দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আবারও ফেরানো হবে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধিনিষেধ। তবে তা লাগু হবে দীপাবলির পর থেকে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহ থেকেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। যদিও রবিবারই টুইট করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকের পর গোপাল রাই জানান, দূষণ পরিস্থিতির কারণে নভেম্বরের ১০ তারিখ সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে। বোর্ড পরীক্ষার কারণে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। অন্যদিকে ফেরানো হচ্ছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। দিল্লি সরকারের দাবি, রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। দিওয়ালির পর ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়াক ফ্রম হোমেরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্মাণ কার্য ও ধ্বংসকার্য বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানিক ধরে চলা ধোঁয়াশার জেরে রাজধানীতে ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়াও BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই থাকছে।
ফের মুম্বইয়ের (Mumbai) ব্যস্ত রাস্তায় দেখা মিলল এক অদ্ভূত ঘটনার। ফের একবার ট্রাফিক নিয়ম (Traffice Rules) লঙ্ঘন করার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হল। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তার ৭জন ছেলেকে চাপিয়ে চালাচ্ছে স্কুটি। এই দেখেই কোনও এক পথযাত্রী সেটির ভিডিও করেছেন। এরপর ভিডিও ভাইরাল হতেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিস থেকে জানানো হয়,অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, সেই ব্যক্তির নাম মুনাভর শাহ। সে একটি নারকেলের দোকান চালায় বলে জানা গিয়েছে। তাকেই দেখা গিয়েছে, স্কুটিতে সাত জন বালকদের নিয়ে স্কুটি চালাচ্ছে। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুজন, পাশে একজন, সিটে তিনজন বসে ও পিছনে একজন দাঁড়িয়ে। এইভাবেই চলছে স্কুটি। জানা গিয়েছে, এই সাতজনের মধ্যে চারজনই তার সন্তান ও বাকিরা তার প্রতিবেশীর সন্তান। এই দেখে রাস্তার কেউ একজন এই কাণ্ডের ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ।
এরপর এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুম্বই ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও এই ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
Not the ride we support!
— Mumbai Traffic Police (@MTPHereToHelp) June 25, 2023
This rider had put the life of all pillion riders and others in danger.
A serious offence u/sec 308 IPC for attempt to commit culpable homicide not amounting to murder has been registered against the accused rider. #FollowRules #SetRightExample https://t.co/PKgCY0grhN pic.twitter.com/q2VmoRi8oj
কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল চলন্ত এসইউভি গাড়ির বনেটের উপর কনে সেজে বসে রিলস বানাচ্ছেন এক মহিলা। আর সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে (Social Media) ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে যায়। এবারে ফের এমন ধরনের এক ভিডিও নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা চোখের আড়াল হয়নি পুলিসের। গাড়ির ছাদে উঠে পুশ-আপ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আবার গাড়ির জানালা দিয়ে আরও তিন জন যুবক মাথা বের করে দিয়ে ঝুলছে, এমনটাও দেখা গেল ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video)। ঘটনাটি গুরুগ্রামের (Gurugram)। এই ভিডিও পুলিসের চোখে পড়তেই সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে গুরুগ্রাম পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম লোকেশ। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করার ফলে তাকে আটক করা হয় ও তার নামে ৬ হাজার ৫০০ টাকার চালান কাটে ট্রাফিক পুলিস। চলন্ত গাড়িতে পুশ-আপ করার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন প্রদীপ দুবে নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী। এরপর এই ভিডিও গুরুগ্রাম পুলিসের নজরে আসতেই ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
গুরুগ্রামের ট্রাফিক পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, 'যে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছে, তার নামে ৬ হাজার ৫০০ টাকার চালান কাটা হয়েছে। আমরা প্রত্যেককে অনুরোধ করছি এভাবে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে নিজেদের ও অন্যদের জীবন বিপদে ফেলবেন না।'
কাজের জায়াগা বা অফিসে কোনওরকমের কথা বলা যাবে না, বন্ধুত্ব করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশিকা এক বেসরকারি সংস্থার। আর সেই নির্দেশকার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে হইহই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। আমাদের সারাদিনের প্রায় অনেকটা সময় অফিসেই থাকতে হয়। ফলে কাজ করার সূত্রে অনেক সহকর্মীদের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁদের মধ্যে এক সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে কাজ করার ফাঁকে একটু গল্প, আড্ডা, মজা করতে দেখাই যায়। কিন্তু এবারে এগুলোর কোনওটাই করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল সেই সংস্থার কর্তৃপক্ষ।
সেই সংস্থারই এক কর্মী সমাজমাধ্যমে সেই নির্দেশিকার ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, 'কাজ করার জায়গায় কোনও মজা করা যাবে না। এটা আপনাদের কাজ। কাজের সময় অন্য কোনও কথা আলোচনা না করা যাবে না। কোনও বন্ধুত্ব করা যাবে না। ফোন নম্বরও দেওয়া যাবে না। কোনও কর্মী যদি কাজের সময়ে এসব কিছু করেন, কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।' এই নির্দেশিকায় সেই সংস্থার মালিকের স্বাক্ষরও রয়েছে।
এই মেমোর ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেও সমালোচনা শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা 'টক্সিক' বলে উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই সেই সংস্থার মালিককে কটূক্তি করতে ছাড়েননি।
অজয় নগর মোড়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত এবং নিগৃহীত এক পুলিস (Kolkata Police) অফিসার। নাকা চেকিং (Naka Checking) চলাকালীন ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক বাইকারকে কেস দিতেই ঝামেলার সূত্রপাত। যদিও পুলিস নিগ্রহের (Assaulted to Police) ঘটনায় গ্রেফতার ৪। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পুলিসকর্মীকে আহত হয়েছেন। অভিযুক্তদের শারীরিক নিগ্রহের তাঁর দেহে চোট লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ সার্ভে পার্ক থানা এবং পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের যৌথ নাকা চেকিং চলছিল। অজয় নগর মোড়ে সেই সময় ঘটে এই পুলিসকে হেনস্থার ঘটনা।
পুলিস সূত্রের খবর, একজন বাইকার হেলমেট না পরায় তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়ান কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। ফলে মোটর ভেহিকেল আইন মোতাবেক তাঁর নামে কেস দেওয়া হয়। এরপরেই ঘতনাস্থলে কয়কেজন স্থানীয়কে নিয়ে এসে হাজির হয়েছিলেন ওই বাইকার। আক্রান্ত পুলিসকর্মীকে নিগ্রহ শুরু করেন তাঁরা।
সূত্রের দাবি, অন্তত ১৫ জন এসে দাবি করেন তাঁরা স্থানীয়। কেন স্থানীয়দের বিরুদ্ধে এভাবে কেস দিচ্ছে পুলিস? এই প্রশ্ন করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এই বচসার মধ্যেই ৪ জন অন ডিউটি পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে ধাক্কা মারেন। এতেই পড়ে গিয়ে সামান্য চোট পান ওই ট্রাফিক অফিসার। সুমন কল্যাণ ঢাক নামে ওই পুলিসকর্মীকেই সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকেই চার জনকে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীকে শারীরিক নিগ্রহের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন বলাই দাস, পানু কুন্ডু, আদিত্য সাহা এবং পলাশ হালদার। পুলিস সূত্রের খবর, জমায়েত করা স্থানীয়দের মধ্যে অধিকাংশ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার কোর্টে তোলা হয়েছে।
এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক সংস্থা কাতার (Qatar World Cup)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে নাগরিক নিয়ম বড় বালাই। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য, এবং সঙ্গী পুরুষ থাকলে প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলে নাগরিকদের উপর। সেই নিয়মের বেড়াজালে পড়তে চলেছেন বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশী পর্যটকরাও (Foreign Tourist)। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যম বিশ্বকাপ (World Cup 2022) আয়োজক কমিটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে। জানা গিয়েছে, কাতারে মহিলারা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না। তেমনই বিদেশী পর্যটক কোনও খোলামেলা পোশাক পরতে পারবেন না। প্রকাশ্যে ঘুরলে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে, খোলা রাখা যাবে না কাঁধও। অর্থাৎ অফ শোল্ডার পোশাক (Dress Code), কোনওভাবেই কাতারে পরতে পারবেন না বিদেশী মহিলারা।
এই নিয়মের অন্যথা হলে জেল পর্যন্ত হতে পারে নিয়ম ভঙ্গকারীদের। জানা গিয়েছে, শুধু স্টেডিয়ামের বাইরে নয় সে দেশের যেকোনও জনবহুল স্থান, এমনকি স্টেডিয়ামের ভিতরেও মহিলাদের এই নিয়ম পালন করতে হবে। স্টেডিয়ামের ভিতর কে কী করছেন বা কী পোশাক পরছেন, তা তদারকিতে প্রত্যেক স্টেডিয়ামে বিশেষ ক্যামেরা বসিয়েছেন আয়োজকরা। বিশেষ কোনও পোশাক পরার হুলিয়া জারি না থাকলেও, খোলামেলা পোশাক পরলেই কাতারে আইনি পদক্ষেপ অবশ্যসম্ভাবী। এমনটাই জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম।
এই বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা তথা বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফার বক্তব্য স্পষ্ট। তারা জানিয়েছে, দর্শকরা চাইলে ইচ্ছানুযায়ী পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু তাঁদের কাছে অনুরোধ, আয়োজক দেশের আইনের কথা মাথায় রেখে যাতে তাঁরা পোশাক বাছেন।
পাশাপাশি বান্ধবী বা স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে গেলেও বিশেষ বিধিনিষেধের মধ্যে পড়বেন বিদেশী পর্যটকরা। রাস্তায় তাঁরা বান্ধবী বা স্ত্রীয়ের হাত ধরে হাঁটতেই পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে জড়িয়ে না ধরাই ভাল। প্রকাশ্যে স্থানে চুম্বন সে দেশে একেবারে নিষিদ্ধ। তাই প্রিয় দলের আনন্দে যাতে বান্ধবী বা স্ত্রীকে চুমু খেয়ে বসবেন না তাহলেই বিপদ।
দুঃসংবাদ! করোনাকালে (Covid Time) যাঁরা ফেসবুকে লাইভে (Facebook Live) এসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন, বা যাঁরা ফেসবুকে প্রথম থেকেই নানা পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতেন লাইভে গিয়ে তাঁদের জন্য খারাপ খবর। এই তারিখের পর থেকে লাইভে আর কেনাবেচা করা যাবে না পণ্য।
সম্প্রতিই ফেসবুক তাদের বিজনেস হেল্প পেজে এই তথ্য জানিয়েছে। ফেসবুকের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, "২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ফেসবুকে আর কোনও লাইভ বা শিডিউল শপিং ইভেন্ট পোস্ট করা যাবে না"। মেটা (Meta) সংস্থা, যার অধীনে রয়েছে ফেসবুক, তাদের তরফেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
অনলাইন যুগে দাঁড়িয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে (Facebook New Rules)সাধুবাদ জানাচ্ছেন না কেউ। লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস এখন সংশয়ে। বিশেষ করে মহিলারা বাড়ি বসে সংসার সামলে উপার্জনের নতুন রাস্তা পেয়েছিলেন। জামাকাপড় থেকে জুতো, ঘর সাজানোর টুকিটাকি পণ্য থেকে রূপচর্চার নানা জিনিস সবই বিক্রি হত ফেসবুকে। ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে সহজে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ফলে অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যমের উপরও প্রভাব পড়তে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের রিল ভিডিও-র উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা হল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কম সময়ের, ছোট ভিডিও দেখার প্রবণতা বেড়েছে। দীর্ঘ সময়ের ভিডিও দেখছেন না তাঁরা। এর বদলে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিল দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সকলে। সেকারণেই এ সিদ্ধান্ত।
মেটার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবরের পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাইভ আসতে পারলেও, সেখানে কোনও পণ্য সংক্রান্ত প্লে-লিস্ট তৈরি বা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন না। এর বদলে রিল ভিডিও ব্যবহারকারীরা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন। তবে ফেসবুক লাইভের মতোই রিলেও একই ধরনের ফিচার্স থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মেটা সংস্থা।
এতদিন লাইভ শপিং ইভেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবসায়ীরা ফলোয়ারদের জন্য পণ্যের ভিডিও তৈরি করত। ব্যাপারটা অনেকটাই পারসোনাল হোম শপিং নেটওয়ার্কের মতোই। এখানে একজন মার্চেন্ট তার ফলোয়ারদের আসন্ন লাইভ শপিং সেশনের নোটিফিকেশন দিতে পারত এবং মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারত। তবে অক্টোবরের পর থেকে আর তা হচ্ছে না।