অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে রামপুজোর আয়োজনে 'না' পুলিসের। সেই নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সোমবার মামলার শুনানি হবে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু জোর তরজা।
আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে। 'রামলালা' অর্থাৎ ভগবান রামের মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা ঘিরে সাজ সাজ রব সেখানে। আর সেই আবহেই কলকাতার কালীঘাটে রামপুজো করা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা গিয়েছে, একমাস আগেই পুলিসের কাছে আবেদন করা হয় যে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন কালীঘাটে রাম পুজো করার। কিন্তু তাতেও অনুমতি না দেওয়ায় পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাইকোর্টে।
কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতির উদ্যোগেই এই পুজো। জানা গিয়েছে, বাদামতলা ৬৬ পল্লীতে অযোধ্যার রাম পুজোর টিভিতে দর্শন সহ এখানে পুজো ও ভোগ বিতরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিস। কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতির পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়। আর আজ অর্থাৎ বুধবার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতির সদস্যরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
শুরু হয়ে গিয়েছে চারদিনের ছট পুজো। কার্তিক শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকেই ছট উৎসব পালিত হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ছট উৎসব। ছট উপলক্ষে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। লেকে পুজো দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও গতবছর অনেকেই লুকিয়ে পুজো দিয়েছেন, এবার আর ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ।
এবছর যাতে কেউ নিষেধাজ্ঞা কেউ না ভাঙতে পারে, তাই দুই সরোবর প্রাচীরের মতো ঘিরে থাকবে বিরাট পুলিশবাহিনী। একজন করে ডিসি এবং তাঁর আন্ডারে মোতায়েন থাকবেন ২৫০ জন করে পুলিশ কর্মী। রাস্তায় থাকছেন ৩৫ জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্তা। কলকাতার মোট ১৩৩টি গঙ্গার ঘাট, ছোট পুকুর, তৈরি হওয়া জলাধারে ছট পুজো অনুষ্ঠিত হবে, গঙ্গার ঘাটগুলিতেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
কালীপুজো মিটতেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকার ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবারই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে আজ দুপুরের পর থেকেই আবহাওয়া বদলাতে পারে। ভাইফোঁটার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস,বুধবার বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। ১৬ নভেম্বর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে বৃহস্পতি ও শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতে। উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ উপভোগ করছেন উত্তরবঙ্গবাসী। পার্বত্য এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।
মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবারের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরা ফেরা করতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
টলিউড থেকে বলিউড, সর্বত্র অরিজিৎ সিং-এর (Arijit Singh) গান রাজত্ব করে চলেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তাঁর তেমনই জনপ্রিয়তা। এককথায় জনপ্রিয়তার নিরিখে একেবারে শীর্ষে অবস্থান করেন 'মাটির মানুষ' অরিজিৎ। কিন্তু এত কিছুর পরও তাঁর মধ্যে নেই কোনও তারকা সুলভ আচরণ। আর তাঁর এই সাদামাটা জীবন-যাপনই মুগ্ধ করে সাধারণ মানুষদের। প্রায় সব অনুষ্ঠানেই তাঁকে তাঁর জায়গা জিয়াগঞ্জেই দেখা যায়। কালী পুজোর সময়ও ব্যতিক্রম কিছু হল না। কারণ এ বছরের দীপাবলি ও কালী পুজোতেও তাঁকে দেখা গেল জিয়াগঞ্জে। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জের এক কালী মন্দিরে স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে অরিজিৎ। একেবারে সাধারণ মানুষের মতই কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে ব্যস্ত তিনি।
এবছরের দীপাবলিতে জিয়াগঞ্জের এক কালী মন্দিরে দেখা মিলল গায়কের, সঙ্গে দেখা গেল স্ত্রী কোয়েলকেও। অরিজিৎকে দেখা গেল খালি পা, পরনে সবুজ পাঞ্জাবি আর সাজা পাজামায়। হাত জোড় করে মায়ের সামনে প্রার্থনা করলেন গায়ক। খানিক্ষণ মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকলেন, আশেপাশে তাঁর পাড়ার মহিলাদের ভিড়। ঘরের ছেলেকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখল জিয়াগঞ্জ। অরিজিৎ যে কতটা মাটির মানুষ, সেই প্রমাণ আগে অসংখ্যবার মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেরকম একাধিক ভিডিও। কিন্তু জিয়াগঞ্জর এই ভূমিপুত্রর এই ভিডিও মন জয় করে নিয়েছে সাধারণ মানুষের।
ভালোয় ভালোয় কাটল কালীপুজো, দীপাবলি, বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও আকাশ পরিষ্কার ছিল। কিন্তু ভাইফোঁটায় কি শেষরক্ষা হবে? পূর্বাভাস বলছে, সে সময় রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ নভেম্বর রয়েছে ইডেনে ম্যাচ। সেই ম্যাচে বৃষ্টি প্রভাব ফেলতে পারে কি না, তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা।
হেমন্তের মেজাজে জল ঢালতে পারে নিম্মচাপ। খবর, খুব শিগগির বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। ফলে চলতি সপ্তাহে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিকে, ভাইফোঁটা রয়েছে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর। সেই দিনই নিম্মচাপ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার কথা। ১৬ নভেম্বর তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা।
উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
আজ কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও (Dakshineswar Kali Temple)। সকাল থেকেই মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় মা ভবতারিণীর পুজো। সঙ্গে রয়েছে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন। এবার সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। মন্দিরের মধ্যে থেকে পুজো দেখার পাশাপাশি থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
মনে করা হয় যে, দক্ষিণশ্বরের ভবতারিণী মা কালী করুণাময়ীরূপে দীপান্বিতা অমাবস্যার এই বিশেষ দিনে মর্ত্যে নেমে আসেন। শ্যামা মা ভক্তদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাঁদের সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই কালীপুজোর দিন পুজোর ডালি নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, মায়ের পুজো দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অগণিত ভক্ত এদিন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। পুজো দিতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। বেলা বাড়তেই উপচে পড়ছে ভিড়।
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান মা ভবতারিণী ঠাকুর। মায়ের ভোগ অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
রবিবার কালীপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তাঁর বাড়ির ছবি পোস্ট করলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, তাঁর বাড়ির ব্রহ্মময়ী। তাঁর চরণে শতকোটি প্রমাণ। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর বাড়ি হয়ে উঠবে ভিড়ে ঠাসা।
দিন কয়েক আগে নিজের বিধানসভা ভবানীপুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানে কর্মীদের নানা কথার মধ্যেই জানান, প্রতিবারের মতো এবার বাড়ির পুজোতে তিনি উপোস করে ঠাকুরের ভোগ তৈরি করবেন।
এবার পায়ের জন্য দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে যেতে পারেননি। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন স্বশরীরে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেই মধ্য কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: পুজো উৎসব বলতে নানান পুজোর ছবি আমাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসে। পুজো পরিক্রমাতে তার তথ্য পাওয়া যায়।কিন্তু শুরুর ইতিহাস শুভ নাকি অশুভ তার হদিস কেউ রাখে কি? ফাটাকেষ্টর পুজো উদ্বোধন করতে একবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন, জানে কজন? তখন এই রীতি ছিলই না। কালীপুজো মানে দাদাভাইদের পুজো নাকি এলাকার মাস্তানদের তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে সেই রঘুডাকাতের কালীপুজো থেকেই এই এক অদ্ভুত ধারণা জনমানসে আছে। ছন্নছাড়া ক্লাব তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও মাস্তানদের পুজো বিষয়টি পুজোকর্তারা তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রেখেছে।
ছন্নছাড়া নামক অদ্ভুত নামের ক্লাবের জন্ম জরুরি অবস্থার সময়ে দমদম পার্কে। এলাকার বেকার নাকি বাউন্ডুলে কিছু তরুণ এই পুজোর জন্ম দেয়। ৪৫ বছর হয়ে গেলো প্রায়।ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা তখন অনেকেই এলাকার বাইরে, আবার যারা রয়েছে তারা কংগ্রেসি ছেলেদের মধ্যে মিশে রয়েছে। ওই বামদের কারুর কারুর মগজ থেকে এই পুজোর জন্ম। পুজোতে কিন্তু দলবাজি প্রাথমিক ভাবে ছিল না। নিজেদের পকেট থেকে যে যা পারে তাই দিয়ে প্রথম দু'বছর পুজো হয়েছিল। এরপর আসে ১৯৭৭। শুরু বাম জমানা। এবারেই খোলস থেকে বেরিয়ে রমরমা পুজো শুরু করে সিপিএমের যুব মহল। রাতারাতি ক্ষুদ্র পুজো বিশাল হয়ে যায়। ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তি সহযোগে চলতে থাকে পুজো। নেতৃত্ব দেয় অজু, আর বুচু ( অসম্পূর্ণ নাম)। পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার নাম কংগ্রেসি ছেলেদের বেধড়ক পেটানো হয়। এলাকায় ত্রাস হয় ওঠে অজু। মদ খেয়ে পেটানোটাই ছিল তার প্রধান কাজ এবং তার সঙ্গে তোলাবাজি। পরে অবিশ্যি অনেকেই এই পুজোতে যোগ দেয় এবং ত্রাস কমে হটাৎই অজু উধাও হয় যাওয়াতে। ২০০৯-এ অজুর মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজ্যের বাইরে কোনও এক হিন্দিভাষী স্থানে।
এরপর দিন পাল্টায়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আপাতত তাদের হাতেই পুজো। এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা নেই। চাঁদা তোলা হয় না। তবে স্মৃতিচারণে আশীষ দাস জানালেন, "আমাদের এই পুজো একেবারেই অরাজনৈতিক। ক্লাবঘর তৈরি করেছি আমাদের পয়সাতে।' ছন্নছাড়া আজ আর ছন্নছাড়া নেই বরং সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতা হয় গিয়েছে।
তিলোত্তমা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি কোণ সেজে উঠবে আলোয়। কারণ, আসছে দীপাবলি। শুরু হয়ে গিয়েছে আতসবাজি কেনার হিড়িক, লাইটের দোকানেও লম্বা লাইন। কোমর বাঁধছে কলকাতা পুলিশও। কালী পুজো এবং ভাসান উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। জানানো হয়েছে, এই সময়েও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে ১৩ নভেম্বর পরের দিন ভোর ৪ টা পর্যন্ত মালবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ভাসানের দিনও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অর্থাৎ ১৪ এবং ১৫ তারিখও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। জরুরি দ্রব্য যেমন ওষুধ, গ্যাস, দুগ্ধজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
আগামী রবিবার কালীপুজো পড়েছে। আর কালীপুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে ঠান্ডা। কমবে তাপমাত্রা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না। উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গে আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কলকাতার আকাশও মূলত পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে যাবে। পরবর্তী তিনদিনে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না।
শনিবার বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হয়েছেন দেবী কোজাগরী লক্ষ্মী (Laxmi Puja 2023)। আর এই লক্ষ্মী পুজো টলিপাড়ায় প্রায় অধিকাংশ সেলেবের বাড়িতেই হতে দেখা যায়। বিভিন্ন টলি তারকাদের বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম হল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাড়ির লক্ষ্মী পুজো। প্রত্যেকবারই তাঁর কলকাতার বাড়িতে বেশ জাঁকজমক করে পুজো করতে দেখা যায়। তবে এবারে দেশে নেই তিনি। কিন্তু বিদেশে থাকলেও নিজে হাতেই ভোগ রান্না করে ঘরোয়া ভাবে মা লক্ষ্মীর পুজো করলেন তিনি।
প্রতিবছরই এইদিনটি নিজের মতো করেই পালন করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বিদেশের বাড়িতে পুজো করার ও ভোগের ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, নো মেকাপ লুকে। তাঁর পরনে একটি লালপেড়ে সাদা শাড়ি। একেবারে বঙ্গ নারীর বেশে তাঁকে কোজাগরীর আরাধনা করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, নিজের হাতে লুচি, সুজি রেঁধে মায়ের সামনে ভোগ দিয়েছেন। এছাড়াও পাঁচ ফল, মিষ্টি, ধুপ-ধুনো জ্বেলে মা লক্ষ্মীর পুজো সেরেছেন ঋতু।
লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ কবিতা লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম দিয়েছেন 'আমার লক্ষ্মী।' শনিবার বিকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ওই কবিতা প্রকাশ করেন তিনি।
মোট ২৪ লাইনের ওই কবিতার একাধিক বিষয় উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গ যেমন টেনেছেন তেমনই বৈষম্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের লেখা কবিতাতেও সেই বিষয়টি উল্লেখ করলেন।
শুধু এখন নয়, এর আগেও একাধিক বিষয়ে কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেও কবিতাকে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের লক্ষ্মী পুজোর দিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা প্রকাশ তাঁর।
এমনিই কি তাঁকে মাটির মানুষ বলা হয়! ফের এমনই এক কাজ করলেন সবার প্রিয় অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), যা দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল দেখতে এবারে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুটিতে চেপেই বেড়িয়ে পড়লেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। এর আগেও তাঁকে নিজের গ্রামে স্কুটি নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারে ঠাকুর দর্শন করতে গিয়ে স্ত্রী কোয়েলকে নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁদের স্কুটিতে চড়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। ফলে বলাই বাহুল্য, তাঁর মধ্যে সেলেবদের মত হাবভাবের লেশমাত্র নেই! আর অরিজিতের এমন ব্যবহারেই মুগ্ধ নেটিজেনরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অরিজিতের পরনে হলুদ পাঞ্জাবি। স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে স্কুটিতে চেপেই মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরছেন অরিজিৎ সিং। প্রথমে দেখে বিশ্বাসই হবে না, ইনি আদৌ অরিজিৎ কিনা, কিন্তু ভালো করে ভিডিও দেখতেই বোঝা যাবে, ইনিই অরিজিৎ সিং ও তাঁর স্কুটির পিছনে বসে স্ত্রী কোয়েল। তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন প্যান্ডেল হপিং করতে। এই ভিডিও বর্তমানে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। তাঁর অনুরাগীরা ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপুজো। স্বাভাবিকভাবেই এবারের দুর্গাপুজো বিশেষ ছিল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ও পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের। ফলে তেমনটাই দেখা গেল। দশমীর দিন দেবীবরণের সময় 'রাঙা বউ'-কে এক অন্য রূপেই দেখা গেল। আবার তাঁকে সিঁদুর খেলতেও দেখা গেল। তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্বামী স্বর্ণেন্দু ও পরিবার। মা দুর্গার সঙ্গে একগুচ্ছ ছবিও শেয়ার করলেন শ্রুতি।
টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। বিজয়া দশমীর দিন স্বামী-পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দেবীবরণ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লাল শাড়ি। সঙ্গে মাননসই গয়না। এখানেই শেষ নয়। হাতে শাঁখা-পলা, মাথায় চওড়া সিঁদুর ও হাসিমুখে দেবীবরণ করতে দেখা গেল 'রাঙা বউ' ধারাবাহিকের পাখিকে। শ্রুতির এই সিঁদুর খেলার ছবিতে লাইকের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
আবার তিনি দশমীর দিন দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলা সেরে একাদশীতে পৌঁছে গিয়েছেন নিজের দেশের বাড়ি কাটোয়াতে। সেখানে গিয়ে নাগরদোলায় চড়ে ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ভিডিও পোস্ট করে লিখলেন, ‘যখন তুমি একাদশীতে দেশের বাড়ি পৌঁছও এবং বুঝতে পারো পুজো এখনও শেষ হয়নি’। তবে শ্রুতির পাশে এবারে স্বর্ণেন্দুর দেখা পাওয়া যায়নি।
পঞ্চমী থেকে রোজই সারা রাত মেট্রো চলেছে কলকাতায়। এবার রেড রোড কার্নিভালের দিনও বিশেষ পরিষেবা দেবে কলকাতা মেট্রো।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, কার্নিভ্যালের দিন ২৩৪টির পরিবর্তে ২৫২ মেট্রো চলবে। রাতের শেষ মেট্রোর সময়ও বাড়ানো হয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে ১০টা ৫৮ মিনিটে। আবার কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশে মেট্রো মিলবে রাত ১১টায়। দমদম এবং সুভাষ থেকে দুদিকের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।