মাদক মামলায় (Drug Case) গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA) সুখপাল সিং খইরা (Sukhpal Singh Khaira)। বৃহস্পতিবার সকালে চণ্ডিগড়ের সেক্টর ৫-এর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁকে আজ গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিস। জানা গিয়েছে, পুরনো এক মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই এ দিন সকালে জালালাবাদ পুলিস তাঁর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সুখপাল সিং খইরার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। সেই ভিডিও-তে দেখা যায়, তিনি পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন জালালাবাদের ডিএসপিকে বলতে শোনা যায়, মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সুখপাল দাবি করেন, এই মামলা অনেকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে গ্রেফতারি কীভাবে সম্ভব? এর পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি আরও জানান, তাঁর এই গ্রেফতারির পিছনে 'রাজনৈতিক স্বার্থ' জড়িয়ে রয়েছে।
প্রায় ১১ দিন ধরে পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং ও তার সঙ্গীরা। অমৃতপালকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পঞ্জাব পুলিস। এরই মধ্যে গুঞ্জন রটেছে যে, অমৃতপাল সিং নিজেই হয়তো পঞ্জাব পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। তবে এমন কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি পঞ্জাব পুলিসের তরফে। পঞ্জাব পুলিসের কমিশনার নৌনিহাল সিং জানিয়েছেন, অমৃতপালের আত্মসমর্পণের বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
সম্প্রতি খবর এসেছে যে, ফের পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে খলিস্তানি সংগঠন 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে'র প্রধান অমৃতপাল সিং। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমৃতপাল ও তার সঙ্গী পাপলপ্রীত সিংকে ফের নাগালে পেয়েও ধরতে পারলেন না পঞ্জাব পুলিসের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেই পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলায় পুলিস অমৃতপাল সিংয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। তাদের প্রায় ধরে ফেললেও, শেষ মুহূর্তে পুলিসকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যায় অমৃতপাল সিং ও তার সঙ্গী পপলপ্রীত সিং। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই সহকারীকে আটক করেছে পুলিস, এমনটাই জানা গিয়েছে।
পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একটি সাদা রঙের ইনোভা গাড়িকে অনুসরণ করছিলেন। ফাগওয়ারা থেকে হোসিয়ারপুর আসছিল ওই গাড়িটি। পুলিসের অনুমান ছিল, ওই গাড়িতেই রয়েছে পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং ও তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপলপ্রীত সিং। পুলিস দীর্ঘক্ষণ ধরে অনুসরণ করলেও, হোসিয়ারপুরের চেকপোস্ট পার করে তা মেহতিয়ানায় প্রবেশ করে। হোসিয়ারপুরের সিআইডি ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে, মেহতিয়ানার একটি গুরুদ্বারের সামনে গাড়ি রেখে অমৃতপাল সিং ও তার সহকারী পপলপ্রীত সিং পালিয়ে যায়।
গত শুক্রবার থেকে 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান সমর্থক তথা খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) খুঁজছে পঞ্জাব পুলিস। এর আগেই জানা গিয়েছে, কীভাবে পঞ্জাব পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়ি পরিবর্তন করে শেষে মোটরবাইকে চেপে পালিয়ে গিয়েছে সে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিস (Punjab Police) সাতটি ভিন্ন লুকের ছবি শেয়ার করেছে। পুলিসের সন্দেহ, অমৃতপাল এভাবে পরিবর্তন করে অনবরত সে পালিয়ে চলেছে। তাই তাকে শনাক্ত করতে যাতে পুলিসের সুবিধা হয়, তাই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই ছবিগুলো। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অমৃতপালের ৭০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবারে অমৃতপালের খোঁজে পঞ্জাব পুলিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএসএফও।
পঞ্জাব পুলিসের আইজিপি সুখচেন সিং গিল বলেন, 'অমৃতপাল সিং-এর বিভিন্ন পোশাকে সাতটি লুকের ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এই ছবিগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিন যাতে তাঁরাও অমৃতপালকে শনাক্ত করে তাকে পঞ্জাব পুলিসের কাছে ধরিয়ে দিতে পারে।'
আবার জানা গিয়েছে, ভাতিন্ডা এডিজিপি সুরিন্দর পাল সিং জানিয়েছেন, ভাতিন্ডা ও মানসা থেকে অমৃতপালের ৭০ জন সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করাও শুরু হয়েছে।
পলাতক পঞ্জাবের (Punjab) বিচ্ছিন্নতাকামী, খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। তাকে হাতে পেতে মরিয়া পঞ্জাব পুলিস। অমৃতপাল সিংকে খুঁজে বের করতে গোটা পঞ্জাবজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পঞ্জাব পুলিস সূত্রে খবর, তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এক সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে সে মার্সিডিজ গাড়ি থেকে নেমে মোটর বাইকে চেপে রাজ্য ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। কারণ পুলিসের অনুমান, সে এতক্ষণে রাজ্যের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার জলন্ধরের এক টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার এক ঝলক দেখা গিয়েছে, সেসময় সে একটি মারুতি ব্রেজা গাড়ির সামনের দিকে বসেছিল। এই ফুটেজটি শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিটের। জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিং প্রথমে একটি মার্সিডিজ এসইউভি গাড়িতে ছিল, এরপর গাড়ি পরিবর্তন করে মারুতি ব্রেজাতে চেপে শাহকোটের দিকে রওনা দেয়। সেখানেই সে তার জামা-কাপড়, পাগড়ি বদলে ফেলে। এরপর দুই ঘনিষ্ঠের সহায়তায় একটি বাইকে করে পালিয়ে যায় সে। বাইকে করে পালানোর সময় তাকে একটি গোলাপি রংয়ের পাগড়ি ও শার্ট-প্যান্টে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকেই অমৃতপালকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পঞ্জাব পুলিস। শনিবার দুপুর থেকে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষমেশ পুলিসের নাকের নীচ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার ব্রেজা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে ও যে চারজন অমৃতপালকে পালাতে সাহায্য করেছিল, তাদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত অমৃতপালের কাকা-সহ ১২০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের চরমপন্থী সংগঠনের কিছু সদস্যদের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিসের চোখের সামনে থেকেই বারবার পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল। ফলে এই ঘটনায় পঞ্জাব সরকার ও পঞ্জাব পুলিসকে ভর্ৎসনা করেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। প্রশ্ন করেছে আদালত, 'আপনাদের ৮০ হাজার পুলিসকর্মী রয়েছে। কী করছেন তাঁরা? কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল সিং?' এটিকে 'প্রযুক্তির ব্যর্থতা' বলেই উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।
জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose Wala) খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি সলমন খানকে নিকেশ করার জন্য তৈরি ছিল। এমনকী রেইকিও সেরে ফেলেছিল সে। এমনটাই জানিয়েছিল পঞ্জাব পুলিস। এমনকি বলিউড ভাইজান (Salman Khan) ও তাঁর বাবাকে হুমকি চিঠিও পাঠিয়েছিল। এরপর মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police) তরফে বাড়ানো হয় সলমনের নিরাপত্তা।
এবার শনিবার সলমন খানের অফিসে হুমকি ইমেল (Threatening email) আসে। জানা গিয়েছে, রোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে মেল। গোল্ডি ব্রারের মতো অপরাধীর নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এরপরই তড়িঘড়ি মুম্বই পুলিস তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। আর সে কারণেই হয়তো চলতি বছরের গোড়ার দিকে কলকাতায় আসার কথা থাকলেও তা বাতিল করেছেন সল্লু ভাই।
উল্লেখ্য, শনিবারের ওই হুমকি মেলের পর থেকে মুম্বই পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬(২) হুমকি, ১২০(বি) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ৩৪ ধারার অধীনে মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে। আবার নতুন করে হুমকি আসায় চিন্তিত সলমনের পরিবার থেকে শুরু করে অনুরাগী মহল সকলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারির ২০ তারিখ ইকো পার্কে ছিল সেই অনুষ্ঠান। আর ১৯ তারিখ কলকাতায় আসার কথা ছিল ভাইজানের। গত নভেম্বরে সলমন খানের ভাই সোহেল খান এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানের স্থান পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছিলেন। পাশপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেছিলেন। এরপরই ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্দেহ থাকায় শো বাতিল করেছিলেন। অভিনেতার তরফে বলা হয়েছিল স্থান সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এই সিদ্ধান্ত। যদিও এখন মনে করা হচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কারণেই সলমন কলকাতায় আসেননি।
মুসেওয়ালার বাবাকে খুনের হুমকির অভিযোগ পেয়ে বুধবার মহীপাল নামে রাজস্থানের জোধপুরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিস। দিল্লির বাহাদুরগড় এলাকায় তার হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইমেলে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে নিহত গায়ক সিধু মুসেওয়ালার বাবা বলকাউর সিং।
সন্দেহজনক সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। মানসা থানার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট গৌরব তুরা বলেছেন, 'প্রাথমিক তদন্তের সময় জানা গিয়েছে, এ জে বিষ্ণোই নাম নিয়ে মহীপাল একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। এই নামে নেটমাধ্যমে তার প্রোফাইল রয়েছে। সিধুর বাবাকে ইমেল পাঠিয়ে সে আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে চেয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।'
মঙ্গলবার মহীপালের নামে তোলাবাজি এবং হুমকির অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। বলকাউরের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল, না হলে প্রাণহানির হুমকি পত্র দেওয়া হয়েছিল ওই ইমেলে। থানায় গিয়ে ইমেল আইডি জমা দেন সিধুর বাবা এবং সেখানে হিন্দিতে লেখা ছিল, লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার-এর বিরুদ্ধে স্বর তুললে বলকাউর-সহ পরিবারের অনেকের প্রাণহানির আশঙ্কা হতে পারে।
জাগরুপ রূপা ও মনপ্রীত মন্নুও মহীপালের হাতেই খুন হয়েছিল, ফলে বেশি প্রতিবাদ করলে বলকাউরেরও একই পরিণতি হবে। বেশ কিছু দিন আগেই মুসেওয়ালাকে শ্রদ্ধা জানাতে মানসা শহরে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যমকে বলে হয়েছিল যে, 'সিধুর মৃত্যুর পরে আমি জানতে পেরেছি সে শুধু আমার ছেলে নয়, প্রতিটি পরিবারের ছেলে।'