আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ পত্র পাঠালেন মহকুমা শাসক এবং পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে। নিজের দলের কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরেই প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। ফলে আবারও একবার প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের অন্দরের কোন্দল।
নিজের পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও, ক্যামেরার সামনে তাঁর কারণ বলতে চাননি তিনি। যদিও তিনি দাবি করেছেন তাঁর সাথে যা ঘটেছে, সেটা নিজের ও দলের কাছে লজ্জার বিষয়।
সূত্রের খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারী, সরস্বতী পুজোর দিন নিজের দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। এরপরই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তা এখনও গৃহীত হয়নি। অরূপ হাজরা আরও জানান, তিনি আতঙ্কিত। যদিও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা কাউকে তিনি এ বিষয়টি জানাননি।
কেন কাউন্সিলরকে আক্রান্ত হতে হল দলীয় কর্মীদের হাতে? তবে কি দলের কাউন্সিলররাই এখন দলে সুরক্ষিত নন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে এই ধরনের ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদলকে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।