নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহকে উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য রায়দিঘিতে। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির মুণ্ডাপাড়া এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই মৃত ব্যক্তির নাম রতিকান্ত উড়ান। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছায় রায়দিঘি থানার পুলিস। এরপর ওই মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রতিকান্ত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার পুকুরে তাঁর দেহ ভেসে থাকতে দেখেন। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে রায়দিঘি থানার পুলিস। এরপর ওই মৃতদেহটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করলে তাকে সনাক্ত করেন স্থানীয়রা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারন কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত রতিকান্তের মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল আগেই। কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রীও চলে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে মদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন রতিকান্ত। বাড়িতে একাই থাকতেন। হঠাৎ সোমবার থেকে তাঁর কোন খোঁজ ছিলো না। এরপর বুধবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যদিও প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) কুপিয়ে খুনের (Death) অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কাশিনগর গ্রামপঞ্চায়েতের চাঁদপাশা গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বুথে বিজেপি প্রার্থী জয় লাভ করে। এরপরই বিরোধীদের শাসক দলের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। আর তখনই কিছু দুস্কৃতী ওই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম বিপ্লব হালদার। তিনি কাজের জন্য কলকাতাতেই থাকতেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অর্থাৎ শনিবার তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং ভোট দেন। তারপর দু'দিন বাড়ি থেকে যান তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে লাল্টু নামের এক ব্যক্তি এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। তারপরই ওই তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা চালায় বিরোধী দলের দুষ্কৃতীরা।
পরিবারের দাবি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে তারা সকলেই যেন কঠোর শাস্তি পায়। মৃতের এক আত্মীয় দাবি করেন, যে নির্বাচনের জন্য মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে সেই নির্বাচন না হওয়াই ভালো।
ফের নৃশংস ঘটনা! পারিবারিক অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে খুন (murder) করলো ছেলে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘী (Raidighi) থানার উত্তর কুমড়োপাড়া এলাকায়। নিহত ব্যক্তি দুলাল গায়েন, বয়স ৬২ বছর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলে দীপঙ্কর গায়েনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস (police)।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বাপ ছেলের মধ্যে একটা মনোমালিন্য চলছিল। সোমবার সকালে সেই অশান্তি পৌঁছয় চরমে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা দুলাল দাসকে তাঁর বড় ছেলে দীপঙ্কর গায়েন শাবল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দুলাল গায়েন। পরে স্থানীয় লোকজন দুলাল গায়েনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস। এলাকাবাসীরা আরও জানায়, দুলাল বাবুর বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড আবার পুলিস মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় রায়দিঘি থানার পুলিস। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘির উত্তর কুমারপাড়া এলাকায়।
উত্সবের মরশুমেই দেখা মিলল এক কুমিরের (crocodile)। ভর দুপুরেই রায়দিঘির (Raidighi) মনি নদীতে কুমির ভেসে ওঠে। আর তা দেখতেই ভিড় জমান এলাকায় কৌতুহলী মানুষরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রায়দিঘির ২৩ ও ২৪ এর লাটের সীমান্তবর্তী মনি নদীতে একটি কুমিরকে ভেসে ওঠতে দেখা যায়। কুমিরটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭ থেকে ৮ ফুট। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধে ওঠে কুমিরটি রোদ পোহাচ্ছিল। সেই সময়ই নজরে আসে এলাকার মানুষদের। এরপর স্থানীয় মানুষজন একত্রিত হয়ে ওই কুমিরটি দেখতে গেলে তা আবার জলে নেমে যায়।
এলাকার মানুষেরা জানান, এর আগে কয়েকবার এই ডাঙাতে কুমির ওঠা দেখেছিলেন স্থানীয়রা। তবে বারে বারে কুমির ওঠার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। কবে বন দফতর কোনও সুরাহা বের করবেন সেইদিকেি তাঁকিয়ে তাঁরা।