অন্য মেজাজে রাজ্যপাল। ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসী দেখছেন এক অন্যরকম রাজ্যপালকে। যখন যেখানে প্রয়োজন, রাজ্যপাল হাজির হয়েছেন ঘটনাস্থলে। এবার টাটা স্টিলের উদ্যোগে রাজভবনের অনতিদূরে রেড রোডে উদ্বোধন হয় ম্যারাথনের। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে। উদ্বোধন মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল জানান, "ভারত দৌড়চ্ছে, কলকাতা দৌড়চ্ছে, বাংলা দৌড়চ্ছে, দৌড়চ্ছে পুরো পৃথিবী। আমরা সকলে দৌড়চ্ছি একতা, শান্তি,সম্প্রীতির জন্য।” তবে রাজনীতি, খেলাধুলার মধ্যে প্রবেশ করলে গন্ডগোল বাধে, তাই সকলের মধ্যে ‘স্পোর্টসম্যান’ স্পিরিট থাকা প্রয়োজনীয় বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্যপাল এদিন সকালে উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে ধরা দেন একেবারেই অন্য মেজাজে। তিনি যাচ্ছিলেন বলে, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিযোগীদের আটকে দেয়। তবে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল নিজে থেমে যান প্রতিযোগীদের জন্য। বলেন, "প্রতিযোগীরা নয়, আমি থামবো তাদের জন্য।" এরপর প্রতিযোগীদের সঙ্গে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে তাঁকে যেতে দেখা যায় রাজভবনের দিকে।
এর আগেও, মনে আছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যখন মারামারি, গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়? রাজ্যপাল সশরীরে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। তারপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা হোক কিংবা উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা- সব ক্ষেত্রেই রাজ্যপালকে দেখা গেছে বিপর্যয়গ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। এবার রাজ্যের সর্বোচ্চ নাগরিক হয়েও, ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সাথে একসঙ্গে রাজভবনে ফেরার দৃশ্য চোখে লেগে থাকল রাজ্যবাসীর।
দেশব্যাপী পালিত ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2023)। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা-সহ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রেড রোডও (Red Road Parade)। গত দু'বছর করোনার কারণে অনুষ্ঠানের জাঁকজমক। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শুরু হয় রেড রোড কুচকাওয়াজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। তিনি এই অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক কর্তব্য মেনে অভিবাদন গ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস।
উপস্থিত ছিলেন সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কুচকাওয়াজে ছিল কলকাতা পুলিসের তরফে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'-এর ট্যাবলো। ছিল ক্রীড়া-যুব কল্যাণ দফতরের তরফে বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ট্যাবলো। রাজ্যের তথ্য সম্প্রচার দফতরের তরফে বাংলার সংস্কৃতি দুর্গাপুজো নিয়ে ট্যাবলো ছিল রেড রোডে।
এই অনুষ্ঠানে দেশনায়ক-মনীষীদের ছবি নিয়ে ১০০ জন ছাত্রীর র্যালিও অংশগ্রহণ করেছিল। ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলের তরফ থেকে ছিল অংশগ্রহণ। অংশ নিয়েছিল দক্ষিণ সুন্দরবনের একটি স্কুল। পাশাপাশি বর্ধমান গভর্নমেন্ট মডেল মাদ্রাসা (ইংরেজী মাধ্যম) এই প্রথমবার অংশ নিয়েছিল কুচকাওয়াজে। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ গ্রহণ। এছাড়া বিভিন জেলা থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে।
ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর প্রথম রেড রোডে কার্নিভাল (Durga Puja Carnival)। ঢাকের বাদ্যি, গরবা নাচ, ধামসা-মাদল সব মিলে একেবারে সেজে উঠেছে জমজমাট পুজোর কার্নিভাল। উপস্থিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন, শনিবার মোট ৯৪টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে রেড রোডের (Red Road) কার্নিভালে। ক্লাব প্রতি ৫০ জনের প্রবেশের অনুমতি ছিল। বিদেশের বিভিন্ন অতিথিদের এদিন মঞ্চে দেখা যায়। এছাড়া তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পাশাপাশি টলিপাড়ার একাধিক তারকার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সবমিলিয়ে মোট ২ হাজার বিশেষ অতিথির উপস্থিতিতে শুরু হয় কার্নিভাল।
এদিন রেড রোডে বন্ধ রাখা হয়েছে যান চলাচল। ৮টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে কড়া নজরদারি। এছাড়া ১০টি সহায়তা কেন্দ্র এবং ৫টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২০০০ হাজার পুলিস কর্মী দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা রেড রোড চত্বর। ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এবং প্রতিটি জোনের দায়িত্বে রয়েছেন ১ জন ডিসি।
বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে শুরু হয় এই কার্নিভাল। কার্নিভাল ২০২২-এর সূচনা করে কলকাতা পুলিসের বিশেষ বাহিনী 'ডেয়ারডেভিল'। মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বসার মঞ্চ। জানা গিয়েছে, রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এই কার্নিভাল।
দু'বছর বন্ধ থাকার পর শনিবার রেড রোডে (Red Road) দুর্গাপুজা কার্নিভাল (Durga Puja Carnival)। আর এই আয়োজন ঘিরে তুঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেড রোড। এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২০০০ পুলিস মোতায়েন করা হবে। রেড রোড সংলগ্ন ময়দান চত্বরকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জোনের দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার। মূল জোন অর্থাৎ ভিভিআইপি জোনের দায়িত্বে ডিসি সেন্ট্রাল এবং ডিসি সাইবার। বসছে ৮টি ওয়াচ টাওয়ার, ১০টি পুলিস সহায়তা কেন্দ্র, ৫টি কিউআরটি। জানা গিয়েছে প্রায় ৯৫টি পুজো এই কার্নিভালে অংশ নেবে।
এদিকে, কার্নিভালে মূল অনুষ্ঠানের সূচনায় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দীক্ষা মঞ্জরি নাচের গ্রুপ। তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হবে কার্নিভাল। যদিও শনিবার মঞ্চে নাচতে দেখা যাবে না সৌরভ-পত্নীকে। সম্প্রতি চিকুনগুনিয়া সারিয়ে বার৪ই ফিরলেও চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে নাচতে বারণ করেছেন। তাই সেই পরামর্শ মেনেই রিহারাসালে উপস্থিত থাকলেও মূল অনুষ্ঠানে মঞ্চে না থাকার সম্ভাবনা ডোনার। এদিন ক্যালকাটা নিউজকে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি ভালো আছেন।
৮ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Puja Carnival)। কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গত দু'বছর করোনা পরিস্থিতির (Covid Situation) জন্য কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এবছর আবার কার্নিভালের আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Bengal Government)। শহরের সেরা অন্তত ১০০টি পুজো এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মণ্ডপ থেকে বের করে আনা হবে প্রতিমাগুলো। রাখা থাকবে রেড রোডে। কোন প্রতিমা কীভাবে রাখা হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই মেগা আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, অতিথিদের বসার ক্ষেত্রে তাই বিশেষ আয়োজন। একটি আয়োজনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য অতিথিরা। দ্বিতীয় আয়োজনে বসবেন মন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। তৃতীয় আয়োজনে বসবেন অন্য আমন্ত্রিত এবং অতিথিরা। এবং সব শেষে বাকি যারা টিকিট কেটে কার্নিভালে দেখবেন তাঁদের জন্য তৈরি আলাদা ব্যবস্থা। এমনটাই কলকাতা পুলিস এবং রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। পাশাপাশি শুক্রবার থেকেই রেড রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শুক্র এবং শনিবার বন্ধ থাকবে রেড রোড। তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড খলা থাকবে। খোলা থাকবে জাজেস ঘাট রোড এবং আউট্রাম রোড।
দীর্ঘ দু-বছর করোনা (COVID-19) মহামারি কাটিয়ে ফের রেড রোডে (red road) কুচকাওয়াজ। ভারতবর্ষের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে আনন্দ উৎসব পালন করা হচ্ছে। একই রকম ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিগত দুটি বছর করোনা সংক্রমণের কারণে বহু কর্মসূচি কাটছাঁট করেছিল রাজ্য সরকার। বন্ধ ছিল সমস্ত উৎসব। তবে এবার সংক্রমনের হার কম থাকায় পুনরায় নতুন উদ্যোগে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রেড রোডকে। এদিন আকাশ থেকে হেলকপ্টারে পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandhyapadhy)।
জানা যায়, রেড রোডের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের ১১ জন আইপিএসকে বিশেষ সম্মান প্রদান করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি, ডিআইজি র্যাঙ্কের দুজন আইপিএস অফিসার, কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার, হাওড়া পুলিস কমিশনারের বর্তমান পুলিস কমিশনার, এডিজি এইচপি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকরাও। তবে শুধুমাত্র এই বছর নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী চিফ মিনিস্টার পুলিস মডেল শীর্ষক এই সম্মানটি বেশ কিছু আইপিএস অফিসারদের তুলে দেন এমনটাই দেখা গিয়েছে।
এছাড়াও নবান্ন সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, রেড রোডের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি হাতে পদযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যাবে স্কুল পড়ুয়াদের। এদিন সেই ছবিই ধরা পড়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন একাধিক ট্যাবলো প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়। আর এই ট্যাবল গুলিতে কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, মাটির সৃষ্টি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন সহ রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি দেখানো হয়। একই সঙ্গে সামাজিক শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হবে একাধিক ট্যাবলোর মাধ্যমে। এছাড়াও জেলাগুলিতেও স্বাধীনতা দিবস পালনের বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয় নবান্নের তরফ থেকে।
গত দু'বছর করোনার (Corona) জন্য দর্শকশূন্য ছিল রেড রোড। এবার দর্শক (Visitor) নিয়ে পালিত হবে রেড রোডে ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান (Independence Day Programme)। তাই এবার থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা (Security)। বারোশো পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকবে গোটা চত্বরে। থাকবে কুইক রেসপন্স টিম।
রেড রোডে থাকবে ছটি ওয়াচ টাওয়ার। তিন জায়গায় বালির বস্তার বাঙ্কারে থাকবে কমান্ডো বাহিনী। যে বারোশো পুলিস কর্মী মোতায়েন থাকবে গোটা চত্বরে, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ছজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। সারা শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মোট তিন হাজার পুলিসকর্মী। রেড রোড চত্বরে থাকবে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম। থাকবে নটি টহলদারি ভ্যান। মেট্রো স্টেশনগুলিতেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা, সাথে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী।
রেড রোড সংলগ্ন চত্বর মোট ১৪ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। পুরো রেড রোড চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভিতে। গোটা শহরে ২৩ টি জায়গায় থাকবে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা।