বছরের প্রথম দিনে রেল লাইনে ফাটলের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন। ঘটনাস্থল হাওড়া-ব্য়ান্ডেল মেইন লাইনের শেওড়াফুলি। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছেই ছাতুগঞ্জ এলাকায় ৬ নম্বর লাইনে পেট্রোলিং করার সময় ফাটল দেখতে পান রেল কর্মীরা। তারপর থেকে বন্ধ শেওড়াফুলির ৬ নম্বর মেন লাইনে ট্রেন চলাচল।
এরপর ডাউন লাইনে শেওড়াফুলি স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। শুধু শেওড়াফুলি নয়, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর সহ একাধিক স্টেশনে হাওড়া গামী বিভিন্ন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। যদিও বর্ধমানগামী আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চালু ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতি দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মেরামতির কাজ শুরু হয়। সকাল আটটা থেকে রেল লাইনে রেলের পাত বদল করার কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ঘন্টা চারেক বাদে শেওড়াফুলি থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আবারও ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।মাওবাদীদের সমর্থনে লাগানো হয়েছে রেললাইনে ব্যানার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের অধীন হাওড়া-মুম্বই প্রধান রেলওয়ে বিভাগের মনোহরপুর থানা এলাকায় পোসাইতা স্টেশনের মাঝে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৭০ মিটার রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে একটি লাল রঙের ব্যানার পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবারও নকশালরা পোস্টার দিয়েছিল মনোহরপুর শহুরে এলাকার কলেজ মোড়ে। ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আয়োজিত বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছিল। পোস্টারে, ঝাড়খণ্ড এবং কোলহান মুক্তের নামে আদিবাসী এবং জনগণের উপর পুলিসের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রচারাভিযান সফল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। বনধকে সফল করতে হাওড়া-মুম্বই রেলপথের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পোল নম্বর ৩৫৬/২৯এ এবং ৩১এ-এর মধ্যে তৃতীয় লাইনে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জাগারগুন্দা এলাকায় নাশকতা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টরের। ঝাড়খণ্ডেও মাঝে মাঝেই নাশকতা চালাচ্ছে নকশালপন্থীরা।
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
পুলিসের (Police) কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার মৃত গৃহবধূর পরিবার। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) হাওড়া খড়গপুর শাখার ফুলেশ্বর-চেঙ্গাইলের মাঝখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সাবিনা পারভিন নামে এক গৃহবধূর দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে তাঁর স্বামী সানি নস্কর। তড়িঘড়ি উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সাবিনাকে ট্রেন (train) থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তাঁর স্বামী। এই অভিযোগ প্রথমে পরিবারের সদস্যরা জানাতে যান উলুবেড়িয়া জিআরপি-তে। জিআরপি অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে তাঁরা উলবেড়িয়া থানায় যান। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। রাত বারোটা পর্যন্ত মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন থানা ও জিআরপি করতে থাকে, কিন্তু কোথাও অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে জিআরপি অভিযোগ দায়ের করে।
এই বিষয়ে জিআরপি থানার এক কর্তা বলেন, যে ট্রেন থেকে পড়েছে, সেই ট্রেন কোনও মেমো দেয়নি। তাই অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। অন্যদিকে উলুবেড়িয়া থানার এক আধিকারিক বলেন, যেহেতু এটা রেললাইনের মধ্যে ঘটেছে তাই এর অভিযোগ সেখানে করা যাবে না। রেল ও উলুবেড়িয়া থানার পুলিসের হয়রানি শিকার হলেন মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তবে এত কিছুর পর যে সুরাহা মিলবে সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে পরিবার।