প্রসূন গুপ্ত: নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর কিছু বিতর্কিত কাজের মধ্যে ছিল নোটবন্দি (Note Ban)। অর্থ দপ্তর এবং তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank) প্রধানের সঙ্গে কথা বলেই নাকি ছিল এই নোট বাতিলের ঘটনা। বাতিল হয়েছিল ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট। পরিবর্তে চালু হয়েছিল নতুন ৫০০ টাকা, ২০০০ টাকার নোট। একই সাথে বাজারে স্তরে স্তরে এসেছিলো নতুন ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ও ১০ টাকা এবং ৫ টাকার নোট। অভিনত্ব ছিল যা তা অভূতপূর্ব। ২০০০ টাকা এবং ২০০ টাকা ছাপা হয়েছিল কিন্তু ১০০০ টাকা যে কেন উধাও হয়েছিল তার সদুত্তর দিতে পারেন নি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি। তিনি মিডিয়ার সামনে নোট বাতিল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেই চান নি। একই সাথে আজ বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়েছে ১ টাকা ও দু টাকার পুরাতন নোট। চালু হয়েছে কয়েন। ১ টাকা ২ টাকা ৫ টাকা ১০ টাকার কয়েন। মজার বিষয়ে এই মুহূর্তে ১ টাকায় দেশলাই ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। ১ টাকা আজ শুধু সহযোগী অর্থ।
এই নোট বাতিল নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জনগণের কাছে বলেছিলেন যে, কালো টাকা ধরবার জন্যই নাকি নোট বাতিল করা হয়েছে কিন্তু দেখা গিয়েছে খুব বেশি অর্থ কালোবাজারিদের কাছ থেকে পাওয়া যায় নি। ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে যা প্রচুর টাকা জমা পড়েছিল এবং সেসব পাকা এবং সাদা। এই ঘটনায় বিস্তর প্রতিবাদ এসেছিল বিরোধীদের কাছ থেকে, সে সমস্ত আমল দেয় নি সরকার। এবারে ফের ওই গোলাপি রঙের দু হাজার টাকার নোট বাতিল হলো, তবে সময় দেওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বর অবধি পরিবর্তন করার জন্য। প্রশ্ন থাকতেই পারে কেন ফের বাতিল করা হচ্ছে দু হাজারি নোট। এর কোনও উত্তর না পাওয়া গেলেও কানাঘুষোয় জানা যাচ্ছে এই দু হাজারি নোটের নাকি অসংখ্য জাল নোট বাজারে ছেয়ে গিয়েছে তাই এই বাতিল। প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা যে, গতবারে নতুন নোট ছাপাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে ফের খরচ কেন সরকারের?