
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিন জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার (Arrest) করল এসটিএফ (STF)। সোমবার, কাটোয়া (Katwa) রেলস্টেশনে অস্ত্রসহ ধৃতদের ধরা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের আর দু'জন মুর্শিদাবাদের। ধৃতরা হলেন কাউসার শেখ, সিরিয়াল মণ্ডল, সুদীপ খান। আগ্নেয়াস্ত্র (Firearm) উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ কাটোয়া রেল স্টেশনে জিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে তিন ব্যক্তিকে অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে এসটিএফ। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় তিনটি পিস্তল ও চোদ্দ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ছয়টি ম্যাগাজিন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় একদিকে যেমন স্বস্তি, অপরদিকে তেমনি চিন্তার ভাঁজ। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এসটিএফের কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার সকালে তিনজনের মেডিক্যাল করা হয় কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, এদিন ওই তিন ধৃতকে কাটোয়া কোর্টে তোলা হয়। এসপিএফ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসটিএফের বড় সাফল্য।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়োসড়ো মাদক পাচার রুখলো পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের (Police) বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF)। মঙ্গলবার ৯ মে রাতের অন্ধকারে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের (Belgharia Expressway) উপর দিয়ে পাচার করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন। তবে, সেই খবর আগে থেকেই ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের কাছে। ফলে, হাতেনাতে ধরা পড়ল ৫ পাচারকারী। পুলিস জানিয়েছে ধৃতদের নাম, অজয় পাল, সাবির আহমেদ, সুজন শেখ, গোবিন্দ মণ্ডল এবং সারব শেখ। ধৃতরা বসিরহাট, নদিয়া, ক্যানিং, গাইঘাটা এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুকান্তপল্লীর মুন লাইট হোটেলের বিপরীতে উদ্ধার হয় আড়াই কেজি হেরোইন। পাশাপাশি, পাচারকারীদের কাছ থেকে চারটি গাড়ি এবং দুষ্কৃতীদের মোবাইলগুলি বাজেয়াপ্ত করেন টাস্ক ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত অফিসার। জানা গেছে, ভারতীয় মুদ্রায় উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্যগুলির বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি।
মাদক পাচারের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল রাজ্য পুলিশের কাছে। ফলে, এই পাচারকারী দলকে ধরতে গোপন ফাঁদ পাতেন তাঁরা। সেই ফাঁদে পা-ও দেয় এই পাচারকারীর দল। এরপর সকলকে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় মাদক। প্রসঙ্গত, একটি লাল রঙের মারুতি বৃজা এবং এবং সাদা রঙের মারুতি সুজুকি রয়েছে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা গাড়ির তালিকায়।
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) সামাজিক মাধ্যমে সেনসেশন হয়ে উঠেছেন। তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা কেবল বাড়ছে। অভিনেত্রী ছবি দিলেই সব কাজ ফেলে যেন ভক্তদের সমস্ত আকর্ষণ তাঁর দিকেই ছুটে যায়। গ্ল্যামার জগতের শীর্ষে দাঁড়িয়ে, সমস্ত আলো পরিবৃত হয়ে তিনি মন দিলেন কাকে? তা জানতে চায় সকলেই। শোনা গিয়েছিল ঋতাভরী তাঁর, মানসিক চিকিৎসক বন্ধুকে মন দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে আগে তাঁদের বেশ কিছু ছবি দেখা গেলেও এখন আর দেখা যায় না। এরই মাঝে প্রকাশ্যে কাকে ভালোবাসা জানালেন অভিনেত্রী ?
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে লম্বা পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর বন্ধু রাহুল দাশগুপ্তর জন্মদিন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী। লিখলেন, 'ধন্যবাদ এই পৃথিবীতে এসে, এটিকে সুন্দর বানানোর জন্য। ধন্যবাদ, যখন প্রয়োজন ছিল তখন আমাকে হাসানোর জন্য। ধন্যবাদ, সবসময় আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। জীবনের শেষ পথে তোমার সঙ্গে হাঁটতে চাই। তোমাকে পাশে রেখেই মরতে চাই।'
বন্ধুর সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন ঋতাভরী। কখনও শাড়িতে কখনও আবার ওয়েস্টার্ন পোশাকে তাঁকে যথারীতি মোহময়ী লাগছে। প্রত্যেকটি ছবিতে লক্ষণীয় বন্ধু রাহুল দাশগুপ্তর ছবি। নেটিজেনরা অভিনেত্রীর বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, কিন্তু আসলে নজর রয়েছে ঋতাভরীর উপর।
মাদক-বিরোধী অভিযানে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ৩৫ কেজি গাঁজা (Weed) সহ দু'জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ (STF) ও বারাসাত থানার (Barasat Police) পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের (North 24 Parganas) হৃদয়পুর মোড়ের কাছে বন্ধ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের রবিবার বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির নাম টিঙ্কু শেখ ও আখতার শেখ। অভিযুক্ত দু'জনই মুর্শিদাবাদের রানীনগরের বাসিন্দা। পুলিস আরও জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এসটিএফের-র কাছে খবর ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে গাড়ি করে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি সেই গাঁজা বারাসতের হৃদয়পুর মোড়ের কাছে বন্ধ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় হাত বদলও করা হবে। সেই মতো এসটিএফ বারাসত থানার পুলিসকে নিয়ে গাড়ি তল্লাশি করে ওই দুজনকে আটক করে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের বাকি পাণ্ডাদেরও ধরার চেষ্টা করছে পুলিস।
বেঙ্গল এসটিএফ ও বন দফতরের যৌথ অভিযানে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার রানীনগরে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের দামী চোরাই কাঠ (Wood)। এই পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত হরিয়ানার এক ব্যক্তি। বুধবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গল এসটিএফ-র দল বন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে জলপাইগুড়ির রানীনগর হাইওয়ের কাছে অভিযান চালায়। এই অভিযানে জাতীয় সড়কে সন্দেহজনক ওই ট্রাক আটক করা হয়। বেলাকোবা ফরেস্ট রেঞ্জের বন আধিকারিকরা আটক ট্রাক থেকে পাচার উদ্দেশে থাকা সেগুন কাঠের মোট ৯৭টি ব্লক উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক তদন্তে খবর, অসম থেকে এই কাঠগুলো পাচার হচ্ছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্তর নাম অজিত, বয়স ২৯ বছর। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। বন দফতর সূত্রে খবর বাজেয়াপ্ত কাঠের বাজারমূল্য প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।
একই রাতে কোথাও দেড় কোটি টাকার গাঁজা পাচার (Smuggling) রুখলেন। আবার কোথাও পুরোনো ঘটনার অভিযুক্তদের জেরা করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করলেন বিলাসবহুল গাড়ির সঙ্গে বিপুল টাকার নিষিদ্ধ মাদক (Drug)। কোথাও কলকাতা পুলিসের এসটিএফ, আবার কোথাও বিধাননগর কমিশনারেটের এসটিএফ।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাইপাসের অজয়নগর মোড়ে অভিযানে যায় পুলিস। একটি এসইউভি গাড়ি থামিয়ে তার ভিতর থেকে ১২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। মঙ্গলবার রাতেই, ওই গাড়ির চালক বরকত খান ওরফে ইমরানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল দক্ষিণ শহরতলীতে। গাড়ির সিটের ভিতরে ওই মাদক ১০টি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিস।
পাশাপাশি গত ১৬ই মার্চ বিধাননগরের নাওভাঙা নামক জায়গায় গোপন খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র হাতে ধরা পড়েছিল মেহতাব বিবি এবং মোমিন খান নামক দুই ড্রাগ ব্যবসায়ী। সঙ্গে মিলেছিল বহুমূল্যের নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন। এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী অফিসারদের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাতেই ওই এলাকায় আবার তল্লাশি চালিয়ে মেলে দুইটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ। দুইটি গাড়িতেই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক (হেরোইন )। হাফ কিলো ওজনের মাদকের একটি ব্যাগ ছাড়াও, তিরিশ হাজারের উপর ক্ষুদ্র পুরিয়া পাওয়া যায় গাড়িতে। যার মোট ওজন দেড় কিলোগ্রাম।
উল্লেখ্য, ড্রাগচেইন-এর একদম শেষে বিভিন্ন মাধ্যমে নেশাড়ুদের কাছে এই পুরিয়া-ই পৌঁছে যেত। উপরোক্ত দুই ধৃতকে নিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী টিম আরও তল্লাশি চালাবে বলেই আপাতত খবর।
খাস কলকাতায় প্রায় দু'কেজির উপরে হেরোইন উদ্ধার। এসটিএফ এবং মুচিপাড়া থানার যৌথ অভিযানে আটক এক ব্যক্তি। আটকের পর ব্যক্তিকে কোলে মার্কেট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে এত হেরোইনের উৎস কী জানতে চান তদন্তকারীরা। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতর ব্যাগ থেকে দু'কেজির উপরে হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ধৃত ব্যক্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এর বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবরত পেয়ে এই অভিযান বলে পুলিস সূত্রে খবর।
হেরোইন উদ্ধার ঘিরে কোলে মার্কেটের মতো জনবহুল এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস খতিয়ে দেখছে এতগুলো হেরোইন কীভাবে আসল ওই ব্যক্তির কাছে। পাশাপাশি এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এসটিএফ এবং কলকাতা পুলিস। এত পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারে তাজ্জব কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচারের (Weed Recovery) অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে STF। সোমবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে (Purulia Police) পেশ করানো হয়েছে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি আটক করে। সেই আটক গাড়ি থেকে প্রায় ৩৩৫ কেজি বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযাগে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ঝালদা হয়ে আসানসোলে যাচ্ছিল গাঁজা ভর্তি দু'টি গাড়ি। সেই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে নাকা চেকিং করে। এরপরেই সন্দেহজনক একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি চার চাকা আটক করে। এই প্রচুর মাত্রা গাঁজা উদ্ধারের ফলে এসটিএফ অভিযান সফল।
পুলিস জানিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে ৭৭ প্যাকেট ভর্তি প্রায় ৩৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার চার জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে, ধানবাদ পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে। সোমবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। একইসঙ্গে এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য এই পাচার চক্রের যোগ পেতে জেরা করতে চায় পুলিস।
সিটি অফ জয়ে 'উড়ছে' বান্ডিল বান্ডিল নোট! পরপর তিন দিন, শহর কলকাতায় উদ্ধার টাকার পাহাড় (Cash Recover)। বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাটের পর এবার বড়বাজার (Burra Bazar Incident)। কলকাতা পুলিসের STF-র অভিযানে বড়বাজারের বাবুলাল লেন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স উদ্ধার করে এই টাকা। শুক্রবার দুপুর বেলা এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে ধৃত দু'জনের নাম রাম অবতার গানেরিওয়াল এবং সরোবর শর্মা।
জানা গিয়েছে, বড় বাজারে টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু বছরের পুরনো সংস্থা শ্রী নিবাস টেক্সটাইল থেকে উদ্ধার টাকা। এসটিএফ-র অভিযানের সময় দু'জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন, অনুপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার। জানা গিয়েছে, গেঞ্জির ব্যবসা এই শ্রী নিবাস টেক্সটাইলের, কর্ণধারের নাম মুন্না বাবু।
শহরে টাকা উদ্ধারের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জুলাইয়ে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গার্ডেনরিচে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১০ কোটি টাকার বেশি। এই দুই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
পাশাপাশি বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে এক কোটির বেশি এবং গড়িয়াহাটের এক গাড়ি থেকে এক কোটি টাকা সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার করে হাওড়া পুলিস। হাওড়া শহরের দুই জায়গা থেকে গত বছর উদ্ধার হয়েছে নগদ।
বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট, ফের দক্ষিণ কলকাতায় নগদ উদ্ধার (cash Seize)। এবার গড়িয়াহাট রোডে (Gariahat) একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার এক কোটি টাকা (One Crore Rupees)! এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, গুণ্ডা দমন শাখা এবং এসটিএফ-র অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান। আটকদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত একজনের নাম দুলাল মণ্ডল, তাঁর বাড়ি বেলগাছিয়া রোডে। অপরজনের নাম মুকেশ সারস্বত তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। মুকেশের থেকে কলকাতার যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা মিলেছে। এত টাকা কী কারণে গাড়িতে রাখা ছিল, সেই সংক্রান্ত বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ এই দু'জন। তাই গড়িয়াহাট থানায় তাঁদের গ্রেফতার করে সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
বুধবার বালিগঞ্জের এক রিয়াল এস্টেট সংস্থায় অভিযান চালিয়ে এক কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। কয়লা-কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে অর্থ উদ্ধার। সেই নগদ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খাস কলকাতায় এক গাড়িতে কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য।
আন্তঃরাজ্য (Inter State) ড্রাগ মার্কেটের (Drug Market) ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন এসটিএফ আধিকারিকরা। পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট (Yaba Tablet) (সাইকোট্রপিক পদার্থ) উদ্ধার হয়। ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই মাদক তা খতিয়ে দেখছেন এসটিএফ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোচিহার থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন এসটিএফ-র (STF) আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় ড্রাগ মার্কেটের ৪ ব্যক্তিকে। ধৃতদের থেকে প্রায় ১০ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাবলেট (সাইকোট্রপিক পদার্থ)-সহ একটি ওয়াগন ও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত চার ব্যক্তির নাম-জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, মুকসেদুল ইসলাম, মুন্নু লামা (মহিলা)। ধৃত ওই চার ব্যক্তির মধ্যে ৩ জন অসমের বাসিন্দা। তার মধ্যে আব্দুল মান্নান অভ্যাসগতভাবে এই অবৈধ ব্যবসায় বহুদিন ধরে লিপ্ত। তবে ইতিমধ্যেই কোচবিহার কোতোয়ালি পিএস-এ একটি নির্দিষ্ট মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি কীভাবে এদের কাছে এত পরিমাণ মাদক এলো তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ-র আধিকারিকরা।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। সূত্রের খবর, আব্দুল রাকিব কুরেশি ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর জেল খেটে ২০১৯ সালে জেল থেকে মুক্তি পান আব্দুল। তারপরেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুল রাকিবের। এই দুই সন্দেহভাজনের পরিকল্পনা ছিল বাংলা-সহ ভিন রাজ্য এবং মধ্যপ্রদেশে তাঁদের জঙ্গি সংগঠনকে (Terrorist Organisation) আরও মজবুত করা।
তাঁদের নজরে ছিল উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে সংগঠন মজবুত করা। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম- আব্দুলের দায়িত্ব ছিল যুব সমাজকে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এবং তহবিল সংগ্রহের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রাকিব কুরেশি। এই মুহূর্তে সাদ্দাম এবং আব্দুল রাকিবকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করছে এসটিএফ।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের জেরা করে আব্দুল রাকিবের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাকে খাণ্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রিমান্ডে আনা হয়েছে কলকাতায়।
আইএস জঙ্গি (IS Terrorist) কাণ্ডে ফের কলকাতা পুলিসের এসটিএফ-এর (Kolkata Police STF) জলে আরও এক সন্দেহভাজন গ্রেফতার। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। ধৃতর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, একটি পেনড্রাইভ এবং অন্যান্য অপরাধমূলক প্রবন্ধ। সম্প্রতি হাওড়া থেকে ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরা করেই আব্দুলের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সৈয়দ এবং সাদ্দাম নামে দুই আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। সোমবার ফের এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
পুলিস সূত্রে খবর, সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশির একটা প্রত্য়ক্ষ যোগাযোগ ছিল। এমনকি তদন্তে সৈয়দ এবং সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ধৃতর খোঁজে ভিনরাজ্য়ে গিয়েছিল এসটিএফ। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
এমনকি তদন্তে পুলিস আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের কাজ ছিল মডিউল তৈরি করা। তারা বেশকিছু ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করেছিল এবং যথারীতিভাবে তাতে লোকজন নিয়োগ করত। এমনকি পুলিসের সন্দেহ এড়াতে কাজের নাম করে তাদের বাইরে পাঠানো হত, যাতে তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা বুঝতে না পারে যে বাইরে পাঠনোর নাম করে তাদের আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার আব্দুল রাকিব কুরেশিকে কোর্টে পেশ করা হবে। এমনকি পরে এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কী ধরনের নাশকতার ছক কষছিলেন এই তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি, সেটা জানতেই মুখোমুখি জেরা করবে এসটিএফ।
জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে হাওড়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। ধৃতদের একজন মহম্মদ সাদ্দাম টিকিয়াপাড়ার আফতাবুদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। অন্যজন সৈয়দ আহমেদ শিবপুর গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা। ধৃতদের একজন এম টেক-এর পড়ুয়া। দু জায়গা থেকে ল্যাপটপ মোবাইল ও বেশকিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। ১৯ তারিখ পর্যন্ত দুজনকেই পুলিস হেফাতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জঙ্গি কার্যকলাপ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি দুটো মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃতদের থেকে। এঁরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে ধৃতদের মোবাইল-ল্যাপটপে জিহাদি কনটেন্ট পাওয়া গিয়েছে, এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। যদিও এক ধৃতের পরিবার জানায়, 'ভাইয়ের উপর থাকা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। ও এই মুহূর্তে চাকরির জন্য মরিয়া ছিল। বি টেক পাস করে এম টেক পড়ছে ভাই। ও কোথায় আছে, কী করছে সব আমাকে বলতো।'
শহর কলকাতা যখন ইংরাজি নতুন বর্ষকে (New Year 2023) স্বাগত জানাতে গা সেঁকছে, তখন খাস কলকাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive Recover)। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের টাস্ক ফোর্সের (Kolkata Police STF) হাতে মঙ্গলবার গ্রেফতার ২। জানা গিয়েছে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Leather Complex) থানার সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়ের ধারে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, যার পরিমাণ প্রায় ৪০ কেজি। এই বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার শেখ ফিরোজ এবং শেখ রমজান নামে দুই ব্যক্তি। ধৃতরা বীরভূমের (Birbhum) বাসিন্দা। মোটর সাইকেল চড়ে এই দুই ব্যক্তি বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে ধৃতরা দুবরাজপুরের কুখ্যাত বিস্ফোরক কারবারি। তাদের থেকে কমলা রঙের বিস্ফোরক, যা সম্ভবত আর্সেনিক সালফাইড, বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে।