আরও একবার র্যাগিংয়ের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার প্রথম বর্ষের ছাত্রকে বিভিন্ন ভাবে হুমকির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রকে দেওয়া হয়েছে হুমকি বলে অভিযোগ। যদিও তদন্তের জন্য ওই পড়ুয়ার নাম গোপন রাখা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ওই ছাত্রকে ফোন করেও হুমকি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, নিজের নাম প্রকাশ না করেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওই ছাত্রকে হুমকির অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির চেয়ারম্যান সন্ময় কর্মকার, ইমন কল্যাণ লাহিড়ী, অনুপম দেবনাথ, তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে যে নম্বর গুলি থেকে ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেটা ট্রেস করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে স্নাতকোত্তর বিভাগের এক পড়ুয়াকে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছিল। তারপর নিজের নাম গোপন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়ে হস্টেল ছেড়েছেন স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। একের পর এক পড়ুয়াদের উপর র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে আসতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে হস্টেলে পড়তে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে।
ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কয়েকমাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল, যার ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
র্যাগিং-এর শিকার হয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ফের একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মেইন হোস্টেলেই র্যাগিং-এর শিকার হয়েছে এক পড়ুয়া। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'হোস্টেলে থাকতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। এই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' এমনই কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
শহর কলকাতায় ফের ছাত্র ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ব়্যাগিংয়ের শিকার এক কলেজ পড়ুয়া। কলকাতায় এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। সূত্রের খবর, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র সোহম সরকার কলেজের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করে।
জানা গিয়েছে, ১১ অক্টোবর বাড়ি ফেরার পথে সিনিয়রদের সঙ্গে বচসা হয় সোহমের। এরপর গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সিনিয়রদের একটি বাইক তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তাঁকে অকথ্য ভাষার ব্য়বহার করে। এই বিষয়ে কিছু বুঝতে না পেরে সে ক্ষমাও চায় সিনিয়রদের কাছে। তারপরেও রীতিমত সেদিন তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর চালায় সিনিয়র পড়ুয়ারা।
দুর্গা পুজোর ছুটির পর সোমবার থেকে খুলেছে কলেজ। অভিযোগ মঙ্গলবার সোহম কলেজে থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবারও সিনিয়ররা তাঁকে বাইরে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করে। যার ফলে শরীরে একাধিক জায়গাতে চোট পায় ওই পড়ুয়া। এমনকি ওই ছাত্রের জামা পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দপুর থানায় পড়ুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই পড়ুয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বুধবার অভিযুক্ত পড়ুয়াদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে।
যাদবপুর হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। এবার যাদবপুরকে কড়া চিঠি দিল ইউজিসি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানেনি, তা নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। কৈফিয়েত দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন সময়ও দিয়েছে ইউজিসি।
যাদবপুরের পাশাপাশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই কৈফিয়েত চেয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরে পড়ুয়াদের উপর কেন হস্টেল সুপারদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না, চিঠিতে তাও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। প্রাক্তনীদের হোস্টেলে থাকা নিয়েও জবাব চাওয়া হয়েছে।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। ইউজিসি-এর নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার ক্যাম্পাসের মোট ২৬ জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়।ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানা হয়নি কেন? প্রশ্ন তুলে যাদবপুরকে কড়া চিঠি ইউজিসির।
যাদবপুর হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। এবার যাদবপুরকে কড়া চিঠি দিল ইউজিসি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানেনি, তা নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। কৈফিয়েত দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন সময়ও দিয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরের পাশাপাশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই কৈফিয়েত চেয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরে পড়ুয়াদের উপর কেন হস্টেল সুপারদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না, চিঠিতে তাও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। প্রাক্তনীদের হোস্টেলে থাকা নিয়েও জবাব চাওয়া হয়েছে।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। ইউজিসি-এর নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার ক্যাম্পাসের মোট ২৬ জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়।
যাদবপুরকাণ্ডের ছায়া এবার শহরের আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। এক্ষেত্রেও অভিযুক্তরা হস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক। সোমবার আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে। যদিও ডাক্তারি ছাত্র ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নয়া অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ক স্বাগত জানায় ও সংবর্ধনা দেয় জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।
অভিযোগ, এতেই বিক্ষোভকারী কিছু ছাত্র এপিসি রোডের বয়েজ হস্টেলে গিয়ে জুনিয়রদের উপর মাঝরাতে হামলা চালায় ও মানসিক অত্যাচার করে। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। মিনজারুল চৌধুরী নামে এক আবাসিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ র্যাগিংয়ের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘা এখনও শুকোয়নি। ফের ব়্যাগিং’য়ের অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্কুলে। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণি ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং’য়ের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই স্কুল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর।
অভিযোগ শিক্ষক দিবসের দিন ক্লাসেই ধূমপান করছিলেন তারা। আগ্নেয়াস্ত্র স্কুলে নিয়ে আসেন তাঁরা। জোর করে ছোটদের পোশাক খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি গিয়ে ছাত্ররা সেসব জানালে, অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ে। ওই ছাত্ররা অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার পর স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে খবর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ইউজিসিও। বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজ্যের এক নম্বর তথা দেশের ৪ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা বাংলা। অভিযোগ উঠছে, ব়্য়াগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পাঠালেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া উত্তরে খুশি নয় ইউজিসি। সোমবার ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির এর একটি টিম।
ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। অভিযোগ ইউজিসি এর একাধিক গাইডলাইন মানেনি যাদবপুর। সূত্রের খবর, ৪ সদস্যের ইউজিসির এর প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে থেকে বেশ কয়েকদিন পরিবেশ বুঝবে। কথা বলা হবে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও।
সৌমেন সুর: পৃথিবীতে প্রাণী সৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ গড়তে বহু কোটি বছর লেগেছিল। তাই পরিবেশ ও প্রাণ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। সমস্ত প্রাণই এই পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত। বিশেষ করে মানব জীবন। পরিবেশ বোঝাতে গিয়ে আমরা সামাজিক, পারিবারিক, প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের কথা বলছি। মানব জীবনে এই প্রত্যেকটি পরিবেশের গুরুত্ব অসীম, সুস্থ পরিবেশ মানুষকে মানবিক গুণের সমৃদ্ধ করে, দূষিত পরিবেশ মানুষকে করে অমানুষ। যেমন যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ঘটে যাওয়া নৃশংসমূলক বর্বরোচিত এক অমানবিক কর্মকাণ্ড। পরিবেশ দূষিত হলে এমন ভয়ার্ত কাণ্ডের উদ্ভব হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, পরিবেশ মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিবেশ নির্মল হওয়া একান্ত আবশ্যক। যদি কোনো ছাত্রছাত্রী পড়তে এসে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নিজেকে মেলে ধরে, তাহলে তার পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটলো, ক্যারিয়ারে পেরেক পোতা হয়ে গেল। কার সর্বনাশ হলো? হিসেব করে দেখুন আপনার নিজের। অথচ আপনার বাবা-মা কত কষ্ট করে আপনাকে পাঠিয়েছে একটা আশায়, তাদের সন্তান মানুষ হবে, তাদের পাশে দাঁড়াবে কিন্তু সব আশা ধুলিসাৎ হয়ে গেল শুধুমাত্র আপনার ভুলের জন্য। আপনি দূষিত পরিবেশের দাস হয়ে গেছেন। যেখানে স্বপ্ন আশা বৃথা।
শিক্ষার শেষে মানুষ যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করে তখন সে সামাজিক পরিবেশে গিয়ে পড়ে। এই পরিবেশে সে প্রত্যক্ষ করে একদিকে আদর্শ অন্যদিকে আদর্শ হীনতা, একদিকে মূল্যবোধ অন্যদিকে মূল্যবোধের অভাব, একদিকে সুনীতি অপরদিকে চরম দুর্নীতি, একদিকে ত্যাগ অপরদিকে লোভ- মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যায়, এদের হাতছানিতে। যে যেমন ভাবে প্রভাবিত হয় সে তেমনভাবেই সমাজে পরিচিত হয়। দূষিত পরিবেশের স্পর্শ আপনার গায়ে যাতে না লাগে, তার জন্য আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। চক্রব্যূহের ফাঁদে কখনোই নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। চেষ্টা করবেন দূরে সরে থাকতে। মনে রাখবেন জীবনে সাফল্য আপনাকে পেতেই হবে। Success is the best revenge. Bad Environment থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে ব়্যাগিং। এবার একথা মেনে নিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি। এর আগে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলও জানায়, তারা যাদবপুরে গত ৯ অগাস্ট রাতে ব়্যাগিং হয়েছে, সেই প্রমাণ পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তাতে বলা হয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের ভূমিকা আছে। প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথাও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কীভাবে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া, তা আভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টে যদিও স্পষ্ট নয়।
গত ১৬ দিনে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে এদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের আদালত। ধৃতদের মধ্যে অনেককেই দোষী বলে রিপোর্টে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ কমিটির তদন্তকারীরা।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ব়্যাগিং রুখতে তৎপর আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেক্ষেত্রে তাঁর ভরসা এখন প্রযুক্তিই। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আনন্দ বোস। চন্দ্রযান -৩ এর সাফল্যকে সামনে রেখে ব়্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চাইছেন রাজ্যপাল।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং রুখতে উপযুক্ত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকী এই বিষয়ে হায়দরাবাদে অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, এই আলোচনা দ্রুত বাস্তবে পরিণত করতে তৎপর রাজ্যপাল। বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এছাড়াও একাধিক বিভাগের অধ্যাপকরাও ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। যদিও, ওই বৈঠকে আলোচনা কী হয়েছে, তা জানা যায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং রুখতে উপাচার্যকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে গিয়েছিলেন যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যপালের তৈরি করা অ্য়ান্টি ব়্যাগিং কমিটির প্রধান শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। সেখানে ব়্যাগিং রোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও রাজভবনে কোর্টের বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। যদিও নিজের বাসভবনে ওই বৈঠক ডাকায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রাজ্যপাল নিজের বাসভবনে ওই ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকতে পারেন কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। ওই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
যাদবপুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জলঘোলা চলছে। ছাত্র মৃত্যুর পর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সিসিটিভি বসানো সহ বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক দাবি ওঠে।
র্যাগিং রুখতে এবার টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করল লালবাজার। ইতিমধ্যেই যাদবপুরের মেন হস্টেলের বাইরে একটি পোস্টার লাগানো হয়েছে। যেখানে রয়েছে হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮।
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই র্যাগিং রুখতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে নম্বরে ফোন করলেই র্যাপিড অ্যাকশন নেওয়া হবে। এমনকি অভিযোগকারীর পরিচয়ও গোপন রাখা হবে। এবার সেই মতোই কাজ শুরু করে দিল লালবাজার। ইতিমধ্যেই যাদবপুরের মেন হস্টেলের বাইরে লাগানো হয়েছে এই পোস্টার।
শুধু যাদবপুর নয়। এই পোস্টার লাগানো হচ্ছে শহরের সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামনে। যে পোস্টারে লালবাজারের তরফ থেকে অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সিসিক্যামেরা (CCTV Camera) বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। ইতিমধ্যে একাধিক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
এবিষয়ে বুদ্ধদেববাবু জানিয়েছেন, মেইন হস্টেল এবং অন্য হস্টেলেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবেল-এর সহায়তায় পুরো কাজটি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইউজিসির-র নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবারও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্র সংগঠনগুলি। সূত্রের খবর, সেখানে সিসি ক্যামেরা-বসানোর বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নেবেনা ছাত্র সংগঠনগুলি।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে যেমন ছিল বহিরাগত পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনাগোনা তেমনই ছিল সিসি ক্যামেরা না বসানোর বিষয়টি। তারপরেই কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়।
রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। যাদবপুরের ঘটনায় এবার আদালতে এই দাবি করল পুলিস। আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর সৌরভকে বাঁচানোর অনেক প্রমাণ পুলিসের হাতে রয়েছে। এমনকী ওই গ্রুপে নির্দেশ দেওয়া হত, সৌরভ সম্পর্কে পুলিস জিজ্ঞেস করলে কী বলতে হবে। গোটা ঘটনায় সৌরভকেই মূল চক্রী বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর এবার যাদবপুরের মূল হস্টেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় রোজ রাতেই হস্টেলের মধ্যে থেকে ডিজের শব্দে কান পাতা দায় হত। এমনকী, পড়শিদের অভিযোগ এই অত্যাচারের জেরে ছোটদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটল।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরের হস্টেলে এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল এখন রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতভর জেরা করা হয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন পড়ুয়াকে।
প্রসূন গুপ্ত: যতই যা ঘটুক না কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টাবে না এমনটাই দাবি প্রাক্তনীদের। কথায় আছে 'তাগা বাঁধবে কোথায় বিষ উঠেছে মাথায়।' দীর্ঘদিন ধরেই এই ৱ্যাগিং সংস্কৃতি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে। সাধারণত সরকারি কলেজগুলিতে ৱ্যাগিং বিদ্যমান ছিল এবং আছে। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে তাবড় তাবড় অভিনেতারা সিনেমা জগতে এসেছেন, যথা জয়া বচ্চন, আসরানি, মিঠুন চক্রবর্তী, সুভাষ ঘাই প্রমুখ। এদের নানা সাক্ষাৎকারে ইনস্টিটিউটের ৱ্যাগিং-এর খবর শোনা গিয়েছিলো, কিন্তু কখনোই যৌন হেনস্থা নয়। ৭০ দশকে নক্সাল আন্দোলনের রেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বহু ছাত্রছাত্রী ওই সময়ে উগ্র আন্দোলনের কারণে ধরাও পড়েছিল। পরবর্তীতে এসএফআইও এখানে সংগঠন তৈরি করে। এই ছাত্রছাত্রীদের পিছনে উস্কানি দেওয়ার দায়িত্ব থেকে প্রাক্তন পড়ুয়া বা শিক্ষকদের একটি অংশকে বাদ রাখা যায় না।
মজার বিষয় যে, যখন ভর্তি হয়েছে এবং হোস্টেলে থাকার অধিকারপ্রাপ্ত হয়েছে তাকেই এই ৱ্যাগিং এর খপ্পরে পড়তে হয়েছে। পরের বছর ওরাই পরের নব্যদের উপর অধিকার চালিয়েছে। এ যেন ক্ষমতা হস্তান্তর। যতগুলি ছাত্র সংগঠন আছে ৱ্যাগিংএর বিষয় নিয়ে উৎসাহ কারুর কম নয় অর্থাৎ নব্যদের উপর মানসিক, শারীরিক অত্যাচার যেন এদের কোর্সের মধ্যেই দেওয়া রয়েছে, করতেই হবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ড.সুপ্রিয়া চৌধুরী সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে, তিনি নাকি ৱ্যাগিং বিরোধী কমিটির সদস্য ছিলেন। এক সময়ে নিয়ম করা হয়েছিল নতুন পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হোস্টেল করা হবে এবং সেই ছাত্রাবাসে পুরাতনীরা প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু তার প্রতিবাদে নাকি সচল হয় প্রতিটি ছাত্র ইউনিয়ন। সুপ্রিয়াদেবী থেকে উপাচার্য্যকেও নাকি ঘেরাও করা হয়। দাবি ছিল নতুনদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে কতৃপক্ষ। ড.চৌধুরী প্রকারান্তে জানান, এই সমস্ত বন্ধ করা অসম্ভব। ছাত্র মৃত্যুর পরেও দাপটে এক ছাত্রী পরম বিক্রমে জানায়, ধূমপান থেকে মদ্যপান তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে পড়ে। বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই তাদের চাল চলনে। বাইরে নানান রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ চলেছে, কিন্তু পাত্তাই দিচ্ছে না পড়ুয়াদের অংশ বিশেষ। এই ভাবেই কি চলবে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাক্ষেত্র?