
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: চিকেন স্যান্ডুইচের প্রতি বাচ্চা থেকে বুড়ো সবারই সমান আকর্ষন রয়েছে। ছুটির দিন বিকেলে নিজের হাতে চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে খুশি হতে পারেন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরির পদ্ধতি--- ১৬টি পাউরুটির স্লাইজ নিয়ে ধারগুলো ছুরির সাহায্যে কেটে নিন। একটা পাত্রে দেড়শো গ্রাম মাখনের সঙ্গে পাঁচ গ্রাম মাস্টারড পাউডার (সর্ষের গুঁড়ো) নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। একটা সসপ্যানে পাঁচশো গ্রাম ড্রেসড চিকেন, একটা বড় আদার চাক, একটা বড় পেঁয়াজের চারটে খণ্ড, দুটো তেজ পাতা, একটা দারচিনির স্টিক, অর্ধেক করে কাটা একটা বড় গাজর, আন্দাজমতো নুন ও জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে সিদ্ধ করুন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ করা চিকেনগুলো তুলে নিন। ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে হাতের সাহায্যে হাড়গুলো থেকে চিকেনের মাংসগুলো আলাদা করুন।
ছুরির সাহায্যে সিদ্ধ করা চিকেন সরু লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। একটা পাত্রে সিদ্ধ করা চিকেন, পচিশ গ্রাম পারসলি পাতা কুচি, দশ গ্রাম সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজ মতো নুন, ছয় টেবিল চামচ মেয়নিস নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে মেখে মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে নিন। স্যান্ডুইচের পুর তৈরি হয়ে গেল। এবার প্রতিটি পাউরুটির স্লাইজের উপর পুরু করে মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণটা মাখিয়ে নিন। এবার মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণ মাখানো পাউরুটির স্লাইজের উপর সমানভাবে চিকেনের পুরটা রেখে অপর পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে চাপা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে দিন।
এভাবে বাকিগুলো করে নিন। সবগুলোতে পুর ভরে পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে ঢাকা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ধারালো ছুরির সাহায্যে কোনাকুনি ভাবে ত্রিভুজাকারে কেটে নিন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি হয়ে গেল এবার পরিবেশন করুন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: সেই ইংরেজ আমল থেকেই বাঙালি চিকেন স্যান্ডউইচের প্রতি অনুরক্ত। ইংরেজ ভারত ছেড়ে চলে যাবার পরেও তাদের প্রিয় চিকেন স্যান্ডউইচকে পরম যত্নে নিজেদের রান্না ঘরে লালিত পালিত করেছে বাঙালি। ঝামেলা বিহীন এই পদটি অতি সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। অথচ এটি খেতে অতি উপাদেয়। চিকেন স্যান্ডউইচ খাইয়ে সহজেই বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার মন জয় করে নেওয়া যায়। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু চিকেন স্যান্ডউইচ।
চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরির পদ্ধতি ---একটা সসপ্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো জল দিয়ে তিনশো গ্রাম বোনলেস চিকেন কিমা, একটা বড় আদার চাক, একটা বড় দারচিনির স্টিক , পাঁচটা ছোট এলাচ ও পাঁচটা লবঙ্গ দিন। চিকেন কিমাটা সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ কিমার মধ্যে থেকে আদার চাক, ছোট এলাচ, দারচিনি ও লবঙ্গগুলো তুলে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সাদা তেল ও দুই টেবিল চামচ মাখন গরম করে ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে দুই টেবিল চামচ মিহি করে কাটা পেঁয়াজকুচি দিয়ে আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজুন।
পেঁয়াজ চকচকে হয়ে গেলে ওর মধ্যে সিদ্ধ করা চিকেন কিমাগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ পারসলি পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে চার টেবিল চামচ মেয়নিস সস দিয়ে খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হাফ চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এবার খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। বড় পাউরুটির স্লাইসগুলোর ধার ছুরির সাহায্যে কেটে নিন। পাউরুটির এক পিঠে ভালো করে মাখন মাখিয়ে নিন। এবার মাখন মাখানো দিকে দুই টেবিল চামচ করে চিকেন কিমার পুর রেখে চামচের সাহায্যে ছড়িয়ে দিন। অন্য একটি মাখন মাখানো পাউরুটির স্লাইস দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে চেপে দিন। এবার ছুরির সাহায্যে মাঝ বরাবর ত্রিকোন করে কেটে নিন। এইভাবে সবকটি স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিন। হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।
দুই বছর বয়স থেকে পনির (cheese) এবং পেঁয়াজের (onion) স্যান্ডউইচ (sandwiche) খেয়েই বেঁচে রয়েছেন এক মহিলা। অবশেষে ২৫ বছর পর হিপনোথেরাপি (hypnotherapy) করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ওই মহিলা।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের (United Kingdom) জো স্যান্ডলার (Zoe Sandler) তাঁর জীবনের ২৩ বছর ধরে প্রতিদিন তাঁর প্রিয় ক্রিস্পের দুটি প্যাকেট খেয়ে কাটিয়েছেন। কারণ তিনি অন্যান্য খাবার খেয়ে অসুস্থবোধ করতেন। যখন ছোট ছিলেন, তখন থেকেই তিনি মাখনযুক্ত সাদা রুটি খেয়ে এসেছেন। তাঁর বাবা-মা শত চেষ্টা করেও অন্য কোনও খাবার তাঁকে খাওয়াতে পারেননি। অন্য খাবার দেখলেই মিসেস জো নাক ঘুরিয়ে নিতেন।
মিসেস জো বলেন, "আমার মনে আছে যখন আমি ছোট ছিলাম তখন স্কুলে টিফিন বক্সে সবসময় খাস্তা স্যান্ডউইচ থাকত। বন্ধুরা তা দেখে মজাও করত। এটাই একমাত্র জিনিস যা আমি খেতে পছন্দ করতাম"। আরও বলেন, প্রাতঃরাশের জন্য শুকনো খাদ্যশস্য (dry cereal) খেতেন। আর লাঞ্চ এবং ডিনারের জন্য খাস্তা স্যান্ডউইচ খান। মাঝে মাঝে তাঁর পছন্দসই পনির এবং পেঁয়াজ এর খাস্তা থেকে স্যুইচ করে অন্যান্য স্বাদের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু খেতে পারতেন না।
সম্প্রতি হিপনোথেরাপিস্ট (hypnotherapist) ডেভিড কিলমুরুরি ( David Kilmurry) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অন্যন্য খাবারের স্বাদ পেতে। নানা থেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এরপর অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ফল এবং সবজির প্রথম স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।
একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ডেভিড কিলমুরুরি জানিয়েছে, মিস জো -এর সীমাবদ্ধ খাদ্য গ্রহণ ব্যাধি (এআরএফআইডি) রোগ নির্ণয় করা হয়েছে। যা 'নিওফোবিয়া' নামেও পরিচিত। যা মূলত খাবারের একটি ফোবিয়া, একটি সাধারণ ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট নিরাপদ খাবারগুলিতে সীমাবদ্ধ করে রাখে মানুষকে।
বাড়িতে গিন্নিরা তো সব সময়ই স্বামী দেবতাদের সেবা করে চলেছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁদের ফাই ফরমাস খাটতে খাটতেই দিন চলে যায়। তাই ছুটির দিনে বাড়ির গিন্নিদের পতি দেবতারা যদি সকালের প্রাতঃরাশ বা বিকেলের জলখাবারটা নিজেদের হাতে তৈরি করে গিন্নিদের সামনে পেশ করেন, তবে গিন্নিরা আল্হাদে আটখানা হয়ে যাবেন। তবে আর দেরি না করে জলখাবার তৈরির আয়োজন শুরু করুন। শিখে নিন খুব সহজ, সরল অথচ বৈচিত্রপুর্ণ একটি জলখাবারের রেসিপি।
একটা পাত্রে চারটে ডিম ফাটিয়ে দিয়ে তার মধ্যে আন্দাজমতো নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে হুইস্ক বা চামচের সাহায্যে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। একটা মাঝারি পেঁয়াজের অর্ধেকের কুঁচি ও এক বড় চামচ পার্সলি পাতা কুঁচি বা ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে হুইস্ক বা চামচের সাহায্যে নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নন স্টিকি ফ্রাইং প্যান আঁচে বসিয়ে বড় এক চামচ মাখন গলিয়ে তার মধ্যে চার পিস পাউরুটির স্লাইস দিয়ে দুই পিঠ সেঁকে নিন। তুলে আলাদা করে রাখুন। এবার অন্য একটি নন স্টিকি ফ্রাইং প্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে বড় এক চামচ মাখন দিয়ে হাতার সাহায্যে ভালো করে সারা প্যানে মাখনটা ছড়িয়ে দিন (গ্রিস করুন)। এবার প্যানের মধ্যে ফেটানো ডিমের মিশ্রণটা ঢেলে দিন। গোলাকার ডিমের মিশ্রণের মাঝখানে দুটো সেঁকা পাউরুটির স্লাইস বসিয়ে দিন।