জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই অনুসন্ধান হোক। অনুসন্ধানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন মেনে আবেদন করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার তারই রায়দান হল। রায় দান করতে গিয়ে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ জানান, রাজ্যের আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। সিবিআই অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। আপাতত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
এবার ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়ে গ্রেফতার এক ব্য়ক্তি। লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকা থেকে লালগোলা থানার পুলিস গ্রেফতার করে ওই ব্য়ক্তিকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো এনআইএ অফিসারের নাম জাহির আব্বাস। বাড়ি লালগোলার রামনগর এলাকায়। মঙ্গলাবার ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন রেখে লালবাগ আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রাতে লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকাতে নাকা চেকিং করছিল পুলিস। সেই সময় একটি স্কুটি আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে স্কুটির ডিকির ভিতর তল্লাশি চালাতে গেলে সে নিজেকে এনআইএ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর তার স্কুটির ডিকি থেকে ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্তকে।
তবে এর পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা কী উদ্দেশ্য়ে ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়পত্র তৈরী করেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসূন গুপ্তঃ স্বাধীনতা উত্তর যুগে কংগ্রেসের ধীর গতিতে পতন কিন্তু এই বাংলাতে শুরু হয়েছিল। অথচ বিধান রায়ের রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী কম ছিল না। ১৯৬৬/৬৭ তে প্রফুল্ল সেনের সরকার পরাজিত হয় এবং অনেক সহযোগী নিয়ে কমিউনিস্টরা রাজ্য দখল করল। মাঝে ১৯৭২ - ৭৭ ফের একবার কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। আজ এ রাজ্যে ক্ষমতায় ব-কলমে মমতার কংগ্রেস।
জাতীয় কংগ্রেসের একটা করে পার্টি অফিস হয়তো প্রতি জেলায় আজও আছে কিন্তু কর্মী কোথায়? তবু মুর্শিদাবাদ মালদা বা উত্তর দিনাজপুর ও পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের সংগঠন আছে। অবিশ্যি এবারে এই জেলাগুলিতে কংগ্রেস লোকসভায় প্রার্থী দিয়েছে। লক্ষ্য কিন্তু বহরমপুরেই।
এটা বাস্তব যে এ রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট হয় নি ঠিকই কিন্তু গুঞ্জনে তৃণমূল নাকি বহরমপুর ও বরকত গনির কেন্দ্র দ.মালদহে এমন দুই প্রার্থী দিয়েছে যাদের জেতা কঠিন। ১৯৯৯ থেকে বহরমপুরে জিতে আসছেন অধীর চৌধুরী। ২০১৯ এ কঠিন লড়াই হয় তৃণমূলের প্রার্থীর সাথে কিন্তু শেষ হাসি ছিল অধীরের।
এবারে বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। যিনি গুজরাতের বাসিন্দা। আইপিএল এ কলকাতা টিমে খেলা ছাড়া বাংলার সাথে কোনও যোগাযোগই নেই। এটা সত্যি মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬৬ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোট কিন্তু ঐ ভোটাররা নেহাতই গ্রাম্য বাঙালি। ইউসুফের থেকে জেলার অধীরের উপর আস্থা তাদের অনেক বেশি। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মল সাহা এই দুই প্রার্থীর তুলনায় নেহাতই শিশু। বিজেপির ধারনা যদি মুসলিম ভোট ভাগ হয় তবে হিন্দু ভোটে জিতে আসবে তারা। অতি সরলীকরণ। অধীর নিজে হিন্দু কাজেই তাঁর হিন্দু ভোট পেতে সমস্যা কোথায়? অবিশ্যি দুষ্টু লোকেদের বক্তব্য মোদীর প্রিয় মানুষ অধীরকে হারাতে ততটা আগ্রহী নয় নাকি বিজেপি।
সে অঙ্ক যাই হোক না কেন এলাকায় অধীরের জনপ্রিয়তা আজকেও অটুট। তিনি এলাকায় যথেষ্ট কাজ করেন সারা বছর ধরে অতএব এই তিন শক্তির লড়াইয়ে শেষ হাসি এবারেও অধীরের জন্য অপেক্ষা করছে বলেই ধারনা।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে হইচই পড়েছিল ২০১৮ সালে। দাড়িভিটকাণ্ডের তদন্ত এখনও বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় আগামী সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-কে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে দশ মাস কেটে গেলেও, এনআইএ-কে রাজ্যের তরফ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই না, দশ মাস কেটে যাওয়ার পরেও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি রাজ্যের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি মামলার জল আদালতে গড়ায় আরও দূর। সিঙ্গল বেঞ্চের এনআইএ তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চের। সেখানেও মুখ পোড়ে রাজ্যের। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল থাকে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকাও এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, গত বছরের মে মাসেই রাজ্যের আদালত অবমাননার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের ওপর করেছিলেন রুল জারি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগের শুনানিতে সেই নির্দেশেও কোনও স্থগিতাদেশ নয়- জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পষ্ট। এবার, শুক্রবার মামলার শুনানিতেও অনুপস্থিত তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ওপর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। রাজ্যের ওপর রুল জারি করে তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সর্বাধিক পদে বসে থাকার পরও আদালতের নির্দেশ মানছেন না, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই- বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির।
এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং এডিজি সিআইডিকে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা জানান, এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা এতটা উচ্চপদস্থ হয়ে গিয়েছে যে আদালতের নির্দেশও তাঁরা মানতে পারছেন না! আদালত আরও একটা সুযোগ দিল। তাঁরা যদি আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা না দেন, তবে আরও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাববে আদালত।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
মণি ভট্টাচার্যঃ পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শিক্ষা দফতর। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সিএন-এর হাতে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। উল্লেখ্য, ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারি ও ১২১ জন শিক্ষককে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে।
আরও ভয়ানক অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানত সিআইডি, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন সবাই। ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে শিক্ষা দফতর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গোটা ঘটনার তদন্তের নামে একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে জমা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
ওই কমিটি ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জানায় জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে বেনিয়ম হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতৃত্বরা জড়িত বলে জানায় ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএতে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটি চিঠি পৌঁছয় শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকেও পাঠায়। এমনকি শিক্ষা দফতর এই চিঠি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সবকিছু জেনেও চুপ ছিল রাজ্য সিআইডি এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশন? কেন এই দুর্নীতির কথা জেনেও চুপ ছিল রাজ্য! উঠছে প্রশ্ন।
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার তৃতীয় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তৃতীয় চার্জশিটে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকার সম্ভাবনা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগদ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অনুমান জ্যোতপ্রিয়র সেই অর্থ এজেন্ট মারফত নগদে বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছে যেত। এরপর তিনি সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দিতেন। চার্জশিটে এই বিষয়ে উল্লেখ থাকতে চলেছে। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাসের সোনার ব্যবসা ছাড়াও একাধিক ব্যবসার হদিশ মিলেছে নতুন করে, সেই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে চার্জশিটে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্যের নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের নামও দ্বিতীয় চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি। এবার তৃতীয় চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকবে বলেই খবর।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
ফের পণের দাবিতে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্য়েই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনা বাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রকসেনা খাতুন (১৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানানভাবে অত্যাচার করত। প্রায়শই জিনিসপত্রের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি চলত। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতার স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি। এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করেছে ইডি। অন্যদিকে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসে নেই সিবিআই। একদিকে যখন আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের ঠিক তখনই ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ঘুম, উড়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার। সিবিআই সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফের সমন করা হলো একাধিক ব্যক্তিকে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নতুন নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সাবাই আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্র মারফত খবর।
ওদিকে গ্রেফতারির পর ইডির কাছে নত স্বীকার করল শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর, গত পাঁচই জানুয়ারিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডিকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই ইডির তল্লাশিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের ভয় পেয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেক্ষেত্রে তিনি তার অনুগামীদের ফোন করে তাদের সাহায্য নেন।
ইতিমধ্যে জমি দখল মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তার ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান। শুধুমাত্র জমি দখল নয় একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। মাত্র কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষয় স্বীকারোক্তি করলেও সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চাইলে মুখে কুলুপ শেখ শাহজাহানের।