
আবারও চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। জানা গিয়েছে, নদীয়ার গাংনাপুর থানার অন্তর্গত রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াবাড়ি বিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ১৮-র ওই যুবক। নাম সায়ন দাস। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় সায়ন দাসকে। ঘটনার পরেই পরিবারের লোকজনকে জানালে তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ পরিবারের। এরপর হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় চাকদহ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এভিএস নেই। হাসপাতালের তরফ থেকে অযথা সময় নষ্ট করার অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু ঘটে সায়ন দাসের।
সায়ন রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে এন্টিভেনাম বা এবিএস না থাকায় একটি ছাত্রের মৃত্যুতে আবারো প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপের কামড়। সাপের কামড়ে সঠিক চিকিৎসা পেতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকদাহের স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টি ভেনাম বা এভিএস না থাকাই আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আর যার কারণেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হলো দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রকে। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
রাণাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫। তাঁদের মধ্যে ধৃত কুন্দন সিংই বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ-কে খুন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এমনই জানাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন রাজু ঝাঁ। একটি গাড়ি থেকে তিনজন নেমে এসে রাজুর গাড়ি ঘিরে ধরে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজু ঝাঁর। এবার সেই কুন্দনকেই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিস।
পুলিস ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে, সুপারি কিলার-দের সিন্ডিকেট চালাতেন কুন্দন। পুলিসের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই সিন্ডিকেটের জাল ছড়িয়ে। বর্তমানে সেই মডিউল কোথায় সক্রিয়, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। রানাঘাটের পুলিস জেলা সুপার কে কান্নন জানান, ধৃতদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডাকাতি ছাড়াও আরও কিছু সূত্র মারফত তথ্য এসেছে। তদন্তের স্বার্থে সব প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের একটি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল কুন্দন। রাণাঘাটে ইতিমধ্যেই এসেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিসের একটি দল। ২০২১ সালে আসানসোলের খুনের সুপারিও নিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিসের।
এএসআই রতন রায়, রানাঘাট থানা: হ্যাঁ আমার ওজন বেশি। ১০৪ কেজি। কিন্তু আমার মনে পুলিস প্রশাসনের জন্য অগাধ সম্মান। এর জন্য আমি অনেক কিছু করতে পারি। কখনও ভাবি নি পুলিসের মুখ উজ্জ্বল করার সুযোগ পাবো।
মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ফোন এলো, থানায় তখন ডিউটি অফিসার আমি। ফোনে বলল, 'স্যার সেনকো গোল্ডে ডাকাত পড়েছে, বাঁচান।' সঙ্গে সঙ্গে আরটি গাড়ি কোথায় খোঁজ নিলাম। দেখলাম ঘটনাস্থল থেকে আরটি গাড়ি বেশ খানিকটা দূরে। আমি তখন নিজেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওদিকে টেবিল ছাড়লেও বিপদ আর ঘটনাস্থলে না গেলেও বিপদ। তৎক্ষণাৎ একটি গাড়ি নিয়ে সঙ্গে ৩ জন কনস্টেবল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
পুলিস এসেছে টের পেয়ে দুষ্কৃতীরা পালানোর তোড়জোড় শুরু করে। আমি আগেই বুঝেছিলাম বুদ্ধি খাটিয়ে যেতে হবে। তাই পুলিসের পোশাক বদলে ফেলেছিলাম। ওদের বেরোতে দেখে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু মাত্র ৪ জন পুলিস নিয়ে তা সম্ভব ছিল না। আমাদের দেখেই ওরা গুলি চালাতে শুরু করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখে আমার বাকি কনস্টেবলরা রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। তখন আমি নিজেই দুষ্কৃতীদের তাড়া করি। তখন মাথায় ছিল না কি হবে, প্রাণ ভয়ও ছিল না। ভেবেছিলাম যা হবে দেখা যাবে। চিন্তা ছিল ওদের ধাওয়া করার সময় গুলি শেষ না হয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের পাল্টা গুলির মুখে প্রায় ৩০০ মিটার ধাওয়া করেছি ওদের। হাঁফিয়েও গিয়েছিলাম। তখন কেবল পুলিসের মান সম্মানের কথা ভেবেছি। তবে রিভলভার জং ধরা নয়। রিভলভার জং ধরা হলে গুলি চালাতে পারতাম না।
আসলে ছোটবেলা ভীষন লড়াইয়ের মধ্যেই কেটেছে। পুলিসে চাকরি করব স্বপ্ন ছিল। ১৯৯৬ সালে চাকরি পাই। ধীরে ধীরে শরীরেও স্থূলতা চলে আসে। এর জন্য অনেক টিটকিরি শুনতে হয়েছে। পুলিস মহলেই অনেকে আছে যারা টিটকিরি করেছে। আজ তারাই বাহবা দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই এএসআই পদোন্নতি হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই রানাঘাটের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনেক ফোন পেয়েছি, শুভেচ্ছা কুড়িয়েছি। আমাদের রানাঘাট জেলার এসপি ড: কে কান্নান সাহেব আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি পুলিসে চাকরি করি, এই আমার সৌভাগ্য। আমার আইসি সাহেবও আমাকে বাহবা দিয়েছেন। আজ মনে হচ্ছে স্থূলতা নিয়ে যারা আমাকে টিটকিরি করত তাঁদের জবাব দিয়েছি। কেবল জবাব নয়, নিজের জন্য নয়, পুলিসের জন্য আরও এমন কাজ করতে চাই।
"অনুলিখন: মণি ভট্টাচার্য"
রাজ্যের দুই প্রান্তে সেনকো সংস্থার গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আংশিক সাফল্য পেল পুলিশ। নদিয়ার রাণাঘাটের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। তবে, পুলিশ নিশ্চিত দুটি ক্ষেত্রেই ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীরা বিহারের বাসিন্দা। কেন রানাঘাট এবং পুরুলিয়ার দোকানকেই টার্গেট করা হল, সেই রহস্য ভেদ করতে মরিয়া পুলিশস।
রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বিহার থেকে একটি গ্যাং পুরো অপারেশনটি চালিয়েছে। লুটপাঠ চালানোর সময়ই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এবং তাদের ঘিরে ফেলে। সেসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতরা। পালটা জবাব দেয় পুলিশ আধিকারিকরা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিসের কাছে। সম্প্রতি পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, স্বপ্নদীপের ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন সৌরভ। মৃত্যুর আগে যখন পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন স্বপ্নদীপ, সেইসময় নাকি তাঁকে ঠিক করে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্বপ্নদীপের পরিবারের অভিযোগ, সব কিছুর পিছনে রয়েছেন সৌরভ চৌধুরী। এক সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, শনিবার সন্ধেবেলায় রানাঘাটের রথতলায় স্বপ্নদীপের বাড়ি যায় পুলিসের চার সদস্যের একটি দল। ঘণ্টাখানেক স্বপ্নদীপের মামার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, স্বপ্নদীপের মামারবাড়ি থেকে দুটি খাতাও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা, যেখানে হাতের লেখা ছিল স্বপ্নদীপের।
আগেই যাদবপুরের হস্টেলে স্বপ্নদীপের রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি হলুদ ডায়েরি। সেই ডায়েরির হাতের লেখা স্বপ্নদীপের কি না, তা যাচাই করতেই রানাঘাটের মামাবাড়ি থেকে দু’টি খাতা সংগ্রহ করে পুলিশ।
স্বপ্নদীপ কুন্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে স্বপ্নদীপের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। উঠে এসেছে ব়্যাগিং তত্ত্ব। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর পিছনে দায়ী সৌরভই। কিন্তু, অঙ্কে স্নাতকোত্তর সৌরভের দাবি, তিনি নির্দোষ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সৌরভকে ফাঁসানো হচ্ছে।
মায়ের কাতর কণ্ঠ, ‘ছেলেটা মরে গেলে খোঁজ ও পেতাম না’। করমণ্ডলে (Coromondal) চেপে চেন্নাইয়ে (Chennai) কাজে যাচ্ছিলেন রানাঘাট (Ranaghat) হবিবপুর দোয়ার পাড়ার সুখেন রায়। সাক্ষাৎ মৃত্যুদ্বার থেকে ফিরলেন যেন তিনি। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। বিকেল ৬.৩০টা, জানলার ধরে বসেছিলেন সুখেন। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বগি। লাইনে আগুন লেগে যায়। উল্টে পড়ে যাত্রীরা, তিনি নিজেও। কোনওক্রমে বের হয়ে আসেন সুখেন বাবু , সঙ্গে আরও কিছু যাত্রীদেরও বের করে আনেন। বাইরে তখন রণক্ষেত্র, চিৎকার হাহাকার, মৃত্যুর কোলাহল। সেসবের ধার ঘেঁষেই ঘরের ছেলে ফিরে আসে ঘরে। পরিবারের সকলেও ছেলেকে ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওড়িশার করমন্ডল এক্সপ্রেসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাজ্যের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের ১ লক্ষ, জখমদের ৫০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য। ওড়িশায় রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই ঘোষণা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের আহতদের কলকাতা ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে রাজ্য
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তরুণীকে শ্লীলতাহানির (Molesting) অভিযোগ। অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় চারজনকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় রানাঘাট (Nadia) মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রানাঘাট এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রানাঘাট থানায় (Ranaghat Police) তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা তরুণী। তরুণী কল্যাণীর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করেন। তরুণীর অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরেই রানাঘাটের বাসিন্দা দিবাকর দেবনাথ তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তরুণীকে মাঝেমধ্যেই রাস্তায় পথ আটকাতো দিবাকর। কুরুচিকর মন্তব্যও করা হত বলে অভিযোগ। তবে বুধবার সকালে রানাঘাট স্টেশনের বাইরে আসতেই ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয়। এই ঘটনার পরই বিষয়টি পরিবারকে জানায় তরুণী।
তরুণীর দাবি, বাড়িতে এই ঘটনার কথা জানাতেই তরুণীর দাদা সহ মোট চারজনকে মারধর করে দিবাকর ও তার ঘনিষ্ঠরা। আক্রান্তদের রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
তরুণীর দাবি, "আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যাতে আমার মতো এই ঘটনা অন্য কারোর সঙ্গে না ঘটে।"
রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের (Ranaghat Mahakuma Hospital) ভিতরে বিড়াল! এমনকি হাসপাতালের ভিতরে রীতিমতো ঘোরাঘুরিও করছে তারা (Cat's)। কখনও তো আবার রোগীর বেডের মধ্যেই বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালের শৌচালয়, পানীয় জলের কলের থেকে জল খেতেও দেখা যায় তাদের। সবমিলিয়ে এই হাসপাতালের মধ্যে যেন বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছে তারা। তবে বিড়ালের এই উত্পাতে অতিষ্ট হাসপাতলের রোগী থেকে শুরু করে চিকিত্সকরাও। তাই হাসপাতালকে বিড়ালমুক্ত করতে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ। ওই বিড়ালগুলিকে ধরে উপযুক্ত স্থানে ছেড়ে আসার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডঃ প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, 'এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিড়ালের উৎপাত ছিল এবং তা আগে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা বিভিন্ন অ্যানিমেল রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করি, বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করি। অবশেষে আমরা একটা এনজিও পেয়েছি, তাঁরা বলেছেন বিড়ালগুলি ধরে দেবে কিন্তু রিহ্যাবিলেটেড করতে হবে আমাদের নিজেদেরকেই। এই কাজ করার জন্য ২৫০ টাকা করে তাঁদেরকে দিতে হবে। এটা আমরা কার্যকর করেছি এবং এখন আমাদের হাসপাতালে বিড়াল অনেকটাই কম। বেশিরভাগ বিড়ালই ধরা হয়ে গিয়েছে আর হয়তো দু-একটা এদিক ওদিক লুকিয়ে আছে। সেইগুলিও অতি শীঘ্রই ধরে ফেলা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিড়ালগুলিকে আমরা সুরক্ষিত জায়গায় ছেড়ে এসেছি। সেখানে ওদের খাওয়ারও কোনও অসুবিধা হবে না।'
নাকা চেকিংয়ের (Naka Checking) উদ্ধার তিনটি দেশি পিস্তল (Fire Arms) ও ১৫টি কার্তুজ, গ্রেফতার ২। শুক্রবার রাতে ধানতলা থানার নিমতলা মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় একটি বাইক দাঁড় করায় পুলিস। দ্রুত গতিতে সেই বাইক বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হওয়ায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা ধাওয়া করেন। বাইকটিকে উদ্ধার করে তিনটি দেশি পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করে পুলিস। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম বাবান দাস ও ধনঞ্জয় সরকার। তাদের রানাঘাট (Ranaghat) আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস।
এদিকে, বারুইপুরে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতী পাকড়াও পুলিসের হাতে। রাতের অন্ধকারে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকায় টহলরত পুলিসের হাতেই গ্রেফতার সেই দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বারুইপুর থানা এলাকার মল্লিকপুর এলাকায় পুলিস সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় একজন যুবককে আটক করে। তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতের নাম ইস্তাক আহমেদ ওরফে ভিকি।
ধৃতকে শনিবার বারুইপুর পুলিস সুপারের দফতরে আনা হয়। সেখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুরের পুলিস সুপার পুষ্পা বলেন, 'ইস্তাক আহমেদের নামে এর আগে অভিযোগ ছিল। কিন্তু কেন সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল বা কোথা থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল, তা জানার জন্যই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।' ধৃতকে এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
ঘরের ছেলেকে শাসন করবেন কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। কী এমন হল রানাঘাট তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল? রানাঘাটে (Ranaghat Meeting) দলীয় কর্মিসভায় এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুধু প্রশ্ন তোলাই না, উত্তরও দিয়েছেন শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন রানাঘাটে অভিষেক বলেন, 'কী এমন হল ৩-৪ বছরে রানাঘাটের মানুষ তৃণমূলের থেকে হঠাৎ করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমার বুঝতে সময় লাগে না, কারণ আমাদের কয়েকটা লোক, কয়েকটা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত (Panchayat) সমিতির মেম্বার। আমি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হিসেবে বলছি, গত ৩-৪ বছরে আমাদের তরফে যদি কোনও ভুল ত্রুটি হয়, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে, আমার দলকে ক্ষমা করুন। ঘরের ছেলেকে শাসন করবেন, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।'
এদিন অভিষেক শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের পক্ষে ফের সওয়াল করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'সিপিএম-র লাল চোখের সঙ্গে লড়াই করে ২০০৮ সালেম যদি আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত জিততে পারি, তাহলে কেন ২০২৩ সালে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে ১৮৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত জিতব না। ভোট শান্তিপূর্ণ, অবাধ হবে, গণতান্ত্রিক হবে এই দায়িত্ব আমার। যদি কেউ ভাবে গা জোয়ারি, গুণ্ডামি, মস্তানি করব, তাঁকে এক ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করে, দু'ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে বলবো তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।'
হাঁসখালিতে (Haskhali Incident) এবার প্রেমের প্রস্তাব (Love Affair) ফেরানোয় এক তরুণীকে খুনের অভিযোগ। মৃতার পরিবারের কাঠগড়ায় স্থানীয় এক তরুণ দীপজিৎ সরকার। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (Ranaghat Police) ঘটনার তদন্ত নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, বাবা-মা বাইরে আছে, এই খবর পেয়ে একা তরুণীকে ঘরে পেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দীপজিৎ।। এমনটাই অভিযোগ মৃত তরুণীর পরিবারের।
মৃতার মা-কে নাকি ঘটনার আগে ফোন করে অভিযুক্ত জানতে চায় তাঁরা কোথায়? বাড়িতে নেই, মেয়ে একা বাড়িতে; এই খবর নিশ্চিত হতেই ওই তরুণীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মৃতার এক আত্মীয় জানান, রবিবার বিকেলে মেয়ের মাকে ফোন করে বিপ্রজিৎ। যখন জানে তাঁরা বাজারে আছে, তখনই বাড়ি ঢুকে যায়। পৌনে পাঁচটা-সাড়ে ৫টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তরুণীর পরিবারের একজন ছেলেটিকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে। সে সময় সেভাবে পাত্তা দেয়নি। ১৫-২০ মিনিট পর বেড়িয়ে মেয়েটির দুই তুতো দাদাকে ডেকে বলে মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে।