গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়িতে হাঁটাহাটি করার সময় আচমকা পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর। কপাল ফেটে রক্ত বেরোতেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি। একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আঘাত কতটা গুরুতর তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হবে।
লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। এই দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া পেজে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কপাল থেকে নাক বেয়ে রক্ত পড়ছে, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রয়েছেন মমতা। ক্যাপশনে লেখা, 'আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর আহত হয়েছেন। উনার জন্য প্রার্থনা করুন আপনারা।' তাঁর সুস্থতা কামনায় ভক্তরা ভিড় করেছেন হাসপাতালে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির উদ্বোধন করেন মমতা। এর পর তিনি বাড়ি চলে যান। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনায় আঘাত পেলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) বেড না পাওয়া শুভদীপ পালকে। আজ সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল শুভদীপের। বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বেড না পাওয়ার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আজ শুভদীপের মৃত্যুর খবরে কার্যত ভেঙে পড়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ শুভদীপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে এতটাই মর্মাহত মদন মিত্র যে আজ নিজের সব কর্মসূচিও বাতিল করে দিয়েছেন তিনি।
শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি। তারপর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, সঠিক সময়ে যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যেত শুভদীপকে, তাহলে কি এই পরিণতি দেখতে হত?
কলকাতা মেডিক্যালে যে সময়ে শুভদীপকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুভদীপের চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যালে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। শুভদীপের অবস্থায় যে মোটেই ভাল ছিল না, তা গতকাল কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট ছিল। বলেছিলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে শুভদীপ ভাল নেই। আমরা ওকে যে অবস্থায় পেয়েছি…’। সেই কথা থেকেই আশঙ্কার কথা স্পষ্ট। আর আজ হাসপাতালেই মৃত্যু শুভদীপের।