কলকাতায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ। স্কুলের সামনে থেকে ওই ছাত্রকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে লেক থানা এলাকার সেলিমপুরে। ইতিমধ্যেই লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ সেলিমপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যমের সামনে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ওই অপহৃত ছাত্রের সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, স্কুল থেকে বেরনোর সময় তাকে ঘিরে ধরে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। তারা বাইক নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে এরপর ওই ছাত্রকে মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বাইকে তুলে সেখান থেকে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
কী কারণে ছাত্র অপহরণ, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারবারিক কোনও শত্রুতার জেরে নাকি অন্য কারণে অপহরণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
পানীয় জলের বোতলে প্রস্রাব ভরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল রাজস্থানে (Rajasthan)। স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে সেই স্কুলেরই এক ছাত্রী। সে অভিযোগ করেছে, বোতলে প্রস্রাব (Urine) ভরে রাখার মতো ঘৃণ্য কাজ জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এরপরই অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় ভিলওয়ারার লুহারিয়া গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস লাঠিচার্জও করে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাজস্থানের ভিলওয়ারার লুহারিয়া গ্রামের এক স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই স্কুলের এক অষ্টম শ্রেণির কিশোরী অভিযোগ করেছে, তার সহপাঠীরা তার জলের বোতলে প্রস্রাব রেখে দিয়েছে। আবার তার ব্যাগ থেকে একটি চিঠিও পেয়েছে বলে দাবি করেছে কিশোরী। সে জানায়, টিফিনের সময় সে ক্লাস থেকে বেরিয়েছিল। এরপর যখন ক্লাসে এসে বোতল থেকে জল খেতে নেয়, তখনই বোতল থেকে কটূ গন্ধ পায় সে। এরপর ব্যাগ থেকে চিঠিও পায়, যেখানে লেখা ছিল 'আই লাভ ইউ'।
এরপরই পুরো ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে স্কুল থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করে সে। ফলে স্কুল যাতে এই বিষয় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয়, তার জন্য স্কুলের উপর চড়াও হয় কিশোরীর বাড়ির লোকজন। এরপর অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাড়িতে গিয়েও সেখানে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস।
ফের ডেঙ্গির (dengue) বলি শহরে। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দমদমের (Dum Dum) এক কিশোরের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকার কিশোর দশম শ্রেণীর পড়ুয়া বছর ১৬-এর সায়ন হালদার। গত তিনদিন ধরে জ্বরে (fever) আক্রান্ত ছিল সে। এরপর বৃহস্পতিবার তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে দমদম পুুর হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নাগের বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার চলার পর কিশোরের মৃত্যু হয়। কিশোরের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। গত সপ্তমীর দিনও পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে এসেছিল সে। এরপর থেকেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল ওই কিশোর। তারপর বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষমেষ আরজি করে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু শংসাপত্রে কারণ হিসেবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পুজোর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৩৯ সপ্তাহ পর্যন্ত সব মিলিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৩৩ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গত সপ্তাহ অর্থাৎ পুজোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭৮ জন, অর্থাৎ এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রায় ২৪ হাজার ৭১১ জন।