হাওড়া থেকে খড়গপুর যাওয়ার সময় আপ লাইনে লাইনচ্যুত মালগাড়ি। শনিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া-খড়গপুর শাখার নন্দাইগাজন রেল স্টেশনের কাছে। প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার সিলপাড়ের ওপর দিয়ে ছোটে মালগাড়িটি বলে জানা যায়। স্টেশন পর্যন্ত এভাবেই বিপদজনকভাবে ছুটে যায় ওই মালগাড়িটি। যার জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। ঘটনার জেরে দুর্ভোগে পড়েন হাওড়া-খড়গপুর শাখার নিত্যযাত্রীরা।
এরপর খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তারপর মালগাড়িটিকে লাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু করে। এদিকে এই ঘটনার জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। বিপজ্জনকভাবে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রেলপাতের। তবে কী কারণে লাইনচ্যুত হল মালগাড়িটি, তা এখনও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বছরের প্রথম দিনে রেল লাইনে ফাটলের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন। ঘটনাস্থল হাওড়া-ব্য়ান্ডেল মেইন লাইনের শেওড়াফুলি। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছেই ছাতুগঞ্জ এলাকায় ৬ নম্বর লাইনে পেট্রোলিং করার সময় ফাটল দেখতে পান রেল কর্মীরা। তারপর থেকে বন্ধ শেওড়াফুলির ৬ নম্বর মেন লাইনে ট্রেন চলাচল।
এরপর ডাউন লাইনে শেওড়াফুলি স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। শুধু শেওড়াফুলি নয়, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর সহ একাধিক স্টেশনে হাওড়া গামী বিভিন্ন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। যদিও বর্ধমানগামী আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চালু ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতি দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মেরামতির কাজ শুরু হয়। সকাল আটটা থেকে রেল লাইনে রেলের পাত বদল করার কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ঘন্টা চারেক বাদে শেওড়াফুলি থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আবারও ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।মাওবাদীদের সমর্থনে লাগানো হয়েছে রেললাইনে ব্যানার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের অধীন হাওড়া-মুম্বই প্রধান রেলওয়ে বিভাগের মনোহরপুর থানা এলাকায় পোসাইতা স্টেশনের মাঝে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৭০ মিটার রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে একটি লাল রঙের ব্যানার পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবারও নকশালরা পোস্টার দিয়েছিল মনোহরপুর শহুরে এলাকার কলেজ মোড়ে। ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আয়োজিত বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছিল। পোস্টারে, ঝাড়খণ্ড এবং কোলহান মুক্তের নামে আদিবাসী এবং জনগণের উপর পুলিসের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রচারাভিযান সফল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। বনধকে সফল করতে হাওড়া-মুম্বই রেলপথের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পোল নম্বর ৩৫৬/২৯এ এবং ৩১এ-এর মধ্যে তৃতীয় লাইনে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জাগারগুন্দা এলাকায় নাশকতা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টরের। ঝাড়খণ্ডেও মাঝে মাঝেই নাশকতা চালাচ্ছে নকশালপন্থীরা।
বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। এর আগে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে আহত একাধিক।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জেরে বন্ধ রয়েছে বর্ধমান শাখার আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল। দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমেছে আরপিএফ (RPF) ও জিআরপি(GRP)। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কটি। এদিকে প্ল্যাটফর্মে সেই সময় বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের গায়ের উপরই গিয়ে পড়ে সেটি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
লাইন চ্যুত লোকাল ট্রেন। হাওড়া স্টেশন ঢোকার মুখে টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে লাইনচ্যুত বাগনান-হাওড়া লোকাল। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। কোনওক্রমে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে হাওড়ায় রওনা দেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, বাগনান লোকাল ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হাওড়ার ডিআরএম-সহ অন্যান্য রেলের আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে উ্দ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার জেরে অফিস টাইমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
রেল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৮.৫৫ নাগাদ ডাউন বাগনান লোকালের ৫ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে অফিস টাইমে এই ঘটনা ঘটায় চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। কী কারণে কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছেন রেল আধিকারিকরা।
দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, রবিবার মাঝ রাতে মুর্শিদাবাদের কাছে এক বালি বোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। এর জেরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। ইঞ্জিনের চাকাও লাইনচ্যুত হয়। তবে, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
জানা গিয়েছে, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ছেড়ে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। রবিবার রাত তখন ১.৩০। মুর্শিদাবাদের কাছে হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে থেমে যায় ট্রেনটি। তারপর বিকট আওয়াজও শোনা যায়। রেল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুরের ব্রিজের নিচে রেললাইনে উপর একটি বালি বোঝায় লড়ি চলে আসে। তা দেখেই ট্রেনের চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, তারপরেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে লরিটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রেল দফতরের একাধিক আধিকারিক। হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে ট্রেনের ইঞ্জিনে যে আগুন লেগেছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী । ঘটনার জেরে লরিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
ফের রেলে দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ট্রেন যাত্রীরা। তবে চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষলে তীব্র ঝাঁকুনিতে ওই ট্রেনের ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কোডার্মা জেলায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই ওভারহেডের ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। তাতেই সিট থেকে বহু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আর দুই যাত্রীর মৃত্যুও হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল। এই আবহে এমারজেন্সি ব্রেক কষার জেরে কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা অধিকাংশই টাল সামলাতে পারেননি। তবে কী পরিস্থিতিতে ও ঠিক কোন কারণে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের কোডার্মা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস।
শনিবার ইডেনে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এদিন বিশ্বকাপের ( মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে। ইডেনে বাইশ গজের মহারণ শেষে দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা চালানো হবে রাতে। ম্যাচ শেষে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দর্শকদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে মেট্রো। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে এক জোড়া স্পেশাল মেট্রো ছাড়বে।এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবাগুলি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডোরের (ব্লু লাইন) এসপ্ল্যানেড - দক্ষিণেশ্বর এবং এসপ্ল্যানেড - কবি সুভাষ রুটের মধ্যে চালানো হবে৷
রাত পৌনে ১১টায় (১০:৪৫) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা। এটি যাবে দক্ষিণেশ্বরের দিকে এবং অন্যটি যাবে কবি সুভাষের দিকে। দু’টি মেট্রোই রাত ১১টা ১৮ মিনিটে পৌঁছে যাবে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে না এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।
ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার রেলপথে বাংলার সঙ্গে জুড়তে চলেছে ভুটান। প্রচুর মানুষই প্রতি বছর ভুটানে যান। সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে হয় সে রাজ্যে। তবে এবার সরাসরিই বাংলা থেকে ট্রেনে চেপে ভুটান যাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই নয়া এই রেলপথ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক (Jigme Khesar Namgyel Wangchuck) ভারত সফরে আসেন।
তাঁর এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে ভারত এবং ভুটানের অর্থনীতি-সম্পর্ক সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খোদ ভুটানের রাজা ওয়াংচুক।
তবে কোন পথে সে দেশের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে তা নিয়ে সমীক্ষা হবে। আর সেই কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক দুজনেই সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের প্রধানের আলোচনায় প্রস্তাবিত দুটি রাস্তার কথা উঠে এসেছে। একটি অসমের কোকরাঝড় হয়ে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট হয়ে ভুটানের সামসের মধ্যে রেল সংযোগ তৈরি করা নিয়েও ভারত্ত এবং ভুটান সহমত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে তা রেলের তরফে সমীক্ষার পরেই স্পষ্ট হবে।
তবে ভারত এবং ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ তৈরি হলে দু'দেশ আরও কাছাকাছি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই বৈঠকের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যেখানে তিনি লিখছেন, ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুশি। ভারত এবং ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত এবং ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই সঙ্গে ভুটানের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন মোদী।
জানা গিয়েছে, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে শুধু রেল যোগাযোগ নয়, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বিষয়টি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
শীতের আমেজ মিলতে না মিলতেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে নভেম্বরের শুরু থেকেই বেশ কয়েক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, শুক্রবার রাজ্যের চার জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বুধবার কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। তবে বৃষ্টি হবে না কলকাতায়। তবে, সকালের দিকে মনোরম আবহাওয়া থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হবে। আবার রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। আপাতত কয়েকদিন তাপমাত্রা ওঠানামা করবে।
ফের সলমান (Salman Khan) ও ক্যাটরিনার (Katrina Kaif) জুটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেল মণীশ শর্মা পরিচালিত ছবি টাইগার ৩-এর (Tiger 3) ট্রেলার। পূর্ব নির্ধারিত দিন অনুযায়ীই, ১৬ অক্টোবর ঠিক দুপুর ১২ টায় মুক্তি পেল 'টাইগার ৩'-এর ট্রেলার। সলমান খানের অ্যাকশন থেকে শুরু করে ক্যাটরিনার অ্যাকশন, সবটাই তাক লাগানোর মত। রণংদেহি রূপ দেখা যায় ক্যাটরিনার। তবে নজর কাড়ল ইমরান হাশমির লুক। এই ছবিতে তিনি ভিলেন-এর চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। ফলে বহুদিন পর পর্দায় তাঁকে এমন চরিত্রে দেখে বেজায় খুশি তাঁর অনুরাগীরা। এখন শুধুই ছবি মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষা।
চলতি বছরের ১২ নভেম্বর অর্থাৎ দিওয়ালিতে মুক্তি পেতে চলেছে স্পাই ইউনিভার্স-এর টাইগার ৩। ট্রেলারের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে 'টাইগার' সলমান খানকে ধামাকাদার অ্যাকশন করতে। আবার দেশ ও পরিবারের জন্য টাইগারকে কান্নায় ভেঙে যেতেও দেখা গেল ট্রেলারে। দেশ না পরিবার, কাকে বাঁচাবেন টাইগার, সেই প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে ট্রেলার দেখে।
অন্যদিকে ভিকি পত্নীর রণংদেহি রূপ সলমানকেও যেন ছাপিয়ে গেল। নজর কাড়ল তোয়ালা পরেই ক্যাটরিনার অ্যাকশনের সিন। তবে একেবারে অন্য রূপে ধরা দিলেন ইমরান হাশমি। ভিলেনের চরিত্রে সলমানের মুখোমুখি ইমরান। তাঁদের মুখোমুখি পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষায় অনুরাগীরা। আরও জানা গিয়েছে, ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখ খানকেও। তবে তাঁর ঝলক দেখা যায়নি ট্রেলারে। ফলে এখন ১২ নভেম্বরের অপেক্ষায় সলমান ভক্তরা। এখন এটাই দেখার যে বলিউডের 'সুলতান' কি বক্স অফিসে 'বাদশা'-কে ছাপিয়ে যেতে পারবে?
শনিবার সকালে বিধ্বংসী আগুন হাওড়ায়। সাঁকরাইলের একটি ভোজ্য তেলের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ এই আগুন লাগে। তবে কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। আগুনের জেরে ফুটন্ত তেল রাস্তায় চলে আসে। তাতে আরও আতঙ্ক ছড়ায়।
এদিন সকালে বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। ছুটে এসে তাঁরা দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে এই গুদাম। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়ে আসছে। সেইসঙ্গে রাস্তা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ফুটন্ত ভোজ্য তেল।
আতঙ্কিত এখানকার কর্মরত বিভিন্ন গোডাউনের শ্রমিক থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও। বিভিন্ন রাসায়নিক থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন দমকলের কর্মীরা।
আবারও সিনেমার ময়দানে বীরাঙ্গনা হয়ে নামতে চলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা 'চন্দ্রমুখী ২।' যদিও বক্স অফিসে সফল হয়নি সিনেমাটি। তাই এবারও চেনা ছকে ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'তেজাস' (Tejas)। ইতিমধ্যেই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। এবার আকাশপথে দুশমনদের নিধন করবেন কঙ্গনা।
২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ট্রেলারের শুরুতেই অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'ভারতকে ছুঁলে ছাড়ব না।' মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন কঙ্গনা রানাউত। ভারত যখন দুষ্কৃতির রক্তচক্ষুতে বিপন্ন। তখনই আকাশ পথে দুশমনদের নিধন করবেন 'তেজাস' (সিনেমায় কঙ্গনার চরিত্র)। সিনেমার স্লোগান, 'জরুরী নয় কথা বলতে হবে, যুদ্ধের ময়দানে এবার শুধু যুদ্ধ হবে।'
ট্রেলারে কঙ্গনার পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থীকে।বলিউডে অভিনেত্রীর যে কয়েকটি সিনেমা ভালো সাফল্য অর্জন করেছে তার মধ্যে বেশিরভাগই দেশাত্মবোধক। আবারও একই ধরনের সিনেমায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। 'তেজাস' দর্শকদের মন জয় করতে পারল কি না জানা যাবে ২৭ অক্টোবর, সিনেমা মুক্তি পেলে।
রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
দুর্গাপুজোয় দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি দেব (Dev)। এবার পুজোয় আসছে তার অভিনীত সিনেমা 'বাঘা যতীন' (Bagha Jatin)। ১৯ অক্টোবর বাংলার সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার বেশ কিছু টুকরো টুকরো ঝলক দেখেছেন দর্শকেরা। তবে সিনেমার ট্রেলার এখনও মুক্তি পায়নি। কবে আসবে সেই শুভ দিন? নেটিজেনদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অভিনেতা নিজেই একথা প্রকাশ্যে আনলেন।
ট্রেলার মুক্তি দিন ঘোষণার ক্ষেত্রেও একটি বিশেষ সারপ্রাইজ দিয়েছেন দেব। স্বমহিমায় পর্দার সামনে আসেননি তিনি। সিনেমার পর্দায় বাঘা যতীনের একটি ছদ্মবেশে সবাইকে দেখা দিয়েছেন দেব। পাঞ্জাবি সৈনিকের ছদ্মবেশে ধরা দিয়েছেন দেব। মাথায় ইয়া বড় পাগড়ি, দাঁড়ির ঢল নেমেছে বুক পর্যন্ত। তিনি আদতে বাঙালি না শিখ তা বোঝা দায়। কস্টিউমের ভারে কথা বলতে যে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল অভিনেতার তা বোঝায় গিয়েছে ছোট এই ভিডিওতে।
তবে ভক্তদের অপেক্ষা করিয়ে না রেখে বাঘাযতীন সিনেমার ট্রেলার কবে মুক্তি পাবে সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। আগামী ৯ অক্টোবর আসতে চলেছে বাঘা যতীনের ট্রেলার। অভিনেতা দেব এবং বাঘা যতীনের পুরো দল সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। অভিনেতা আশা রাখছেন, দর্শকদের ট্রেলার বেশ ভালো লাগবে। তার থেকেও বেশি ভালো লাগবে সিনেমাটি।