স্কুলে টিফিন চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলে (School)। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর বাবা-মা স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম পিয়ের লুই (৫)। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল লুই। স্কুলের ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন করতে যায় লুই। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের মাঠে খেলাও করে সে। খেলা করতে করতে হঠাৎই লুই মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে। এই অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকরা দূরে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলেন লুই বোধহয় মশকরা করছে। যায় ফলে তাঁরা লুইকে তুলতে এগিয়ে যাননি।
সূত্রের খবর, বেশ অনেকক্ষণ ধরেই মাঠে শুয়ে ছিল লুই। যার ফলে সন্দেহ হয় স্কুলের শিক্ষকদের। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন লুইয়ের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও ময়নাতদন্তের পরই লুইয়ের মৃত্যুর কারণ জানা যায়। ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কারণেই মৃত্যু হয় শিশুর। তবে চিকিৎসকের মতে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে হয়তো বাঁচানো যেত ওই শিশুকে।
লুইয়ের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন লুই তার বাবার সঙ্গে স্কুলে যায়। লুইয়ের আগে থেকে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখেননি বাবা-মা। এমনকি লুই স্কুলে গিয়ে দুটো ক্লাসও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুইয়ের পরিবার অভিযোগ তুলেছে স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
ডিএ-র(DA Strike) দাবিতে ধর্মঘটে যোগ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার স্কুলের পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা যোগ দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে। যার জেরে শনিবার সকাল থেকে স্কুল তালাবন্দি করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। স্কুল তালাবন্দি থাকায় স্কুলের বাইরেই ঘন্টাখানেক ক্লাস করতে বাধ্য হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে স্থানীয়রাই স্কুল খুলে দিলে স্বাভাবিকভাবে হয়েছে পঠনপাঠন। বাঁকুড়ার বেলডাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া(Bankura) উত্তর চক্রের বেলডাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা পাঁচ জন। স্কুলের প্রি-প্রাইমারি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সবমিলিয়ে ১০৩ জন। শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে যোগ দেন স্কুলের পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা। যার ফলে শুক্রবার স্কুলে পঠন-পাঠন থেকে মিড ডে মিল দুটোই বন্ধ ছিল।
শনিবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের মেইন গেট ভিতর থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখে। এরপরই গ্রামের পড়ুয়াদের পার্শ্ববর্তী একটি চাতালে বসিয়ে পড়ানো শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে অভিভাবকরাই এগিয়ে এসে স্কুলের তালা খুলে দেন। তারপর স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়।
স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষক শিক্ষিকারা ধর্মঘটে যোগ দেবেন তা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আগে থেকে জানানো হয়নি। যার ফলে শুক্রবার স্কুলে এসেও ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। এমনকি মিড ডে মিলও জোটেনি তাঁদের। এই ক্ষোভেই স্কুলের গেটে তালা লাগানো ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, 'স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তারপরও শনিবার স্কুলে তালা দেওয়া হয়েছে।'
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত বলেন, 'অভিভাবকরা অভিযোগ করেছে স্কুল বন্ধের কথা আগে থেকে জানানো হয়নি। যার ফলে শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়া স্কুলে এসে ফিরে যায়। এমনকি মিড ডে মিলও পায়নি তাঁরা। যার ফলে ক্ষোভেই স্কুলের গেটে তালা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।'
ভাগাড় পেরিয়ে স্কুল (school), বলা চলে ভগাড়ের মধ্যেই স্কুল। পচা দুর্গন্ধে টেকা দায়, তার মধ্যেই চলছে ছোটোদের স্কুল ও মিড ডে মিল (Mid day meal)। অভিযোগ জানানো হয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (MLA)। কবে মিলবে সুরাহা জানা নেই কারও। এমনই ঘটনা হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে।
এই বিদ্যালয়ের সামনেই আবর্জনার স্তুপ। দীর্ঘদিন ধরে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, তবে তার মধ্যেই চলছে স্কুল। বৃষ্টি হলেই নোংরা জল রাস্তায় নেমে আসে, আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এর মধ্যেই চলে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিল খাওয়া।অভিভাবকদের অভিযোগ, বাচ্চারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যালয়ে তারা খেতে চায় না। ইতিমধ্যেই স্কুল ছাড়িয়ে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে নিয়ে চলে যাবেন বলেও ঠিক করেছেন কয়েকজন। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের আবর্জনার মধ্যেই চলছে স্কুলে পঠন পাঠন।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর স্কুলে প্রায় সাড়ে তিনশো বাচ্চা পড়ে। স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা ১২ জন। শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে। স্কুলের সামনে জলা জমি রয়েছে, সেখানে আগাছায় ভরে থাকে। সাপের ভয় থাকে। কোনও সীমানা না থাকায় কয়েকবার চুরিও হয়েছে। স্কুলে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যদি ভরাট করে দেওয়া হয় বাচ্চারা খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করা হয়নি। পরে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে আবর্জনা ফেলে নিচু জমি ভরাট করবে বলা হয়। সেই কাজ তিন মাসে শেষ করার কথা ছিল। গরমের ছুটিতে কাজ শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এইরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিদ্যালয় চালানো যায় না।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'জমিতে এই স্কুল খুবই নিচু জায়গায় অবস্থিত। এক সময় জলে ডুবে থাকত এই জমি। সরকারি খরচে নতুন ঘর তৈরি করে সেখানে স্কুল চালানো হচ্ছে। বাচ্চাদের খেলাধুলার পথ নেই। তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্কুল চলছে, সেটা আমি জানতাম না। এপর স্কুলে গিয়ে দেখব, তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।"
টেট (Primary TET) ফেল করেও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি। এবার অবৈধ নিয়োগে নাম জড়াল অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা অধিকারীর। পরেশ অধিকারীর মেয়ের পর এবার কাঠগড়ায় সুকন্যা মণ্ডল। সৌমেন নন্দী নামে এক ব্যক্তি বুধবার এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, 'সুকন্যা মণ্ডল-সহ অনুব্রতর (Anubrata Mondal) পরিচিত ৬ জন টেট পাশ না করেই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।'
এই আবেদনের উপর শুনানির পরেই বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে অনুব্রতর মেয়ে-সহ ৬ জনকে টেটের নথি-সহ কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশ অমান্য হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। এমনকি, কোর্ট অর্ডার বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে পৌঁছে দিতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিস সুপারই ওই ৬ জনকে আদালত অবধি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এদিন সন্ধ্যার পর বোলপুরের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। সম্ভবত কলকাতার উদ্দেশেই রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মামলাকারী আদালতে দাবি করেছেন, 'কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হলেও, সুকন্যা মণ্ডল স্কুলে যান না। উলটে স্কুলের হাজিরার রেজিস্টার অনুব্রত-কন্যার বাড়িতে পাঠানো হতো। এদিকে, সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর পিএ অর্ক দত্ত-সহ'আরও কয়েকজন আত্মীয়। সকলেই চাকরি পেয়েছেন বোলপুর সার্কেলে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে অনুব্রতর মেয়ের স্কুলের রেজিস্টার এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে আদালতে তলব।
অপরদিকে, সিবিআইয়ের ওপর রুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১৯শে জুলাই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে যে নথিপত্র উদ্ধার করেছিল, সিবিআই সেগুলো সিএসএফএল দিল্লিতে(ফরেনসিক ল্যাবরেটরি) পাঠাবে। সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর না করায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন এখন পর্যন্ত ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নথি পাঠানো হলো না, এদিন জানতে চান তিনি। আগামি ১০ দিনের মধ্যে সেই নথি পাঠানো হবে। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীর হাত ধরে যাঁদের যাঁদের চাকুরী হয়েছে তাঁদের সকলকেই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
বাড়ির অনতিদূরেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary School) শিক্ষিকা (Teacher) অনুব্রত কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা মণ্ডল। ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুলে না গিয়েই বেতন নিতেন, এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেও অনেক দিন হল তাঁকে স্কুলে আসতে দেখছেন না স্থানীয়রা।
এদিকে সুকন্যা ছুটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলার প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। সূত্রের খবর, বাবার গ্রেফতারের পর নিয়োগ-বিতর্ক এড়াতে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুকন্যা। যদিও, প্রলয় নায়েক জানাচ্ছেন, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে আমি জানি।
অন্যদিন স্কুলের বর্তমান শিক্ষকরা সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে, সুকন্যার বিষয়ে কিছু না বলতে।