সমবায় দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৫ অগাস্ট থেকেই তদন্ত শুরু করে ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু এতদিনেও নথি হস্তান্তর করেনি সিআইডি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
শুক্রবার রাজ্য সিআইডি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই আর্থিক দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকর হয়নি। মামলার নথি সিআইডি হস্তান্তর করেনি সিবিআই-কে। উল্টে আগের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে সিআইডি। চরম বিরক্ত বিচারপতি রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে বলে জানান তিনি। ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, 'গরীবের টাকা মেরে আপনারা ছেলেখেলা করছেন? কারা এই টাকা নিয়েছে, সিআইডি এতদিনেও জানে না। কিন্তু আমি জানি।' একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, সিআইডি-র থেকে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার আগামী ৩ দিনের মধ্যে তুলে দিতে হবে। পরের ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। তদন্ত করবে ইডিও। যদি নির্দেশ কার্যকর না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করা হবে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও নির্দেশ কার্যকরী করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সাত সকালেই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার সহ এলাকায়।
জানা যায়, মেঘনাথ বর তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বকাবকি করেন। মেয়ে বাবার বকুনি খেয়ে বুধবার সকালে অভিমানে ঘরে গিয়ে মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার দেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি শাড়ি কেটে মেয়েকে নিচে নামায়। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (hospital) পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে কালিতলা আশুতি থানার পুলিস (police)।
পরিবারের একমাত্র নাবালিকা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
বোনেরা ভুল করায় দাদা বকেছিল। আর এই বকাই (scolded) যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তা হয়ত কল্পনাতেও ভাবেননি সেই দাদা (Elder Brother)। দাদা বকাঝকা করায় আত্মসম্মানে লেগেছিল তাদের। তাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করে বসে ওরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলি জেলার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় (Nawabganj police station)।
পুলিস জানিয়েছে, সম্পর্কে খুড়তুতো বোন হয় ওই দুই কিশোরী। দুজনের বয়স ১৫ এবং ১৬ বছর। দাদার বকার পর পাশের গ্রামের একটি দোকান থেকে বিষ কিনে নিয়ে যায় তারা। তারপর একসঙ্গে দু'জনে বিষপান করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। আর চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় আরও একজন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করে। সেখানে স্বীকার করে নেয় তারা নিজেরাই বিষ খেয়েছে।