শুক্রবার সকালে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করেন। জখম হন তিন ইডি আধিকারিক। এমনকি হামলার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। সন্দেশখালির এই ঘটনার জেরে সিআরপিএফের নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ করা হল। অভিযানের ক্ষেত্রে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখতে হবে জওয়ানদের।
তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখের অনুগামীরা এই হামলা চালায়। ঘটনায় রক্তাক্ত হন ইডি আধিকারিকরা। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। ভেঙে দেওয়া হয় বাহিনীর একের পর এক গাড়ি। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ করে জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। আর এরপরেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক জওয়ানকে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে এমন ধরনের কোনও অভিযানে সামিল হলে এই ব্যবস্থা জওয়ানদের অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশের পরই দেখা যায় সিআরপিএফ জওয়ানদের বাড়তি সতর্কতা। সোমবার রেশনবণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য। সেকারণে সকাল থেকেই মোতায়ন রয়েছে অতিরিক্ত সিআরপিএফ। জওয়ানদের সকলকে হেলমেট, লাঠি, ঢাল সব কিছু নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়।
'ট্রেনে ও স্টেশনে তাঁদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে দিতে হবে,' এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছিলেন হাওড়ার হকার্স সংগঠন। এরপরেই ওই বিক্ষোভ তুলতে এলে আরপিএফ ও হকারদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপরে বিশাল রেল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সূত্রের খবর, এদিন হাওড়া স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে প্রতীকী অবস্থানে বসেন হকাররা। হাতে সংগঠনের পতাকা নিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এরপর রেল পুলিশ হকারদের ঘিরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় গোটা স্টেশন চত্বরে। হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই একই দাবি নিয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় হকারদের। দু’দিন আগে কোন্নগর স্টেশনে একটি বিক্ষোভ হয়। এদিন তার আঁচ এসে পড়ে হাওড়া স্টেশনেও।
বুধবার সকালে মালদহ (Maldah) রেলস্টেশন থেকে ৫১ টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ (Turtle) উদ্ধার করল আরপিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৩৪১৪ দিল্লি-মালদহ নিউ ফরাক্কা এক্সপ্রেসের কোচ নম্বর এস ৬ নং বগিতে তল্লাশি অভিযান করতেই এই কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে আরপিএফ। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কচ্ছপগুলোকে বেআইনিভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই কচ্ছপগুলেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও মালদহ টাউনশিপ রেলস্টেশনে নজরদারি চালাচ্ছিলেন আরপিএফের আধিকারিরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিউ ফরাক্কা এক্সপ্রেসে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তাঁরা। এরপর ওই এক্সপ্রেসের ৬ নম্বর বগির থেকে উদ্ধার করা হয় ৫১ টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ।
যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে কোথা থেকে এই কচ্ছপগুলি আনা হয়েছে বা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল সুরক্ষা বাহিনী এই কচ্ছপগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে।
বড়সড় সাফল্য অর্জন করল নিউ কোচবিহার আরপিএফের (RPF) স্পেশাল টীম। বহুমূল্যের হেরোইন (Brownsugar) সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ এর স্পেশাল টীম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম। বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সংলগ্ন বদরপুরে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বাজার মূল্যের হেরোইন উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরপিএফের বিশেষ টিম আসাম থেকে নিউ কোচবিহার রুটের বিভিন্ন গাড়িগুলি নজরদারি শুরু করেন। এরপর নিউ কোচবিহারের রেলওয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুমে একজন ব্যক্তিকে সন্দেহের বসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে আসে। তারপর ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় হেরোইন। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আসাম থেকে দশটি প্যাকেটে করে এই হেরোইন গুলি নিউ কোচবিহারের এক ব্যক্তির কাছে হ্যান্ডওভার করতে এসেছিলেন। আর তখনই আরপিএফের হাতেনাতে ধরা পরে যায় ওই ব্যক্তি।
তবে ওই ব্যক্তি কোন জায়গা থেকে এই ব্রাউন সুগার নিয়ে আসছিল এবং আর কারা কারা এই হেরোইন পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ট্রেন (Train) থেকে উদ্ধার হলো তিন ব্যাগ ভর্তি গোসাপ (Snake)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে (South 24 Parganas) শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লাইনের ডাউন ট্রেনে। এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবারই ট্রেন থেকে সাপগুলি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই ওই গোসাপ গুলিকে নামখানা রেঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে আরপিএফ-এর নজরদারির সময় ট্রেনের ভিতরে এই সাপগুলি পাওয়া যায়। তারপরেই সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই তিনটি ব্যাগ থেকে মোট ১৪ টি গোসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি মৃত। তবে কে বা কারা এই গোসাপগুলি পাচার করছিল তার তদন্ত শুরু করেছে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনের আরপিএফ ও কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
জখম অবস্থায় রেললাইনের (Railway line) উপর পড়ে রয়েছেন এক ব্য়ক্তি। আরপিএফ (RPF) ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) রেললাইনে। জানা গিয়েছে, জখম ব্য়ক্তির নাম পুতুল মণ্ডল, বাগডোগরার প্রমোদ নগরের বাসিন্দা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আর পি এফ-এর নজরে আসে জখম অবস্থায় এক ব্যক্তি রেললাইনে পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিসকে। এরপর আরপিএফ ও পুলিসের সহায়তায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেললাইনে পড়ে থাকার জেরে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। জখম ব্যক্তিকে রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ফের স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। তবে ওই ব্যক্তি এত রাতে কী করে ট্রেন লাইনে এলো, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। হাওড়া স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্সের ১৭ নম্বর প্লাটফর্মে ঘটনাটি ঘটেছে। আরপিএফ (RPF) এবং রেলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, প্রচন্ড গরমের কারণেই ওই যুবক অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সুরেন্দ্র যাদব (৩৫)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ ট্রেন থেকে নামর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই স্টেশনের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে শুয়েছিলেন তিনি। তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এক তরুণী আরপিএফ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ (Dead Body) উদ্ধার। শুক্রবার হাওড়া (Howrah) দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশনের আরপিএফ (RPF) ব্যারাকের ঘটনা। রেলপুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। এমনকি পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় রেলপুলিসের তরফ থেকে লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণম মিশ্র নামে বছর তেইশের ওই তরুণীকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ব্যারাকের একটি ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সিলিং ফ্যানের ব্লেডের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয় পুণমের মোবাইল। প্রাথমিকভাবে রেলপুলিসের অনুমান, ওই তরুণী আত্মঘাতী হওয়ার ছবি মোবাইলে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই তরুণী কনস্টেবল ব্যারাকের যে ঘরে থাকতেন সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন সহকর্মী থাকতেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৩ জন ছুটিতে থাকায় একজন সহকর্মীর সঙ্গেই ওই তরুণী থাকছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে ওই সহকর্মী তরুণীও ডিউটিতে চলে যান। ফলে ঘরে একাই ছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে বারবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে আরপিএফের আধিকারিকরা, এরপরই ওই তরুণীকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে থাকা দেখা যায়।
রেলপুলিস জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি বোকারোতে। দু’বছর আগেই তিনি চাকরিতে যোগ দেন। তখন থেকে সাঁতরাগাছিতেই পোস্টিং ছিল তাঁর। ঠিক কী কারণে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না ও সোনার বাট (Gold Sumggling) উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে এই সোনার গয়না ও সোনার বাট উদ্ধার করেন আরপিএফ (RPF) অফিসাররা। উদ্ধার করা এই সোনার গয়না ও বাটের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি পাঁচ হাজার টাকা। ওই ব্যাক্তির কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে আটক করা হয়।
জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তিকে ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন আরপিএফ অফিসাররা। সন্দেহের বসে ওই ব্যক্তির ব্যাগ পরীক্ষা করলে, ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না সহ সোনার বাট। বর্তমানে যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি পাঁচ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম চন্দ্রভান মিশ্র, তিনি উত্তরপ্রদেশের মতিগঞ্জের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না ও সোনার বাটের স্বপক্ষে কোনও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে না পারায় এবং তাঁর কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় খবর দেওয়া হয় কাস্টমস অফিসারদের। কাস্টমস অফিসাররা ঘটনাস্থলে আসলে তাঁদের হাতে সোনার গয়না, বাট সহ ওই ব্যক্তিকে তুলে দেয় আরপিএফ অফিসাররা।
ইন্টালিজেন্স ব্যুরো বা আইবি কর্তার সরকারি বাংলোয় আত্মঘাতী এক সিআরপিএফ জওয়ান। তুঘলক রোডের এই ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যার বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ৫৩ বছরের রাজবীর কুমার সিআরপিএফের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। আইবি ডিরেক্টরের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীতে ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রাইফেল কালাশনিকভ থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজবীর।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবারই বাড়ি থেকে ফিরেছেন রাজবীর। যোগ দেন কাজেও। তাই পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা। আইপিসির ১৭৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
যদিও এই ঘটনার পরে আইবি কর্তার নিরাপত্তা সুরক্ষিত, এমনটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।
গত এক বছরে উপত্যকাজুড়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা জঙ্গি নিশানায়। সম্প্রতি রাজৌরি সেক্টরে (Jammu Rajouri) জঙ্গি হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই নাশকতার পর নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সন্ত্রাস দমন অভিযানে গতি আনতে পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অতিরিক্ত ১,৮০০ জনের একটি সিআরপিএফের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই ৯ কোম্পানি সেনা এই দুই সেক্টরে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রাতের মধ্যে আরও সেনা পৌঁছবে।
সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের এই দলটি সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ অভিযানে নামবে। সোমবার সকালেও জম্মুর রাজৌরি এলাকায় একটি বাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের ফলে এক শিশু-সহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা টুইটে জানান, 'বিস্ফোরণের ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যে সব পরিবারের সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের সরকারের তরফে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।'
দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বছরের শুরু করলেন রায়গঞ্জের এক দম্পতি। রাধিকাপুর এক্সপ্রেস (Radhikapur Express) ধরে কলকাতা থেকে রায়গঞ্জে বাড়ি ফেরার পথে চুরি। চুরিতে চিরঞ্জীব চৌধুরী নামে ওই যাত্রীর ব্যাগ-সহ নথি, টাকা খোওয়া গিয়েছে। স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে কলকাতা থেকে রায়গঞ্জে যখন ফিরছিলেন, সেই সময় রাধিকাপুর এক্সপ্রেস মালদহ স্টেশনে ঢুকতেই এই চুরির (Theft in Train) ঘটনা। চিরঞ্জীববাবুর অভিযোগ, 'তাঁর সহযাত্রীরা এই ঘটনায় দায়ী।' রেল কামরায় আরপিএফ (RPF) নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই যাত্রী।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরে সপরিবার বাড়ি ফিরছিলেন চিরঞ্জীববাবু। ফারাক্কা পার করার পর মালদায় যখন ট্রেন ঢোকে তখন এক যাত্রী স্ত্রীর ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এরপর ট্রেন ছাড়লে বিষয়টি নজরে পড়ে তাঁদের। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাগ নিয়ে পগারপার দুষ্কৃতী৷ চিরঞ্জীববাবুর দাবি, 'চোখ লেগে আসাতেই এই দুষ্কর্ম করতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা। ট্রেনের কোনও কামড়াতেই আরপিএফের দেখা মেলেনি। সামসি স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করার কথা থাকলেও সেখানেও আরপিএফের কোন জওয়ানকে তাঁরা দেখতে পাননি। এমতাবস্থায় অনলাইনে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন তিনি।'
পরে আরপিএফ থেকে ফোন করে বলা হয়, রায়গঞ্জে নেমে একটা এফআইআর করতে, এমন দাবি করেন চিরঞ্জীববাবু। তিনি জানান, 'ওই ব্যাগের মধ্যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ যাবতীয় নথিপত্র ছাড়াও নগদ টাকা এবং বাড়ির তালা চাবিও ছিল।'
তবে বছরের শুরুতে এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ তিনি। স্লিপার ক্লাসের কোন সিটের যাত্রীরা এই কাজ করতে পারে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন চিরঞ্জীববাবু। এদিকে রেল যাত্রীদের একটা অংশের দাবি, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফারাক্কার দিকে যখন ঢোকে, ঠিক সেই সময় যাত্রী সেজে অনেকেই সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন৷ সুযোগ বুঝে যাত্রীদের মালপত্র নিয়ে চম্পট দেয় তাঁরা৷ এর আগেও ফারাক্কা এলাকায় ট্রেনের এক যাত্রীর জিনিসপত্র চুরি যায়। তারপরেও নিরাপত্তা ঢিলেঢালা বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তা।
‘রং দে বসন্তী’ খ্যাত অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে 'হেনস্থা'র অভিযোগ তোলেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই বিমানবন্দরে। সিদ্ধার্থের অভিযোগ, সিআরপিএফ ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাঁর বাবা-মাকে হয়রানি করেছিল এবং তাঁদের ব্যাগ থেকে কয়েন সরাতে বলেছিল। আরও অভিযোগ, নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। তাঁর বাবা-মা বারবার ইংরেজিতে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা কর্মীরা তা শোনেননি। দেখুন অভিনেতার সেই পোস্ট।
অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘রাগ হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ওরা বলে বসে, ভারতে এভাবেই চলে। বেকার মানুষেরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।’
অভিনেতা এই ঘটনায় সিআরপিএফ বা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় দুই দশকের উপর হিন্দি, তেলুগু এবং একাধিক বলিউড ছবিতে কাজ করছেন অভিনেতা। তাঁর এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিযোগ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভক্তরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিষেবা ও ভাষা সমস্যার বিরুদ্ধে। যদিও এক নেটিজেন সিদ্ধার্থকে পাল্টা নিশানা করেছে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে নিজের ট্যুইটে শেয়ার করে সেই নেটিজেন বলেছেন, 'এই অভিনেতাকে কেউ শেখান,
১) হিন্দিতে কথা বলা হেনস্থা নয় ২) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ নয় ৩) বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকে, তাদের কেন্দ্র নিয়োগ করে। সেই নিরাপত্তা কর্মীরা অভিনেতার মতো বেকার নয়।
শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় পুলিস এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে (encounter) এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানান এক পুলিসকর্তা।
বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। সকাল ৭.৩০টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিরতুর থানার পোমরার জঙ্গলে চলে এই গুলির লড়াই।
ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কর্মীরা অভিযানে নামে। মাওবাদীদের বিভাগীয় কমিটির সদস্য মোহন কাদতি এবং সুমিত্রার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছিল বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ ফেলে রেখেই অন্যেরা পালিয়ে যায়। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।
এবার হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে উদ্ধার ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার জিনিস। যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আরপিএফ (RPF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরপিএফের একটি দল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে তখনই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তল্লাশি চললে, তাঁর ব্যাগ খুলতেই বেড়িয়ে আসে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস। এরপরই ওই ব্যক্তিকে তাঁর যাবতীয় জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে সে কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই এই বিষয়ে কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বুধবার আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে এবং উদ্ধার হওয়া যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।