
পেশায় রসায়নের শিক্ষক। অনেক ছোট থেকেই বামপন্থী রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ছয়বার ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে জিতে সংসদে গিয়েছেন। নয়ের দশকে শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা সিপিএম নেতা তড়িৎ তোপদার। এখন তাঁর জীবন অনেকটাই নিষ্প্রভ। সেই চড়াই-উতরাইয়ের গল্প নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করছেন ব্যারাকপুরের বর্তমান বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
শুক্রবার ব্যারাকপুরে তড়িৎ তোপদারের বাড়ি যান রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুরের বদলে যাওয়ার ইতিহাস শুনেছেন, বোঝার চেষ্টা করেছে। তবে তথ্যচিত্রের বিষয় কী, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও পক্ষই।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তড়িৎ তোপদার। ১৯৯৭ সালে ব্যারাকপুরের মন্মথনাথ বয়েজ স্কুলের শিক্ষক পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতি তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল। প্রাক্তন সাংসদকে নিয়ে বর্তমান বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর তথ্যচিত্র কী নিয়ে হবে, তা নিয়ে জল্পনা থেকেই গেল।
লোনের টাকা মেটাতে পারছিলেন না। সেই কারণে প্রতিবেশীর ২ বছরের বাচ্চার গয়না চুরি করে তাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে অভিযোগ উঠল মায়ামান বিবি নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাপের মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার সিকদারপুর এলাকায়।
নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল ২বছরের ওই শিশুকন্যা। আচমকাই শিশুটির মা সুমা খাতুন দেখেন তাঁর মেয়ে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হলে এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্তের কোলে দেখা গিয়েছে বাচ্চাটিকে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই মহিলা অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, লোনের কিস্তির টাকা জোগাড় করতে শিশুটির গায়ের গয়না খুলে নেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতেই শিশুটিকে শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।
বাগুইআটির আবাসনে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আয়া। বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পরিচর্যার জন্য আয়া রেখেছিল পরিবার। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়াতেই বৃদ্ধাকে মারধর করে অভিযোগ পরিবারের। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়ে। এরপরই অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন দিন ধরে শয্যাশায়ী। গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পরিবার সদস্যরা। তখনও আয়ার ওই হাড়হিম করা বৃদ্ধাকে মারের দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে।
সিসি ক্যামেরার দৃশ্য দেখার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত আয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ঘুমের ব্যাঘাত হওয়াতেই ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে ওই আয়া।
দমদম নাগেরবাজারের বাগানবাড়ি থেকে বৃদ্ধ মালিক কল্যাণ ভট্টাচার্যের পচাগলা দেহ উদ্ধারের দু'দিন পর গ্রেফতার তাঁর গাড়ির চালক। স্থানীয়দের বয়ান এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সৌরভ মণ্ডল। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে বসিরহাটের বাসিন্দা অভিযুক্ত সৌরভ। উদ্ধার করা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটিও।
জানা গিয়েছে, পাঁচিল. টপকে বৃদ্ধের বাড়িতে ঢোকে অভিযুক্ত। তাঁর বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরেই বৃদ্ধকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকি হত্যার পর বাড়িতে তালা দিয়ে ওই বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে দিঘা চম্পট দেয় অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক টোল প্লাজার রসিদও।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধের গাড়িটি চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাড়ি থেকে যশোর রোডের দিকে গিয়েছিল। তবে, গাড়িটি কে চালাচ্ছিল বা কোথায় যাচ্ছিল গত দুদিন ধরে তার উত্তর হাতড়াচ্ছিল পুলিশ।
চলতি বছরের ২৮ জুলাই সারা ভারতে মুক্তি পেয়েছিল করণ জোহার পরিচালিত সিনেমা 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' (Rocky Aur Rani Ki Prem Kahani)। সাধারণত বাণিজ্যিক সিনেমা লার্জার দ্যান লাইফ হয়। তাই সমালোচকদের থেকে প্রশংসা পেতে বেশ মুশকিল হয়। কিন্তু এই সিনেমাটি ব্যতিক্রম। করণের এই চিত্রনাট্য প্রশংসা পেয়েছে অফুরান। সমাজের গোঁড়া-প্রচলিত ধ্যানধারণা ভেঙে সিনেমায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে সিনেমাটি। বর্তমান সমাজে যার প্রাসঙ্গিকতা একেবারেই অস্বীকার করা যায় না। তাই এই সিনেমাটি অস্কারের দৌড়ে সামিল হতে পারে বলে জল্পনা।
বছর ঘুরতেই অস্কার ২০২৪। ভারত থেকে কোন কোন ছবিগুলি অস্কারের দৌড়ে সামিল হবে, সেই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই চেন্নাইতে সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ফিল্ম ফেডারেশনের সদস্যরা সিনেমাগুলি দেখে বিচার করবেন। ১৭ জন সদস্যের ওই কমিটি নাকি ইতিমধ্যেই ২২টি সিনেমা দেখে ফেলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে 'দ্যা কেরালা স্টোরি'। শোনা গিয়েছে, এই সিনেমাটির জন্য সবুজ সংকেত দিতে পারেন কমিটি।
এছাড়াও অভিষেক বচ্চন অভিনীত 'ঘুমেড়', নন্দিতা দাস পরিচালিত ‘জুইগ্যাটো’ রয়েছে এই তালিকায়। অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত 'জওয়ান' সিনেমাটিকেও বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে আগ্রহী পরিচালক। এই তালিকায় যদি 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' যুক্ত হয়, এর থেকে গর্বের আর কি হতে পারে!
খলিস্তানিপন্থি শিখ নেতা তথা জঙ্গি (Terrorists) হিসাবে পরিচিত নিজ্জর সিং-এর হত্যার পিছনে ভারত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ট্রুডোর দেশ। এর পরই কানাডা-ভারত সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। আর এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়ে চরমে পৌঁছেছে। এতদিন এই অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিলেও এবারে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। আজ অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা ধীরে ধীরে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থ হয়ে উঠছে। ফলে এই বক্তব্যের পরই বোঝা যাচ্ছে, ভারত এবারে কানাডাকেও পাকিস্তানের আসনে বসিয়েছে।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তার নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থান হয়ে উঠছে কানাডা।' ট্রুডোর এই অভিযোগকে 'পলিটিক্যালি ড্রিভেন' বলে মনে করছেন তিনি। এছাড়াও অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আশ্রয় পাওয়া ২০-২৫ জন জঙ্গিদের ভারতের কাছে তুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা। আবার নিজ্জর খুনের অভিযোগ আনার পিছনে তেমন কোনও প্রমাণও দেয়নি কানাডা, এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ফলে কানাডাকে উপযুক্ত জবাব দিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র পাকিস্তানের জায়গায় কানাডাকে বসালেন।
একদিকে যখন গোটা দেশে মহিলাদের সন্মান জানিয়ে পাশ করা হচ্ছে মহিলা সংরক্ষণ বিল, তখন অন্যদিকে বাংলার নারী সুরক্ষার চিত্রটা ঠিক অন্যরকম। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে গোটা দেশে মহিলাদের উচ্ছাস ঠিক তখনই রাতের কলকাতায় মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগ গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে শ্লীলতাহানির স্বীকার এক মহিলা।
যদিও স্থানীয় থানা শ্লীলতাহানির অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। অভিযোগ বুধবার রাট আটটার সময় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার মুখে বেহালা চৌরাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলা, অভিযোগ সেই সময় এক মদ্যপ ব্যক্তি হঠাৎই তার সামনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে, নির্যাতিতা মহিলা তখন তাঁকে লাইনে অপিচনে গিয়ে দাঁড়াতে বলে। অভিযোগ এরপরেই ওই ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে দুরব্যবহার শুরু করে। অভিযোগ মহিলাকে গালিগালাজ, হুমকি এমনকি গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ ওই অটোর লাইনে অন্যরা থাকলেও কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। তারপর অপর এক মহিলা এ ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে থাকে আমার মা ভবানী ভবনের সেকেন্ড অফিসার, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। থানা থেকেও ছেড়ে দেবে। তারপর ওই মহিলা চৌরাস্তায় উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের সাহায্য নেয় এবং পুলিশকে পুরো ঘটনা বলে খবর দেওয়া হয় বেহালা থানা তে। বেহালা থানা ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে আটক করে গতকাল রাত্রিবেলায় নিয়ে গেছে যদিও ওই মহিলার বক্তব্য আমি বারংবার শ্লীলতাহানি অভিযোগ করতে চাইলে থানা থেকে বলা হয় গায়ে হাত না দিলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয় না। এ ঘতমনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ফের চলল শহরে গুলি। ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে গুলি চলার অভিযোগ কসবার বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সৌমিত মণ্ডল প্রায় প্রতিদিনিই এলাকার একটি ক্লাবের সামনে ময়লা ফেল যেত। তাতে বহুবার বারণ করা হলেও তিনি কথা শোনেননি। মঙ্গলবার রাতে ময়লা ফেলতে আসলে তাঁকে বাধা দেন স্থানীয়রা। তখন তিনি বন্দুক নিয়ে এসে চড়াও হন।
স্থানীয়দের দাবি ওই ব্যক্তি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন এলাকায়। অভিযোগ যে গাড়ি তিনি ব্যবহার করেন, তাতে প্রেস ও পুলিসের স্টিকার রয়েছে একসঙ্গে। এ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এলাকার মহিলাদের গালাগালি, পরিচারিকাকে পয়সা না দেওয়া এমন অনেক ধরনের কুকর্ম করতেন তিনি। তবে প্রতিবাদ জানালেই ভয় দেখাতেন বন্ধুকে দেখিয়ে, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত একজনকে লক্ষ্য করে দু রাউণ্ড গুলি চালান, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ আহত হয়নি এমনিই দাবি স্থানীয়দের। কেন সামান্য বিষয়ে গুলি চালালেন অভিযুক্ত! অভিযুক্তের স্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে জানেননা।
ঘচনার পর থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযুক্তের সমস্ত গাড়ি বাঙচুর করেন স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এর আগেও বহুবার স্থানীয়রা অভিযোগ জানালেও কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা! গাড়িতে কেনই বা একসঙ্গে পুলিস ও সংবাদ মাধ্যমের স্টিকার। এ বিষয়ে কেন কোনও ব্যাবস্থা নেয়নি পুলিস। তবে সবকিছুর মাঝেই কী লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর তথ্য?
সদ্যোজাতের বদল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের (Malda) চাঁচলের (Chanchal) একটি নার্সিংহোমে। পাশাপাশি দুটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের অদলবদলের অভিযোগকে ঘিরে বিপাকে পড়েন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস আদালতে পেশ করে।
পুলিস ও নবজাতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দঃ শালদহ ও ইলাম গ্রামের ২ প্রসূতি একই সঙ্গে নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই জানবী পারভীন ও চুমকি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দুই পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এক সেবিকা তাঁদের সদ্যোজাতের মধ্যে অদলবদলের চেষ্টা করেন। সেই সময় সদ্যজাতের মায়েরা দেখে ফেলেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে ছুটে আসলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই ওই অভিযুক্ত সেবিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সদ্যোজাত শিশু বদলানোর চক্র আগে থেকেই কি ওই নার্সিংহোমে সক্রিয় রয়েছে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চাঁচলের এই নার্সিংহোম চলতি মাসের ৯ তারিখেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়েছিল নার্সিংহোম চত্বরে। ভাঙচুর হয়েছিল নার্সিংহোম। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সদ্যোজাতের অদল বদলের অভিযোগ।
জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
জ্বরে আক্রান্ত যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক (Doctor) তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতির (Former President) বিরুদ্ধে। বনগাঁর (Bangaon) গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বছর ২৪-এর ওই যুবতী থানার দারস্থ হন এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷
যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ওই যুবতী ও পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। ওই যুবতী কলেজ পাস করে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি টিউশনি করেন৷ একদিন সন্ধ্যায় টিউশনি করে ফেরার পথে তাঁর জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন৷ সে সময় চেম্বারে কেউ ছিলনা৷ অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির লোকের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবতীর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি 'অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ অর্থের জোরে, ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছেন৷ এবার তাঁর শাস্তি চাই।'
রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা তোলা হোক কিংবা পয়সার বিনিময়ে বাজি কারখানাকে আড়াল করা। সর্বক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধেই। সেজন্যই বারবার জনরোষের টার্গেট পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এবার বোলপুরে ধরা পড়ল আরও বড় অভিযোগ। সেখানে আবার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে পুলিশের হাতে হাতকড়া পড়েছে।
সূত্রের খবর, সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে শনিবার বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশ। কেন? অভিযোগ, বেআইনি পথে দেদার কামাই করেছেন এই কনস্টেবল। ধৃত কনস্টেবল রামপুরহাট থানায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে কাজ করেছেন। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের অগাস্টে মনোজিত্ বাগীশের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরই কোটিপতি কনস্টেবলের উপর গোয়েন্দাদের নজর। কারণ, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মনোজিতের ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। জীবনবিমা ১০ লক্ষের। ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় বান্ধবীকে দিয়েছেন গাড়ি উপহার। গোয়েন্দাদের নজরে কনস্টেবলের জমি ও সোনাও।
একজন কনস্টেবলের এত পয়সার উত্স কী? পৈতৃক সম্পত্তি? না কি সবটাই কালো টাকার খেল? অভিযুক্ত কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে হেফাজতে নিয়ে তারই খোঁজ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
রাজ্য জুড়ে দুষ্কৃতীরাজ! ফের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) টিটাগড়ে (Titagarh) খুন। মঙ্গলবার রাতে দুধ ব্যবসায়ী বিনোদ সাউ নামের বছর ৩০-এর এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন (Death) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, এলাকাবাসীর গর্ব ছিল বিনোদ। তাঁর উপস্থিতিতে মেয়েরা ছিল সুরক্ষিত। বিনোদের মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগে মহ. মুরতাজা নামের এলাকার এক যুবকের সঙ্গে মারামারি হয় বিনোদ সাউয়ের। তারই বদলা নিতে খুন করা হয় বিনোদকে? তবে কী পুরনো শত্রুতার জের? ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহ.মুরতাজা সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সুরাজ প্রসাদ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কটাক্ষ বিজেপি নেতা কুন্দন সিং-এর।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইকে এসে আনোয়ার আলি নামের এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তার কয়েকমাসের মধ্যেই এই ঘটনা। প্রশ্ন ওঠে, যেখানে ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের আওতায় টিটাগড় থানা, সেখানে একের পর এক খুন হয় কীভাব? আর কত প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের?
তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের। বুধবার সকালে বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আনোয়ারা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কর্মী সাদেক আলির রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) ১। মালদহের (Malda) পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্কে মৃতের পরিবার সহ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দলের লোকেরাই খুন (Death) করেছে সাদেক আলিকে। দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল প্রাক্তন প্রধান সেরিনা বিবির স্বামী মহাব্বত আলি। যেমন বলা তেমন কাজ? এখন মূল অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আর তখন থেকেই শুরু হয় কোন্দল। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে হুমকি দিতে থাকে। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। তৃণমূলের জেলা স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।
সকলের একটাই প্রশ্ন, শাসকের রাজত্বে শাসকদলই সুরক্ষিত নয়? তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে দাপিয়ে বেড়ায় মূল অভিযুক্ত? তবে কী সবটাই আই ওয়াশ? ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। প্রতিক্রিয়া বিজেপির।
সমবায় দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৫ অগাস্ট থেকেই তদন্ত শুরু করে ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু এতদিনেও নথি হস্তান্তর করেনি সিআইডি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
শুক্রবার রাজ্য সিআইডি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই আর্থিক দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকর হয়নি। মামলার নথি সিআইডি হস্তান্তর করেনি সিবিআই-কে। উল্টে আগের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে সিআইডি। চরম বিরক্ত বিচারপতি রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে বলে জানান তিনি। ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, 'গরীবের টাকা মেরে আপনারা ছেলেখেলা করছেন? কারা এই টাকা নিয়েছে, সিআইডি এতদিনেও জানে না। কিন্তু আমি জানি।' একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, সিআইডি-র থেকে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার আগামী ৩ দিনের মধ্যে তুলে দিতে হবে। পরের ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। তদন্ত করবে ইডিও। যদি নির্দেশ কার্যকর না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করা হবে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও নির্দেশ কার্যকরী করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।