দেশের নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু। নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে তাঁর বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। বৈঠকে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুর নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে কার্যত একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, নাম আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমাকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য ডাকা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনারের পদে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। তাঁর ইস্তফা নিয়ে সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি। অরুণ গোয়েলের ইস্তফায় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন কি কিছুটা ধাক্কা খেল? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। এই আবহেই বৃহস্পতিবার দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার পেল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
রাম মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে পুজোর ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগিয়ে যান। এরপর পুজোয় বসলেন প্রধানমন্ত্রী। রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হওয়া আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা।
রুপোর মুকুট হাতে রামমন্দিরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। গর্ভগৃহে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্য়পাল আনন্দীবেন পটেল, আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ও রাম মন্দিরের প্রধান পুজারী।
চার দিনের আনন্দ শেষে মায়ের এবার বিদায়বেলা। উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে বিষাদের দিন, আবার একবছরের প্রতীক্ষা। ঘরে ঘরে একটাই প্রার্থনা আবার এসো মা। এদিকে মঙ্গলবার সকালেই দেশবাসীকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শুভ বিজয়া পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
মায়ের এবার ঘরে ফেরার পালা, নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দিয়ে কৈলাস পর্বতকে জানান দেওয়া। দশমী মানে চারদিনের হুল্লোড় শেষে বিষাদের সুর। ঘট নাড়িয়ে, দর্পনে নিরঞ্জন শেষে ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এদিকে মঙ্গলের সকালে হিন্দিতে দেশবাসীকে দশমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, দেশব্যাপী আমার পরিজনদের বিজয়া দশমীর হার্দিক শুভকামনা। এই পার্বন, অসুরশক্তির বিনাশের সঙ্গেই জীবনে ভালো খবর নিয়ে আসে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এক্স হ্যান্ডেলে বিজয়া দশমীর পোস্ট। মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় লেখেন, আবার এসো মা। সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
অবশেষে প্রায় দু'দিন পর কানাডার উদ্দেশে রওনা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Canada prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আটকে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবারে খবরে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকলেও তিনি অবশেষে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেই এই খবর দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়েছে। তার পরই ঠিক ছিল যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই বিমানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। ফলে তাঁরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারতেই আটকে ছিলেন। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিমানের সমস্যা মেটানোর কাজ করিছল। এছাড়াও খবরে এসেছিল, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিমান পাঠানো হবে। সেই বিমান রওনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রেস সেক্রেটারি মহম্মগ হুসেন জানান, বিমানে যা ত্রুটি ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ফলে যে বিমান কানাডা থেকে রওনা দিয়েছিল, পরে সেটি লন্ডন থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর আগের বিমানে করেই ভারত ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ও নেত্রী সনিয়া গান্ধী। বিশেষ অধিবেশনে ৯টি বিষয় আলোচনার জন্য দাবি করলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের আগে ইউরোপ উড়ে গেলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের অন্তর্গত আইনজীবী, ছাত্রছাত্রী ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাহুল।
এদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সনিয়া গান্ধী তাঁর চিঠিতে লিখেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সহমত না হয় এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা কী, কেউ জানে না। জানানো হয়েছে এই পাঁচদিন সরকারের কাজ আছে। সনিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে সহমত হয়েই যাতে এই বিশেষ অধিবেশনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পরে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে জল্পনা বাড়াল আরও একটি সরকারি নথি। ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই সরকারি নোট টুইটারে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। যেখানে ইংরেজিতে লেখা, প্রধানমন্ত্রীর পদে লেখা প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত। সেখানেই প্রশ্নই উঠছে, দেশের নাম কী সত্যিই বদল হতে চলেছে?
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বুধবার ইন্দোনেশিয়া রওনা হবেন। ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের কারণে মোদীর এই সফর খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে বলে খবর। 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত'-এর নোট প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি -২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। সেটা ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহল। কারণ ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার পরিবর্তে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। সেকারণেই জল্পনা উঠেছে, তাহলে কি ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে শুধুই ভারত রাখা হবে? এবং নাম পরিবর্তনের জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার? এদিকে, 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়া' নোট প্রকাশ্যে আসতেই সেই জল্পনা আরও বাড়ল।
নাম পরিবর্তন করা হল নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির (Nehru Memorial Museum and Library)। এর নামকরণ (Nehru Museum Renamed) করে নয়া নাম হল 'প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি' (Prime Ministers' Museum and Library)। রাজধানীর বুকে তিন মূর্তি মার্গে অবস্থিত NMML-এর নাম পাল্টে রাখা হল PMML। আর এবারে এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলার পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল মোদী সরকার। আর এবারে এতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছেন। ফলে এবার থেকে দিল্লিতে গিয়ে আর নেহরু মিউজিয়াম বললে হবে না, বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়ামে যাব। প্রসঙ্গত, এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে 'নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'র নাম হবে 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে কংগ্রেস। স্বাধীনতার ইতিহাসে এভাবে নেহরুকে মুছে ফেলা যায় না। তাঁর অবদান যুব সমাজের কাছে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।
ফের নাম পরিবর্তন করা হল বিশ্ববিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানের। এবারে নাম পরিবর্তন করা হল 'নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি' (Nehru Memorial Museum And Library)। কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, এবার থেকে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির নাম করা হল 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি' (Prime Ministers Museum And Library)। তবে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের ফলে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, নেহরু মেমোরিয়াল-এর নতুন নামকরণের কথা স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম ঘোষণা করেছেন পিএমএমএল-এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলরের চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এরপর পিএমএমএল-এর ভাইস চেয়ারম্যান এ সূর্যপ্রকাশ টুইটারে জানিয়েছেন, নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি নামটি ১৪ অগাস্ট পর্যন্তই কার্যকর রয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই পিএমএমএল সোসাইটির সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে 'নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'র নাম হবে 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'।
প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) খোঁচার পরেও বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) প্রাইভেট হোটেলে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কংগ্রেস লালায়িত নন। বৈঠকে আছেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই মতানৈক্য চলছে। খোঁচা দিয়েছেন শাসক। এদিন বৈঠকের মুখ মমতা ও সনিয়াই। পাটনার বৈঠকে অনেক বিষয়ে সহমত হতে পারেনি দলগুলি। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে পরবর্তী কর্মসূচি তৈরি করতে পারে দলগুলি।
লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করতে কী করা যায়, বৈঠকে তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। দুই থেকে তিনটি ছোট কমিটি তৈরি করে নেবে বিরোধী জোট। নিয়মিত ২৬ দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠক করা সম্ভব নয়। সমন্বয় কমিটি এই কাজ করবে। সকলেই মেনে নিয়েছেন, এই বৈঠকেও সব বিষয় ফয়সালা হবে না। রাস্তা তৈরি করতেই এই বৈঠক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেটে ফের নাটক। অবসর ভেঙে ফের ক্রিকেটে ফিরলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (Cricket) থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তামিমকে মত বদলাতে অনুরোধ করলেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি তামিম। আবার প্যাড-আপ করছেন তিনি। এদিকে আফগানিস্তান সফরে এদিনই তামিমের পরিবর্তে লিটন দাসকে অধিনায়ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন তামিম। তিনি জানিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ দিন। বিশ্বকাপের ঠিক তিনমাস আগে অধিনায়কের হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। ১৬ বছরের কেরিয়ার এ ভাবে হঠাৎ করে শেষ করে দেওয়ার কারণ খুঁজতেই তাঁরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। চট্টগ্রামে অবসর ঘোষণার সময় কেঁদেও ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ময়দানে নামেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ, তিনি নিজে একজন ক্রিকেট ভক্ত। তামিমকে ডেকে পাঠান নিজের বাসভবনে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন অধিনায়ককে দেড় মাসের ছুটি মঞ্জুর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে এশিয়া কাপে ফিরে আসার অনুরোধ করেছেন। অবসর ভেঙে এশিয়া কাপের ফেরার কথা দিয়েছেন তামিমও।
তিনি মোদীর (Narendra Modi) ফ্যান। নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনই বলতে শোনা গেল বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি, টেসলা ও টুইটার (TESLA) সংস্থার মালিক এলন মাস্ককে (Elon Musk)। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মাস্কের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত এলন মাস্ক। তাঁর গলায় শোনা গেল ভারতেরও ভূয়সী প্রশংসা। আগামী বছর তাঁর ভারতে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেসলা কর্তা।
মাস্ক মনে করেন, বিশ্বের অন্য়ান্য বড় দেশগুলির তুলনায় ভারতের ভবিষ্যৎ অনেক বেশি উজ্জ্বল। ভারতের অনেক কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। মোদী প্রসঙ্গে টেসলা কর্তা বলেন, 'মোদী সত্যিই ভারতের জন্য সঠিক কাজ বা পদক্ষেপ করতে চান। উনি সংস্থাগুলিকে সবরকমভাবে সহায়তা করতে চান এবং স্বাভাবিকভাবেই একই সঙ্গে তিনি এটাও নিশ্চিত করতে চান যে দেশের যাতে লাভ হয়।' এরপরেই তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি মোদীর ফ্যান।
প্রধানমন্ত্রী ভারতে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁরা আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।
শিনজো আবের পর ফুমিও কিশিদা। ফের জাপানে প্রাণঘাতী হামলার কবলে প্রধানমন্ত্রী (Attack on Japan PM)। জানা গিয়েছে, শনিবার এক শহরের একটি সভায় কিশিদার (Fumio Kishida) বক্তৃতা শুরুর আগে মঞ্চের অদূরে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে তিনি অক্ষত, এমনটাই জানিয়েছে একাধিক জাপ সংবাদমাধ্যম। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত খবরে বলা, লোহার পাইপের টুকরোর মতো একটি বস্তুর ভিতরে বিস্ফোরক রাখা ছিল। ঘটনার পরেই দ্রুত কিশিদাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। বিস্ফোরণের পরেই সভাস্থলে শুরু হয় হইচই। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক এক ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের এক শহরে কর্মসূচিতে বক্তৃতা চলাকালীন একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক আততায়ী। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি শিনজোকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নেওয়া এক সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই হামলা। পুলিসকে জানিয়েছিল আততায়ী।
ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বড়সড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, দেশে নির্বাচন কমিশনারদের (ECI) নিয়োগ করবে একটি কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা হবেন দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছেন জাতীয় রাজনীতির কারবারীরা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সারা দেশে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানায়, 'দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন। সেই স্বচ্ছতার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।' আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'সিবিআইয়ের প্রধান যেভাবে নিযুক্ত হন, সেভাবেই নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করা উচিত।' বর্তমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ হয় ৬ বছর। সচরাচর দেশের প্রাক্তন আমলাদের এই পদে বেছে নেওয়া হয়। তবে এই মনোনয়ন নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি, বিভিন্ন আমলেই বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে, সরকারের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার করা হচ্ছে।
আপাতভাবে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বহুবার তাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে। শাসকদলের বেলায় নীরব আর বিরোধী দলগুলির ব্যবহারে অতিসক্রিয়, কমিশনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও উঠেছে।
একেই বলে কালচক্র! এককালে যে দেশে টানা প্রায় দুশো বছর শাসন করে গিয়েছে ব্রিটিশরা, আজ সেই দেশের বংশদ্ভূতর মাথাতেই উঠল ব্রিটেনের (United kingdom) প্রধানমন্ত্রীর মুকুট। রাজার দেশের নতুন প্রাইম মিনিস্টার পদে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশজাত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। শুধুমাত্র তাই নয়, একই সঙ্গে সে দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডও গড়লেন তিনি। আর এই সুখবর সামনে আসতেই স্বভাবতই উচ্ছ্বাস আর শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্য দেশ তো বটেই, বিশেষত ভারতের সকল স্তরের মানুষ এবং বিশিষ্টরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মেলোডি ক্যুইন আলিশা চিনয় (Alisha Chinai)। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া সাইটে নিজেদের মত করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলে। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেও যেন 'জরা হটকে' আলিশা। ঋষি সুনক এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ছবি নিয়ে রাম ও সীতার (Ram-Sita) সঙ্গে জুড়ে দিলেন 'মেড ইন ইন্ডিয়া' গার্ল। আর সেই ছবি এখন তুমুল ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
প্রসঙ্গত, এবার বরিস জনসন এবং লিজ ট্রুসের পর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসন যে ঋষি সুনকের হাতেই যেতে পারে তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় গত সপ্তাহে। নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনৈতিক নেতার জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হেসেছেন ঋষি মশাই। আর তাতেই এখন আবেগের বাঁধ ভেঙেছে ভারতের। জনপ্রিয় গায়িকা আলিশা চিনয়ের ওই রিলটি প্রায় ৭৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। পোস্টটিতে লাইকও পড়েছে বিস্তর। একই সঙ্গে ক্যাপশনে আলিশা লিখেছেন, 'ভারতের ঋষি তাঁর পূর্বপুরুষদের এবং দেশের মান রাখবেন।' তাঁর কথা কতটা সত্যি হয় সেটাই এখন দেখার।
গোটা দেশে আজ স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষের উদযাপন। লালকেল্লায় (Redfort) জাতীয় পতাকা (National flag) উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিলেন। পাশাপাশি আজই মঞ্চ থেকে আগামী ২৫ বছরের জন্য ৫ দফা বড় সংকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর পোশাক (dress) ছিল লক্ষ্য করার মতো। পোশাকেও জাতীয়তাবাদের (nationalism) ছোঁয়া রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পোশাকের বিশেষত্ব ছিল তাঁর পাগড়ি। এবারে তিরঙ্গা আঁকা পাগড়ি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মাথায়। সাদা রঙের পাগড়ির উপর জাতীয় পতাকার মূল তিনটি রং (colour), গেরুয়া, সাদা ও সবুজের ছোঁয়া ছিল তাঁর পাগড়িতে। প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল সাদা কুর্তা ও নীল ওয়েস্টকোট। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই হল ভারতবর্ষ। তাই এবছর প্রধানমন্ত্রীর পোশাকেও দেশপ্রেম ও সম্প্রীতির প্রমাণ মিলল। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে এবার আজাদির অমৃত মহোৎসব উত্সব উদযাপন।
উল্লেখ্য, এবছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই নির্দেশ মেনেই বহু মানুষ নিজেদের বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই দেশবাসী নিজেদের ডিপি বা প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি রাখেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথমবার স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ ধরনের পাগড়ি পরতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে গেরুয়ার উপর উপর লালের কাজ করা একটি পাগড়ি পরেছিলেন তিনি।