জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।
একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক।
এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।
তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার (poster)। পোস্টারে প্রাইমারির চাকরি (Primary job) দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ-এর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, তৃণমূল যুব সভাপতি-এর বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগে পোস্টার পড়ে বাঁকুড়ার (Bankura) ১ নম্বর ব্লকে ভিকুরডিহি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দেওয়ালে।
পোস্টারে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা এই অভিযোগ। লেখা রয়েছে, "দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমাদের জেলার যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। এইসব চোর নেতাদের জন্যই আমাদের দলের এই অবস্থা। এই সব নেতারা দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে দলের ক্ষতি করছে। এই নেতারা প্রতিটি অঞ্চলে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট আছে। দলের কাছে অনুরোধ যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
ক্যাপশনে লেখা, 'তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। আর এই পোস্টার ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় পথচলতি মানুষের দাবি, 'রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তাঁরা জানেন না।' তবে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দলের কর্মীদের একটা অংশ এই পোস্টারে সেটা স্পষ্ট। টাকা নিয়ে থাকলেও নিতে পারেন, তদন্ত হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
এই প্রসঙ্গে যার নামে পোস্টার সেই সন্দীপ বাউড়ি জানান, বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন করছে। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লক থেকে ওরা ভোট পাচ্ছে না। তাই অপ প্রচার করছে। বিষয়টি দলকে জানাবো এবং আইনের দ্বারস্থ হব। এগুলো ষড়যন্ত্র।
ফের আরো ১১২ জন টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেবার নির্দেশ। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Avijit Ganguly)। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Avijit Ganguly) বিচারে স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে। প্রথমে ২৩ জন, পরে ৫৪ জন, পরে আরো ১১২ জনকে চাকরি দেবার নির্দেশ দেওয়া হল।
প্রয়োজনে শূন্য পদ তৈরি করে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৩ জনের পর এবার ২০১৪-র টেটে (TET) প্রশ্ন ভুলের জন্য ৬ নম্বর পাওয়া আরও ৫৪ জনকে ২৪ সেপ্টেম্বরের (SEPTEMBER) মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে শূন্যপদ না থাকলে পদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে।
২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শূন্যপদে এদের চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিভা মণ্ডল, পায়েল বাগরা যখন একই বছরের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং কোর্টের নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়া হয়ছিল, তাহলে সোহমরা কেন বঞ্চিত হবেন? পুজোর আগেই নিয়োগ চাই বলে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। তাতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২৩ জনের পর এবার ২০১৪ র টেটে (TET) প্রশ্ন ভুলের জন্য ৬ নম্বর পাওয়া আরও ৫৪ জনকে ২৪ সেপ্টেম্বরের (SEPTEMBER) মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ। শূন্যপদ না থাকলে পদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে। ২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শূন্যপদে এদের চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGHCOURT) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(AVIJIT GANGULY)। প্রতিভা মণ্ডল, পায়েল বাগরা যখন একই বছরের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং কোর্টের নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়া হয়, তাহলে সোহমরা কেন বঞ্চিত হবেন? পুজোর আগেই নিয়োগ চাই বলে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। তাতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন, প্রয়োজন পড়লে পদ না থাকলে নতুন করে পদের ঘোষণা করে তাদের সরাসরি চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা পর্ষদকে মানতে হবে। মামলাকারীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে যে প্রায় আরও ৩০০ জন আছে, যারা চাকরি থেকে বঞ্চিত। এদিকে সোমবারও ২৩ দিনে ২৩ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ছয়টি ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে হওয়া মামলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পর্ষদকে প্রশ্নপত্রে থাকা ভুল শোধরাতে হবে। তাই ২৩ জন উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে, যারা ওই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আগামী ২৩ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাকরি দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় সোহম চৌধুরী-সহ আরও ২৩ জন আবেদন করে ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নে ছটি প্রশ্নে ভুল ছিল। ২০১৩ সালের পরীক্ষা, সে সময় কিছু এবং এরপর কিছু নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এই ২৩ জন-সহ বেশ কয়েকজনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হয়। RTI করে তারা জানতে পারেন, তাদের দেওয়া উত্তরপত্রে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল, কিন্তু তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অথচ নম্বর পাননি।
২৩ দিনে ২৩ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের (High court)। ছয়টি ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে হওয়া মামলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পর্ষদকে প্রশ্নপত্রে থাকা ভুল শোধরাতে হবে। তাই ২৩ জন উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে, যারা ওই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আগামী ২৩ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাকরি দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি (Justice) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Ganguly)।
২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় সোহম চৌধুরী-সহ আরও ২৩ জন আবেদন করে ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নে ছটি প্রশ্নে ভুল ছিল। ২০১৩ সালের পরীক্ষা, সে সময় কিছু এবং এরপর কিছু নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এই ২৩ জন-সহ বেশ কয়েকজনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হয়। RTI করে তারা জানতে পারেন, তাদের দেওয়া উত্তরপত্রে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল, কিন্তু তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অথচ নম্বর পাননি।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-র ডিসেম্বরে সোহমদের ছয় নম্বর দেয় পর্ষদ। ফলে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের যুক্তি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন অনেকে যদি চাকরি পান, তবে এই মামলাকারীরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারন প্রশিক্ষণহীনরা যদি চাকরি পেতে পারে তাহলে সোহমরা কেন নয়? সোহমরা তো প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। ছয় বছর ধরে এই ২৩ জন বঞ্চিত হয়েছেন, এখন তারা এই চাকরির পাওয়ার অধিকার রাখে। এরপরই এই শুনানির ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
এই ২৩ জনকে আগামি ২৩ দিনের মধ্যে চাকরি দেবার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২৩ দিনের মধ্যে পর্ষদকে নিয়োগ পত্র দিতে হবে এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ফের চাকরির (job) নামে প্রতারণা। এবার প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) আত্মসাৎ-এর অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) জলঙ্গি হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক (teacher) গৌতমকুমার ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চারজনের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগ দেগঙ্গা থানার পুলিসের (police) কাছে দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে দেগঙ্গা (Deganga) চাকলার বাসিন্দা খোকন রায়, তাঁর দুই মেয়েকে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও আরও দুই চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেন জলঙ্গি হাইস্কুলের শিক্ষক গৌতমকুমার ঘোষ। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একাধিকবার চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও চাকরি হয়নি। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু বারবার টাকার দাবি করতেই সন্দেহ হয় খোকন রায়ের। তারপর তিনি জলঙ্গি হাইস্কুলে যান এবং অভিযুক্ত শিক্ষক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাড়িতেও যান। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয়নি। বারবার ফোন করেও ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ। শেষে বাধ্য হয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিসের দ্বারস্থ হলেন খোকন রায় সহ প্রাইমারি চাকরি পাওয়ার নামে টাকা দেওয়া যুবক-যুবতীরা।
এরই মধ্যে খোকন রায়ের সঙ্গে গৌতম ঘোষের একটি ফোন রেকর্ডিং সামনে আসে। সেখানে স্পষ্ট গৌতম ঘোষ বলছেন, "আগে দুটো ক্যান্ডিডেটের স্যাম্পল হিসেবে পাঠানো হবে, সেগুলি হয়ে গেলে বাকিগুলিও হয়ে যাবে। এই কাজে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাতও। এই কাজে মাঝে ডামাডোলও হয়েছিল। আমার মোট ১৫ টি ক্যান্ডিডেট রয়েছে।
এরই মধ্যে দেগঙ্গা চাকলার এক চাকরিপ্রার্থী চাকরি না পাওয়ার জন্য অবসাদে আত্মঘাতীও হন। তবুও প্রশাসনের ভূমিকা নেই।