শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য় গ্রেফতারের দু'মাসের মাথায় পেশ করা হল চার্জশিট।
সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আজ, মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। শঙ্কর ছাড়াও তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজনের নামও চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেরবারের চার্জশিটে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও ছিল চার্জশিটে।
দিন-দুপুরে চলল গুলি। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জীপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ রাহি। বুধবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রধানকে লক্ষ করে ২-৩ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কিষাণগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উত্তরবঙ্গে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে পথেই মৃত্যু হয় পঞ্চায়েত প্রধানের খবর প্রশাসন সূত্রে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি বাইকে কালো কাপড় পড়ে আসে চারজন দুষ্কৃতী। গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে যেতেই উধাও দুষ্কৃতীদল। ঘটনার বেশ কিছু সময় পরেও রাস্তায় রক্তের দাগ স্পষ্ট। দিনে-দুপুরে গুলি চলল কীভাবে? এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী? প্রশ্ন তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ক্ষুব্ধ মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী।
খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র না কি পুরোটাই পরিকল্পিত ঘটনা ? তা জানতে ইতিমধ্য়ে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, দিন-দুপুরে গুলি চলার ঘটনায় জন প্রতিনিধিরাও সুরক্ষিত নয়? ফলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের দ্বারাই সুরক্ষিত নয় তৃণমূল, সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দেবের পরবর্তী ছবি 'প্রধান'-এর (Pradhan) শ্যুটিং শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এবং গোটা প্রোডাকশন টিম এই মুহূর্তে রয়েছেন সেখানেই। সেখানে মূর্তি নদীর ধরে একটি রিসর্টে তারকাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন সেখানে তারকাদের দিন চলছিল একরকম। তবে বৃহস্পতিবার সকাল শুরু হল, অন্যভাবে। সিনেমার অন্যতম অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু সামাজিক মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
পাইথনের ছবি সহ একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওর নেপথ্যে আসল কাহিনী শোনা গিয়েছে। বিশ্বনাথ খোদ বলেছেন, সকালে এক ভাই তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে বলেন, একটি স্যাপ ধরা পড়েছে হোটেলের নিচে। অভিনেতা প্রথমটায় ভেবেছিলেন, সাধারণ সাপ। তবে নিচে গিয়ে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। ১৫ ফুট লম্বা পাইথন স্যাপ দেখে তিনি রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনা তাঁর কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত।
তবে সহ অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এই পাইথন সাপ দেখে বেশ আনন্দে গদগদ। বিশ্বনাথকে তিনি বলেন, গলায় সাপটি জড়িয়ে একটি ছবি তুলতে। বিশ্বনাথ অবশ্য ভয়ে পিছিয়ে এসেছেন। তবে সোহম ভয় পাননি। তিনি পাইথনটিকে হাতে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন। হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন। আবার সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।
বাঘাযতীন, ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের কাজ শেষ করে এবার নতুন ছবি 'প্রধান'-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন দেব (Dev)। কিন্তু শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনেই দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে দেব লিখেছিলেন, 'প্রথম দিনের শ্যুটিং। এদিকে আমি জ্বরে কাবু।' একথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেন ও দেবের ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। তাই রটে গিয়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সত্যিই কী তাই?
জানা গিয়েছে, প্রধানের শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে দেবের জ্বর এসেছিল ঠিকই তবে দ্বিতীয় দিন থেকে তা উধাও হয়েছে। দেব এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন। জ্বর আসার পর দেবের রক্ত পরীক্ষাও করে দেখা হয়েছে, রেজাল্টে পাওয়া গিয়েছে ডেঙ্গি হয়নি দেবের। এই মুহূর্তে সিনেমার টিম উত্তরবঙ্গে শ্যুটিং করছে। তবে ডেঙ্গি হওয়ার ভুয়ো খবরে নাকি দেব বিরক্তই হয়েছেন। যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে, এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
প্রধানের শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি দেব ভার্চুয়ালি 'বাঘাযতীন' সিনেমার প্রচারও করছেন। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগেই ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি। ইতিমধ্যেই দেবের চরিত্রের ঝলক এবং টিজার দেখে দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে 'বাঘাযতীন' নিয়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে দেব কতটা দর্শকদের মন জয় করতে পারেন সেটাই দেখার।
অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা 'অভিমান'-এ গায়িকা হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন গায়িকা অনুরাধা পারোয়াল (Anuradha Paudwal)। ১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকের প্রথম সারির গায়িকা ছিলেন অনুরাধা। সম্প্রতি রিমিক্স গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। উল্লেখ্য, 'হেট স্টোরি ২' সিনেমার 'আজ ফির তুমপে' গানটি ১৯৮৮ সালের 'দয়াবান' সিনেমায় গেয়েছিলেন খোদ অনুরাধা। একসময় তাঁরই গাওয়া গানটির রিমিক্স শুনে তেমন ভালো লাগেনি অনুরাধার।
অনুরাধা বলেছিলেন, 'এক ব্যক্তি আমাকে অরিজিতের গান পাঠিয়ে বলেছিলেন এটি হিট ট্র্যাক। গানটি শোনার পর আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে গিয়ে আমার আসল গানটি বেশ কয়েকবার শুনি। তারপরে আমি শান্তি পাই।' এরপরেই নেট মাধ্যমে ঝড় ওঠে। অরিজিতের কণ্ঠে রিমিক্স গানটি বর্তমান প্রজন্মের খুব পছন্দ। তাই অনুরাধার বিপক্ষে মন্তব্যে ছয়লাপ হয়েছিল নেট মাধ্যম।
শেষে অনুরাধা নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে বলেন, 'আজ ফির তুমপে প্রসঙ্গে আমি রিমিক্স নিয়ে কথা বলেছি। গায়ককে নিয়ে কথা বলিনি। রিমিক্স গান কতটা আসল গানের সঙ্গে বিচার করতে পারছে তা বুঝতে হবে। আমরাও পুরোনো গান রিমেক করেছিলাম, কিন্তু শোভনতার সঙ্গে।' একইসঙ্গে তিনি মিডিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন রং চড়িয়ে খবর না করতে। কিন্তু যা কিছু নেট মাধ্যমে চর্চায় তা এড়ানো কি অত সহজ !
নববর্ষ জমজমাট বোধহয় একেই বলে। বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) বিনোদনের ঝুলি নিয়ে একেবারে তৈরী। নতুন আরও দুটি সিনেমার সুখবর এলো বাংলা নতুন বছরেই। দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেন্চারসের নতুন কাজ 'প্রধান'-এর লোগো মুক্তি পেয়েছে। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন দেব এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের শেষের দিকেই মুক্তি পেতে পারে ছবিটি। এর আগে টনিক ছবিতে দেখা গিয়েছিল দেব-পরাণ জুটিকে। দর্শক বেশ উপভোগ করেছিলেন।'প্রধান' মূলত পারিবারিক সিনেমা হতে চলেছে। পর্দায় বলিউডের দুই প্রজন্মের প্রত্যাবর্তন কতটা ব্যবসা করতে পারে দেখা যাবে ছবি মুক্তি পেলেই।
অন্যদিকে মুক্তি পেয়েছে, 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'র পোস্টার। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন কোয়েল মল্লিক। ২০১৯-এ মুক্তি পেয়েছিল মিতিন মাসি। পুরুষ গোয়েন্দাদের ভিড়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্য সৃষ্ট মহিলা গোয়েন্দা 'মিতিন' দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিল। চুটিয়ে ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। তবে এবার কলকাতার অলিগলি ছেড়ে মিতিন মাসি জঙ্গল রহস্য উদঘাটন করবে। অরিন্দম শীলের প্রযোজনায় ছবিটি মুক্তি পেতে পারে চলতি বছরের পুজোতে।
নববর্ষে নতুন রূপে ব্যোমকেশের আগমনের খবর মিলল। মুক্তি পেল দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেন্চারসের আরও একটি আসন্ন ছবি 'ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য' ছবির পোস্টার। ছবিতে এই প্রথম ব্যোমকেশের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা দেব অধিকারীকে। উত্তম কুমার, সুজয় ঘোষ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, টোটা রায়চৌধুরী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা আগে ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেব ব্যোমকেশের চরিত্র কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারে, সেটাই দেখার।
অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েতের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে (Wood Smuggling) নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambag) সালেপুর ২ অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে আরামবাগ থানার পুলিস। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, সালেপুরের বসন্তবাটি পশ্চিমপাড়া এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী। বেশ কয়েকদিন আগেই পঞ্চায়েতের তরফে গাছ কাটার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি শুরু হয়ে যায় সেই গাছ কাটার কাজও। তবে সেই গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও সালেপুর ২ নং পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত অধিকারী এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ওই এলাকায় পিএইচই প্রকল্পের পাইপ লাইন করার জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। পিএইচই-র পক্ষ থেকে বেশ তাড়াও ছিল। তাই লিখিত অনুমতি না পেলেও বিষয়টি মৌখিকভাবে বন দফতরকে জানানো হয়েছে।
সৌমেন সুর: সময় যতই আধুনিক হোক না কেন, রাধা কিন্তু তার থেকেও আধুনিক। প্রত্যেকের ভাবনায় আলাদাভাবে রাধা ধরা দেন। যত দিন যাচ্ছে, রাধা যেন আবিষ্কৃত হচ্ছেন নতুন রুপে। বৈষ্ণব পদাবলীর প্রেমিকা রাইকিশোরী, কালক্রমে পরিণত হলেন শ্রীকৃষ্ণের নায়িকায়। তিনি মহাভাবময়ী। তাঁর জাগতিক প্রেম পরিণত হলো স্বর্গীয় অনুভূতিতে। শ্রীরাধা, এই নামটি আমাদের চির চেনা,আবার অচেনাও। তিনি কাছের হয়েও অধরা। রাধা মানেই প্রেম, আবার রাধা মানে সাধনা। প্রেম ও সাধনাকে একাকার করেছে রাধা নাম।
রাধা ডুবে গেলেন কৃষ্ণ প্রেমে। ইন্দ্রিয়র স্বাভাবিক আর্কষণ তাঁকে টেনে এনেছে কৃষ্ণের কাছে। বৈষ্ণব কবিদের নিপুন কলমে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়লীলার বর্ণনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রস সাহিত্যের উদাহরণ। প্রেম যখন গভীর, তখন কৃষ্ণ ব্যাকুল রাধাকে একবার চোখে দেখবার জন্য, রাধার অবস্থাও তাই।
তোমার জন্য তোমাকে চাই-এটাই হলো রাধাতত্ত্বের আধুনিক দর্শন। পার্থিব চাহিদামতো জগৎ এই একটি উচ্চারণে অপার্থিব অলৌকিক হয়ে ওঠে। রাধার প্রেমের কৃতিত্ব এখানে। রাধা চির আধুনিক এই কারণে love for, love sake। ভালোবাসার দুরন্ত বাণী-তোমার জন্য তোমাকে চাই, রাধার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হলো। আধুনিকতার এমন নির্দশন রাধা ছাড়া, অন্য কোনও মধ্যে দেখি না।
সবাই যখন বলেন আমি কৃষ্ণের, একমাএ রাধা বলেন-মানুষের সঙ্গেই হোক বা ভগবানের সঙ্গে- প্রেমে সম্পূর্ণ সমর্পণ। আত্মনিবেদন না থাকলে অধিকার আসে না। রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী মানবীয় ভাবে উঠে এলেও মূলত ঈশ্বরের প্রতি বা মুক্তির প্রতি জীবকূলের চরম আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে। কৃষ্ণ যদি মুক্তির স্বরুপ পরমাত্মা হন, রাধা তবে জীবাত্মার প্রতীক।
বাংলায় চলা শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ব্যবস্থা নিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata) চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও সেই চিঠির কোনও জবাব পেলাম না। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister)। খড়গপুর আইআইটির অনুষ্ঠানে যোগদানের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন সকাল শহরে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।
তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলায় এতকিছু হয়ে গেল। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে, বড় কর্তা, মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এখনও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আর কত সময় লাগবে তরুণদের ন্যায় পেতে? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত অগাস্ট মাসে। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।
তাঁর মন্তব্য, 'এই দুর্নীতি-কাণ্ডে মন্ত্রী, উপাছারজ-সহ সবাই জড়িত। এই দুর্নীতি-কাণ্ড মানুষের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে সরানোই লক্ষ্য।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'বাংলায় নানা খাতে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতি হয়, সরকার আর পার্টি এক হয়ে যায়। এমনকি, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকাতেও নয়ছয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।'
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা এই দাবি করে কুণাল ঘোষের প্রস্তাব, 'ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ মধ্যপ্রদেশ কিংবা সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া ত্রিপুরায় গিয়ে এসব বলুন। ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে যেখানে ইন্যম করেছে সেখানে যান। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নতি করেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান সত্যের অপলাপ করেছেন।' কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'অযোগ্য বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য দিয়ে ভুল বলান। ধর্মেন্দ্র প্রধানজি ভালো করে খোঁজ নিক।
গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayet) সংখ্যাগরিষ্ঠ (Majority) হয়ে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। অথচ প্রধান হলেন বিজেপির (BJP)। উপপ্রধান ঘাসফুলের! সংরক্ষণের (Reservation) গেড়োয় এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ইতিহাসে এমনই রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষী থাকল খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। ১৩ আসন বিশিষ্ট বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৯টি এবং বিজেপি ৪টি আসন পায়। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও প্রধান পদটি তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত থাকায় বেকায়দায় পড়ে শাসকদল। কারণ, তাদের এমন কোনও সদস্যই নেই। গত ২৫ জুলাই বোর্ড গঠনের প্রথম সভায় বিজেপি এলেও সেদিন তৃণমূল সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় সভা বাতিল হয়। নতুন করে আজ (বুধবার) বোর্ড গঠনের সভা ডাকা হয়।
নির্বাচনে বিজেপির দুই তফশিলি উপজাতি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। অবশেষে সংরক্ষণের গেরোয় প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির আলাকসু লাকড়া। সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান হন প্রমোদ প্রসাদ। গ্রাম পঞ্চায়েতে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিস। পাশাপাশি ১৪৪ ধারা জারি করা হয় পঞ্চায়েত অফিস এলাকায়।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ইতিহাসে প্রথমবার বিজেপির প্রধান হওয়ায় এদিন উল্লাস দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, আমাদের দুই তপশিলি উপজাতির জয়ী সদস্যদের ভয় দেখিয়ে লোভ দেখিয়ে তৃণমূল দলে টানতে চেয়েছিল, তা আমরা হতে দিইনি। নবনির্বাচিত প্রধান আলাকসু বলেন, মানুষের জন্য কাজ করব।
'আমাদের বিধায়ক তো মাতাল, তার কথা ছেড়ে দেওয়াই ভালো'। নিজের দলের বিধায়ক সম্পর্কে এমনই মন্তব্য তৃণমুল পঞ্চায়েত প্রধানের। যা নিয়ে হাসিঠাট্টা যেমন শুরু হয়েছে, তেমনি অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস (World Tribal Day) উপলক্ষে স্থানীয় আদিবাসী সমাজের মানুষদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ফুটবল ময়দানে। অনুষ্ঠানে জমায়েত হয়েছিল ভালোই। আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি, কৃষ্টি তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমুল নেতা এবং জনপ্রতিনিধি। তার মধ্যে একজন প্রধান হেমব্রম। তিনি জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পাশাপাশি রায়পুর চা বাগানের শ্রমিক নেতাও। রায়পুর চা বাগান দীর্ঘদিন ধরে অচল। অনুষ্ঠান মঞ্চে সেই অচল বাগান নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এলাকার বিধায়কের (MLA) সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধান (Panchayet Pradhan) হেমব্রম। তাঁর বক্তব্য, "আমাদের বিধায়ক তো মাতাল, তার কথা ছেড়ে দেওয়াই ভালো" তিনি নিজের ঘরই সামলাতে পারেন না, বাইরে কী সামলাবেন? তাঁর কাছ থেকে কিছু আশা করি না"।
নাম না করলেও স্পষ্ট যে, প্রধান হেমব্রমের তীর রাজগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের দিকে। তাঁর এই বক্তব্যের পর মঞ্চে উপস্থিত দলীয় নেতারা অস্বস্তিতে পড়ে যান। আবার অনেককে চুপিসারে হাসাহাসি করতেও দেখা যায়।
এদিকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের এহেন মন্তব্যে অস্বস্তি পড়েছে জেলা তৃণমুল। খগেশ্বর রায় চারবারের বিধায়ক। পাশাপাশি, তিনি জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যান। জেলার শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিধায়ক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, তাঁরাই ব্যবস্থা নেবেন। জলপাইগুড়ির তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই, কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
এদিকে, ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক খগেশ্বর রায় মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসেন। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য বা আচরণ করে, আবার কখনও পারিবারিক কারণে। যদিও বিধায়ক সবসময়ই দাবি করে এসেছেন, এসব তাঁকে বদনাম করার চক্রান্ত।