমিড কার্ড পেলেও পায়নি লিপি।
এরপর প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন লিপি নাকি ফর্ম ফিলাপ করেনি। তারপর থেকেই চরম হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই পরীক্ষার্থী। তার অভিযোগ মানসিক অবসাদে যদি আত্মহত্যা করি তাহলে তার দায় থাকবে প্রধান শিক্ষকের। জীবনের দ্বিতীয়বার বড় পরীক্ষার আগে মেয়ের এই সমস্যায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারের লোকেরাও। সমস্যা সমাধানের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আবেদন করেছেন জেলা শাসককেও
দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সিএন-এর প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্যের মাধ্যেমে প্রথম জানতে পারেন লাল কালি দিয়ে বারকোড ঢাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই তদন্তে করে ১১জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্কুলে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে উল্লেখ করেন। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচারও হয় সিএন-এ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবারের পরীক্ষার তা স্বীকার করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনও ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় শাস্তির মুখে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিন সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচার করে সিএন। অতঃপর সিএনের খবরের জেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরীক্ষা শেষের সার্বিক ঘটনাক্রমের সাংবাদিক বৈঠকে, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়েও বিবৃতি দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই দুই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং অ্যাডমিট কার্ড। প্রসঙ্গত, এর আগেই পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতায় ওই প্রশ্নপত্রের ক্রমিক নম্বরের কোড লুকানো থাকবে। কেউ কোনও পাতার ছবি তুলতে চাইলে, পাতায় লুকিয়ে থাকা ক্রমিক নম্বরের মাধ্যমে তা সহজেই জানতে পারা যাবে। এমন কাজে ধরা পড়লে সে বছরের মত তার পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাবে। শুধু তাই না, পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষকও পরীক্ষা শুরুর আগে তা অবগত করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের। তবুও এমন ঘটনা থেকে বিরত রইল না ২০২৪ এর মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষাও। পর্ষদের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই এমন ঘটনা ঘটল।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্য জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এত নিরাপত্তার বহর শোনা যাচ্ছে, সেখানে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারছে কীভাবে? এছাড়াও পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ পরীক্ষার্থীর। তারই মাঝে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ভাইরালের মত ঘটনা ঘটল পরীক্ষার প্রথম দিনেই। তবে, নিরাপত্তার গাফিলতি কোথাও স্পষ্ট মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে। এই গাফিলতির দায় নেবে কে? উঠছে প্রশ্ন।