ঋণ (Loan) দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিসকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তবুও ফের পুলিসের দারস্থ হন প্রতারিতরা (Deceived)। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগীন এলাকায় এসবিআই (SBI) ব্যাঙ্ক শাখার গ্রাহকরা প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। বুধবার রাতে ইসলামপুর থানার পুলিসের দারস্থ হন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস আগে এক প্রতারককের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য গ্রাহকদের উপর চাপ দিচ্ছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, এলাকার মহম্মদ মুজাম্মিল নামে এক ব্যক্তি গ্রামবাসীদেরকে সরকারি প্রকল্পের টোপ দেখিয়ে লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে ঘটনাটি গ্রামবাসীদের নজর আসে। এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।
২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেছে রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু কীভাবে এই নোট জমা দেবেন কিংবা বদল করবেন তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। এবার তা নিয়েই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
১. ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়া কিংবা বদল করার সময় কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না।
২. পূরণ করতে হবে না কোনও ফর্ম।
৩. একসঙ্গে মোট দশটি ২০০০ টাকার নোট অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে কিংবা বদল করা যাবে।
৪. ব্যাঙ্কের গ্রাহক নন এমন ব্যক্তিরাও নোট বদল করাতে বা জমা করতে যেতে পারবেন।
কয়েকদিন ধরেই স্টেট ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়া বা বদল করার একটি ভুয়ো নির্দেশিকা ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার তার পরিপেক্ষিতেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল ব্যাঙ্ক।
সৌমেন সুর: একটি নারী অনন্ত শক্তির অধিকারিণী। নারী এক অসীম, অনন্ত শক্তির আধার। প্রত্যেক নারীর মধ্যে স্নেহ, মায়া, মমতা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, স্বার্থপরতার সঙ্গে একটা অনন্য গুণাবলী সহাবস্থান করে। সব অগোছালো জঞ্জাল, পাঁক সরিয়ে এক সুন্দর সমাজ, সংসার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নারীর মধ্যে বিদ্যমান। নারীর মধ্যে যে শক্তির অন্তঃসলিলা গঙ্গা প্রবাহিত হয়ে চলেছে সৃষ্টির আদিকাল থেকে, সেকথা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, জেনেছি পড়েছি পুরাণে ইতিহাসে। মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, দেবতারা যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময় আবির্ভূত হলেন এক মহাশক্তি। সেই মহাশক্তি অসীম পরাক্রমশালী দেবী দুর্গা। এই দুর্গাই পরাজিত করেন মহিষাসুরকে।
অরুন্ধতি ভট্টাচার্য। চড়াই-উতরাই নিয়ে তাঁর জীবন কাহিনী। শিক্ষা সমাপ্ত করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফিনান্স ম্যানেজারের আসনে যোগদান আশির দশকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর উত্থান। ধাপে ধাপে এমডি থেকে হলেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ২০১৬ আলে ফোর্বস তাঁকে সবচেয়ে শক্তিশালী ২৫ মহিলার তালিকাভুক্ত করে সম্মানিত করে। এশিয়া প্যাসিফিক অরুন্ধতী ভট্টাচার্যকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মহিলারূপে মনোনীত করে অনন্য সম্মান দেন। ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টু ডে ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ৫০ জন শক্তিশালী মহিলার একজন বলে শিরোপা দেন। ভারতবর্ষ তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব বিরল।
যা নারী শক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমে বাঙালি তারপর ভারতীয় হিসেবে অরুন্ধতী ভট্টাচার্য আমাদের গর্ব।
রাজস্থানের কারাউলিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) শাখা (Sbi Branch) থেকে উধাও ১১ কোটি (11 Crores) মূল্যের কয়েন (Coin)। এতগুলো টাকা কীভাবে সবার চোখের সামনে উধাও (Missing) হয়ে গেল, সে ব্যাপারে সকলেই অন্ধকারে। যদিও শেষমেশ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিনভর একযোগে ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে (Searching Operation) নামে।
তবে সিবিআই প্রথমেই অভিযানে নেমেছে, এমনটা নয়। ঘটনাটি অনেক আগের। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তে কোনও হদিশ না মেলার পর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তারপর রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ এপ্রিল তারা একটি কেস রুজু করে। আর এদিন সেই কেসের সূত্র ধরেই দিল্লি, জয়পুর, দউশা, কারাউলি, সোয়াই মাধোপুর, আলওয়ার, উদয়পুর এবং ভিলওয়ারার মতো জায়গায় অভিযান চলে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িও রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই কয়েন-উধাও রহস্যের কথা? ব্যাঙ্ক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগাস্টে হিসাবে গরমিলের আভাস পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা গোনার কাজ শুরু করে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই গণনা শেষে জানায়, ১১ কোটির কয়েন নিখোঁজের কথা।
প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইয়ের ধারণা, এর সঙ্গে ব্যাঙ্কেরই কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। না হলে বাইরের কারও পক্ষে সবার চোখের সামনে ওই বিরাট অঙ্কের কয়েন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। যদিও এদিনের ওই অপারেশনের পরেও উধাও রহস্যের পর্দাফাঁস করা সম্ভব হয়নি।