টলিপাড়ায় বিয়ের মরশুম! শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু, পরমব্রত-পিয়ার পর এবারে বিয়ের পিঁড়িতে টলিউডের ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy)। 'গাঁটছড়া' খ্যাত 'রুক্মিনী' এবারে বাস্তব জীবনেও গাঁটছড়া বাঁধলেন। তবে স্বামী বিনোদন জগতের সঙ্গে একদমই জড়িত নয়, ডাক্তার পাত্র শুভদীপ ভট্টাচার্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন অভিনেত্রী। জানা যাচ্ছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজই করেছেন শ্রীপর্ণা। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দিতেই আদুরে চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছেন।
বিয়ের দিন শ্রীপর্ণা ও স্বামী শুভদীপকে পুরো বাঙালি সাজে দেখা গিয়েছে। লাল বেনারসিতে সেজেছেন গাঁটছড়ার রুক্মিণী, সঙ্গে ম্যাচিং লাল ব্লাউজ। গা ভর্তি সোনার গয়না, মাথায় লাল ওড়নায় টুকটুকে লাল বউ শ্রীপর্ণা। আর শুভদীপ মেরুন রংয়ের পাঞ্জাবিতে শ্রীপর্ণাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন ডাক্তার বর। সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেই বউকে কাছে আদুরে চুম্বনে ভরিয়ে দেন শুভদীপ। শ্রীপর্ণা তখন লাজে রাঙা। এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি হতেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শ্রীপর্ণা ও শুভদীপের বিয়েতে ছিল এলাহি আয়োজন। বসেছিল চাঁদের হাট। টলিউড ছোটপর্দার প্রায় অনেককেই দেখা যায়। 'গাঁটছড়া'-র অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এদিন উপস্থিত হয়েছিল ও নতুন বর-কনের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর একেবারে 'হানিমুন' সেরেই শুটিংয়ে ফিরবেন শ্রীপর্ণা। হানিমুনে ভিয়েতনাম আর থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন বর-কনের।
বিদেশযাত্রার শুরুতেই বিপত্তি। পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিমান। সূত্রের খবর, অন্তত দেড় ঘণ্টা দেরিতে সফর শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দুবাইগামী বিশেষ বিমান ছাড়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণ বসত ওই বিমানটি পিছিয়ে যায়। ফলে ওই বিমানটি সকাল ৮ টার জায়গায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেড়েছে। কী কারণে দেরিতে ছেড়েছে বিমান, তা অবশ্য জানা যায়নি।
৫ বছর পর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে প্রতিনিধিদল। দমদম থেকে প্রথমে দুবাই-এর বিমান, সেখানে ১৮ ঘণ্টার বিশ্রাম। সেখান থেকে আবার স্পেনের বিমান। আপাতত ১২ দিন দেশের বাইরে থাকবেন মমতা। রোজই জরুরি বৈঠক থাকবে বলে সূত্রের খবর।
কেবল জিতল না, ফিরে পেল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাও। শুক্রবার ত্রিপুরার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলঘোষণার পর দেখা গেল, বিজেপি শুধু জিতেছেই তা নয়, প্রতিপক্ষ সিপিএমের কার্যত জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে। ধনপুর কেন্দ্রটি বিজেপিরই ছিল। সেখানে জয় নিয়ে বিশেষ চিন্তা ছিল না গেরুয়া শিবিরের। ত্রিপুরা বিজেপি মন দিয়েছিল বক্সনগরে গেরুয়া পতাকা ওড়াতে। কারণ, বক্সনগর শুধু সিপিএমের দখলে ছিল তা-ই নয়, এই কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
ভোটের ফলঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে, বক্সনগরে বিজেপি প্রার্থী তফজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৩৪,১৪৬ ভোট। অন্য দিকে, সিপিএমের মিজান হোসেন পেয়েছেন ৩,৯০৯ ভোট। ধনপুরে বিজেপির বিন্দু দেবনাথ পেয়েছেন ৩০,০০৭ ভোট। সিপিএমের কৌশিক চন্দ পেয়েছেন ১১,১৪৬ ভোট।
ভোটের ফলাফল নিয়ে ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, ‘সিপিএম ভোটের পরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছিল। কারণ, ওরা বুঝে গিয়েছিল, মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করছে। তাই আর গণনাকেন্দ্র মুখো হয়নি।’ পক্ষান্তরে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘ভোটের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি প্রশাসনকে ব্যবহার করে কার্যত ছেলেখেলা করেছে। এটা কোনও ভোটই হয়নি! মানুষের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন এই ভোটের ফলাফল নয়। ভোট ডাকাতি করেছে বিজেপি।’
মোট ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট পেয়েছিল ৩৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪টি আসন। তিপ্রা মথা পায় ১৩টি আসন। এই জয়ের পরে বামেদের যেমন একটি সংখ্যা কমে গেল, তেমনই বিজেপি বাড়ল বিধানসভায়।
গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রতর অন্যতম আদেশ রক্ষাকারী তৃণমূল যুব নেতাকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চেই দিল্লিতে ডাক পড়েছিল তাঁর। এবার তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষকে, গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে যখন দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল ইডি তখনই পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ঘনিয়েছিল রহস্য। তিনিই বাংলা ছাড়ার দিন অনুব্রতর সঙ্গে শক্তিগড়ে বেশ কিছুক্ষণ ‘গল্প’ করেন, কচুরিও খান।
আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি হোটেলে দাঁড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেখানেই প্রাতঃরাশ খেতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তিকে। টিভিতে সেই ছবি দেখাতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় নানা মহলে। কে তিনি, কীভাবে তিনি অনুব্রতর কাছে গেলেন তা নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। পরবর্তীতে জানা যায় এই ব্যক্তিই বীরভূমের তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষ। কিন্তু, কে এই কৃপাময়?
সূত্রের খবর, ‘কেষ্টদার’ যে কোনও দরকারে, যে কোনও কাজে সর্বদাই হাজির থাকতেন ‘ভাই’ কৃপাময়। কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হিসাবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর। তবে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পর যে শুধু শক্তিগড়েই তাঁকে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এমনটা নয়। এর আগে দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে তোলার সময় দেখা মিলেছিল কৃপাময়ের।
অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর (Pankaj Tripathi) বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণেই অভিনেতার বাবার (Father) মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাবার শেষকৃত্য করতে গ্রামের বাড়ি, বিহারের গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন পঙ্কজ। সোমবারই পরিবার, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও পাড়া প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে সৎকার করা হবে অভিনেতার বাবার।
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর টিমের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, ' পঙ্কজ তিওয়ারি ও তাঁর পরিবারের হয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা নিশ্চিত করছি, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি আর নেই। ৯৯ বছর ধরে তিনি নিজের জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করেছেন। আজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁর শেষ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পঙ্কজ ত্রিপাঠি বর্তমানে তাঁর গ্রাম গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।'
কিছুদিন আগেই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বাবার কথা বলেছিলেন। অভিনেতা বলেছিলেন, তাঁর বাবা জানেই না তিনি কী করেন। পঙ্কজের বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি কখনও সিনেমাহলে যাননি। টিভির পর্দায় পঙ্কজকে দেখা গেলে, কেউ যদি তাঁকে ডেকে দেখান, একমাত্র তাহলেই তিনি পর্দায় নিজের ছেলেকে দেখেন।
ওএমজি ২ (OMG 2) অর্থাৎ ওহ মাই গড এর দ্বিতীয় পর্ব সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ১১ অগাস্ট। মুক্তির আগে থেকেই নানা জটে জড়িয়েছিল হয়েছিল এই সিনেমা। কিছু পরিবর্তন আসার পর সিনেমাটি অবশেষে দর্শকেরা দেখতে পাচ্ছেন। কেবল দেখতে পাচ্ছেন না সিনেমারই এক অভিনেতা। ওহ মাই গডে অক্ষয় কুমার, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর, ইয়ামি গৌতমের মতো তারকাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন অভিনেতা আরুষ বার্মা। কিন্তু নিজের ছবি নিজেই দেখতে পারবে না অভিনেতা।
এর পিছনে রয়েছে একটি কারণ। ওএমজি সিনেমাটি অবাধ দর্শকেরা দেখতে পাবেন না। এই সিনেমা দেখতে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ যৌন শিক্ষা এই সিনেমাটির একটি বিষয়। তাই দর্শকের বয়স যদি ১৮ না হয়, তিনি সিনেমাহলে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন না। এদিকে সিনেমার অভিনেতা আরুষ বার্মার বয়স ১৬। ফলে নিয়ে অনুযায়ী তিনি নিজের কাজ পর্দায় দেখতে পারবেন না।
ওএমজি সিনেমাটিকে দর্শক ভালোবাসা দিয়েছিলেন। সিনেমার সিক্যুয়েল দেখতেও আগ্রহী দর্শকেরা। ১১ অগাস্ট বড় পর্দায় সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত বক্স অফিস কালেকশন হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। ভক্তের ডাকে পৃথিবীতে অবতীর্ন হয়ে মহাদেব কী চমৎকার করেন, তা জানতে হলে সিনেমাহলে যেতে হবে।
বলিউড অভিনয় জগতের অন্যতম প্রাপ্তি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি (Pankaj Tripathi)। বিহারের গোপালগঞ্জে একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন অভিনেতা। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষক। তাই চেয়েছিলেন, ছেলে বড় হয়ে চিকিৎসক হোন। এদিকে পঙ্কজ চেয়েছিলেন অন্যকিছু। মুম্বই এসে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় অভিনয় শিখতে ভর্তি হন।
বলিউডে ডেবিউ করে বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁর অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল 'গ্যাংস অব ওয়াসেপুর' ওয়েব সিরিজ। এরপর দেশের দর্শক বুঝে গিয়েছেন পঙ্কজ কে। কিন্তু অভিনেতার বাবা তাঁকে নিয়ে কী ভাবেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, 'আমার অর্জন নিয়ে বাবা খুব বেশি গর্বিত নয়। আমার বাবা এও জানে না, আমি সিনেমায় কী করি। আজ পর্যন্ত সে জানে না সিনেমাহল ভিতর থেকে কেমন দেখতে। কেউ যদি তাঁকে কম্পিউটারে বা টেলিভিশনে আমার কাজ দেখায়, তবেই তিনি দেখেন। আমার বাড়িতে সদ্যই টিভি কেনা হয়েছে।'
এ তো গেল বাবার কথা। অভিনেতা মায়ের প্রসঙ্গে বলেছেন, আমার মা আমাকে টিভিতে দেখেন এবং বলেন, ওকে ফোন করে বল ও খুব রোগা হয়ে গিয়েছে। ও ঠিক করে ঘুমোচ্ছে না, খাচ্ছে না। মা আমার অভিনয়ে বিশেষ নজর দেন না।'
সৌমেন সুরঃ ছুটির দিনে একটু অন্যভাবে দিন কাটাবো, এটা ভাবতেই শরীরের তন্দ্রীগুলো আনন্দে ঝনকে উঠলো। ছুটি মানে একটু থামা। ছুটি মানে চলমান জীবনে ক্ষনিকের বিশ্রাম। বর্তমানে চলমান জীবনে যা ঘটছে- গা যেমন শিউরে উঠছে তেমনি আতঙ্কও বাড়ছে। দেশের বর্তমান অবস্থা বড় ভয়াবহ। কখন যে কী হয়, আমরা কেউ জানি না। যাইহোক এমনি ডামাডোল অবস্থায় হাতে আসছে একটি ছুটির দিন। ভাবতেই মনটা পুলকে ভরে উঠছে। ছুটি মানে জীবনের মধ্যে ছুটি, ছুটি মানে জীবনের ছুটি নয়।
অবশেষে হাতে এলো ছুটির দিন। মহররমের ছুটি। মানে অফিস ছুটি। এদিকে শ্রাবণ মাস। বৃষ্টি ঝরার মাস। অনর্গল কোথায় বৃষ্টি পড়বে তা নয়, মাঝে মাঝে একটু বৃষ্টি, একটু রোদ, আবার মন ভার করে থাকা উড়ো মেঘের আনাগোনা। গ্লোবালাইজেশনের জন্য সব ভালো মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে থেকে। কী আর করা। সকাল হতেই জলখাবার খেয়ে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো বলে, সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমি অজ গ্রামে থাকি। আমার সব বন্ধুরা শহরে থাকে। আমার বাড়ি থেকে শহর প্রায় চার মাইল। যাইহোক এক বুক আনন্দ নিয়ে সাইকেল চালিয়ে চলেছি। আলের দুপাশে ধূ ধূ মাঠ। শুধু ধান আর পাট গাছ সারি সারি। যেদিকে চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। বৃষ্টির জল পড়ে প্রত্যেক গাছের পাতা যেন যৌবনবতী হয়ে গেছে। মাতাল হাওয়ায় ধানের শীষগুলো মাতালের মতো দোল খাচ্ছে। মনটা ভারী ভালো লাগছে। কারণ একটাই- আড্ডায় ছুটিটা উপভোগ করবো।
কথায় আছে- 'Man proposes, God disposes।' হালকা মেঘলা আকাশে হঠাৎ ভিড় করে আসে, পাহাড় প্রমাণ কালো মেঘ। আমি প্রাণপণে সাইকেল চালাতে শুরু করলাম। আমাকে শহরে পৌঁছতেই হবে। কিন্তু হায় যখন দেখলাম পুকুরের হাঁস গুলো সাঁতার কেটে তাড়াতাড়ি ঘরের দিকে এগোতে থাকছে, তখন বুঝলাম- আমার Journey এখানেই শেষ। দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি সাইকেলটা নিয়ে একটা বটগাছের তলায় দাঁড়ালাম। ভিজছি অঝোরে। আর ভাবছি ছুটির দিনটা বৃথা গেল। ভাবনাটা এই মুহূর্তে আপনাদের হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার নয়। কারণ দূরে একঝাঁক বাচ্চা ছেলে পুকুরে সাঁতার কেটে খেলছে। আনন্দ করছে। ওদের দেখে তাৎক্ষণিক আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও তো একসময় ওদের মতই উদ্দাম ছিলাম। মুহূর্তে মনটা আমার আনন্দে ভরে গেল। ছুটির দিনটা আমার বৃথা গেল না। নাই বা দিতে পারলাম আড্ডা। কিন্তু প্রকৃতি তো এখন আমার সঙ্গে ছিল। একেবারে লাজুক বধূর মতো। এই উপলব্ধি যে আমার মনের একটা দরজা খুলে দিল, যা আগের মুহূর্ত পর্যন্ত টের পাইনি।
কাঁধে ঝোলা, চলল ভোলা। সম্প্রতি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে (Pankaj Tripathi) দেখে একই কথা বলছেন নেটিজেনরা। বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব দেখার মতো। সাধারণত কোনও অভিনেতাকে যখন সাফল্যের খ্যাতি মুড়ে ফেলতে শুরু করে তখন অভিনেতারাও নিজেদের ভোল বদল করেন। দামি জামা-জুতো ছাড়া দেখাই যায় না তাঁদের। সেখানেই সকলের থেকে আলাদা করা যায় অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে।
সম্প্রতি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি গিয়েছিলেন মুম্বই বিমানবন্দরে। সেখানে সবসময় পাপারাৎজিরা উপস্থিত থাকেন। যথারীতি সকলে ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতার দিকে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, অভিনেতা খুব সাধারণ পাজামা-পাঞ্জাবি পরেছিলেন। হাতে একটি ট্রলি এবং কাঁধে ঝুলছে ব্যাগ।
এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, 'আরেহ ভাই পঙ্কজের কাঁধে ওই ব্যাগ এমনভাবে ঝুলছে, যেন চাপড়া এক্সপ্রেস ধরতে যাচ্ছেন।'আরও এক নেটিজেন বলেছেন, 'এমন সাধারণ দেখতে অভিনেতাকে দেখেও ভালো লাগে। কোনও জাঁকজমক নেই।'
প্রসঙ্গত সেই দিন অভিনেতার আরও সরলতা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। সাধারণত তারকারা বিমানবন্দরে পরিবার নিয়ে গেলে পাপারাৎজিদের সামনে সকলে নিয়ে ছবি তোলেন। এদিন ক্যামেরা নিয়ে সকলে অভিনেতার পরিবারের দিকে এগিয়ে গেলে তিনি বলেন, 'আরেহ আমার ছবি তুলে নিন। আমিই তো অভিনেতা। পরিবারের ছবি নিয়ে কী করবেন।'
ওএমজি অর্থাৎ ওহ মাই গড (OMG 2) সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব আসতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ চলছে, তা দর্শক আগেই জানতে পেরেছিলেন। এবার প্রকাশ্যে এল সিনেমা টিজার। প্রথম পর্বে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। এই পর্বে সেই চরিত্রে অভিনয় করবেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি (Pankaj Tripathi)। তবে ঈশ্বরের চরিত্রে অপরিবর্তিত অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। প্রথম পর্বে অক্ষয়কে দেখা গিয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের চরিত্রে। এই পর্বে তাঁকে দেখা যাবে অন্যরকম চরিত্রে।
অক্ষয়কে এবার দেখা যাবে মহাদেবের চরিত্রে। মাথায় জটা থাকলেও পোশাকে নতুনত্ব দেখা যাবে। ওহ মাই গড-এর দ্বিতীয় পর্বে পঙ্কজ ত্রিপাঠি আস্তিক। নানা কারণে খুঁজছেন ঈশ্বরকে। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ধরাধামে অবতীর্ন হবেন মহাদেব। ট্রেলারের শুরুতেই পঙ্কজকে বলতে শোনা যায় ,' ঈশ্বর আছে নাকি নেই, এর প্রমাণ মানুষ আস্তিক কিংবা নাস্তিক হয়েই দিতে পারে। কিন্তু ভগবান তাঁর তৈরী করা মানুষদের মধ্যে বিভেদ করেন না।'
ওহ মাই গডের প্রথম পর্ব দর্শকেরা খুব পছন্দ করেছিলেন। পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতা ও অন্যদিকে অক্ষয় কুমার, টানটান স্ক্রিপেতে জমজমাট হয়ে উঠেছিল সিনেমা। এই পর্বে অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর ঝলক দেখতে পেয়ে দর্শকেরা এই পর্ব নিয়েও আশাবাদী। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে এই টিজার শেয়ার করে উত্তেজনা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। চলতি বছরের আগস্টের ১১ তারিখ সিনেমাহলে দেখা যাবে ওএমজি ২।
ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভায় (Assembly) নজিরবিহীন ঘটনা। বাজেট অধিবেশনে বিধায়কদের (MLA) সংঘর্ষ, হাতাহাতি। বিজেপি ও তিপ্রা মোহা দলের বিধায়করা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক যাদব লাল নাথের পর্ন ছবি দেখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে সাসপেন্ড হয়েছেন সিপিএম বিধায়ক নয়ন সরকার। তিপ্রা মোথার বৃষকেতু দেববর্মা, রঞ্জিত দেববর্মা ও নন্দিতা রেয়াংকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে বিরোধী দলের সব বিধায়কই ওয়াক আউট করেন।
উল্টোরথের (Ulto Rath) দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ত্রিপুরাবাসী (Tripura)। বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে লোহার রথে বিদ্যুৎসংযোগ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Accident) হয় ৩ শিশু সহ ৭ জনের। আহত ১৬। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনি এলাকায়। এই ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Chief Minister Manik Saha) শোকপ্রকাশ করেছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যাঁরা নিকট এবং প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, সেই সকল পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎমন্ত্রী, ডিজিএম-এর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আহতদের দেখতে হাসপাতালে যাবেন তিনি। এছাড়াও নিহত ও আহতদের জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছেন। আহতদের বিনাখরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একসঙ্গে এত জনের মৃত্যু, ত্রিপুরার ইতিহাসে একটি মর্মান্তিক ঘটনা। স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেকটি হাসপাতালে এই দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত রয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবায় যেন কোন ধরনের ত্রুটি না হয়। রাজ্যের মুখ্য সচিবকেও এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের জন্য আর্থিক চার লক্ষ টাকার অনুদানের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা ৬০ শতাংশের বেশি আহত হয়েছেন তাঁদের আড়াই লক্ষ টাকা করে, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ আহতদের ৭৪ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য ঊনকোটি জেলার জেলাশাসকের নেতৃত্বে তদন্তকারী টিম গঠন করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার কুমারঘাট ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে উল্টো রথের আয়োজন করা হয়। মূলত ওই রথটি লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই উল্টোরথ শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ব্লক চৌমুহনি পৌঁছতেই রথের চূড়া হাই ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে আসে। নিমেষের মধ্যেই বিদ্যৎস্পৃষ্ঠ হয়ে পড়ে রথ। মুহূর্তের মধ্যে রাজপথে লুটিয়ে পড়ে রথে লোহার সিঁড়ির সংস্পর্শে থাকা ভক্তরা। দাউদাউ করে জ্বলছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ দেহগুলি। এই দৃশ্য খুবই মর্মান্তিক। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী থেকে শুরু করে সকলের চিৎকার, আর্তনাদ শোনা যায়।
শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই দুটি নয় বছরের শিশু সহ তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষ প্রাণ হারান। আরেকজন হাসপাতালে রেফার করার সময় মাঝপথে প্রাণ হারান। আহত ১৬ জন। আহতরা কুমারঘাট, কৈলাশহর, ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল ও জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্টো রথে (Chariot) বড় দুর্ঘটনা ত্রিপুরায় (Tripura)। ত্রিপুরায় রথে আগুন লেগে মৃত্যু হল ছয় পুণ্যার্থীর (Meritorious)। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। বুধবার বিকেলে ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কুমারঘাটের ঘটনা। বিকেল ৪ টে নাগাদ উল্টোরথ যাত্রার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। রথ টানার সময় সেটির চূড়া একটি উঁচু বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ করলে রথটিতে আগুন লেগে যায়। সেই ঘটনাতেই ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
পিটিআই সূত্রে খবর, উল্টোরথ যাত্রা উপলক্ষে প্রচুর দর্শনার্থী কুমারঘাটে জড়ো হয়েছিলেন। প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ লোহার তৈরি ওই রথের দড়ি ধরে টানছিলেন। তখনই ১৩৩ কিলোভোল্টের বৈদ্যুতিক তার রথের চূড়া স্পর্শ করলে এই বিপত্তি ঘটে বলে পিটিআই সূত্রে খবর।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কুমারঘাটে উল্টোরথ টানার সময় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েক জন দর্শনার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীর ভাবে মর্মাহত।'
প্রসূন গুপ্তঃ বাংলায় রবীন্দ্রনাথ থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে বহু ব্যক্তিত্ব ভারত তথা বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছেন। যদিও এই তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম রাখাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু তারই মধ্যে সৌরভের নাম ভারতের কিছু অংশে আলোচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং অবশ্যই ভালো অধিনায়ক। অন্যদিকে, তাঁকে সুনীল গাভাস্কার, সচিন তেন্ডুলকার, কপিল দেবের সঙ্গে একই পংক্তিতে রাখা যাবে না, কারণ এঁদের সময়ে এঁরা বিশ্বসেরা ছিলেন। ক্রিকেট ছাড়ার পরে এঁরা কেউই ভারতীয় ক্রিকেটের বিশেষ দায়িত্বে যান নি। গাভাস্কার তবু কমেন্ট্রি করেন, কিন্তু সচিন বা কপিল ক্রিকেট জগৎ থেকে অনেকটাই দূরে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু চিরকাল এযাবৎ ক্রিকেটের নানান দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট প্রশাসক থেকে রাজনীতিবিদের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে চলেছেন। তাঁর হয়তো ভারতীয় দলেই আসা হতো না যদি কিনা জগমোহন ডালমিয়া তাঁর পাশে দাঁড়াতেন। গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে তিনি দল থেকে বাদ পড়ে গেলে শোনা যায় তৎকালীন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেন সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য। বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ডালমিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনি নাকি ব্যক্তিগত ভাবে ওই সময়ের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শারদ পাওয়ারকে সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ফের দলে আসেন সৌরভ।
সৌরভ খেলা ছাড়ার পরে কমেন্ট্রি বক্সে বসে পড়েন। ইতিমধ্যে ডালমিয়া প্রয়াত হয়েছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের গদিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। মমতার হস্তক্ষেপে সৌরভ বাংলা ক্রিকেটের সভাপতি হন। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ হন সৌরভ। ভারতীয় বোর্ডের সভাপতির আসন খালি হলে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল কর্ণাটকের ব্রিজেস প্যাটেলের সভাপতি হওয়া, কিন্তু এরই মধ্যে অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের একান্ত বৈঠক হয় এবং সৌরভ বোর্ডের সভাপতি হন বলেই খবর ছড়িয়ে যায়। পাশাপাশি সৌরভের স্ত্রী ডোনাকে রাজ্য বিজেপির নানান অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায়।
শোনা যায়, ২০২১-এর ভোট নাকি সৌরভকে মুখ করতে চেয়েছিল বিজেপি অবিশ্যি এর আগে লোকসভাতেও নাকি প্রার্থী করতে চেয়েছিলো তারা বলে বাজারে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু নানান বাহানায় সৌরভ রাজনীতিকে এড়িয়ে যান। ফলত কয়েক মাস আগে অদ্ভুত ভাবে বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের মমতা এসে দাঁড়ান তাঁর পাশে। আপাতত তিনি আইপিএলে দিল্লির দায়িত্বে ছিলেন এবং সম্পূর্ণ অসফল হন।
এবারে তাঁর কাছে নতুন দায়িত্ব এসেছে এবং বিজেপির একটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই। তিনি ত্রিপুরার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হচ্ছেন। স্বয়ং ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে কথাও হয়েছে। তাঁর সম্মতি নিতে এসেছিলেন ওই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সৌরভ সম্মতি দিয়েছেন। তাহলে ফের পদ পাচ্ছেন সৌরভ। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় এর বদলে কী দিতে হবে? সৌরভ অলরাউন্ডার। কোন মাঠে কীভাবে খেলতে হবে তা তিনি জানেন, কিন্তু রাজনীতির মাঠটি বড়োই জটিল।
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill) অভিনীত সিনেমা 'কিসি কা ভাই, কিসি কি জান'। মাঝে ছবির প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। এবার খানিকটা সময় পেয়েই ফুকেটে ঘুরতে চলে গেলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা গিয়েছে, নীল সমুদ্র সৈকতে লাল পোশাকে অভিনেত্রী। সৈকতে বসে ছবি তুলেছেন তিনি, গায়ে মেখে রয়েছে সৈকতের বালি। এদিকে সূর্যের রোদ গায়ে মেখে নিচ্ছেন শেহনাজ।
সমুদ্রের ধারে বেশ কয়েকটি পোজে ছবি দিয়েছেন শেহনাজ গিল। তার মধ্যে ক্যান্ডিড ছবিও রয়েছে অবশ্য। সামাজিক মাধ্যমে ছবিগুলি দিয়ে শেহনাজ লিখেছেন, 'ইটস ট্যান ও ক্লক' অর্থাৎ এখন গায়ে ট্যান মেখে নেওয়ার সময়। ত্বকের রোগ নিরাপত্তা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারকারা খোলা রোদে গিয়েই থাকেন। এবার সমুদ্রপাড়ে ভিটামিন ডি মেখে নিলেন তিনিও।
ছবিগুলি দেখে নেটিজেনরা শেহনাজের বেশ প্রশংসা করেছেন। এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'শেহনাজ তুমি যেভাবে তাপমাত্রা বাড়াচ্ছ, তাতে খুবই গরম লাগছে।' আরেক নেটিজেন লিখেছেন ,'লক্ষ লক্ষ হৃদয়ের রানী।'