
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি রাজ্যের আট জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর মৌসম ভবন সূত্রে।
সোমবার সকালে দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই দুদিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী দিন কয়েকে দিনের তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
সোমবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।
বালেশ্বরের (Balasore) ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের প্রাথমিক দাবি, সিগন্যালের (Signal) সমস্যার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় আহত যশবন্তপুরের চালকের (Driver) বয়ানে কিন্তু অন্য তথ্যই উঠে এসেছে। হাসপাতালে আহত যশবন্তপুরের চালক সিআর রথের দাবি, পাশাপাশি দুটি ট্র্যাক দিয়েই ছুটছিল দুটি ট্রেন। তাঁর ট্রেনের পিছনের চারটে বগি কীভাবে খুলে গেল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চালকের এই বয়ানের সঙ্গে অবশ্য মিলছে না রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় সুস্থ আছেন তিনটি ট্রেনের চালক, সহকারি চালক এবং গার্ডেরা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই বালেশ্বরের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এনেছিল রেল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, সিগন্যাল বুঝতে না পেরে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দাবি করেন, লুপ লাইনে যদি দ্রুত গতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে যায়, তাহলে মালগাড়ি অক্ষত রইল কী ভাবে। কী ভাবে পাশের ট্র্যাকে ছিটকে এল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুরের চারটি বগি? রেল জানায়, বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট পরে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে রবিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাহানাগায় কাজ প্রায় শেষের পথে। লাইন থেকে সরানো হয়েছে দুমড়ে যাওয়া বগি। রেলের দাবি এই ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কমবেশি ২১টি বগি হয় লাইচ্যুত না হলে আটকে গিয়েছিল।
মণি ভট্টাচার্য: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) এখনও অবধি মৃত ২৮৮। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০-এর বেশি। এ অবস্থায় একদিকে এখনও যেমন চলছে উদ্ধারকার্য, তেমনই চলছে বিভাগীয় তদন্ত। এ অবস্থায় আনরিজার্ভড বা জেনারেল কামরায় থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মৃতদেহ সনাক্ত করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রিজার্ভড কামরার যাত্রীদের তথ্য ঘেঁটে তাঁদের মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে রেল। কিন্তু কিছু মৃতদেহ বা আহতের পরিচয়ের খোঁজ এখনও পায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
এই সমস্যার সমাধান করতে রেলের ওয়েবসাইটে বা বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের ছবি দিয়ে খোঁজ চালানো হবে, এমনটা আগেই সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছিল ওড়িশার মুখ্য সচিব। এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের ওয়েবসাইটে এই দুর্ঘটনায় আহত ও মৃতের ছবি সহ তথ্য আপলোড করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, 'আপাতত যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেছে তাদের ছবি আপলোড করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পরিবারকে মৃতদেহ বা আহত ব্যক্তিদের তুলে দেওয়া হবে।'
নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট গুলির মাধ্যমেই খোঁজ চালানো হচ্ছে।
নিহতদের খোঁজের জন্য
আহতদের খোঁজের জন্য
ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সিগন্যালিং বিভ্রাটের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।' সাম্প্রতিক কালে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি রেলের। এর পিছনে আদতে কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে উচ্চবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশি। তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার আসল কারণ তদন্তের রিপোর্টেই পাওয়া যাবে। যদিও এই ঘটনায় রেলের গাফিলতি বলেই দাবি সাধারণের। পাশাপাশি রেল আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দীপিকা দাস: প্রাথমিক তদন্তে (Preliminary Probe) উঠে এল, ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনের কারণ। সিগন্যাল (Signal) ত্রুটির জন্যই ওড়িশার বালেশ্বরে প্রাণ গেল ২৮৮ জনের, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। শনিবার সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, একটি যৌথ পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিগন্যালের ত্রুটির কথাই জানিয়েছেন। লুপ লাইনে ঢোকার ফলেই নাকি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। তবে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে ও বিস্তারিত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে আসবে যে, ঠিক কী কারণে এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত ভাবে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের পর জানা গিয়েছে, যে এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা হার মানিয়েছে গাইসলের দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকেও।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। আবার আহত হয়েছেন ১০০০-এর বেশি। এরপরই সিএন ডিজিটালের তরফে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, আপ মেন লাইনে সিগন্যাল দেওয়া ছিল কিন্তু পয়েন্ট ছিল লুপ লাইনে। ফলে সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।' তিনি আরও জানিয়েছেন, 'এই তথ্য একেবারেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনা চূড়ান্ত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে জারি করা হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি।'
এছাড়া এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তাপমাত্রা আরও তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে চলেছে। পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এমনকি তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছাড়াতে পারে। তীব্র গরমে নাজেহাল (Weather) অবস্থা রাজ্যবাসীর। বৃষ্টির অপেক্ষায় শহর কলকাতা (Kokata)। যদিও আপাতত ভারী বৃষ্টির (Rain) কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিস।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার তাপপ্রবাহজনিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায়।এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। শনি ও রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকাতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। যদিও এতে আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বাকি পাঁচ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এর পরে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।
গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর (Bengal)। সপ্তাহের শুরু থেকেই ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এবার চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের (Weather) সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কবে কোন জেলায় তাপপ্রবাহ, তাও আগাম জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবারই বঙ্গের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া, মালদহ এবং শিলিগুড়ি। এছাড়াও বহমরপুর, হাওড়া, শ্রীনিকেতনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি পেরিয়েছে। এদিন-সহ আরও তিনদিন ওই তাপমাত্রা আরও তিনদিন বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। এমনই অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে আপাতত বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ২ জুন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ৩ জুন উল্লিখিত জেলাগুলি ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া জেলার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা কমেছে। ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। বুধবার সকালেও একই পরিস্থিতি শহর কলকাতায় (Kolkata)। জেরবার দশা শহরবাসীর। একাধিক জেলায় জুনের প্রথমেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। তবে খানিকটা স্বস্তির খবর শোনালেন আবহাওয়াবিদরা। আবারও বঙ্গে বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, জুনের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁবে দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি তাপমাত্রা চড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গের নীচের দিকে জেলা গুলিতে তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি করে চড়বে তাপমাত্রা।
জুনের প্রথম থেকেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবার তাপপ্রবাহের মাঝেই বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার এবং বহস্পতিবার বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
আবার উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা চড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২ থেকে তিন ডিগ্রি চড়বে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতাতেও বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়বে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও তাপপ্রবাহের সতর্কতা না জারি হয়নি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদের দাপট। বেলা বাড়তেই আরও বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। তবে জুনের শুরু থেকেই ফের একবার তীব্র গরমের মধ্যে পড়তে চলেছেন রাজ্যবাসী।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধ ও বৃহস্পতিবার নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলি, যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যেতে পারে। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনই তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত কয়েকদিন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
২৮ মে, রবিবার অঝোরে বৃষ্টি পড়ে, আর এর জন্য একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আইপিএলের (IPL) ফাইনাল ম্যাচ। আহমেদাবাদ মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ ছিল, আর সেই দিনটার জন্যে ভক্তরা কয়েক মাস ধরে মুখিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে সবকিছুই ভেস্তে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ বাতিল করা হয়। কিন্তু এই বৃষ্টি হওয়ার পিছনে নাকি হাত রয়েছে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরের (Shraddha Kapoor)? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি করছেন আইপিএল ফ্যানরা। কিন্তু কী এমন কারণ রয়েছে, যার জন্য শ্রদ্ধাকে দোষারোপ করা হচ্ছে ম্যাচ বাতিল হওয়ার জন্য?
দেখা গিয়েছে, রবিবার খেলা শুরু হওয়ার আগে জিও সিনেমা-র স্টুডিয়োতে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। বিজ্ঞাপনের জন্যই বলিউড অভিনেত্রীকে আনা হয়েছিল আইপিএলের অনুষ্ঠানে। আর এই শ্রদ্ধারই একাধিক গান রয়েছে, যা তিনি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে করেছেন। তাঁর জনপ্রিয় কিছু ছবি 'আশিকি টু', 'বাঘি', 'হাফ গার্লফ্রেন্ড', 'এক ভিলেন'। এই ছবির কিছু বিখ্যাত গান রয়েছে যেমন- 'তুম হি হো', 'ছম ছম', 'বারিশ' এগুলোতে শ্রদ্ধা বৃষ্টিতে ভিজে শ্যুট করেছেন। অর্থাৎ প্রতিটি গানেরই কমন ফ্যাক্টর হল বৃষ্টি ও শ্রদ্ধা। ঠিক এই কারণেই নেটিজেনরা শ্রদ্ধাকে দায়ী করেছেন। সমাজমাধ্যমে মিমে ছড়াছড়ি যে, 'ম্যাচের আগে শ্রদ্ধাকে নিয়ে আসলে বৃষ্টি তো হবেই।'
তবে শ্রদ্ধাও বিষয়টি মজার ছলেই দেখছেন। শ্রদ্ধা নিজেই তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে হাসির ইমোজি দিয়ে ফ্যানের কমেন্ট পোস্ট করেছেন।
সোমবার সকাল থেকেই শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশ পরিষ্কার। কোথাও কোথাও মেঘের আনাগোনা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। যদিও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া (Weather) বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। পাশাপাশি এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের (Rain) কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন, দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, রাজ্যে বর্ষার প্রবেশ যে সময় ঘটে, সেসময় আসার সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতার ক্ষেত্রে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। এছাড়া মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
ফের বেড়েছে গরমের দাপট। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে হালকা ঝোড়ো হওয়া সহ বৃষ্টিপাতের (Rain) পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। যদিও সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা (Temperature) বাড়বে এবং এর প্রভাব জুন মাসের প্রথম দিক অবধি থাকবে বলে খবর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত চড়বে। কলকাতায় ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ছুঁতে পারে। তবে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কিন্তু রবিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়েই এই গরমের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর , পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার তাপমাত্রাও চড়বে। তবে আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কম। আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলের পর থেকে কলকাতাসহ (Kolkata) দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাতের (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তবে দু'দিন ধরে কলকাতাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে, তার জেরে শনিবার সকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কম রয়েছে। তবে রবিবার থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়ার পূর্বাভাস জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।
ইতিমধ্যেই আন্দামান নিকোবর দীপপুঞ্জে বর্ষা প্রবেশ করেছে। কেরলে ৪ জুনের কাছাকাছি বর্ষা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষা আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত তাপমাত্রা কমলেও ফের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে কলকাতাবাসীকে।
শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার পাশাপাশি বীরভূম, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দুই বর্ধমানই শনিবার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রোদের দাপট থেকে স্বস্তি রাজ্যবাসীর। বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে একধাক্কায় তাপমাত্রা (Temperature) অনেকটা নেমে গিয়েছিল। আজ অর্থাৎ শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কিছু জেলায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা (Weather) উর্ধ্বমুখী হবে। পাশাপাশি অস্বস্তিকর গরমও বজায় থাকবে। বিকেলের পর থেকে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা থাকছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির জন্য সাময়িকভাবে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হলেও পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
শনিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই মতই বৃহস্পতিবার সন্ধের পর আকাশ কালো করে মেঘ করে আসে। তারপরেই তুমুল ঝড় শুরু হয় কলকাতা শহরে। বিকেল থেকেই একাধিক জেলায় চলছিল ঝড়-বৃষ্টি। তার দাপটে একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আজ, শুক্রবারও ঝড়-বৃষ্টি চলবে শহরে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকে ফের বাড়বে গরম। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কাজেই রবিবার থেকে ফের গরমের দাপট বাড়বে। আবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ট্রেনের (Train) প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির জেরেই ভাঙল আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস (Saraighat Express) ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ। যার জেরে নওয়াদা-গুসকরা (Nawada-Guskara) স্টেশনের মাঝে থমকে গিয়েছে ট্রেনটি। মাঝপথে সরাইঘাট এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ায় বর্ধমান-রামপুরহাট লুপলাইনে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেসের যাত্রী সহ বর্ধমান-রামপুরহাট লুপলাইনের নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিট নাগাদ আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস বর্ধমান-রামপুরহাট লুপলাইনে নওয়াদা স্টেশন ছাড়িয়ে গুসকরা স্টেশনে ঢুকছে। হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির জেরে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। তারপরই ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং থমকে যায় ১২৩৪৫ আপ হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেসটি। এর ফলে ওই লাইনে অন্যান্য ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। বনপাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে আপ হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। আপ হাওড়া- রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে পড়ে ঝাপটের ঢাল স্টেশনে। এছাড়া কতগুলি লোকাল ট্রেনও দাঁড়িয়ে পড়ার খবর রয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন এই সমস্ত ট্রেনের যাত্রীরা।
যদিও রেলের তরফে জানা গিয়েছে, আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেসের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই সেটি মেরামতির জন্য বোলপুর ও বর্ধমান থেকে টাওয়ার ভ্যান ঘটনাস্থলে যায়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মেরামতির কাজ চলছে। সরাইঘাট এক্সপ্রেসটি না এগোনো পর্যন্ত বাকি ট্রেনগুলি এগোনো সম্ভব নয়।
সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। কলকাতা (kolkata) ও আশেপাশের এলাকায় নেই বৃষ্টির দেখা। তবে আজ, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে আজও রাজ্য জুড়ে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাত-সহ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। যে কারণে অরেঞ্জ ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। বাকি সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়াও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় বজ্রপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৫০-৬০ কিমি। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা কমে দাঁড়াতে পারে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি।
উল্লেখ্য, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার যা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ।