ঘোষণামতোই মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি নিজের পদত্যাগ পত্র ডাকযোগে পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে। কোনও রাখডাক না রেখেই ইস্তফা পত্র দিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে জানান, 'আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি'। আগামী ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শাসক দলের অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতির ময়দানে নামলেন বলে এদিন জানালেন।
তৃণমূলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'শাসক দল আমাকে নানাভাবে অপমান করেছে। তৃণমূল আর বেশিদিন নেই, ভিতরে ভিতরে ভাঙছে। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এটা একটা যাত্রাপার্টির দল। কয়েকজন ভালোমানুষ রয়েছেন তৃণমূল দলে, তাঁরা না বুঝেই ঢুকে পড়েছেন।'
অন্যদিকে মোদীর প্রশংসা শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। অত্যন্ত কঠোর, পরিশ্রমী একজন ব্যক্তি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বিজেপিতে মানুষের হয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। সেদিনই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আজ, মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
রবিবার বেলা গড়াতেই উঠে এল বড় খবর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। রবিবারই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আগামী মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
এক্স হ্যান্ডেলে জল্পনার সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে। তখনই নিরবতা ভাঙলেন অভিমানি কুণাল। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পদ ছাড়ার কথা শুত্রবার কুণাল ঘোষের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে সামনে এসে যায়। তিনি লিখলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। তৃণমূল কংগ্রেস আমার দল।’সরকারি নিরাপত্তার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের whats app গ্রুপও ছাড়লেন কুণাল।
কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরক পোস্ট করা হয়। তখন থেকেই সকলের মনে দানা বাধছিল তৃণমূলের অন্দরে একটা কিছু চলছে। শুক্রবার সকালে আচমকাই দেখা গেল সেই পোস্টটি উধাও। এমনকী এক্স হ্যান্ডলের বায়ো থেকে রাজনীতিবিদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পরিচয়ও মুছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এখন তাঁর পরিচয় শুধুই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন এমন করলেন কুণাল ?
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ পোস্ট করেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কারুর নাম উল্লেখ না করলেও কলকাতা উত্তর লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করে যে কুণালের এই পোস্ট তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারুর। পোষ্ট করে তিনি লেখেন নরেন্দ্র মোদীর কুৎসার বিরোধিতা যুক্তিতে ধুয়ে দেওয়া যায়।নাম না করে সুদীপকে কটাক্ষ করে লিখেছেন রোজভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলেস পড়িয়ে রেখেছেন মোদী। শুক্রবার সিএনকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে সুদীপকে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল।
অন্যদিকে সূত্রের খবর গত দু বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাজ করছেন কুণাল ঘোষ।কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই হলদিয়ায় অস্থায়ী বাড়িও নিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন কুণাল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাটাই বৈঠক থেকে শুরু করে গ্রাম সভা সবটা করেছেন গোটা জেলা জুড়ে।দুই সাংগঠনিক জেলা কাঁথি এবং তমলুক ছুটে গিয়েছেন দলের প্রয়োজনে।আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সুদীপ। সেখানে ডাক পাননি কুণাল ঘোষ । শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকেও ডাক পাননি তিনি।যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। আর এরপরই ক্ষোভে বিস্ফোরক পোস্ট। অভিমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কুণাল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘাসফুলের অন্দরে এই অশান্ত বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় দলের অস্বস্তি যে আরও বাড়লো তা বলাইবাহুল্য।
আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ পত্র পাঠালেন মহকুমা শাসক এবং পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে। নিজের দলের কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরেই প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। ফলে আবারও একবার প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের অন্দরের কোন্দল।
নিজের পদত্যাগের কথা স্বীকার করলেও, ক্যামেরার সামনে তাঁর কারণ বলতে চাননি তিনি। যদিও তিনি দাবি করেছেন তাঁর সাথে যা ঘটেছে, সেটা নিজের ও দলের কাছে লজ্জার বিষয়।
সূত্রের খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারী, সরস্বতী পুজোর দিন নিজের দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ হাজরা। এরপরই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তা এখনও গৃহীত হয়নি। অরূপ হাজরা আরও জানান, তিনি আতঙ্কিত। যদিও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা কাউকে তিনি এ বিষয়টি জানাননি।
কেন কাউন্সিলরকে আক্রান্ত হতে হল দলীয় কর্মীদের হাতে? তবে কি দলের কাউন্সিলররাই এখন দলে সুরক্ষিত নন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে এই ধরনের ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদলকে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা নিলেন মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অপমানের অভিযোগ তুলেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।যদিও এখনও পর্যন্ত ইস্তফা গ্রহন করা হয়নি। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি জানিয়েছেন, রাজনীতি আমার জন্য় নয়। পলিটিক্স আমি বুঝতে পারি না। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না। দিদিকে আমি আমার সমস্য়ার কথা জানিয়েছি।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে মিমি চক্রবর্তী বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে বৈঠক করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে মিমি নিজেই জানান, তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও দিদি এখনও পর্যন্ত ইস্তফা গ্রহন করেননি। তবে দিদি দ্রুত ব্য়বস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
অনেকের মতে, তবে কি এবার দেবের পথ ধরেই হাঁটতে চলছেন তৃণমূল সাংসদ মিমি। সম্প্রতি ঘাটালের সাংসদ দেব নিজের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিল। কিন্তু তারপর ফের রাজনীতিতেই ফিরেছেন অভিনেতা। তাই এবার সকলের দেবে মতই কি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন মিমি!
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।
কিছুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ শোনা গিয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের মুখে। দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পারছেন না। আর এবার শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং মানসিক চাপ তৈরির অভিযোগ আনলেন কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে চিঠি পাঠালেন তিনি।
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, মনমর্জিমত বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরে থেকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন বহিরাগতদের যাতায়াতের উন্মুক্ত ক্ষেত্র, কোনও অনুশাসন নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, ন্যূনতম শিষ্টাচারও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাতাবরণ কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বহিরাগতদের দাপট এবং শিক্ষাঙ্গনে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ দিনের পর দিন যন্ত্রণার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত কারণেই সরে যেতে চান যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তবে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের গর্ভনিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমারের প্রতিক্রিয়া, অধ্যক্ষ তাকে সরাসরি কিছু জানাননি, তবে তিনি চিঠি পাঠিয়ে থাকলে গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ, উপাচার্য থেকে অধ্যাপকদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ যেন ঘুরিয়েফিরিয়ে একই। প্রশ্ন উঠছে, খোদ অধ্যাপক থেকে উপাচার্যরা যেখানে আতঙ্কিত, সেখানে কিভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা? কেন শিক্ষাঙ্গনে সুপরিচালনার লক্ষ্যে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন? যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ যেন সেই প্রশ্নই আবার তুলে দিল।
কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ঝালদা পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। বৃহস্পতিবারই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। গত বুধবার রাতে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত ৫ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন।
পূর্ণিমা মাহাতো জানিয়েছেন, দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'নৈতিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।'
বাঘমুন্ডির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতর সঙ্গে কথা বলেই পূর্ণিমা তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন। অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে ঝালদা পুরসভার দখল পায় কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাই কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, পুরপ্রধান হবেন দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা। আর পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হন।
হুমকি চিঠি পাওয়ার পর ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও অ্যাসিস্টান্ট রেজিস্টার খুনের হুমকি চিঠি পান। এর জেরেই ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার উপাচার্যের কাছে ইস্তফা প্রত্ৰ দেন রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসু। যদিও সেই ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের ক্যাম্পাসের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। এরপর থেকেই র্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। এ ঘটনায় এখনও অবধি ১৩জন গ্রেফতার হয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এ ঘটনায় মূল চক্রী সৌরভ চৌধুরীর নামে এবার পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, গতকাল দুটি চিঠিতে রেজিস্টার ও অতিরিক্ত রেজিস্টারের বিরুদ্ধে সৌরভ চৌধুরীকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয় পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় খুনের হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। যদিও এ ঘটনায় যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের মাঝেই ইস্তফা দিলেন বিজ্ঞান বিভাগের ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি। তাঁর পদত্যাগ ঘিরে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রও রয়েছে। এই ঘটনার পরেই অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। কিন্তু রবিবার সকালে তাঁর পদত্যেগের বিষয়টি সামনে আসে।
এদিকে যাদবপুর নিয়ে প্রায় ১০দিন ধরে জলঘোলা চলছে। ছাত্র মৃত্যর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। এই ঘটনার পর শনিবার রাতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ওই পদে বসানো হয়েছে
বাড়ির অনতিদূরেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary School) শিক্ষিকা (Teacher) অনুব্রত কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা মণ্ডল। ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুলে না গিয়েই বেতন নিতেন, এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেও অনেক দিন হল তাঁকে স্কুলে আসতে দেখছেন না স্থানীয়রা।
এদিকে সুকন্যা ছুটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলার প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। সূত্রের খবর, বাবার গ্রেফতারের পর নিয়োগ-বিতর্ক এড়াতে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুকন্যা। যদিও, প্রলয় নায়েক জানাচ্ছেন, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে আমি জানি।
অন্যদিন স্কুলের বর্তমান শিক্ষকরা সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে, সুকন্যার বিষয়ে কিছু না বলতে।