দমদম জংশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যালাস্টিন ট্র্যাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লকের ঘোষণা পূর্ব রেলের। মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-বিবাদি বাগ, বারাসাত-হাসনাবাদ, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, দমদম-ব্যারাকপুর, গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ, ব্যারাকপুর-বিবাদি বাগ সেকশনের কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে। মূলত, পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে যে ট্রেন চলে, সেগুলো বাতিল ঘোষণা পূর্ব রেলের। এছাড়া একটি বনগা-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা করবে, জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।
তিন সপ্তাহের এই ট্রাফিক ব্লকে অসুবিধার মুখে পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা সিপিআরও-র। তবে, বৈশাখের দাবদাহে দীর্ঘ ২১ দিনের এই পাওয়ার ব্লকে অফিস যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ফের রেলে দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ট্রেন যাত্রীরা। তবে চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষলে তীব্র ঝাঁকুনিতে ওই ট্রেনের ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কোডার্মা জেলায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই ওভারহেডের ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। তাতেই সিট থেকে বহু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আর দুই যাত্রীর মৃত্যুও হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল। এই আবহে এমারজেন্সি ব্রেক কষার জেরে কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা অধিকাংশই টাল সামলাতে পারেননি। তবে কী পরিস্থিতিতে ও ঠিক কোন কারণে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের কোডার্মা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস।
শনিবার ইডেনে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এদিন বিশ্বকাপের ( মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে। ইডেনে বাইশ গজের মহারণ শেষে দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা চালানো হবে রাতে। ম্যাচ শেষে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দর্শকদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে মেট্রো। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে এক জোড়া স্পেশাল মেট্রো ছাড়বে।এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবাগুলি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডোরের (ব্লু লাইন) এসপ্ল্যানেড - দক্ষিণেশ্বর এবং এসপ্ল্যানেড - কবি সুভাষ রুটের মধ্যে চালানো হবে৷
রাত পৌনে ১১টায় (১০:৪৫) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা। এটি যাবে দক্ষিণেশ্বরের দিকে এবং অন্যটি যাবে কবি সুভাষের দিকে। দু’টি মেট্রোই রাত ১১টা ১৮ মিনিটে পৌঁছে যাবে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে না এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।
ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার রেলপথে বাংলার সঙ্গে জুড়তে চলেছে ভুটান। প্রচুর মানুষই প্রতি বছর ভুটানে যান। সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে হয় সে রাজ্যে। তবে এবার সরাসরিই বাংলা থেকে ট্রেনে চেপে ভুটান যাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই নয়া এই রেলপথ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক (Jigme Khesar Namgyel Wangchuck) ভারত সফরে আসেন।
তাঁর এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে ভারত এবং ভুটানের অর্থনীতি-সম্পর্ক সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খোদ ভুটানের রাজা ওয়াংচুক।
তবে কোন পথে সে দেশের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে তা নিয়ে সমীক্ষা হবে। আর সেই কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক দুজনেই সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের প্রধানের আলোচনায় প্রস্তাবিত দুটি রাস্তার কথা উঠে এসেছে। একটি অসমের কোকরাঝড় হয়ে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট হয়ে ভুটানের সামসের মধ্যে রেল সংযোগ তৈরি করা নিয়েও ভারত্ত এবং ভুটান সহমত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে তা রেলের তরফে সমীক্ষার পরেই স্পষ্ট হবে।
তবে ভারত এবং ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ তৈরি হলে দু'দেশ আরও কাছাকাছি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই বৈঠকের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যেখানে তিনি লিখছেন, ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুশি। ভারত এবং ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত এবং ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই সঙ্গে ভুটানের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন মোদী।
জানা গিয়েছে, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে শুধু রেল যোগাযোগ নয়, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বিষয়টি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
কোঙ্কণ রেল নামটা শোনা থাকলেও অনেকেই হয়তো জানেন না যে এটি কোথায় বা এটা কি ভারতীয় রেলের কিনা?
আজ আমরা জানব সেরমই কিছু অজানা তথ্য। কোঙ্কন রেল হল ভারতীয় রেলের ১৯ তম জোন । যার সদর দফতর হল মুম্বই-এর বেলাপুর। ভারতের কোঙ্কন উপকূলে তার উপকূলীয় শহর, শহর এবং গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য একটিও রেল যোগাযোগ নেই।
এমনকি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারত শাসনকারী ব্রিটিশরাও এই পথে রেলপথ নির্মাণ করেনি। প্রথম প্রস্তাবটি ১৯২০ সালে জরিপ করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য সমীক্ষা করা হয়েছিল । ১৯৯৮ সালের ২৬ শে জানুয়ারি মহারাস্ট্রের রোহা থেকে কর্ণাটক রাজ্যের থকুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়।
মোট ৭৫৬.২৫ কিমি এই যাত্রাপথ। মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এর দৈর্ঘ্য ৩৬১ কিলোমিটার (২২৪ মাইল), কর্ণাটক হয়ে ২৩৯ কিলোমিটার (১৪৯ মাইল) এবং গোয়ার মধ্য দিয়ে ১৫৬.২৫ কিলোমিটার (৯৭.০৯ মাইল) । রোহা থেকে থকুর পর্যন্ত বিস্তৃত সমগ্র .৭৪১ কিলোমিটার পথটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুতায়িত হয়েছে । সমগ্র রেলপথটিতে ৯১ টি টানেল ও প্রায় ১৮০০ উপর রেল ব্রিজ রয়েছে। ১৯তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যা গোয়া ও মুম্বইয়ের মধ্যে চলাচল করে এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে।
উক্সি এবং ভোকে স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত কোঙ্কন রেলওয়েতে অবস্থিত কার্বুদে টানেল , ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল। কার্বুদে টানেল হল কোঙ্কন রেললাইনের দীর্ঘতম টানেল। এই পথে মালবাহী ট্রাক রেলে করে পরিবহন করা হয় যা RORO( Roll On/ Roll Off) নামে পরিচিত ।
এই পরিবহন মহারাষ্ট্রের কোলাড থেকে গোয়ার ভারমা পর্যন্ত চলে। এই ট্র্যাকেই অ্যান্টি
কলিশন সিস্টেম চালু করা হয়। বর্তমানে যে সকল ট্রেন চলাচল করে এই পথে তার মধ্যে অন্যতম
ট্রেন নং ১২৪৩২/১২৪৩১ হযরত নিজামুদ্দিন – তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল – হযরত নিজামুদ্দিন রাজধন এক্সপ্রেস (ত্রি-সাপ্তাহিক) ...
ট্রেন নং ১২১৩৩/১২১৩৪ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং – মুম্বাই সিএসটি এক্সপ্রেস (দৈনিক) ট্রেন নং ১২১৩৩ মুম্বই সিএসটি – ম্যাঙ্গালুরু জং এক্সপ্রেস। ...
ট্রেন নম্বর ১৬৩৩৩/১৬৩৩৪ ভেরাভাল - তিরুবনন্তপুরম - ভেরাভাল এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক)
এবারে এক রেল আধিকারিকের (Railway Official) বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার করা হল কোটি কোটি টাকা। সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগে রেলওয়ে-তে কর্মরত এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, একাধিক সময়ে সেই টাকা 'ঘুষ' হিসাবে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের।
সূত্রের খবর, ধৃতের নাম কেসি জোশী। তিনি উত্তর-পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ মেটিরিয়াল ম্যানেজার ও উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে কর্মরত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি তার গোরক্ষপুরের অফিস ও নয়ডার বাড়ি তদন্ত করে উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ২.৬১ কোটি টাকা।
সিবিআই সূত্রে খবর, রেলের জন্য ট্রাকের জোগান দেন, এমন এক ব্যক্তির থেকে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে চেয়েছিলেন কেসি জোশী। টাকা না দিলে লাইসেন্স বাতিল করার হুমকিও তিনি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে সিবিআই। পরে তাকে হাতে-নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর তার বাড়ি ও অফিসে তদন্ত চালাতেই উদ্ধার হয় 'ঘুষের পাহাড়'। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ও ধৃতের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়েছে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মিজোরামের (Mizoram) নির্মীয়মান (under-construction) রেলসেতু ভেঙে (Railway bridge) বিপত্তি। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। সেই ব্রিজে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ মালদহের বহু শ্রমিক। অন্তত মালদহের (Malda) পুখুরিয়া থানার চোদুয়ার গ্রামের ২৫ জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জ়োরামথাঙ্গা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে।
মিজোরাম রেলওয়ে ওভার ব্রিজ ধসের এই ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করেছেন। তিনি বলেন, "মিজোরামের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় শোকাহত। এনডিআরএফ, রাজ্য প্রশাসন এবং রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।" আর ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের তরফে।
জানা গিয়েছে, সকাল ১০ টা নাগাদ শুরু হয় সেতু তৈরির কাজ। সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা ভেঙে পড়ে সেতু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাওয়ার ব্লকের দরুন বর্ধমান মেইন এবং বর্ধমান কর্ড শাখায় রবিবার একাধিক লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলওয়ে। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া বর্ধমান ছাড়াও কাটোয়া-আজিমগঞ্জ, খানা-গুমানি এবং ব্যান্ডেল নৈহাটি শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে ৩৬৮২৫, ৩৬৮২৭, ৩৬০৩৩, ৩৭৯১৫, ৩৭৮২৭, ৩৭২৩৭, ৩৭২৩৫, ৩৭২৩৭, ৩৭৮১৯ এবং ৩৭৬১৫ নম্বর আপ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বর্ধমান থেকে বাতিল করা হয়েছে ৩৬৮৪০, ৩৬৮৪২, ০৩৫১৭, ৩৭৮৩২, ৩৬৮৪৪ নম্বর ডাউন লোকাল।
বর্ধমান-হাওয়ার মতো ব্যস্ততম একটি শাখায় একাধিকবার পাওয়ার ব্লকের জন্য সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ সরকারি অফিস ছুটি থাকলেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেককেই রবিবার অফিস যেতে হয়। সেকারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
অন্যদিকে শ্রাবণ মাসের সোমবার থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। ফলে কামারকুন্ডু স্টেশন থেকে তারকেশ্বর যাওয়ার ট্রেন ধরছেন তাঁরা। কিন্তু কর্ড লাইন লোকাল বন্ধ থাকায় তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন।
সপ্তাহের শেষে যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হতে পারে শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ শাখায় একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল। ফলে সপ্তাহের শেষে দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন যাত্রীরা। সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনে মেন আপ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সে জন্যই বাতিল থাকবে বেশ কিছু ট্রেন।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ চলবে। তাই শনি ও রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শিয়ালদহ থেকে তিনটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে। বনগাঁ থেকে বাতিল থাকছে একটি ট্রেন। অন্যদিকে, ডানকুনি থেকেও লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। আবার কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার শিয়ালদহ থেকে ১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, বাতিলের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, দত্তপুকুর, হাবড়া, হাসনাবাদ থেকে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।" তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।
গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।
সেলফি (Selfie) তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে, সামনে থেকে যে ট্রেন আসছে, সেটাই দেখতে পায়নি দু'ভাই। ফলে এই পরিস্থিতিতে রেলে কাটা পড়ল তারা। জানা গিয়েছে, রেলব্রিজে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর পাশ থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। আর এরপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনাটি উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারের।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম সিদ্ধার্থ সাইনি (১৯) ও শিবম সাইনি (১৬)। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের দোসনি রেলসেতুতে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর সেসময় সেখানে দিয়ে ছুটে চলে যায় দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস। কিন্তু তারা সেলফি তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিল যে, তারা ট্রেনের আওয়াজই শুনতেই পারেনি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেল। এরপর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মৃতদের দেহ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যই তাঁরা হরিদ্বারে এসেছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এসেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। একই পরিবারের দুই ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাইনি পরিবারে।
জখম অবস্থায় রেললাইনের (Railway line) উপর পড়ে রয়েছেন এক ব্য়ক্তি। আরপিএফ (RPF) ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) রেললাইনে। জানা গিয়েছে, জখম ব্য়ক্তির নাম পুতুল মণ্ডল, বাগডোগরার প্রমোদ নগরের বাসিন্দা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আর পি এফ-এর নজরে আসে জখম অবস্থায় এক ব্যক্তি রেললাইনে পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিসকে। এরপর আরপিএফ ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেললাইনে পড়ে থাকার জেরে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। জখম ব্যক্তিকে রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ফের স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। তবে ওই ব্যক্তি এত রাতে কী করে ট্রেন লাইনে এলো, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
দক্ষিণ-পূর্ব (South Eastern Railway) রেলে যেন ফাঁড়া চলছে। করমণ্ডল (Coromondel Express) দুর্ঘটনার পর এদিকে-ওদিক অনেক ট্রেনই বেলাইন হয়েছে, বা কামরা থেকে ধোঁয়া বেরিয়েছে। এবার বেলাইন হয়ে গেল মেদিনীপুর-হাওড়া (Medinipur Howrah Local) লোকাল। শনিবার রাতের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। গিরি ময়দান ও খড়গপুর স্টেশনের মাঝে কাটিং খোলি এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়। ঘটনার সময় ট্রেনটি মেদিনীপুর থেকে হাওড়া আসছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে বেলাইন হয় লোকাল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত নটার কিছু পরে তাঁরা একটা আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন বেলাইন হয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে লোকাল ট্রেন। ভেঙে গিয়েছে পাশের বিদ্যুতের খুঁটি। আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে লাফাতে শুরু করেন। তাতেই অনেকে চোট পান বলে দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে ট্রেন বেলাইন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন খড়গপুরের যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনা সম্পর্কে খুব বেশি খবর দেয়নি রেল। করমণ্ডলের দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল, ওই একই শাখায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২৮৮ জনের। তাঁর ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি রেল কতৃপক্ষ। তাঁর মধ্যে ফের এমন দুর্ঘটনায় রেল কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। শনিবার রাতে কেন এমন দুর্ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখছে রেল আধিকারিকরা।
অবশেষে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Train Accident) ৫১ ঘণ্টা পরে বালাসোরের (Balasore) রেলপথে ফের চালু হল ট্রেন। দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় মিলল সাফল্য। ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। রবিবার রাতে শুরু হল ট্রেন পরিষেবা। পরপর দু’টি মালগাড়ি এবং আপ লাইনে একটি ট্রেন চালানো হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ট্রেন চালুর পর আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। মৃত ও আহতদের নিয়ে কথা বলার সময় কার্যত কেঁদে ফেললেন রেলমন্ত্রী। হাত জোড় করে ভগবানকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। বিপর্যয়ের পর থেকে দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন তিনি।
প্রত্যেকের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। তারমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক হল রেল পরিষেবা। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেন পরিষেবা ফের স্বাভাবিক ছন্দে আনার নিরলস চেষ্টা করে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার রাতে ওই রেলপথ দিয়ে ডাউন লাইনে প্রথম ট্রেনের ট্রায়াল রান শুরু করে রেল। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। আজ, সোমবার সকালেও বালাসোরের সেই রুট দিয়েই এগোল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ট্রেন চালুর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল থেকে তিনি রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলেই। রেলমন্ত্রী বলেন, 'দুটি ট্র্যাক পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ৫১ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ট্র্যাক লাইনটি এখন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত।'
অশ্বিনী বৈষ্ণব কর্মরত কর্মকর্তা এবং শত শত কর্মীদের উপস্থিতিতে বালেশ্বর রেললাইনে ট্রেন চলাচলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। পুনরুদ্ধার করা ট্র্যাক ধরে ট্রেনটি চলার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের ও তাঁকে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতেও দেখা গিয়েছে। টুইটারে রেলমন্ত্রী বলেন, 'ডাউন-লাইন পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। সেকশনে প্রথম ট্রেন চলাচল।'