উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে হইচই পড়েছিল ২০১৮ সালে। দাড়িভিটকাণ্ডের তদন্ত এখনও বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় আগামী সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-কে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে দশ মাস কেটে গেলেও, এনআইএ-কে রাজ্যের তরফ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই না, দশ মাস কেটে যাওয়ার পরেও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি রাজ্যের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি মামলার জল আদালতে গড়ায় আরও দূর। সিঙ্গল বেঞ্চের এনআইএ তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চের। সেখানেও মুখ পোড়ে রাজ্যের। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল থাকে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকাও এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, গত বছরের মে মাসেই রাজ্যের আদালত অবমাননার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের ওপর করেছিলেন রুল জারি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগের শুনানিতে সেই নির্দেশেও কোনও স্থগিতাদেশ নয়- জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পষ্ট। এবার, শুক্রবার মামলার শুনানিতেও অনুপস্থিত তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ওপর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। রাজ্যের ওপর রুল জারি করে তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সর্বাধিক পদে বসে থাকার পরও আদালতের নির্দেশ মানছেন না, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই- বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির।
এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং এডিজি সিআইডিকে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা জানান, এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা এতটা উচ্চপদস্থ হয়ে গিয়েছে যে আদালতের নির্দেশও তাঁরা মানতে পারছেন না! আদালত আরও একটা সুযোগ দিল। তাঁরা যদি আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা না দেন, তবে আরও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাববে আদালত।
সন্তান (Children) নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। একথা নিজেই এক সাক্ষাৎাকারে (Interview) জানালেন। তবে সেই পরিকল্পনা পূরণ হয়নি তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইদে মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'কিসি কা ভাই কিসি কি জান'। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। আর এই ছবির জন্যই ভাইজান এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর বাবা হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেছেন।
সম্প্রতি টিভি চ্যানেলে এক শো-তে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানেই সঞ্চালক সলমনকে তাঁর বিয়ে নিয়ে ফের প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই তিনি বলেন, 'আমার পরিকল্পনা ছিল। তবে স্ত্রীয়ের জন্য নয়, এক সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার। কিন্তু ভারতীয় আইনে তা সম্ভব নয়। দেখা যাক কী করা যায়।' বাচ্চাদের প্রতি সলমনের যে কতটা টান রয়েছে, তা বারবার দেখা যায় সমাজমাধ্যমে। তাঁর নিজের সন্তান না থাকলেও তাঁকে তাঁর ভাইপো আহিল শর্মার সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে দেখা যায়। ফলে এবারে বাবা না হওয়ার আক্ষেপ দেখা গেল তাঁর কথায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, সঞ্চালক করণ জোহরের উদাহরণ দিয়ে বললে সলমন জানান, তিনিও সেভাবেই সন্তান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইন বদলে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর তিনি বলেন, 'তবে আমার সন্তানের মা আমার স্ত্রী-ই হবে।'
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন, তাই পাওয়া যাবে না থাকার ঘর! এমনটাই সম্প্রতি একটি পোস্ট শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক বাড়ির মালিক এক ব্যক্তিকে ঘর ভাড়া দিতে নারাজ। কারণ তিনি পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন। এই বিষয়টি সমাজমাধ্যমের দৌলতে নেটিজেনদের (Netizens) মধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। তাঁদের প্রশ্ন, 'এমনটাও হয় নাকি আার?' কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল যে,বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ঘর ভাড়া পেতে গেলে দিতে হবে ইন্টারভিউ। এবারে খবর এসেছে, ঘর ভাড়া পেতে মার্কশিটে থাকতে হবে ভুঁড়িভুঁড়ি নম্বর।
কথায় আছে, মার্কশিটের নম্বর দিয়ে ভবিষ্যত বিচার করা যায় না। কিন্তু এবারে দেখা গেল, ভবিষ্যত বিচার করা না গেলেও নম্বর দিয়ে বেঙ্গালুরুতে ঘর ভাড়া পাওয়া যেতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি ঘর ভাড়া পাওয়ার জন্য সমস্ত তথ্য দিয়েছে। তবে তিনি ঘর ভাড়া পাবেন না কারণ তাঁর দশম শ্রেণির নম্বর মাত্র ৭৫ শতাংশ। এই মেসেজ দেখে রীতিমতো হতবাক সেই ব্যক্তি। এরপর এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের কমেন্টে ভরে গিয়েছে। অনেকে লিখেছেন, 'আমি এর থেকেও কম ডকুমেন্ট চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য দিয়েছি।'
নিজেদের সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করে বড় করে তোলা বাবা-মায়েদের এক বড় কাজ। কীভাবে তাঁদের ভালো আদর্শ দিয়ে বড় করে তুলবেন, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। বিশেষ করে এই প্রজন্মের বাবা-মায়েরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত। অনেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য কঠোর হয়ে পড়েন। ফলে বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কথা বলেছেন, যা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বলা উচিত না।
বাচ্চাদের প্রত্যেকদিনই তাদের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে তাদের উপর কখনও নিজেদের কোনও ভাবনা চাপিয়ে দেওয়া উচিত না। তাদেরকে তাদের মত বড় হতে দেওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের কখনও 'স্টুপিড', 'মিথ্যাবাদী' বলে ডাকা উচিত না। এতে শিশুদের নিজের প্রতি বিশ্বাস কমে যায়। তাদের কখনও স্বার্থপর বলাও উচিত নয়। কারণ বাচ্চারা সাধারণত বড়দের অত ভাবনা-চিন্তা বুঝতে পারে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা নিজেরাই বুঝতে পারে।
আবার সন্তানদের বেশি মাথায় চড়ানোও যাবে না। বাবা-মায়েদের বিশেষজ্ঞরা বিশেষ করে জানিয়েছেন যে, সন্তানদের সামনে যেন কোনও গালিগালাজ না করা হয়। তাদের কোনও কাজে প্রশংসা করতে পারেন আপনারা, তবে স্মার্ট, জীবনে ব্যর্থ, অলস এসব বলে কটূক্তি করতে যাবেন না। এসব বললে সন্তানদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেলখানার (Jail) একটি কক্ষ ভাড়া (Rented) নেন এক যুবক। কোথাও পছন্দ মতো বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়নি তাই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি যুবকের। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মন্থন গুপ্ত। বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একা থাকার মতো একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ঘর খুঁজছিলেন তিনি। তবে পছন্দ মতো ঘর মেলেনি। তাই থাকার জন্য অদ্ভুতভাবেই বেছে নিয়েছেন জেলখানাকে। এই বিষয়ে ওই যুবক নতুন ঘরের সেই ছবি সমাজমাধ্যমে (Social Media) প্রকাশ করে একটি টুইটও করেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
Finally found a fully furnished home in blr. Gated society and 24x7 security. pic.twitter.com/snSQIr9iPC
— Manthan Gupta (@manthanguptaa) March 31, 2023
টুইটারে মন্থন জানিয়েছেন, ‘‘জেলের মতো ওই ঘরটি খুবই ছোট। কয়েদির থাকার জন্য যেমনটা হয় আর কী! ঘরের একটি দরজা ও একটি জানলা। কোনও রকমে একটা খাট, একটি কাবার্ড এবং একটি টেবিল রয়েছে। দরজা, তা-ও আবার কাঠের নয়। দরজা বলতে লোহার গরাদ।’’ এমনকি ওই টুইটের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “অবশেষে একটি ঝকঝকে ঘর খুঁজে পেলাম বেঙ্গালুরুতে।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমার দুয়ারে ২৪ ঘণ্টা, সারা সপ্তাহ পাহারা থাকে। পুরোপুরি নিরাপত্তার মধ্যেই রয়েছে আমি।”
আজকাল চারপাশে যেন প্রতারণার (fraud) ফাঁদ পাতা, পা ফসকালেই বিপদ। কেবল সুযোগের অপেক্ষা। বাড়ি ভাড়া দেবেন বলে এক অনলাইন সাইটে (Online Site) বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বাড়ির মালকিন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে ফোন আসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) এক সদস্যের। তিনি বাড়ি ভাড়া (house rent) নিতে চান এবং তার জন্য অগ্রিম ভাড়াও দিয়ে রাখতে চান। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে বসেন প্রতারিত হওয়া ওই বাড়ির মালকিন।
মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলা তারপরই দেখেন তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৮ হাজার টাকা গায়েব। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ওই অভিযুক্ত নিজের ভুয়ো পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ওই মহিলাকে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনায় কর্মরত। কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বইয়ে বদলি হচ্ছেন। তাই তিনি বাড়ি ভাড়া খুঁজছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় পুলিসের সাহায্যে মথুরার মেহরানা অঞ্চল থেকে বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
অসহায় ছেলের চিকিৎসার জন্য পায়ে শিকল বেঁধে ঘুরছেন বাবা-মা। ছেলেকে কখনও সরকারি হাসপাতাল (Government Hospital) আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন গত আট বছর ধরে। কিন্তু হয়নি চিকিৎসা (treatment)। মঙ্গলবার সকালে মালদহ (Maldah) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন বাবা-মা। সেখানেই জানা যায়, ছেলের এই অবস্থাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। তাঁরা মালদহ জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা রোডের বৈরনাহি গ্রামের বাসিন্দা। ছেলে সেলিম আত্মার বয়স ১৮ বছর। বাবা জাকির হোসেন ও মা সেহেরা বিবি। জাকির বাবুর তিন ছেলে। সেলিম পরিবারে বড়।
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত আট বছর ধরে ছেলে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তারপর থেকেই পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য কখনও মালদহ আবার মুর্শিদাবাদের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও ছেলেকে ভর্তি নিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন কেউ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই পুনরায় ছেলেকে পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর ভর্তির কোনও সুরাহা হয়নি। আর অসহায় ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কখনও সরকারি হাসপাতাল আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতাল। ছেলেকে কোথায় রাখবেন বাবা-মা বুঝতে পারছেন না। থাকার জন্য নেই কোনও পাকা বাড়ি।
বাবা মায়ের কাতর আর্জি সরকারের কাছে, ছেলেকে এখন সরকারি কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানো হোক। কখন ছেলেকে ভর্তি করাতে পারবেন সেই অপেক্ষায় বসে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সামনে। বাবা মায়ের দাবি, ছেলেকে হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করলে অনেকটাই শান্তি পাবেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাকে মানসিক বিভাগে ভর্তি করেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় (Accident) বাবা-মা মারা গেলে বিবাহিত ছেলেরা বিমায় ধার্য করা (insurance compensation) ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহিত মেয়েরাও বাবা-মার দুর্ঘটনায় বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বলে একটি মামলার রায়দানে জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)।
সূত্রের খবর, মামলাটি ২০১২ সালের। উত্তর কর্ণাটকের হুবলিতে ৫৭ বছর বয়সি এক মহিলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, এক পুত্র এবং তিন বিবাহিত কন্যা বিমা সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। মৃত মহিলার পরিবার বাধ্য হয়ে বিমা সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হন। তারা বিমা সংস্থাটিকে বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে নারাজ ছিল বিমা সংস্থাটি। তারা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ওই মামলার রায় প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি এইচপি সন্দেশ বলেন, “আদালত কখনওই বিবাহিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারে না। মৃত ব্যক্তির বিবাহিত কন্যা বিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে বিতর্ক কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
প্রেমের পথে কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ভয়ংকর ঘটনা (Murder) ঘটিয়ে বসেছে ১৫ বছরের নাবালিকা প্রেমিকা (Daughter) এবং ৩৭ বছরের প্রেমিক। মঙ্গলবার তাদের দুজনকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুর (Jamshedpur) শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক মিলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বয়সে অনেকটা বড় হওয়ায় এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল বাবা (৪৫) এবং মা (৩৫)। তাই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল নাবালিকা। সেই মতো রবিবার ভোরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বেরনোর সময় বাবা-মার চোখে পড়ে যায়। নাবালিকাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ংকর আকার নেয় পরিস্থিতি।
নাবালিকার বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত যুবকটি। হইচই শুনে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এবং নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিক মিলে নাবালিকার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুন করে বলে পুলিস জানায়। জানা গিয়েছে, হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বাইরে রাখা স্কুটারে করে পালিয়ে যায় তারা।
সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুরের থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মৃতদেহ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। এরপর পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং তদন্তে নেমে ওমনগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই অভিযুক্ত নাবালিকা মেয়ে এবং প্রেমিককে। খুনে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার উদ্ধার করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায মামলা রুজু করা হযেছে।