চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক শিশুর। এ ঘটনায় আহত কমপক্ষে ৪০ জন। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে পারাদ্বীপগামী একটি বাসে শুক্রবার রাতে হঠাৎ আগুন লাগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মাদপুরের কাছে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগুন লেগে একটি শিশুর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের উপর ওই যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন লাগে। এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রাও। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই বাসের জানলা ভেঙে যাত্রীরা ঝাঁপ দিতে থাকে। কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, বাবুঘাট থেকে বাসটি ছেড়েছিল। খড়গপুর হয়ে ওড়িশার পারাদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎ ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। অনেক পণ্যও ছিল। চালক লাফিয়ে নেমে পালায়। কিন্তু বাসের প্রধান দরজা বন্ধ ছিল বলে খবর।
কান চলচ্চিত্র উৎসব (Cannes Film Festival) সারা বিশ্বের চর্চিত একটি অনুষ্ঠান। নির্ধারিত দিনে বাছাই করা সিনেমার প্রদর্শন করানো হয়। সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরা আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন সেই উৎসবে। আন্তর্জাতিক এই পরিচিতি অবশ্যই কেরিয়ারের জন্য মাইলফলক। চলতি বছরে বলিউড (Bollywood) থেকে বহু তারকারা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কান-এ। এবার রেড কার্পেটে ধরা দিলেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)।
চলতি বছরেই অনুষ্কা প্রথমবারের জন্য ডেবিউ করেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তবে নিজের স্বভাবচিত চেহারাতেই দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। জমকালো পোশাক পরেননি। বরং বেছে নিয়েছিলেন সাদা রঙের অফ শোল্ডার গাউন। মাথায় খোঁপা বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে হালকা মেকআপ এবং গয়না পরেছিলেন। 'দা ওল্ড ওক' সিনেমার প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন অনুষ্কা।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্কা শর্মার আরও একটি লুক প্রকাশ্যে এসেছে। অভিনেত্রী হালকা গোলাপি রঙের টপ পরেছিলেন, কনট্রাস্ট কালো রঙের ডিজাইনার ট্রাউজার্সের সঙ্গে। নজর কেড়েছিল তাঁর কানের কার্টিয়ার গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার দুল।
অনুষ্কা শর্মা ছাড়াও চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডেবিউ করেছেন, সারা আলি খান, ম্রুনাল ঠাকুর, মানুষী চিল্লার এবং এশা গুপ্তা। এছাড়াও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, ঊর্বশী রৌটেলা, সানি লিওনি সহ আরও অনেক বলি তারকে রেড কার্পেটে হেঁটেছেন।
বলিউডের মডেল এবং অভিনেত্রী ঊর্বশী রৌটেলা (Urvashi Rautela) প্রায়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তবে সম্প্রতি তিনি প্রায় প্রতিদিনই নেট মাধ্যমে আলোচনার প্রসঙ্গে উঠে এসেছেন তাঁর ফ্যাশনের জন্য। ২০২৩ কান চলচ্চিত্র উৎসব (Cannes Film Festival 2023) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফ্রান্সে। সারা বিশ্ব থেকেই তাবড় সেলেব্রিটি থেকে পরিচিত মুখ আমন্ত্রণ পেয়েছেন সেখানে। তবে এই কান চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত অতিথিদের পোশাক নিয়েই বেশি কথা হয়। ঊর্বশীও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে নজর কেড়েছেন। তাঁর পোশাক নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে।
চলচ্চিত্র উৎসবে ঊর্বশী একটি দিন গোলাপি রঙের পোশাক পরেছিলেন। গাউনে তাঁকে সুন্দরী দেখতে লাগলেও তাঁর কানের দুল এবং গলার হারটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সুবিশাল কুমিরের আদলের হার জড়ানো ছিল তাঁর গলায়, কানেও ছিল একইরকম কুমিরের আদলের দুল। অনেকে বলেছেন হারটি বিখ্যাত গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা কার্টিয়ারের কপি। এই গলার নিয়ে কম চর্চা হয়নি নেট দুনিয়ায়। 'শেষ পর্যন্ত কুমিরের মতো গলার হার!' এমন অনেক তির্যক মন্তব্য ছুটে এসেছিল তাঁর দিকে।
এরপর আরও একদিন ঊর্বশীকে দেখা গিয়েছিল পোশাকের সঙ্গে নীল রঙের লিপস্টিকে। সেইবারও ভাগ্যে জুটেছিল নেটিজেনদের সমালোচনা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে দেখা গিয়েছে ঊর্বশী রৌটেলা সবুজ রঙের পোশাক পড়েছেন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবুজ কাপড়ের ঢল নেমেছে। নেটিজেনদের একজন বলেছেন, 'স্কুলে একবার তোতাপাখি সেজেছিলাম এমন ধরণের পোশাক পরেই।' তবে লোকে যাই বলুক, তাতে থোড়াই কেয়ার করেন সুন্দরী!
চলতি বছরে কান চলচ্চিত্র উৎসব (Cannes Film Festival 2023) শুরু হয়েছিল ১৬ মে, উৎসব চলবে ২৭ মে পর্যন্ত। সারা বিশ্ব থেকে তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা গিয়েছেন চলচ্চিত্র উৎসবে। তবে গত কয়েক বছরে তারকাদের থেকেও বেশি আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের পোশাক। এই কদিন আগে চলচ্চিত্র উৎসবে ডিজাইনার পোশাক পরে ট্রোলড হতে হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। এই পোশাক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন, টলিউড তথা বলিউড অভিনেত্রী নন্দিতা দাস (Nandita Das)। কান চলচ্চিত্র উৎসবে তিনিও গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। যদিও এই বছর সেখানে যাননি, কিন্তু অতীতের কথা মনে পড়ছে তাঁর। অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নিজের মনের কথা।
ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে অভিনেত্রী সম্প্রতি ২০০৫, ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'খুব দুঃখের সঙ্গে এই বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের কথা মনে পড়ছে। মানুষ ভুলে যায় এটি চলচ্চিত্র উৎসব, পোশাকের নয়। আমি আপনাদের সেই সময়ের বিশেষ সিনেমাগুলি দেখাতে পারব না, যে দুর্দান্ত কথোপকথন হয়েছে, সেগুলি শোনাতে পারব না। কিন্তু যেই বছর মান্টো মুক্তি পেয়েছিল, সেই সময়ে নিয়ে যেতে পারি।'
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, একমাত্র তিনিই শাড়ি পরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে যেতেন। সেখানে এই নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কিন্তু তিনি শাড়িই বেছে নিতেন। নন্দিতার কথায়, 'শাড়ি আমি সবসময় পরতে পছন্দ করি। সাধারণ, সুন্দর এবং ভারতীয়। পরতেও সুবিধে, খুলতেও সুবিধে।'
হরিয়ানার বিখ্যাত নৃত্য-শিল্পী স্বপ্না চৌধুরী (Swapna Choudhary), 'বিগ বস'এর দৌলতে বলিউডের চর্চিত মুখ হয়ে উঠেছেন। সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় তিনি। প্রায়শই তাঁর ফটো কিংবা ভিডিও ভাইরাল হয়নেট দুনিয়ায়। সম্প্রতি তিনি খ্যাতির সিঁড়িতে আরও একধাপ উঠেছেন। ২০২৩ কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival 2023) ডেবিউ করেছেন তিনি। প্রথম দিনে হালকা গোলাপি রঙের গাউন পরেছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে একাধিক পোজ দিয়েছিলেন। সেই ছবির প্রশংসা করেছিলেন দর্শক।
কিন্তু স্বপ্না চৌধুরীর দ্বিতীয় দিনের পোশাক নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে তিনি একটি সাদা রঙের শর্ট ড্রেস পরেছিলেন। কিন্তু মাথা ঢাকা, ঘোমটা জাতীয় একটি কাপড়ের অংশে। এই নিয়ে নেট মাধ্যমে তাঁর পোশাকের সমালোচনা হয়েছে। আবার তাঁর পোশাকের প্রশংসাও করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত স্বপ্না একমাত্র আঞ্চলিক ব্যক্তিত্ব, যিনি চলতি বছরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে হেঁটেছেন। বিদেশের মাটিতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি, যা গর্বের বিষয়। এর আগে চলতি বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে পোশাক নিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এবার সেই তালিকায় নাম স্বপ্নারও।
বাংলার সম্মান এবার বিশ্ব দরবারে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে পোস্টার রিলিজ হতে চলেছে বাংলা সিনেমা দেবী চৌধুরানীর (Devi Chowdhurani)। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) নিজের সামাজিক মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে সিনেমার পোস্টারের ভিডিও আপলোড করেছেন 'প্রসেন ষ্টার'। জানা গিয়েছে, কান চলচ্চিত্র উৎসবেও (Cannes Film Festival) এই পোস্টার প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক দরবারে এই প্রথম কোনও সিনেমার পোস্টার মুক্তি পাবে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে দেবী চৌধুরানী সিনেমার পটভূমি তৈরী হয়েছে। নাম ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। ভবানীর চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী এবং বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটি প্যান ইন্ডিয়ায় মুক্তি পেতে চলেছে। বাংলা, হিন্দি, তামিল, ইংরেজি, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পোষ্টে উল্লেখ রয়েছে সিনেমা মুক্তির সময়। চলতি বছরে দুর্গাপুজোতেই মুক্তি পেতে পারে সিনেমাটি। প্রসঙ্গত দেবী চৌধুরানী প্রথম ভারতীয় মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে টলিউডে মুক্তি পেয়েছিল, পরিচালক দীনেন গুপ্তের দেবী চৌধুরানী। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। বাংলার দর্শকের চোখে এখনও সুচিত্রা সেনের অভিনয় লেগে রয়েছে। এবার বড় পর্দায় শ্রাবন্তী সেই চরিত্র কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন, সেইটাই দেখার।
অভিনেতা বিজয় বর্মা (Vijay Verma) বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। গল্লি বয়, বাঘী থ্রি, ডার্লিংস, মির্জাপুরের মতো সিনেমা-সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'দাহাড়'। অভিনয়ের জন্য তিনি বরাবর প্রসংশিত। এবারেও তার অন্যথা হল না। অভিনয় দক্ষতায় ভারত থেকে অতিথি হয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival) গিয়েছেন তিনি। তবে এত সুখের মাঝেও মনে পড়ছে অতীত।
২০১৩ সালেও অভিনেতা ডাক পেয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তাঁর সিনেমা 'মনসুন শ্যুটআউট'-এর জন্যই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। রীতি মেনে কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে হাঁটার কথা অভিনেতার। কিন্তু পরবেন কি! বিজয় ফ্যাশন ডিজাইনারের কাছে খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর জন্য কোনও ডিজাইনার পোশাক বানাতে রাজি হয়নি, উলটে বিপরীত দিক থেকে ভেসে আসে 'কে বিজয় বর্মা?'
সেইবার বন্ধুর দেওয়া উপহারের জামাকাপড় পরে রেড কার্পেটে হেঁটেছিলেন তিনি। কিন্তু ১০ বছর পরে বদলে গেল সবকিছু। এই বছর বিজয় বর্মা রেড কার্পেটে হাঁটলেন ডিজাইনার গৌরব গুপ্তার ডিজাইন করা পোশাক পরে। নেটিজেনরা তাঁকে দেখে বলছেন 'বলিউডের জনি ডিপ'।
বিজয় বর্মা অবশ্য সম্প্রতি চর্চায় এসেছেন আরও একটি কারণে। অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি। ইদানিং প্রায়ই তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। গুঞ্জন, এই বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেন দুই তারকা।
২০২৩ কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival 2023) সূচনা হয়েছে ১৬ মে। বিশ্বের তাবড় অভিনেত্রীরা চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে উড়ে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রীরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। এই বছরই কান-এ ডেবিউ করেছেন সারা আলি খান, মানুষী চিল্লার, ঈশা গুপ্তা। প্রথম দিনেই রেড কার্পেটে হেঁটেছেন তাঁরা। পাপারাৎজিদের ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন তাঁরা। জমিয়ে ফোটোশ্যুটও করেছেন। কেমন পোশাক বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা, দেখুন।
বলিউডের অভিনেত্রী সারা আলি খান, তাঁর ভারতীয় সত্বাকে পছন্দ করেন। তাই বিদেশের মাটিতেও প্রাধান্য দিয়েছেন ভারতকে। অভিনেত্রী কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে পরেছিলেন লেহেঙ্গা। ডিজাইনার আবু জানি খোসলার তৈরি লেহেঙ্গাটি পরে যেন অপ্সরা হয় উঠেছিলেন সারা। সাদা চিকনের সুতোর কাজের লেহেঙ্গা যে ডিজাইনারের পরিশ্রমের ফসল তা স্পষ্ট। সমুদ্রের কিনারে দাঁড়িয়ে ফোটোশ্যুটও করেছেন।
ঈশা গুপ্তা রেড কার্পেটে বেঁচে নিয়েছিলেন নিকোলাস জেব্রানের ডিজাইন করা গাউন। সাদা স্লিট গাউনে মোহময়ী দেখাচ্ছিল তাঁকে। এই বছরই কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডেবিউ করলেন তিনিও।
কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডেবিউ করেছেন মানুষী চিল্লারও। তিনিও সাদা রঙের একটি গাউন বেছে নিয়েছিলেন রেড কার্পেটে হাঁটার জন্য। যদিও নিজের সামাজিক মাধ্যমে এখনও সেই ছবি আপলোড করেননি।
অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং আরাধ্যা কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য উড়ে গিয়েছেন, ফ্রান্সে। চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বলিউড অভিনেত্রীদের পোশাকে নজর রাখবেন দর্শক।
১৬ মে শুরু হতে চলেছে কান চলচ্চিত্র উৎসব (Cannes Film Festival 2023)। সারা বিশ্বের বহু অভিনেত্রীরা উড়ে গিয়েছেন সুদূর ফ্রান্সে। আন্তর্জাতিক উৎসবে চার চাঁদ লাগাতে যাচ্ছেন বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রীরাও। অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, দীপিকা পাডুকোনকে আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছিল চলচ্চিত্র উৎসবে। এই বছর সেই তালিকায় সংযোজিত হতে চলেছে বলি পাড়ার আরও অনেক অভিনেত্রীরা। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিনেত্রীরা মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে গিয়েছেন কানের উদ্দেশ্যে।
১৫ মে মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখা মিলেছিল অভিনেত্রী সারা আলি খান, মানুষী চিল্লারের। অভিনেত্রী ম্রুনাল ঠাকুরকেও দেখা গিয়েছিল বিমানবন্দরে। দেখা মিলেছিল, অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এবং অভিনেতা বিজয় বর্মার। বলি পাড়ার এই বর্তমান চর্চিত প্রেমিকযুগল হয়তো একসঙ্গেই হাঁটবেন চলচ্চিত্র উৎসবে। ২০২৩ কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাতেখড়ি হতে চলেছে অনুষ্কা শর্মারও। কান চলচ্চিত্র উৎসবে যে বলিউডের জয়জয়কার হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে এয়ারপোর্টে আসা ভক্তরা তারকাদের দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। বিশেষ করে অভিনেত্রী সারাকে দেখে ক্যামেরা হাতে ঢল পরে যায় সেলফি তোলার। প্রায় সকলের সঙ্গে ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। নতুন অভিনেত্রীদের পাশাপাশি দীপিকা-ঐশ্বর্যকেও দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক কান (Cannes) চলচ্চিত্র উৎসবে এবার বলিউডের পাল্লা আরও ভারী হতে চলেছে। চলতি বছরে বলি পাড়ার নতুন মুখ হিসেবে ডেবিউ করতে চলেছেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)। একইসঙ্গে ডেবিউ করতে চলেছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী মানুষী চিল্লার (Manushi Chillar)। ২০২৩ কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আবারও গর্বিত হতে চলেছে ভারত। ১৬ মে থেকে ২৭ মে ফ্রান্সে চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
এর আগে বলিউড থেকে দীপিকা পাডুকোন, সোনম চোপড়া, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এইবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বলিউডের আরও দুই তারকা অভিনেত্রী। অনুষ্কা বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, অন্যদিকে মানুষী বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জেতার পর অভিনয় জগতে হাতেখড়ি করে ফেলেছেন। অক্ষয় কুমারের বিপরীতে তাঁকে সম্রাট পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। এইবার আরও বড় দায়িত্ব তাঁর হাতে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ অভিনেত্রীদের পোশাক। তাঁরা কী পরে চলচ্চিত্র উৎসবে যাবেন তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকেরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন অভিনেত্রী দীপিকা, ঐশ্বর্য এবং সোনমও। সব মিলিয়ে ফ্রান্সের মাটিতে যে বলিউড চার চাঁদ লাগবে তা নিয়ে নিশ্চিত দর্শকেরা।
অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) মুকুটে জুড়ল নয়া পালক! এবারে বলিউডের (Bollywood) আরও এক ডিভাকে দেখা যাবে কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (Cannes Film Festival)। বলিউড থেকে অনুষ্কা শর্মার ডাক আসায় বেজায় খুশী তাঁর অনুরাগীরা। এর আগে কানসে একাধিক বলি অভিনেত্রী যেমন- ঐশ্বর্য রাই, দীপিকা পাডুকোন, বিদ্যা বালন, নন্দিতা দাসকে দেখা গিয়েছে। কানসের মতো চলচ্চিত্র উৎসবে অভিষেক হতে চলেছে অনুষ্কা শর্মার, এই খুশির খবর ফ্রান্স অ্যাম্বাসেডর ইম্যানুয়েল লিনাইন টুইটারে জানিয়েছেন।
A pleasure meeting @imVkohli and @AnushkaSharma!
— Emmanuel Lenain (@E_Lenain) May 4, 2023
I wished Virat & #TeamIndia all the best for the upcoming tournaments, and discussed Anushka's trip to #CannesFilmFestival.🏏 🎞️ pic.twitter.com/ex5zfzo1oZ
দীপিকা পাডুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলিউডের পাশাপাশি হলিউডেও পা দিয়েছেন। তবে অনুষ্কাকে এখন পর্যন্ত তাঁদের পথে যেতে দেখা যায়নি। কন্যা ভামিকা ও স্বামী বিরাটকে নিয়ে চুটিয়ে সংসার করছেন তিনি। আসন্ন ছবি 'চাকদা এক্সপ্রেস'-এর জন্যও বেশ ব্যস্ত তিনি। তাঁর ছবি মুক্তির আশায় যেখানে তাঁর ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন, তার আগেই এই খুশির খবর। বুধবার ফ্রান্স অ্যাম্বাসেডর টুইট করে লিখেছেন, 'বিরাট ও অনুষ্কার সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগল। বিরাট তাঁর পরবর্তী টুর্নামেন্টের জন্য ও অনুষ্কাকে কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।' এই খবর ছড়িয়ে পড়লেও এখনও স্পষ্ট নয় যে, অনুষ্কাকে এই অনুষ্ঠানে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে। আরও জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে 'টাইটানিক' ছবির অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটকে দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১৬ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত চলবে কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই অনুষ্ঠানে সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত নারীদের সম্মান জানানো হবে। এই অনুষ্ঠান সিনেমা জগতের জন্য এক অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। আর সেখানেই এন্ট্রি করতে চলেছেন বিরাট পত্নী।
মণি ভট্টাচার্য: 'দিদি, বড় হয়ে তোমার মত শিক্ষক হব, সবাইকে পড়াব।' বলেই দাদা-দিদিদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিল ছোট্ট ছেলেটি। বছর আটের (Minor) ছোট্ট ছেলে, দেবনাথের চোখে তখন বিরাট স্বপ্ন। চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে দেবনাথকে (Debnath Mondal) কাছে টেনে নেয়, ওর প্রিয় দিদিমণি।
পরিবারের প্রবল আর্থিক অনটনে স্কুল, স্বপ্ন, সবই ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল দেবনাথ মণ্ডল। বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সাহায্যে ফের স্কুলে ভর্তি হল সে। স্কুলে ভর্তি হয়ে দেবনাথের প্রতিজ্ঞা, ভবিষ্যতেও শিক্ষক হবে এবং সবাইকে শিক্ষাদান করবে। সূত্রের খবর, রাজারহাট-নিউটাউন সমগ্র চত্বরজুড়ে এসএফআইয়ের উদ্যোগে একটি দল গঠন করা হয়েছে, যার নাম 'অ্যান্টি ড্রপ আউট স্কোয়াড' এই স্কোয়াডের মাধ্যমেই দেবু অর্থাৎ দেবনাথের খবর পায় তাঁরা। খবর পেয়েই শুরু হয় দেবুকে মুলস্রোতে ফেরানোর কাজ।
এই দাদা-দিদিরাই ওকে স্কুলে ভর্তি করালেন:
এসএফআই সূত্রে খবর, কয়েকদিন ওই স্কোয়াডের সদস্যরা দেবুকে বোঝাতে শুরু করলে জানতে পারে, লকডাউনের আগে দেবু অর্থাৎ দেবনাথ চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। লকডাউনের পরে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে কেউই ওর পাশে দাঁড়ায়নি। পাড়ায় কমবেশি ওকে বুদ্ধিমান ছেলে হিসেবে চিনলেও, অধিকাংশই এখন ওকে দিয়ে দোকান-বাজার করিয়ে নেয়। নিউটাউন গৌরাঙ্গনগরের বাসিন্দা দেবনাথের বাবা, নিতাই মণ্ডল পেশায় দিন মজুর। কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে আর্থিক অনটনের মুখে ছেলের পড়াশুনা বন্ধ রাখতে হয়েছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।
রবিবার সিএন-ডিজিটালকে তিনি বলেন, 'অনেক ছোট বেলায় মা কে হারিয়ে দমে যায়নি দেবু, পড়াশুনা করে বড় হতে চেয়েছিল। কিন্তু কোভিড এসে সব শেষ করে দিয়েছিল।' তিনি রবিবার এসএফআই সদস্যদের ধন্যবাদ দেন এবং বলেন, 'ওরা বোধ হয় আমার ছেলেটার স্বপ্ন নষ্ট হতে দিল না।'
স্কুলে দেবনাথ :
প্রথমদিনই দেবনাথ ওর স্বপ্নের কথা জানায় ওই দাদা-দিদিদের। পুনরায় স্কুলে ভর্তি করার আগে এসএফআইয়ের এক স্থানীয় কর্মী সুতপা মিস্ত্রি, বিনা পারিশ্রমিকেই ওকে পড়ানো শুরু করেন। শুরু হয় পুরোনো পড়া ঝালিয়ে নেওয়া। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নকে ফিরে পাওয়ার পর, দেবনাথের কাছের দিদিমণি হয়ে ওঠে সুতপা। রবিবার সুতপা সিএন-ডিজিটালকে জানায়, দেবনাথকে স্থানীয় যাত্রাগাছি প্রণবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে পড়াশুনা শুরু করতে পেরে ওর ভালোই লাগছে।
দিদিমনি সুতপার সঙ্গে দেবনাথ:
শিক্ষায় দুর্নীতি-সহ (Education Scam) একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে সরব বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। পুলিসি অনুমতি ছাড়াই হাওড়া স্টেশন থেকে বিধানসভা অভিযান করে তাঁরা। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে এসএফআই-এর কর্মী সমর্থকরা এসে জমায়েত হয়েছে হাওড়া স্টেশনের বাসস্ট্যান্ডে। তবে স্টেশনের বাইরে তাঁদের আটকাতে বিশাল পুলিসবাহিনী ব্যারিকেড গড়ে। শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়া সিটি (Howrah Police) পুলিসের তরফ থেকে ব্যারিকেড করে রাখা হয় স্টেশন চত্বর। এমনকি এসএফআই কর্মীদের উপর নজর রাখতে পুলিসের পক্ষ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে চলে নজরদারি।
হাওড়া সিটি পুলিসের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে পুলিসের পদস্থ কর্তারা হাওড়া ব্রিজ এবং হাওড়া স্টেশনের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারিও করে। এদিকে, শিয়ালদহ থেকেও পুলিসি বাধা উপেক্ষা করে এসএফআই-এর একটি অংশের মিছিল বিধানসভার গেটে পৌঁছে যায়। কয়েকজনকে বিধানসভার গেটে উঠে পড়তে দেখা গিয়েছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা চত্বর। এসএফআই-এর কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের রীতিমতো ধস্তাধস্তির পর বিধানসভা গেটের পুলিসি ব্যরিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা। কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
পুলিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এমনকি টেনে হিঁচড়ে এসএফআই-র সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলার ছবি ধরা পড়ে সংবাদ মাধ্যমে। একাধিক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতারির অভিযোগ উঠেছে। বাম এই ছাত্র সংগঠনের দাবি, 'এসএফআই-এর কর্মীদের আটকাতে পারেনি পুলিস। আমরা বলেছিলাম শুক্রবার মিছিল হবে এবং তা বিধানসভা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে তাতে আমরা সফল। এতো পুলিসি নিরাপত্তা সত্বেও এসএফআই-এর কর্মীদের মিছিল রুখতে পারেনি পুলিস।'
বৃহস্পতিবার রাতেই সুর চড়িয়েছিল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। সেই সুরেই শুক্রবার বেলা বাড়তেই বিরোধীদের বিক্ষোভে (Left and BJP) সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে অবরুদ্ধ কলকাতা এবং সল্টলেক (Kolkata and Saltlake)। বৃহস্পতিবার রাতে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের (TET 2014) জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এদিন সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করেছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই (SFI-DYFI)। দুই সংগঠনের নেতা মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্ত, প্রতিকুর রহমানরা ছিলেন প্রথম সারিতে। কিন্তু মিছিল শুরু আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিস। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বাম ছাত্র-যুবরা। কিন্তু ১৪৪ ধারা বলবতের কারণ দেখিয়ে সেই জমায়েত সরাতে গেলেই বাঁধে ধুন্ধুমার।
পুলিসের সঙ্গে ছাত্র-যুবদের হাতাহাতিতে অনেকের জামা ছিঁড়ে যায়। পরে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরানো হয় অবস্থানস্থল থেকে। ঠিক কতটা অঞ্চল এবং কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি? সেই প্রশ্ন এক পুলিসকর্তাকে করা হলে কোনও উত্তর দিতে চায়নি। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি সামলাতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় র্যাফ। মিনাক্ষ্মী, কলতান-সহ একাধিক বাম ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় করুণাময়ীতে। যদিও পুলিসের এই ধরপাকড়কে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ভয় পাচ্ছে বাংলার আন্দোলনকে।’’
পাশাপাশি শুক্রবার দুপুর গড়াতেই পথে নামে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মুরলিধর সেন লেন থেকে মিছিল শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই মিছিল ধর্মতলার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিস। রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ইন্দ্রনীল খাঁ-রা। কয়েক জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়ে। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র যানজট দেখা গিয়েছিল মধ্য কলকাতায়।
আনিস খানের খুনের (Anis Khan) প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের রাজপথে সিপিএম ছাত্র এবং যুব সংগঠন (SFI DYFI)। প্রথমে শহিদ মিনার চত্বরে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমায়েত বাড়তে থাকায় বদলাতে হয় সভাস্থল। ওয়াই চ্যানেল থেকে সভামঞ্চ সরে আসে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। আনিস, সুদীপ্ত, মইদুল হত্যার প্রতিবাদ-সহ কর্মসংস্থান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভা (Insaf Rally)। বক্তব্য রাখেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় (Minaxi Mukherjee), সৃজন ভট্টাচার্য-সহ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এই মিছিল থেকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, 'পুলিস বলেছিল, মূলত কালীঘাট বলেছিল ধর্মতলায় মিছিল করতে দেব না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল ধর্মতলায় মিটিং করব।' সিপিএম যুবনেত্রী মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় জানান, কাজ পেতে হবে। যতক্ষণ না কাজ পাচ্ছি ধারাবাহিক লড়াই চলবে। ইনসাফ চেয়ে এই প্রতিবাদ সভা ছিল। ইনসাফ না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। আনিস খান খুনে অভিযুক্তদের সাজা প্রসঙ্গে মিনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়ের খোঁচা, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন কেন এখনও অভিযুক্তরা শাস্তি পেল না। আমরা তো প্রশ্ন করব।'
যদিও বাম ছাত্র-যুবদের এই মিছিলকে সিপিমূল-র মিছিল বলে তোপ দাগেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, 'পুলিসকে বলে দেওয়া ছিল যারা মিছিলে আসবেন, তাঁদের জন্য কোনও অসুবিধা না হয়।' তবে এই মিছিলকে বৃহত্তর সভা আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'বামেদের মিছিলের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা পৃথক সভা ডেকেছে কর্মসূচি করেছে। তবে সভা-সমাবেশ দেখে যা মনে হয়েছে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটাই বৃহত্তর সমাবেশ।'