রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
'লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কারে' (Lokmanya Tilak National Award) ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। ১ অগাস্ট, মঙ্গলবার পুনেতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় ও একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে এই পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ২৬টি বিরোধী দল জোট বেঁধে গঠন করেছে 'ইন্ডিয়া'। যাকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম নেতা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে এদিন পুনেতে সম্মান গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই বিষয়টিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মান গ্রহণ করে দেশের ১৪০ কোটি জনগণের কাছে উৎসর্গ করেছেন। এরপর তিনি জানান, এই পুরস্কার পেয়ে তিনি উৎফুল্ল ও সম্মানিত। এই পুরস্কারের ১ লক্ষ টাকা তিনি 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পে দান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিন কয়েক আগে পুনেতে কনসার্ট ছিল এ আর রহমানের (A.R Rahman)। যথারীতি স্টেজে উঠে গান গাইতে শুরু করেছেন গায়ক। রহমান এবং সহশিল্পীদের কণ্ঠে উঠে আসছে একের পর এক জনপ্রিয় গান। কনসার্টে (Pune Concert) উপস্থিত হাজারেরও বেশি দর্শক সেই গানের আবেশে বিভোর। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে শেষ গানটি ধরেছেন রহমান এমন সময় মঞ্চে ওঠেন পুনে পুলিসের এক অফিসার। একেবারে আঙুল উঁচিয়ে 'সিংঘম' স্টাইলে নির্দেশ দেন গান বন্ধ করতে। এই ঘটনা ইন্টারনেটে জেনে গিয়েছে সবাই। সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন, কিন্তু অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান কী বলছেন? সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া লিখলেন তিনি।
রহমান নিজের সামাজিক মাধ্যমে পুনের কনসার্টের ঝলক একটি ভিডিওর মাধ্যমে আপলোড করেছেন। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ সবটুকুর ঝলক ছিল ওই ভিডিওতে। যে ঘটনা নিয়ে এত আলোচনা, ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া সেই অংশটুকুও রয়েছে ভিডিওতে। ক্যাপশনে গায়ক লিখেছেন, 'পুনে ধন্যবাদ এরকম মনে রাখার মতো একটা বিকেল দেওয়ার জন্য। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। কিন্তু আমরা কী মঞ্চে রকস্টার মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম? আমার তো তেমনই মনে হয়।'
প্রসঙ্গত 'রকস্টার' বলিউডের একটি সিনেমা। ২০১১ সালে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবির চিত্রনাট্য তৈরী হয়েছিল এক বিদ্রোহী গায়ককে ঘিরে। যার গানই বিপ্লব। সিনেমায় একাধিকবার দেখা গিয়েছে, ওই চরিত্রের কণ্ঠরোধ করতে উদ্যত হয়ে উঠেছিল পুলিস। ঘটনাচক্রে সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন খোদ এ আর রহমান। সেদিনের পুনের ঘটনার সঙ্গে গায়ক মিল খুঁজে পেয়েছেন এই সিনেমার।
Did we all just have the “Rockstar” moment on stage yesterday? I think we did!
— A.R.Rahman (@arrahman) May 1, 2023
We were overwhelmed by the love of the audience and kept wanting to give more..
Pune, thank you once again for such a memorable evening. Here’s a little snippet of our roller coaster ride ;) pic.twitter.com/qzC1TervKs
সেদিন পুনের কনসার্টে রহমানের গান গাওয়ার সময়সীমা ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু গান গাইতে গাইতে সময় পেরিয়ে যায়। তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিস কনসার্ট থামাতে বলেন। বেশি কথা না বলে, রহমান দর্শকদের এবং পুনে পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান।
এভারেস্টের (Everest) চূড়া ছোঁয়ার স্বপ্ন প্রায় সবারই থাকে। এবারে এই স্বপ্নের অনেকটা কাছে পৌঁছল এক ৬ বছরের খুদে। অবাক হচ্ছেন তো, তবে এটাই সত্যি। এই খুদের নাম আরিষ্কা লাদ্ধা (Arishka Laddha)। সে পুনেতে থাকে। আরিষ্কা ভারতের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বেস ক্যাম্প আরোহী হিসাবে রেকর্ড গড়ে তুলেছে। ১৭ হাজার ৫০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উঠে সে এই নজির গড়েছে। ফলে এই একরত্তি পুরো ভারতের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
জানা গিয়েছে, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের উচ্চতায় যাওয়ার পথে তার সঙ্গী ছিল তার মা ডিম্পল লাদ্ধা। ছোট্ট আরিষ্কা জানিয়েছেন, তার এই যাত্রা পথে তাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদের মাইনাস ৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। এরপর ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তাদের ৭-৮ লেয়ারে জামা-কাপড় পরতে হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, তাদের ১৭ হাজার ৫০০ ফুটে চড়তে প্রায় ১৫ দিন সময় লেগেছিল।
আবিষ্কার এই অভিজ্ঞতার ব্যাপারে তাকে জি়জ্ঞাসা করা হলে সে বলে,'আমি খুব খুশি। খুব ঠান্ডা ছিল সেখানে। আমি এভারেস্ট সামিট ছুঁতে চাই।' তার মা ডিম্পল জানিয়েছেন, তার মেয়ে ছোট থেকেই সাইকেলিং, ট্রেকিং,দৌড়নো ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত। এটা তাঁরই পরিকল্পনা ছিল তাঁর মেয়েকে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার। আরিষ্কার বাবা কৌস্তভ বলেন, 'আরিষ্কা ভারতকে গর্বিত করেছে। আমি সবসময় তার পাশে আছি।'
বৃদ্ধার গলার হার ছিনতাইয়ের (Chain Snatching) চেষ্টা এক যুবকের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণের (Pune Incident) এক রাস্তায়। বৃদ্ধার পরিবার ছিনতাইয়ের একটি অভিযেগ দায়ের করেছেন। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিস। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম বছর ষাটের লতা ঘাঘ। তিনি মডেল কলোনির বাসিন্দা। তাঁর নাতনি রুতভিকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটার সময় এই ঘটনা ঘটে। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির কাছেই একটি রাস্তা দিয়ে নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটছিলেন।
जब एक 10 साल का बच्चा भीड़ गया एक चैन स्नैचर से..
— Vivek Gupta (@imvivekgupta) March 9, 2023
घटना महाराष्ट्र के पुणे की. pic.twitter.com/ip1G0hxo6m
নাতনির সঙ্গে গল্প করতে করতে আসছিলেন বৃদ্ধা। রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গায় আসতেই উল্টো দিক থেকে এক যুবক স্কুটি নিয়ে বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতনির দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এমনকি বৃদ্ধার কাছে দাঁড়িয়ে একটি ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন যুবক। বৃদ্ধা যখন ঠিকানা বলতে ব্যস্ত ঠিক তখনই তাঁর গলার হারে টান মারতে দেখা যায় যুবককে। বৃদ্ধা পড়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু কোনওরকমে নিজেকে সামলে নেন।
এই অবস্থায় বৃদ্ধার ১০ বছরের নাতনি তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ দিয়ে একের পর এক আঘাত করে ছিনতাইবাজের মুখে। তাতে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন ওই যুবক। গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতনি টেনে ধরেন। তবে তাঁদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় যুবক। সেই সময় সামান্য চোট পেয়েছেন বৃদ্ধা।
বড়সড় দুর্ঘটনা! দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনে (Pune) জেলার নাসিক-পুনে মহাসড়কে (Nashik-Pune highway)। পুলিস সূত্রে খবর, একসঙ্গে ১৭ জন মহিলা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সে সময় আচমকা দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি এসইউভি গাড়ি (SUV crashed)। রাস্তার মধ্যে ৫ মহিলাকে পিষে দেয়। আর গুরুতর জখম হয়েছেন ৩ জন। সোমবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পুনের শিরোলি গ্রামের কাছের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।
একজন পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, ওই মহিলারা একসঙ্গে পুনে শহর থেকে পুনে-নাসিক হাইওয়ের ধারে অবস্থিত একটি বিয়েবাড়ি অনুষ্ঠানে ক্যাটারিংয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। রাতে হাইওয়ে পার হচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই একটি এসইউভি গাড়ি এসে মহিলাদের ওই ভিড়ে ঢুকে পিষে দিয়ে যায় ৫ জনকে। কয়েক জন রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন বলে জানান অফিসার।
অজ্ঞাত ওই এসইউভি চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলেই দু'জন মারা গিয়েছে। আর বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে।
পুণে গুগলের (Google Pune) এক অফিসে বোমা রাখার ভুয়ো হুমকি কলের অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার এক। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যার দিকে মুম্বইয়ের বিকেসি-তে গুগলের একটি শাখায় হুমকি দিয়ে ফোন করা হয়। ফোনে এক ব্যক্তি দাবি করেন, পুণেতে এই বহুজাতিক সংস্থার আর একটি অফিস চত্বরে বোমা রাখা। এই ফোন পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বিকেসি থানায় খবর জানানো হয়।
খবর যায় পুনে পুলিসে। বম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজ়াল স্কোয়াড নিয়ে পুলিস পৌঁছয় গুগল পুনের অফিসে। পুন পুলিসে এক কর্তা বলেন, 'রবিবার গভীর রাতে গুগ্লের পুণে অফিসে পৌঁছে তন্নতন্ন করে খুঁজেও বোমা পাওয়া যায়নি। তদন্তে নেমে ওই ফোন কলের সূত্রে হায়দরাবাদ থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
পুলিসের দাবি, 'ধৃত স্বীকার করেছেন যে তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই ফোন করেছেন।' এদিকে ধৃতের নাম পরিচয় প্রকাশ্যে আনেনি পুনে পুলিস।
একই পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধারে (Deadbody) চাঞ্চল্য ছড়াল পুনেতে (Pune)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুন্ধুওয়ার কেশবনগর এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন দীপক থোটে (৫৫), তাঁর স্ত্রী ইন্দু (৪৫) এবং ওই দম্পতির ২৪ বছর বয়সি পুত্র ও ১৭ বছর বয়সি কন্যা। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিসের এক আধিকারিক বলেছেন, 'ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছি আমরা।' জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। যার জেরেও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
একই পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধারে (Deadbody) চাঞ্চল্য ছড়াল পুনেতে (Pune)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুন্ধুওয়ার কেশবনগর এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন দীপক থোটে (৫৫), তাঁর স্ত্রী ইন্দু (৪৫) এবং ওই দম্পতির ২৪ বছর বয়সি পুত্র ও ১৭ বছর বয়সি কন্যা। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেছেন, 'ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছি আমরা।' জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। যার জেরেও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সিনেমা মানুষের জীবনে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলে চলেছে। সে প্রেম প্রস্তাব হোক বা নানা বিষয়ে। তবে এর খারাপ দিকও যে সমাজকে সমানভাবে প্রভাবিত তার প্রমাণ পুনের (Pune) একটি ঘটনা।
বাবা ধনঞ্জয় নবনাথ বনসোড (৪৩) পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর তা জানতে পারেন তাঁর দুই ছেলে। বাবার এই অবৈধ সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন। এ নিয়ে বহুবার অশান্তিও বাবা ও ছেলের মধ্যে। শেষমেশ রাগে বাবাকে মেরেই ফেললেন তাঁরা। খুন করে জ্বালিয়ে দিলেন বাবার দেহ বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত দুই ছেলে সুজিত এবং অভিজিৎকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দু'জনেই খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা এও বলেন, ‘দৃশ্যম’ ছবির গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবাকে খুন করার ছক কষেন। পরিকল্পনামাফিক গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে বাবার ঘরে গিয়ে তাঁকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। তার পর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। খুনের পর দেহ জ্বালিয়ে দেন তাঁরা।
যদিও ঘটনার পর নিজেরাই থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এমনকি তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু অবশেষেপুলিসি জেরার মুখে দু’জনেই ধরা পড়ে যান। খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় বাবুর একটি খাবার দোকান ছিল। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে নাগপুরের এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। বাড়িতে সকলেই জানতেন। বাড়িতে বসেও ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপচারিতা হয়েছিল তাঁদের। এই সম্পর্ক নিয়ে নিত্য অশান্তি লেগে ছিল তাঁদের। এর জেরেই দুই ছেলে বাবাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি।
সমাজ এখনও কতটা পিছিয়ে তার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল! মেয়ে জন্মানো নিয়ে এখনও নাক সিটকানো রয়েছে অনেক পরিবারে। তবে শিক্ষিত পরিবার, শিক্ষিত ছেলের কাছে এ ধরণের মানসিকতা কেউই আশা করেন না। চাকরি সূত্রে দু'জনেই থাকেন পুনেতে (Pune)। দু'জন্যেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (Computer Engineer)। সদ্য মা-বাবা হয়েছেন। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ায় ঘোর আপত্তি জানায় স্বামী। এমনকি পিতৃত্ব অস্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে (Wife Killed by Husband) দেন ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। পরে নিজেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। পুনের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
২০২০-র ২০ নভেম্বর নানদেদে বিয়ে হয় জ্যোতি-রাজেন্দ্রর। গত ২৭ জুন তাঁদের ঘর আলো করে আসে ছোট্ট একটি কন্যাসন্তান। সেখান থেকেই সূত্রপাত ঝগড়ার। মেয়ে হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না রাজেন্দ্র। প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। সোমবার রাতে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রাগের মাথায় রাজেন্দ্র রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রীয়ের গলায় কোপ বসিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় জ্যোতির। মাথা ঠাণ্ডা হতেই রাজেন্দ্রর হুঁশ ফেরে। তিনি বুঝতে পারেন ভুল। এরপর বাড়িওয়ালার কাছে সব খুলে বলেন এবং আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। খবর যায় থানায়। পুলিস এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় রাজেন্দ্রকে।
উল্লেখ্য, জ্যোতি নিজেও ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু সন্তানের জন্মের জন্য ম্যাটারনিটি লিভে ছিলেন। কয়েক মাস আগেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিন আগে ইস্তফা দেন সেই চাকরিতে।
ব্রিজের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শ'য়ে শ'য়ে গাড়ি (Car)। হঠাৎ পিছন থেকে এসে দ্রুতগতিতে ধাক্কা মারল একটি ট্রাক (Truck)। এরপরই একের পর এক গাড়ির সংঘর্ষ। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুনের নাভালে ব্রিজে (Pune Naval Bridge Accident)। পরপর গাড়ির সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৮টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। পুনে দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা।
পুনে-বেঙ্গালুরু মহাসড়কে বড় দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সড়কের উচ্চ ঢাল ও যানবাহনের প্রচণ্ড গতির কারণে নাভালে সেতু এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুনে মেট্রোপলিটিকাল রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএমআরডিএ) এর দমকল বিভাগ দাবি করেছে যে, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুনে দমকল বিভাগ ও পুনে মেট্রোপলিটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
মঙ্গলবার সাতসকালে আগুনে বিপর্যস্ত পুনে (Pune Fire Incident)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এই জেলায় রয়েছে একাধিক বহুতল, হোটেল-সহ গুরুত্বপূর্ণ ইমারত। আর সেরকমই একটি হল লুল্লানগর এলাকার মার্বেল বিস্তা বিল্ডিং। এদিন সকালে ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে পড়ল সেই হোটেল। তবে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই বিল্ডিংয়েরই এক তলায় রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা জাহির খানের (Zaheer Khan) রেস্তোরাঁ, আর আগুন লাগে এর উপরের তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, জানলা কাঁচ দিয়ে আটকানো বলে ভিতর থেকে বাইরে বেরোতে পারছে না ধোঁয়া, ফলে বাড়ছে সমস্যা। কাঁচ ভেঙে তা বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও যে সকল কর্মীরা রাতে সেখানে ঘুমোন তাঁরা কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অবশ্য কিছু স্পষ্ট নয়। তবে ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা পেসার জাহির খান। ভারতের হয়ে ৯২টি টেস্ট, ২০০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা ক্রিকেটার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সি গায়ে আইপিএলের ময়দানও কাঁপিয়েছেন তিনি। এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমের মেন্টর হিসেবে যুক্ত রয়েছেন জাহির খান।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (Bhima Koregaon) সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অশীতিপর সমাজকর্মী ভারভারা রাও (Varvara Rao)। বুধবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি ইউইউ ললিত তাঁর রায়ে জানান, আশা করব এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না সমাজকর্মী। জানা গিয়েছে শারীরিক কারণে মঞ্জুর হয়েছে তাঁর জামিন। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই সমাজকর্মী। হাইকোর্ট ভারাভারার শারীরিক কারণে পাওয়া স্থায়ী জামিন খারিজ করেছিল।
ভারাভারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭-এর ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে পরদিন কোরেগাঁও-ভীমা যুদ্ধ স্মারকের কাছে হিংসা সংঘটিত হয়েছিল। পুণে পুলিসের অভিযোগ ছিল, এই সমাবেশ সংগঠনে যুক্ত ছিল মাওবাদীরা। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ২০১৮-এর ৮ জানুয়ারি ভারাভারার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করে পুলিস। সেই বছর ২৮ অগস্ট হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ভারাভারাকে।