ডিসেম্বর মানেই পিকনিকের (Picnic) মেজাজ। শীতের হালকা রোদের ছটা গায়ে মেখে প্রকৃতির কোলে বনভোজনে মেতে ওঠেন সাধারন মানুষ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই দৃশ্য অহরহ দেখা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই চিত্র দেখা যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরেও। বিগত ২-৩ বছর আগেও রায়গঞ্জে পিকনিক স্পট বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠত কুলিক বনাঞ্চল (Kulik forest)। যেখানে সেকাল থেকে একাল পর্যন্ত মানুষজন পিকনিক করতে আসতেন। শুধু রায়গঞ্জ কিংবা উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয় অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষজন ভীড় করতেন কুলিকে। কিন্তু সম্প্রতি সংরক্ষিত এই অঞ্চলে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। বনাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও পাখীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট আইন অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। এবারেও সেই নির্দেশ বলবৎ থাকছে, এমনটাই জানালেন জেলা বন আধিকারিক কমল সরকার।
তিনি বলেন, এবছরেও কুলিক বনাঞ্চল কিংবা আব্দুলঘাটা ও শিয়ালমনি অঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকায় কোনওরকম পিকনিক বা হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এরজন্য বনবিভাগের তরফে বাড়তি নজরদারি থাকছে। মোতায়েন থাকছে একাধিক বনকর্মী। তবে সাধারন মানুষের বিনোদনের জন্য অন্যত্র কোথাও পিকনিক স্পট চিহ্নিত করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান বনকর্তা। বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। পাশাপাশি রায়গঞ্জে এই সব জায়গায় পিকনিকের একমাত্র স্পট। সুতরাং, সমস্ত দিক বজায় রেখে পিকনিকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
এদিকে বনবিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় মন কিছুটা খারাপ শহরবাসীর। রায়গঞ্জের বাসিন্দা আলভা মিত্র বলেন, এই সময়টায় বাচ্চাদের নিয়ে প্রকৃতির কোলে বসে আনন্দ উচ্ছ্বাস করেন সকলেই। নদীর ধারে সবুজের মাঝে এ এক অন্য অনুভূতি। সেখানে রায়গঞ্জে কুলিক, আব্দুলঘাটা, শিয়ালমনি এলাকায় পিকনিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা মন খারাপ হচ্ছে। সেই সঙ্গে বনবিভাগের কাছে কোনো বিকল্প ব্যবস্থার দাবীও জানিয়েছেন তিনি।
সাত সকালেই মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা (accident)। রায়গঞ্জের (Raiganj) এফসিআই মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ নং জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় মৃত্যু (death) হল এক যুবকের। গুরুতর আহত হয়েছেন আর একজন। ঘটনার পরই আতঙ্ক (panic) ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম প্রবীর রায়। বয়স ৩০। মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রবীর রায়ের বন্ধু রাখি সাহা। তাঁর বয়স ২৫। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি কালিয়াগঞ্জে। আহত রাখি সাহা জানান, তাঁরা শুক্রবার কালিয়াগঞ্জ থেকে রায়গঞ্জে এসেছিলেন ব্যক্তিগত কাজে। এরপর তাঁরা জাতীয় সড়ক ধরে বাইকে করে ফিরছিলেন। এমন সময় এফসিআই মোড় সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ একটি লরি চলে আসে তাঁদের সামনে। আচমকাই লরি চলে আসায় এবং বাইকের ব্রেক ঠিকঠাক কাজ না করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন প্রবীর। এরপরই সজোরে লরিটি ধাক্কা মারে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রবীরের। আহত হন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। অন্যদিকে, আহত রাখি সাহাকে ভর্তি করা হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
সাত সকালেই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গুরুতর জখম (injured) হলেন ৪ জন। ঘটনাটি রায়গঞ্জের (Raiganj) সুভাষগঞ্জ এলাকার বাগানপাড়ায়। ঘটনার পরই দুই পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই পুলিস ঘটনার তদন্ত (investigation) শুরু করেছে।
গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন এক পক্ষের সদস্যা পূজা সূত্রধর জানান, আচমকাই পাশের বাড়ির দয়াল ভৌমিক নামে এক প্রতিবেশী মদ খেয়ে এসে তাঁদের বাড়ির সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁর উপর চড়াও হয় দুই ভাই। তাঁর মাকেও মারধর করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার দায় পাশের পরিবারের উপরে চাপিয়েছেন দয়াল ভৌমিকের দাদা সুমন ভৌমিক।
তিনি জানান, তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। অকারণে হিংসায় পাশের বাড়ির দুই মহিলা তাঁর ভাই ও ভাইয়ের বউয়ের উপর ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে। তাঁর ভাইয়ের বউ ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁকেও ছাড়েননি। এই অমানবিক কাজ তাঁরা কী করে করলেন? তা তাঁদের ভাবতেই অবাক লাগছে। তাঁদের দাবি, ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পরিবারের গণ্ডগোলের জেরে দুটি বাড়িতেই ভাঙচুর চালায় দুই পক্ষ।
মানসিকতা আজ কোথায়! এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে (Mentally unbalanced woman) বিবস্ত্র করে ধর্ষণের (rape) চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (hospital) বিশ্রামাগারে। ঘটনায় আজগর সরকার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস (police)।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসা রোগীদের আত্মীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনের মতো এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা হাসপাতালে বিশ্রামাগারে শুয়ে ছিলেন। রাত ১২টা থেকে ১টা নাগাদ ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার কাছে এক ব্যক্তি যান। এরপর তাঁর পাশে শুয়ে ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় অন্য রোগীর পরিবার দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে মেডিক্যাল কলেজের পুলিস ফাঁড়িতে খবর দেয়। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
পরে পুলিস ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। তবে হাসপাতালের মধ্যেই এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রোগী-সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
দীর্ঘদিন ধরে এক যুবতীকে উত্যক্ত ও কটুক্তি (Harassment and abuse) করার অভিযোগে এক যুবককে বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখলো যুবতীর বাড়ির লোক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের (Raiganj) পূর্ব কলেজপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম গৌরাঙ্গ রায় (Gauranga Roy)।
যুবতীর মায়ের অভিযোগ, প্রায় দু বছর ধরে তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে উত্যক্ত ও কটুক্তি করার পাশাপশি বেশ কয়েকবার ধরালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে যুবতীর বিয়ে হয়ে গেলেও ওই যুবক নানা ভাবে তাঁকে বিরক্ত করতে থাকে। বুধবার রাতে যুবতী তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইরে বের হলে দুজনকেই মারধর করে অভিযুক্ত যুবক বলে অভিযোগ।
এরপরই যুবতীর বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবককে বাড়ির সামনেই দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখেন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিস।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (BJP) আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার রায়গঞ্জে (Raiganj)। শুক্রবার প্রতিবাদ মিছিলে বের হলে মাঝপথেই মিছিল আটকায় পুলিস (Police)। এরপরই পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
জানা যায়, এদিন প্রথমে রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে পুলিসের তরফে মিছিল আটকানো হয়। সেখানেই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। রাস্তার ওপর বিজেপির কর্মীরা বসে পড়েন। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। কিছুক্ষণ পরই সেখানে উপস্থিত হন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। এরপর তাঁর নেতৃত্বে মিছিল এগোতে থাকলে সেই মিছিল ফের আটকায় পুলিস। কিন্তু নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের ফলে একসময় পুলিস পিছু হটে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ জানান, "রাজ্যজুড়ে একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্ব গ্রেফতার হওয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যে সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ থেকে পিএইচডি, বিল্ডিং তৈরি থেকে সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। তাই এদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা যারা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের কেউ পার পাবেন না। আমরা চাই অতি দ্রুত কেন্দ্রীয় সংস্থা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত করতে আসুক।"