অস্বস্তি বহাল সায়গল হোসেনের। কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন। বুধবার জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানির সময় সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, যেহেতু মূল মামলা দিল্লিতে,তাই এই আদালত এই মামলা শুনতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সায়গল হোসেন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ২০২২ সালের জুন মাসে গরুপাচার মামলায় বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর মধ্যেই, গত জুন মাসে আসানসোল সিবিআই আদালতে সিজার লিস্ট জমা করে সিবিআই। প্রায় ১ কোটি টাকার নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ৩টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৭টি জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ওই সম্পত্তিগুলি সায়গল হোসেনের মা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে। ৭টি জমির মধ্যে একটি সিউড়িতে বাকি ৬টি ডোমকলে রয়েছে। জমিগুলির বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যদিও সিবিআই-এর দাবি, এই মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে। জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয়, সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ওই ৩টি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই মূল মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই সিবিআই-এর আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলের।
অস্বস্তি বহাল সায়গল হোসেনের। কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন। বুধবার জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানির সময় সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, যেহেতু মূল মামলা দিল্লিতে,তাই এই আদালত এই মামলা শুনতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সায়গল হোসেন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
২০২২ সালের জুন মাসে গরুপাচার মামলায় বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর মধ্যেই, গত জুন মাসে আসানসোল সিবিআই আদালতে সিজার লিস্ট জমা করে সিবিআই। প্রায় ১ কোটি টাকার নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ৩টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৭টি জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। ওই সম্পত্তিগুলি সায়গল হোসেনের মা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে।
৭টি জমির মধ্যে একটি সিউড়িতে বাকি ৬টি ডোমকলে রয়েছে। জমিগুলির বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যদিও সিবিআই-এর দাবি, এই মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে। জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয়, সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ওই ৩টি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই মূল মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই কারণেই সিবিআই-এর আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলের।
ইডি (ED) যাতে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে না পারে, কোমর বেঁধে নামলো অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) এবার দরবার অনুব্রত মণ্ডলের। রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে ইডির করা প্রোডাকশন ওয়ারান্ট সংক্রান্ত মামলার বিরোধিতায় আবেদন তৃণমূল নেতার। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির প্রশ্ন, 'বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে?' এই মামলায় আবার সায়গল হোসেনকে
(Saigal Hossain) দিল্লি এনে জেরা করা হচ্ছে। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে রউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রোডাকশন ওয়ারান্ট সংক্রান্ত সেই আবেদন খারিজের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। যদিও ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। অনুব্রতর আইনজীবীর প্রশ্ন, 'বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে?' পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে, দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসানসোল থেকে দিল্লি না নিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে এই আবেদনে। ইডি তদন্তের প্রয়োজনে আসানসোল জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। এই মামলা দায়েরের পর রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অনুব্রতর প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে তলব করলো ইডি (ED) ২-রা নভেম্বর দিল্লির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) স্ত্রীকে তলব করেছে ইডি। ৩০শে অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই তলব।
একইভাবে ২ নভেম্বর দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এক মিডলম্যানের মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি টাকা কলকাতায় নির্বাচনের আগে এসেছিল। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। অপরদিকে, জটিল আইনি লড়াইয়ে জিতে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ইডি। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল জেলে বন্দি সায়গলকে দিল্লি আনতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল রউস অ্যাভেনিউ আদালত। সেই নির্দেশ বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। তারপরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি উড়িয়ে আনে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি (ED)। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের এই রায়ে মান্যতা পেল দিল্লির এক নিম্ন আদালত এবং দিল্লি হাইকোর্টের অবস্থান। সুপ্রিম কোর্ট এই দুই আদালতের নির্দেশ বহাল রেখে জানিয়েছে, যে মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার সায়গল হোসেন, সেই মামলা দেশের অন্যতম বড় দুর্নীতি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আসানসোল জেলে বন্দি সায়গলকে দিল্লি নিয়ে আসতে তোরজোড় শুরু করেছে ইডি। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা আসানসোলের বিশেষ আদালতে দ্বারস্থ হলে, কোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার আবেদন ফেরায়। এরপর ইডি দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ আদালতে আবেদন করে। এই কোর্টে গরু পাচার চক্রের মূল মামলা দায়ের। দিল্লির সেই আদালত ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে সায়গলকে দিল্লি এনে জিজ্ঞসাবাদের নির্দেশ দেয়।
কিন্তু সায়গলের তরফে এরপর প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে এবং শেষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুই আদালতই রউস অ্যাভেনিউ কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে। ফলে গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষীকে দিল্লি আনতে আর কোনও আইনি বাধা রইল না।
সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে আসার অনুমতি পেল ইডি (ED)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট এই অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এই আদালতে গরু পাচার (Cow Smuggling)-কাণ্ডের মূল মামলা রয়েছে ইডির। অর্ডার কপি হাতে পাওয়ার পরেই দিল্লি থেকে ইডি বিশেষ টিম আসবে কলকাতায়। আসানসোল গিয়ে সায়গল হোসেনকে আসানসোল কোর্টে পেশ করবে। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ড নিয়ে সালগালকে দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে আসার এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে,সোমবারও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল না মানিক ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলায় এদিনও কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। আজ, মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি। আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যকে।
আসানসোল জেল থেকেই গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow SMuggling Case) এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। শুক্রবার প্রায় ৪ ঘণ্টা অনুব্রতর দেহরক্ষীকে জেলে গিয়ে জেরা করে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সায়গলকে হেফাজতে রেখে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ইডির আবেদন আদালত খারিজ হয়েছে। ফলে আসানসোল জেলেই আগামী কয়েকদিন রাখতে হবে সায়গল হোসেনকে।
এদিন এরেস্ট মেমো দেখিয়ে সায়গলকে নতুন করে গ্রেফতার সংক্রান্ত ইডির কোনও যুক্তি মানেনি আদালত। বিচারক জানিয়েছে, যেভাবে ইডি সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে, তা সঠিক পদ্ধতি নয়। দিল্লির যে আদালতে গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির মূল মামলা, শেখান থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত। তবে এদিনের শুনানির পরেও ইডির দাবি করলেন, সায়গল হোসেন এখনও তাদের হেফাজতে।
সূত্রের খবর, সায়গলকে হেফাজতে পেতে মরিয়া ইডি এই বিষয়ে দিল্লির শীর্ষকর্তাদের এবংআসানসোল কোর্টের চিফ ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করেছে। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই গ্রেফতার করেছে সায়গল হোসেনকে। তাঁর সিবিআই হেফাজত শেষে আপাতত আসানসোল জেলে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার চার্জশিটে নাম আছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর। এদিকে, গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে এবার অনুব্রতর নাম। ৩৫ পাতার এই চার্জশিটে অনুব্রতকে এই মামলার অন্যতম চক্রী হিসেবে দেখিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি তাঁর একাধিক সম্পত্তি, চালকল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ্য আছে চার্জশিটে।
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling) সিবিআই চার্জশিটে (CBI Chargesheet) এবার অনুব্রত মণ্ডলের নাম। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা ৩৫ পাতার চার্জশিটে এই পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) অন্যতম চক্রী হিসেবে দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটের সঙ্গে জুড়েছে অনুব্রতর নামে থাকা ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের প্রসঙ্গ। পাচারকারীদের সেফ প্যাসেজ তৈরি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা আঁচে অনুব্রতর। চতুর্থ সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।
গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা। এযাবৎকাল সিবিআই অভিযান, তল্লাশি এবং তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক একাউন্ট, জমি-বাড়ি, চালকল-সহ বিভিন্ন সম্পত্তির উল্লেখ করেছে সিবিআই। এদিকে, আসানসোল সংশোধনাগারে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে ইডি টিম। ৬ সদস্যের এই দলের ৩ জন জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করছেন।
এদিকে, গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সায়গল হোসেনকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে ইডি। সেই মর্মে বিশেষ আদালতে আবেদন করতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
গরু পাচার মামলায় এবার সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) মা এবং স্ত্রীকে তলব করল ইডি (ED)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দিল্লির সদর দফতরে তাঁদের তলব করা হয়েছে। গরু পাচার-কাণ্ডের (Cow Smuggling Case) তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে বিপুল সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। সম্পত্তি রয়েছে তাঁর মা এবং স্ত্রীয়ের নামে। সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত যে নথি অর্থাৎ আয়ের উৎস, এত সম্পত্তির মালিকানা তাঁরা কী ভাবে হলেন? পাশাপাশি এই সম্পত্তির হস্তান্তর বা হাত বদল সংক্রান্ত তথ্য জানতেই ইডির এই তলব।
যদিও সায়গলের পরিবার সূত্রে খবর, ইডি নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তাঁরা। এর আগে সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য দিল্লির কোর্টে তারা আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। এবার তাই তাঁর পরিবারের দুই সদস্যকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠাল ইডি।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা ইডির। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি এবং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও। এই দু'জনের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা করা চার্জশিটে দাবি করতে পারে ইডি। এমনটাই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে ২২ জুলাই দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই তদন্তে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ-সহ সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা। গত প্রায় দু'মাস তদন্ত চালিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কয়েক কোটি টাকার এলআইসি পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় এই সম্পত্তি কিনা খতিয়ে দেখেই চার্জশিট জমা ইডির।
গরু পাচার কাণ্ডে(cattle smuggling) অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী(ex body guard) সায়গল হোসেনকে আজ আবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে(CBI special court) পেশ করা হয়। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় সায়গল হোসেনের। পরবর্তী শুনানি(hearing) ১ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ তারিখে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সায়গলের আইনজীবী বলেন গরু কাণ্ডে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে cattle smuggling এর কোনও ধারা দেওয়া নেই। এর সঙ্গে এই মুহূর্তে যে মোবাইল ফোন সিবিআই ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে চাইছে তার সময় অতিক্রান্ত। বদলে যেতে পারে মোবাইলের হ্যাস ভ্যালু। এর সঙ্গে সায়গলের আইনজীবীর আরো দাবি যে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে জেলে। সে কারণে তাকে জামিন(bail) দেওয়া হোক।
যদিও সিবিআই- এর পক্ষ থেকে বিচারকের কাছে মোবাইল ফোন ফরেনসিকে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এবং তদন্তের স্বার্থে জামিন নাকচের আবেদন করা হয়। তাদের আরও দাবি যে তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সময় দরকার। শুনানিতে একবার অনুব্রতর নামও উঠে এসেছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
গরু (Cow) ও কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের ৪৩ টি সম্পত্তির (Property) হাদিশ পেয়েছে সিবিআই (CBI)। এর মধ্যে তাঁর দেহরক্ষী সায়গলের (Saigal) সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি। বাকি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে। সেই বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁর আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, এনামুল বীরভূম থেকে যে সব গরু পাচার করত, তার সবটাই জানতেন অনুব্রত। তাঁকে না জানিয়ে একটি গরুও পাচার হয়নি। এমনটাই বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয়েছে সিবিআই। এখান থেকেই গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রত সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলে সিবিআই মনে করছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে যাওয়া গরু, কয়লা, বালি ও পাথরভর্তি গাড়ির নম্বর পাঠানো হত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের কাছে। পাচারের পথ নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিস কর্তাদেরও তা আগাম জানিয়ে রাখতেন অনুব্রত। এই কাজে ব্যবহারের জন্য সায়গলের কাছে ছিল ২২টি মোবাইলের হ্যান্ডসেট। নেওয়া হয়েছিল ৫০টি সিম। মৃত অথবা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির নথি ব্যবহার করে সেগুলি সংগ্রহ করা হয় বলেই অভিযোগ। কললিস্ট ঘেঁটে সংশ্লিষ্ট জেলার ওসি-আইসিদের সঙ্গে ফোনালাপের তথ্য সামনে এসেছে। অফিসারদের দাবি, পাচার কারবার থেকে উঠে আসা যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করতেন সায়গল।