শরীরচর্চার জন্য রোজই দৌড়তে যান? তবে এবারই থেমে যান, কারণ বিশেষজ্ঞরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, দৌড়নোর (Running) থেকে হাঁটা (Walking) অনেক বেশি কার্যকরী। হাঁটা ও দৌড়নো দুই-ই কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ। দৌড়নো ও হাঁটা, এই দুটিতেই উপকার পাওয়া যায়।
এই দুই এক্সারসাইজের সঙ্গে সঙ্গে আপনি খুব জোরে জোরে শ্বাস নিতে শুরু করেন ও এতে হৃৎস্পন্দনও বেড়ে যায়। এটা হার্টের জন্য উপকারী তো বটেই অন্যদিকে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় ও যার ফলে আর্টেরিতে কোনওরকমের ব্লক থাকলে তা খুলে যায়। এতে হার্টের কোনও সমস্যা হওয়ার প্রবণতা কমে যায় ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে কম। এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, ডিমেনশিয়ার সমস্যাও কমে যায়।
এই দুই কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজই ভালো হার্টের পক্ষে। তবে চিকিৎসকের মতে, দৌড়নোর থেকে হাঁটা অনেক বেশি উপকারি। এতে হার্টের উপর স্ট্রেস কম পড়ে, অকাল প্রয়াণের সম্ভাবনাও কমে যায়। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। আবার যাঁদের হাঁটু, পিঠের ব্যথা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত হাঁটলে ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়।
কিছুদিন আগে ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির (Theft) ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় (Social Media)। তার ঠিক কয়েকমাস আগে গোটা একটা সেতু চুরি। কখনও মোবাইল টাওয়ার, আবার কখনও গোটা স্কুল চুরির ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা এবং অবশ্যই নেটপাড়ার বাসিন্দারা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল চলন্ত ট্রেন থেকে তেল চুরির (Oil Stealing) ঘটনা। ঘটনাস্থল সেই বিহার (Bihar)। বিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন আশ্চৰ্যজনক চুরির খবর প্রকাশ্যে আসছে।
সম্প্রতি সেই চুরির ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তেল ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ে ছুটছে একটি ট্রেন। যদিও ট্রেনের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। আর সেই ট্রেনের সঙ্গে বড় বড় পাত্র নিয়ে ছুটে চলেছে বেশ কয়েকজন লোক। পাত্রগুলি ট্যাঙ্কারের নিচে ধরে রেখেছেন। একটি পাত্রে তেল ভর্তি হলে আবার একটি পাত্র নিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গেই রেললাইন ধরে ছুটছেন। প্রাণের বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই তাঁদের মধ্যে।
Bihar: Thieves steal oil from moving train in Bihta to close out 2022 on a high. pic.twitter.com/eKBPSp5HPR
— KK (@krishnakakani08) December 4, 2022
সামান্য এদিক-ওদিক হলেই ট্রেনের নিচে পড়তে পারেন। একেবারে ভয়ের লেশমাত্র নেই তাঁদের মধ্যে। চুরি করে চলেছেন তেল। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে সেতু চুরির ঘটনাও ঘটেছিল বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়ার গ্রামে। তারপর ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির ঘটনা ঘটল মুজফফরপুরে। শুধু কি ট্রেনের ইঞ্জিন? একেবারেই নয়, একটি সেতুর নাট-বোল্ট খোলাও শুরু করেছিল চোরেরা। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যায় কয়েকজন। এবার চলন্ত ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এল।