
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার পানিশালার কাশিমপুর এলাকায়। রবিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার (স্ত্রী)। জানা গিয়েছে মৃত মহিলার নাম বুলি খাতুন (৩৫)। রবিবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, ১৫ বছর আগে অভিযুক্ত দুলাল মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয় বুলি খাতুনের। বর্তমানে ওই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মৃতার বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত দুলাল। এই কারণে অনেকবার অশান্তি হয়েছে। অভিযোগ, অভিযুক্ত দুলালের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণে বুলির সঙ্গে থাকতে চাইছিল না সে। এমনকি স্ত্রীর হাতে কখনও টাকা পয়সাও দিত না। ফলে নিজে জমিতে খেটে ৩ টি সন্তানকে মানুষ করছিলেন ওই মহিলা।
এরপর শনিবার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। আর এরই জেরে মহিলার হাত-পা বেধে শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে দুলাল আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর অর্ধমৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার একদিন পর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিসে দ্বারস্থ হয় মৃতের বাড়ির লোকেরা। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের পরাজয়ের পর থেকেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও স্যোশাল মিডিয়ায় অকথ্য ভাষার প্রয়োগ করে ভিডিও বানিয়েছেন বাংলাদেশিরা। ইতিমধ্যেই সে ভিডিও ভাইরাল। আর এতেই ক্ষুব্ধ ভারতের সাধারণ মানুষ। এবারে এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল বুকিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল রায়গঞ্জের দুটি হোটেল। এই সিদ্ধান্তে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় খেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ক্রিকেট। এই খেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জাতির ভাবাবেগ। দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, ভারত ও বাংলাদেশে ক্রিকেট ঘিরে উন্মাদনা সবসময়ই তুঙ্গে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হলেও ক্রিকেট খেলাকে ঘিরে সম্পর্কটা অনেকটা অহিনকুলের মতই। সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্ব ক্রিকেটের ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে কাপ জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় ভারতের। এই পরাজয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকের আবহ তৈরী হয়েছে দেশজুড়ে। আর এরই মধ্যে অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতই বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের বিজয় উল্লাসে ব্যাপক চটেছেন ভারতীয়রা। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও কটুক্তি করেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ছেন বাংলাদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের একাংশ। তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে ক্ষুব্ধ ভারতীয় জনগণ। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জের দুটি হোটেলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শহরজুড়ে। অনেকেই বলেছেন বিশ্বকাপে হারের পর বাংলাদেশিদের একাংশের ভারত বিরোধী মনোভাব নিন্দনীয়। এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। তবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই ভারত বিরোধী মনোভাবের পক্ষে নন। তাই সমস্ত বাংলাদেশির জন্য হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
মাদকাসক্তদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিক ফরেস্ট। বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষী নিবাসের সামনে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় ভীত সন্ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, জাতীয় সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গল থাকায় অন্ধকার নামতেই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে মাদকাসক্তরা।
মাদকাসক্তদের অত্যাচারে আতঙ্কিত জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বনবস্তির মানুষজন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার মহিলারা। অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাদকাসক্তরা বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় নিজেদের সুবিধার্থে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
প্রশাসন আরও সক্রিয় হোক অভিযোগ স্বীকার করে এমনই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
স্কুল যাওয়ার পথে ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের। ঘটনায় আহত তিনজন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের চন্ডীতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিভাবকেরা এসে তাঁদের ছেলেমেয়েদের উদ্ধার করে নিরাপদে স্কুলের উদ্দেশ্যে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি স্কুল বাস ৩৫ জন ছাত্র নিয়ে যাওয়ার সময় চন্ডীতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পার এর পিছনে ধাক্কা মারে। বাসে থাকা সকল পড়ুয়ায় ভয়ে আঁতকে ওঠে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র আহত হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও তাদের ছেলেমেয়েদের সময় মতো বাসে করে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ খবর আসে চন্ডীতলা এলাকায় দুর্ঘটনার। খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। এই স্কুল সময়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য অবিলম্বে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোর সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জিৎ রায়। বাড়ি রায়গঞ্জের রায়পুর এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেকক্ষণ থেকেই ছেলেটি বিভিন্ন চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁর বন্ধুরা বার বার করে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ সে আচমকাই একটি চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই যুবক। যার জেরে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
যদিও কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক তা এখনও স্পষ্ট নয়। আত্মহত্য়া নাকি এর নেপথ্য়ে অন্য় কোনও কারণ তা জানতে ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূল জেলা সভানেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ এলাকারই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের। জেলা সভানেত্রী তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষ সাহাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ, জেলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহার বাড়ির সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেন কয়েকজন যুবক। থামাতে গেলে জেলা সভানেত্রীর উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা ও তাঁর দলবল। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। মারধরের পাশাপাশি জেলা সভানেত্রীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চৈতালি দেবী মিথ্যে গল্প বানাচ্ছেন।
ঘটনা সামনে আসতেই বিড়ম্বনায় শাসকশিবির। নিন্দার ভাষা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে দলের অন্দরেই সমালোচনায় ঝড় ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কে বসবে তারই লড়াই চলছে তৃণমূলের অন্দরের মধ্যে। পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ক্রমশই দলের মধ্যে বাড়ছে দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ। তার ফলেই কী এই আক্রোশ? কীভাবে সামাল দেবে শীর্ষ নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।
ভর সন্ধ্য়াতেই ঘটে গেল দুঃসাহসিক চুরির (Theft) ঘটনা। চুরি গিয়েছে নগদ টাকা সহ লক্ষাধিক টাকার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বকুলতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে সুরেশ আগরওয়াল নামের এক ব্য়ক্তির বাড়িতে।
পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় সুরেশবাবুর স্ত্রী পায়েল আগরওয়াল হেমতাবাদে দিদার বাড়িতে পুজো উপলক্ষ্যে যান। পরে ওই দিন সন্ধ্যাতেই সুরেশবাবু বাড়িতে তালা দিয়ে স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে চলে লুঠপাট। তাঁরা জানান, বাড়ি ফিরে বাইরের গেটের তালা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন ভিতরের দরজা খোলা। এতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। তারপরই ঘরে ঢুকে দেখতে পান জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। আগরওয়াল দম্পতির দাবি, নগদ ২০ হাজার টাকা এবং প্রায় ২০ লক্ষ্য টাকার মতন গয়না চুরি গিয়েছে।
ফের ভিনরাজ্যে গিয়ে শ্রমিকের (Migrant) অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) ঘিরে চাঞ্চল্য। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এই ঘটনায় মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। এমনকি ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতর পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের (Raiganj) রাইপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, মৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় শীল।
মৃতর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সঞ্জয় স্থানীয় ব্যক্তি রতন বিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বিগনোর এলাকায় কাজের উদ্দেশ্যে যান। তারপর সোমবার সকাল ৫ টা নাগাদ সঞ্জয় ফোন করে ২৬ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলেন। ঠিক এরপরই সকাল ৭ টা নাগাদ ফের একবার ফোন আসে। আর তখনই একজন জানান সঞ্জয় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এই ঘটনায় সঞ্জয়ের মার অভিযোগ, তাঁরা বিজেপি করত। তাই নির্বানের আগে তাঁদের ভোট তৃণমূলকেই দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হয় শাসক দল থেকে। তাই নিয়ে বেশ অশান্তিও হয়। তবে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। তাঁর অনুমান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই ঝামেলার জেরেই সঞ্জয়কে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ থেকে সঞ্জয়ের দেহ নিয়ে আসতে নানা টালবাহানা করায় পরিবারের লোকের সন্দেহ, সঞ্জয়কে খুন করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করেছে মৃতর মা।
প্রেমের (Love) প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে (Housewife) ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার, রায়গঞ্জের (Raiganj) বাঙালবাড়ি হাটে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, আহত গৃহবধূর নাম বাসন্তী বর্মন। বাড়ি রায়গঞ্জের বামুনগ্রামে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঙালবাড়ি এলাকায়।
আহত গৃহবধুর স্বামীর অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই গৃহবধু তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাঙালবাড়ি হাটে গিয়েছিলেন। হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেই সময় আচমকাই তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন ওই গূহবধূ। গৃহবধুর স্বামীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই যুবক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। তবে প্রেমে সায় না পাওয়ায় তার স্ত্রীর ওপর ক্ষোভে আঘাত করে গা ঢাকা দেয় ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম সুভাষ বর্মন। বাড়ি কালিয়াগঞ্জের পুড়িয়া মহেশপুর এলাকায়। তবে শুধুই প্রেম প্রস্তাবের নারাজ না কি অন্য় কোনও কারণে রয়েছে তা জানাতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে সানস্ট্রোক (SunStroke) হয়ে মৃত্যু (Death) হল এক মহিলার। এই ঘটনার পরই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম জয়ন্তী চৌধুরী। তিনি মালদার মোথাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। অসুস্থ হওয়ার ফলে প্রথমে তাঁকে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইটাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে এই ঘটনায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সহকারি সুপার অভিক মাইতি বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে ওই মহিলার মৃত্যুর আসল কারণটি ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে।'
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। দুটো বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Dead) এক। গুরুতরভাবে আহত (Injured) দুই জন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার অন্তর্গত লহন্ডা স্মৃতি মন্দির এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস (Police)। আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনায় মৃত ও আহত ব্যক্তিদের এখনও কোনও পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত আটটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। রায়গঞ্জ থেকে একটি বাইকে চেপে দু'জন মহারাজার দিকে যাচ্ছিল। তখনই অপর দিক থেকে একজন বাইকে করে মহারাজা থেকে রায়গঞ্জের দিকে আসছিল। আর ঠিক সেই সময়ই দুটো বাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই দুর্ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালিয়াগঞ্জে (kaliaganj) পুলিসের গুলিতে যুবকের মৃত্যুতে তদন্তভার গেল সিআইডির (CID) হাতে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের পরিবারের তরফে রায়গঞ্জ (Raiganj) পুলিস জেলার পুলিস সুপারের দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করল পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেনের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। পাল্টা মৃতের পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন ওই পুলিস আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য সেদিন রাত্রিবেলা তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই দুই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রায়ঞ্জের রাধিকাপুরে একটি বাড়িতে পুলিস অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। কালিয়াগঞ্জে থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে যায় পুলিস। সেখানেই ফের অশান্তি বাধে। তাতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের। এরপরই ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে পথে নামে বিজেপি। রায়গঞ্জে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী শিলিগুড়ি মোড়ে অবস্থানে বসেন। সেখানে সাংসদ, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা যায় বিষ্ণু বর্মণকেও।
রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরে দিনে দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি (Theft)। রায়গঞ্জ শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটেছে। রায়গঞ্জের এক গয়নার দোকানে শুক্রবার সকালে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দোকান থেকে প্রচুর অলঙ্কার (jewellery) ছিনতাই করে দুস্কৃতীরা। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)।
জুয়েলার্সের কর্মী জিবেশ ভৌমিক জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মত তাঁরা দোকান খোলার পর মিটিং-এ বসেছিলেন। এমন সময় পাঁচজন কাস্টমার সেজে প্রবেশ করে। পরে তারা দোকানের শাটার নামিয়ে দিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জুয়েলারিতে যত গয়না ছিল সব নিয়ে চম্পট দেয়। পাশাপাশি দোকানের কর্মীদের কাছে থাকা মোবাইলগুলো ভেঙে ফেলে। যারা এই ডাকাতির সাথে যুক্ত তারা হিন্দিভাষী বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে চেম্বার অব কমার্সের জেনারেল সেক্রেটারি শঙ্কর কুণ্ডু। তিনি বলেন, চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে চলে যায়। দিনে-দুপুরে শহরের মূলকেন্দ্রে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো হতবাক তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। পয়লা বৈশাখের আগে রায়গঞ্জ শহরে দিবালোকে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের Raiganj Medical College And Hospital) বিরুদ্ধে। বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু (Death) ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি। বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে (Hospital)। ভর্তি করানো হলেও কোনওরকম চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিজনদের।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রুপ মোহন দাস। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার নশরতপুর কাটাবারি এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই স্ট্রোক করেন। এরপর রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর চিকিৎসায় চরম গাফিলতি হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
মৃতের আত্মীয়া প্রনতী সরকার অভিযোগ জানিয়ে বলেন, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক থাকা সত্ত্বেও কোনও ডাক্তার তাঁকে দেখেননি। নার্সদের বারবার বলা সত্ত্বেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেনি। প্রায় ২ ঘণ্টা ওই অবস্থায় পড়ে থেকে অবশেষে রোগীর মৃত্যু হয়। যদি সঠিক সময় চিকিৎসা করা হত, তাহলে বৃদ্ধের মৃত্যু হত না বলে জানান তিনি।
ডিসেম্বর মানেই পিকনিকের (Picnic) মেজাজ। শীতের হালকা রোদের ছটা গায়ে মেখে প্রকৃতির কোলে বনভোজনে মেতে ওঠেন সাধারন মানুষ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এই দৃশ্য অহরহ দেখা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই চিত্র দেখা যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরেও। বিগত ২-৩ বছর আগেও রায়গঞ্জে পিকনিক স্পট বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠত কুলিক বনাঞ্চল (Kulik forest)। যেখানে সেকাল থেকে একাল পর্যন্ত মানুষজন পিকনিক করতে আসতেন। শুধু রায়গঞ্জ কিংবা উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয় অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষজন ভীড় করতেন কুলিকে। কিন্তু সম্প্রতি সংরক্ষিত এই অঞ্চলে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। বনাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও পাখীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট আইন অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। এবারেও সেই নির্দেশ বলবৎ থাকছে, এমনটাই জানালেন জেলা বন আধিকারিক কমল সরকার।
তিনি বলেন, এবছরেও কুলিক বনাঞ্চল কিংবা আব্দুলঘাটা ও শিয়ালমনি অঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকায় কোনওরকম পিকনিক বা হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এরজন্য বনবিভাগের তরফে বাড়তি নজরদারি থাকছে। মোতায়েন থাকছে একাধিক বনকর্মী। তবে সাধারন মানুষের বিনোদনের জন্য অন্যত্র কোথাও পিকনিক স্পট চিহ্নিত করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান বনকর্তা। বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। পাশাপাশি রায়গঞ্জে এই সব জায়গায় পিকনিকের একমাত্র স্পট। সুতরাং, সমস্ত দিক বজায় রেখে পিকনিকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
এদিকে বনবিভাগের এই নিষেধাজ্ঞায় মন কিছুটা খারাপ শহরবাসীর। রায়গঞ্জের বাসিন্দা আলভা মিত্র বলেন, এই সময়টায় বাচ্চাদের নিয়ে প্রকৃতির কোলে বসে আনন্দ উচ্ছ্বাস করেন সকলেই। নদীর ধারে সবুজের মাঝে এ এক অন্য অনুভূতি। সেখানে রায়গঞ্জে কুলিক, আব্দুলঘাটা, শিয়ালমনি এলাকায় পিকনিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা মন খারাপ হচ্ছে। সেই সঙ্গে বনবিভাগের কাছে কোনো বিকল্প ব্যবস্থার দাবীও জানিয়েছেন তিনি।