কলকাতার বিগ্রেড মাঠে তৃণমূলের জনগর্জন সভা। রবিবার সকাল থেকেই উধাও প্রায় সমস্ত বাস। রাস্তায় দেখা নেই সরকারি এবং বেসরকারি বাসের। তৃণমূলের জনসভা থাকার কারণে এদিন বেশিরভাগ বাসই ব্রিগেডমুখী। যার জেরে সমস্যায় পড়েছে নিত্যযাত্রীরা। এমনকি তৃণমূলের সভাতে যাওয়ার জন্য নেই কোনও বাস। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না বাস।
উল্লেখ্য়, অন্যান্য দিন বাস থাকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে কমবেশী প্রায় ৪০টি। কিন্তু তৃণমূলের সভা থাকার কারণে দু-একটি বাস বাদে সমস্ত বাস তুলে নেওয়া হয়ছে। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এমনকি ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় হয়রানিতে পড়েন হাওড়ার যাত্রীরা। এদিন সকালে হাওড়া সরকারি বাস স্ট্যান্ডে দেখা মিলল সেই ছবি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও কোনও সরকারি বাসের দেখা নেই। ফলে তাঁরা গন্তব্যস্থানে কখন পৌঁছতে পারবে তা নিয়ে সমস্যায় যাত্রীসমূহ।
সাতসকালে আসানসোল-হাওড়াগামী ট্রেনের ব্রেক সু থেকে হঠাৎ আগুন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্য়যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আসানসোল থেকে হাওড়া যাওয়ার সময় হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনে আচমকাই ১২৩৪২ অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে ব্রেক সু থেকে আগুন বের হয়। আগুনের ফুলকি দেখা মাত্রই ট্রেন চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপর কুড়ি মিনিট মতন বেলমুড়ি রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এরপর তড়িঘড়ি শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। কিছুক্ষণের মধ্য়ে ব্রেক সু ঠিক করার পর ফের হাওড়ার অভিমুখে রওনা দেয় বলেই স্টেশন সুপারেন্টেন্ড জানান।
খামারগাছি রেলের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। আপ লাইনেও অনিয়মিত ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন কাটোয়া-হাওড়া ও কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল। ৩৭৯১২ ডাউন হাওড়া লোকাল ৫.১৪ মিনিটে জিরাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা হলেও ৮.০০ টার পরেও জিরাট স্টেশন ছাড়েনি।
এরপর থেকে তিন জোড়া ট্রেন পরপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনে। জিরাটের স্টেশন মাস্টার জানান, ডাউন লাইন বন্ধ থাকার জন্য সকালের দিকে কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন আপ লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে।ভোররাতে প্যান্টো ভাঙার জেরে এই বিপত্তি। পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। ডাউন ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পরেন নিত্য যাত্রীরা। তারা অপেক্ষা করছেন কখন ট্রেন চলবে। সকালের ট্রেনে কাটোয়া থেকে শেওড়াফুলি হাটে সবজি নিয়ে যান চাষীরা সেই সবজি পরে রয়েছে ট্রেনে। পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন কুন্তিঘাটে প্যান্টো ভেঙে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।সারানোর কাজ চলছে।
বাগদেবীর আরাধনাতেও রাজনৈতিক উত্তাপ। সরস্বতী পুজোতেও বাদ গেল না অশান্তি। তৃণমূল-বিজেপির বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় আহত ১১ জন। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতেই সরস্বতী পুজো করে আসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মণ্ডল জমিটি নিজের বলে দাবি করতেই শুরু হয় বিবাদ। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার? ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ হবিবপুর থানার পুলিসের বিরুদ্ধে।
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির দাবি দেব মণ্ডলকে সহযোগিতা করার জন্যই লঠিচার্জ করে পুলিস। রাজ্য জুড়ে মিথ্যা প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভুক্তভোগী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। হ্যারিকেনের আলোয় কোনওরকম কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাড়ধূর্পা গ্রামের।
ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত দীর্ঘদিন ধরে। আর এই গন্ডগোলের জেরেই গত ৩১শে জানুয়ারি রাতে বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরিবারের। পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় খুবই সমস্যা পড়েছে ওই ছাত্রীটি। ফলে তার পড়াশোনায় খুবই ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মণ্ডল জানান, বিল মেটানো থাকলে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। অতি শীঘ্রই যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে দফতরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।
যাত্রী বিক্ষোভে অশান্ত কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভের আবহ। ঘটনা কলকাতা থেকে তেজপুরগামী এক বিমান ছাড়াকে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে তেজপুর যাওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট বিমানের। বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের বিমান এসজি-২৯৬৬ বিমানটি সকাল আটটা পাঁচে তেজপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হবে। প্রথমে জানা যায়, বিমান ছাড়া হবে সাড়ে দশটার সময়। যাত্রীমনে সমস্যা তৈরি হলেও, যান্ত্রিক গোলযোগ মেনে নিয়ে তখনও অবধি পরিস্থিতি ছিল শান্ত।
তবে সমস্যা বাঁধে এরপর। বিমান কর্তৃপক্ষ এরপর জানায়, ওই বিমান ছাড়তে প্রায় দুপুর একটা বেজে যাবে। এরপরেই, কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০৪ নম্বর গেটের কাছে সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা।
ঘটনায় চূড়ান্ত হয়রানি হতে হয় যাত্রীদের। কেউ তার কাজ সঠিক সময় না করতে পারায় সমস্যায় পড়েন। কেউবা, বিমান দেরি করায় তার পরবর্তী সংযোগকারী বিমান ধরতে ব্যর্থ হন। সবমিলিয়ে এরপর যাত্রীমনে সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হলে, ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। রবিবারের এমন হয়রানি এবং যাত্রী বিক্ষোভের পর, যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি আলাদা করে নজর দেয় কিনা বিমান কর্তৃপক্ষ, এখন সেটাই দেখার।
ফের রাজ্য়ে খুন তৃণমূল কর্মী। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় এখনও অবধি ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এসডিপিও বারুইপুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। মৃত ব্য়ক্তির নাম সাইদুল আলী শেখ। পেশায় একজন গাড়িচালক।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে পাড়ার পরিচিত এক যুবক সাইদুলকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁর কাছে জানতে চায় ক্লাবের সামনের মাঠে কেন গাড়ি চালিয়েছিলেন, তা নিয়ে শুরু হয় ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে সাইদুল আলি শেখের বচসা। কথা কাটাকাটি চলাকালীন আচমকা তাঁকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে এবং লোহার গরম রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ক্লাবের ছেলেরা।
অভিযোগ, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সাইদুলের বাড়ির লোকজন তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি সাইদুলের স্ত্রী ও মেয়েকে নাকি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে অনেকবার অনুরোধ করলেও সাইদুলকে নির্মমভাবে মারা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।
রবিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাইদুল আলী শেখের। এই মর্মান্তিক মৃত্য়ুর ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয়দের দাবি, সাইদুল আলী শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে গাড়ি চালনো নিয়ে ঝামেলার জেরে এই ঘটনা নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের সমস্যা দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে। বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই তড়িঘড়ি অভিষেকে দেখতে তাঁর হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত সময় কন্টাক্ট লেন্স পরার কারণে অভিষেকের চোখে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এখন তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের ব্লক স্তরের থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের সমস্যার কারণে সেখানে অভিষেক উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও তৃণমূলের অন্দর মহল সূত্রের খবর, চোখের সমস্যার জন্য ইন্দোরে সভায় থাকছেন না সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জেরে অবশ্য তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, এই সভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুব্রত বক্সী। যেখানে নবজোয়ার যাত্রার পর অভিষেকের উচিত ছিল এই রাজ্যস্তরের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া। পাশাপাশি বিরোধীদের একাংশদের দাবি, 'ইডি-সিবিআইয়ের এই চাপে ও দুর্নীতি ইস্যুতে অভিষেককে আড়াল করতেই এই সিদ্ধান্ত মমতার।'
বারাসত ভিআইপি জোনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্রমশ যেন পরিণত হয়েছে ডোবায়। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের তিতুমির বাসস্ট্যান্ড হয়ে কোর্ট বা জেলাশাসকের দফতরে যাওয়ার এটাই প্রধান রাস্তা। নিত্যদিন বহু মানুষের যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশা হওয়ায় ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলছে যাতায়াত।
জল-কাদা পেরিয়ে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়ছে নিত্যযাত্রীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা কেন? বর্ষাকাল চলে গেলেই রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে। এমনটাই আশ্বাস বারাসত পুরসভার পুরপ্রধানের। এত উন্নয়নের পরেও কেন অভিযোগের পাহাড় জমছে? তবে কি কোথাও খামতি থেকে যাচ্ছে?
এবার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। একদিকে যখন এত প্রতিশ্রুতি মিলছে। তখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন? কেন সব অভিযোগ ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
শহর কলকাতার অলিতে গলিতে প্রায়শই উঠে আসছে দুর্ঘটনার খবর। প্রায় ১ মাস আগে পিছিয়ে গেলেই মনে পড়ে ছোট্টো সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা। প্রশাসনের গাফিলতির শিকার হয়েছিল ছোট্টো প্রাণটি। প্রশ্নের মুখে ছিল রাজ্যের ট্রাফিক ব্যবস্থা। মৃত্যুর পর হাল ফিরতে দেখা গিয়েছিল ট্রাফিক ব্যবস্থার। তবে তাতেও কি কমেছে তিলোত্তমার দুর্ঘটনার সংখ্যা। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে এবার সিএন এর ক্য়ামেরা পৌঁছলো রাজপথের খোঁজ নিতে? কী অবস্থায় রয়েছে রাজপথ? বেলঘড়িয়ার রাস্তা দেখলে রীতিমত ভয় পেতে হবে। বেলঘড়িয়ার সঙ্গে বিরাটি কিংবা নিমতার অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বেলঘড়িয়া ব্রিজ। যার অবস্থা সংকটজনক। ব্রিজের শুরু থেকে শেষ পুরোটাই খানা-খন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে যে বিভীষিকার রুপ ধারণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিনই এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয় পথচলতিরা। প্রাণ হাতে নিয়ে যাওয়া আসা করতে হয় সবাইকেই।
ব্রিজের হাল বেহাল, একাধিক জায়গায় রয়েছে ফাটল। যেকোনও সময় ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে বলে দাবি পথচারীদের। সকাল আটটার পরও রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি। ফলে আরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রশাসনকেও জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে বেলঘড়িয়া ব্রিজ, দাবি পথচারীদের।
ব্রিজের নীচে রয়েছে বেলঘড়িয়া স্টেশন। বহু দোকান রয়েছে সেখানে। ফলত ব্রিজের এই দশাতে আতঙ্কে রয়েছে সকলেই। স্কুলের বাচ্চাদের ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। রাস্তার জরাজীর্ণ এই দশাতে ক্ষোভে ফুঁসছে শহরবাসী। রাস্তার এই দশাতেও কি হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের? কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের? কবে ফিরবে বেলঘড়িয়া ব্রিজের হাল, উত্তরের আশায় শহরবাসী।
রাস্তার উপর এক হাঁটু কাদা। তার মধ্যে আবার কোথাও জমে রয়েছে জল। এই অবস্থায় রাস্তায় দিয়ে চলাচল মানেই যেন নরক যন্ত্রণা। কোথাও চিহ্ন নেই রাস্তার, আবার কোথাও নর্দমায় ঢাকা পড়েছে ঢালাই রাস্তা। স্কুল, পোস্ট অফিস থেকে বাজার হাট যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে পার হওয়াও বিপজ্জনক। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছবিটা বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়ার। অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি, তাই ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাম জমানার শেষের দিকে গ্রামের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংক্রিটের ঢালাই। কিন্তু তারপর থেকে হয়নি কোনও সংস্কার। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি জল জমে রাস্তার দশা বেহাল হয়ে যায়।
দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফাই শাসকশিবিরের। বেনাচাপড়া বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছে বলেই মানুষের সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না শাসকদল, এমনই অভিযোগ বিজেপির। এখন দেখার প্রশাসন কবে এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
দুর্ঘটনা! প্রতিনিয়ত বাড়ছে আশঙ্কা। প্রত্যেকদিন পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভিআইপি রোডের নিত্যযাত্রীদের। রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। তার উপর টানা বৃষ্টির জেরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে রাস্তায়। ডোবা বললেও ভুল হবে না। বছর ঘুরলেও সংস্কারের ছোয়া লাগেনি শিলিগুড়ির এই ব্যস্ততম রাস্তায়। দীর্ঘ টালবাহানা, দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি। কাজ শুরু হলেও মাঝপথেই থমকে গিয়েছে কাজ। আর তার প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিত্য যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। অথচ বারবার কীভাবে রাস্তার এই বেহাল দশা নজর এড়িয়ে চলেছেন তাঁরা? রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও তা বিঁশ বাও জলে। মাঝপথেই থমকে যায় রাস্তা সংস্কারের কাজ। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে একাধিক। অভিযোগ তুলছেন খোদ স্থানীয়রাই। এই দুরাবস্থা রাস্তার জেরে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু দেখেছে শিলিগুড়িবাসী। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের? আর কত মৃত্যু দেখলে রাস্তা মেরামতিতে উদ্যোগী হবে প্রশাসন?
কেবল শাসকদলের আশ্বাস আর আশ্বাস। পুজোর আগেই রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে। এখন কেবল অপেক্ষার কতটা কাজ হয়।
হঠাৎ অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এর পূর্বেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেবার চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনটাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পরিবার সূত্রে খবর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবার সূত্রে আরও খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়ায় তাকে বাইপাসের পাশে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সূত্রে খবর, আইসিইউতে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে প্রাক্ত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষ। তবে কিছুদিন ধরে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও কমছে না অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আর তার মধ্যে রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা। এবার সেই বিদ্যুতের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) করছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার হবিবপুর ব্লকের নালাগোলা রাজ্য সড়কের ঘোড়াপাড়া ব্রিজ এলাকায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ (Eletricity Problem) চলে যায়। এমনকি একবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে প্রায় দুই তিন দিন কারেন্ট আসেনা এলাকায়। আর এর ফলে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে মালদহের তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়েই পানীয় জল নিয়ে আসতে হয়। তাছাড়া এই গরমে বিদ্যুৎ অতি প্রয়োজনীয়। কারেন্ট না থাকার ফলে ও তীব্র গরমের জেরে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামের বৃদ্ধরা। তাই সময় মতো বিদ্যুতের পরিষেবা পেতেই বিক্ষোভে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, এমনটাই দাবি।
এই ঘটনায় এক বিক্ষোভকারী জানান, বেশ কয়েকবার এই সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরেও। তবে কোনোভাবেই কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিভ্রাট পিছু ছাড়ছে না করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express)। শুক্র সন্ধ্যায় উড়িষ্যার বাহানাগা বাজার এলাকায় আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেল ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস। ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের বিভ্রাটের অভিযোগ করমন্ডল এক্সপ্রেসে। অভিযোগ সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছতে না পৌঁছতেই বাতানুকূল কামরার এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঠিক সাঁতরাগাছিতে পৌঁছে একটি কামরায় এসি বন্ধ হয়ে যায়।
যাত্রা শুরুর সময় এসি বন্ধই ছিল। কিছু ক্ষণ পরে ট্রেনে বাতানুকূল যন্ত্র চালু হলেও সাঁতরাগাছিতে পৌঁছেই বন্ধ হয়ে যায় এসি। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পরে বি-১ এবং বি-২ কোচে এসি চালু হলেও বি-৩ কোচে বন্ধই থাকে এসি।
এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি জানিয়েছেন, এ রকম কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত জানা নেই। এমন যদি হয়ে থাকে নিশ্চয়ই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সময় যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে মৃত নিহত এবং আহতের সংখ্যা। রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা এসে ঠেকেছে ২৮৮-তে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত সেই সংখ্যা আর বাড়েনি। তবে উদ্ধারকাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল রেললাইন ঠিক করার কাজ। এর পর মঙ্গলবার রেল জানায় আবার চলবে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর, বুধবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটে শালিমার থেকে ছাড়ার কথা ছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। তবে ৬ মিনিট দেরিতে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।