দুর্গাপুজো (durga puja) কার্নিভালে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ষাঁড়ের তাণ্ডবে এক ব্যক্তির মৃত্যুর (death) পর, এবার দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা প্রশাসন রাস্তায় থাকা গরু (Cow), ষাঁড়ের (bull) বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুর এলাকায় গরু, ষাঁড় শুয়ে থাকার কারণে পথচারীদের বিভিন্নভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নিত্যদিন। পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার এই সমস্ত মালিকবিহীন ষাঁড়দের এবং গরুদের রাস্তা থেকে সরাতে অভিযানে নামল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভা।
গরু মালিক, যারা গবাদি পশুদের রাস্তায় ছেড়ে রাখেন, তাঁদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করেছে বালুরঘাট পুরসভা। বলা হয়েছে, তাঁদের গরু তাঁরা যেন বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। রাস্তাঘাটে অনেক গরু, ষাঁড়ের উপদ্রব নিরসনে এবার রবিবার রাতে অভিযানে নামে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বালুরঘাট পুরসভা। এদিন প্রথমেই এই সমস্ত গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সমস্ত নিয়ম মেনে এই গরু ও ষাঁড়গুলিকে খামারে রাখা হবে বলে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান জানান।
বালুরঘাটের রাস্তা স্থানীয়দের জন্য সুরক্ষিত করতেই জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
দু'বছর বন্ধ থাকার পর শনিবার রেড রোডে (Red Road) দুর্গাপুজা কার্নিভাল (Durga Puja Carnival)। আর এই আয়োজন ঘিরে তুঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেড রোড। এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২০০০ পুলিস মোতায়েন করা হবে। রেড রোড সংলগ্ন ময়দান চত্বরকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি জোনের দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি কমিশনার। মূল জোন অর্থাৎ ভিভিআইপি জোনের দায়িত্বে ডিসি সেন্ট্রাল এবং ডিসি সাইবার। বসছে ৮টি ওয়াচ টাওয়ার, ১০টি পুলিস সহায়তা কেন্দ্র, ৫টি কিউআরটি। জানা গিয়েছে প্রায় ৯৫টি পুজো এই কার্নিভালে অংশ নেবে।
এদিকে, কার্নিভালে মূল অনুষ্ঠানের সূচনায় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দীক্ষা মঞ্জরি নাচের গ্রুপ। তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হবে কার্নিভাল। যদিও শনিবার মঞ্চে নাচতে দেখা যাবে না সৌরভ-পত্নীকে। সম্প্রতি চিকুনগুনিয়া সারিয়ে বার৪ই ফিরলেও চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে নাচতে বারণ করেছেন। তাই সেই পরামর্শ মেনেই রিহারাসালে উপস্থিত থাকলেও মূল অনুষ্ঠানে মঞ্চে না থাকার সম্ভাবনা ডোনার। এদিন ক্যালকাটা নিউজকে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি ভালো আছেন।
দশমীর রাতে বিসর্জনের (Immersion Incident) সময় মাল নদীর হড়পা বানে (Flash Flood) মৃত্যুর ঘটনায় জলপাইগুড়িতে বাতিল পুজো কার্নিভাল (Puja Carnival)। অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলোকে জানিয়ে দিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। প্রায় ১৬টি পুজো কমিটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুর এলাকায় শুক্রবারের বর্ণাঢ্য কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিল। শহরের কিং সাহেবের ঘাট এবং সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ বাঁধা এবং সাজিয়ে তোলার কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল পাচটায় কার্নিভাল আয়োজন নিয়ে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার রাতের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকেই সমাজের বিভিন্নস্তর থেকে কার্নিভাল বাতিলের দাবি ওঠে। অনেকে জেলাশাসককে ই-মেইল করে অনুষ্ঠান বাতিলের অনুরোধ করেন। এই আবেদন-নিবেদন খতিয়ে দেখে অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং কোতোয়ালি থানা। চূড়ান্ত প্রস্তুতি হয়ে যাওয়া স্বত্ত্বেও এই শোকের আবহে কার্নিভাল না করার বিষয়েই সম্মতি দেয় পূজো কমিটিগুলিও।
এরপরই জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা একটি মেসেজ বার্তায় কার্নিভাল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান। একাধিক মহল থেকে আবাদেন জানানো হয়েছে, কার্নিভালের জন্য বরাদ্দ অর্থে যদি দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো যায়। একাধিক পুজো কমিটিও জানিয়েছে, তারা কার্নিভালের জন্য বরাদ্দ অর্থ নিয়ে ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াবেন।
এদিকে, হড়পা বান-কাণ্ডের পর ২৪ ঘণ্টা পার। এখনও নতুন কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নতুন কোন দেহ উদ্ধার করেনি। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মৃত ৮। এমনকি অসমর্থিত একটি সূত্র দাবি করেছিল, অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ। সেই দাবি ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। কারণ স্থানীয় থানায় এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও নিখোঁজ ডায়রি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, হড়পা বানে যারা তলিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩। এলাকার পরিবেশ এখনও থমথমে। শুক্রবার নয় সদস্যের বিজেপির প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল অর্থাৎ মাল নদীর বিসর্জন ঘাট পরিদর্শনে আসছে। কথা বলবেন আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০-১১টা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছন। এই দলে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মনোজ টিগগা-সহ অন্যরা।
৮ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Puja Carnival)। কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গত দু'বছর করোনা পরিস্থিতির (Covid Situation) জন্য কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এবছর আবার কার্নিভালের আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Bengal Government)। শহরের সেরা অন্তত ১০০টি পুজো এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মণ্ডপ থেকে বের করে আনা হবে প্রতিমাগুলো। রাখা থাকবে রেড রোডে। কোন প্রতিমা কীভাবে রাখা হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই মেগা আয়োজনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, অতিথিদের বসার ক্ষেত্রে তাই বিশেষ আয়োজন। একটি আয়োজনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য অতিথিরা। দ্বিতীয় আয়োজনে বসবেন মন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। তৃতীয় আয়োজনে বসবেন অন্য আমন্ত্রিত এবং অতিথিরা। এবং সব শেষে বাকি যারা টিকিট কেটে কার্নিভালে দেখবেন তাঁদের জন্য তৈরি আলাদা ব্যবস্থা। এমনটাই কলকাতা পুলিস এবং রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। পাশাপাশি শুক্রবার থেকেই রেড রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শুক্র এবং শনিবার বন্ধ থাকবে রেড রোড। তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড খলা থাকবে। খোলা থাকবে জাজেস ঘাট রোড এবং আউট্রাম রোড।