
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য যখন তোলপাড়, সেসময়ই আরও এক বড় খবর ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। আজ অর্থাৎ সোমবার ঘোষণা করা হল প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০২৩-এর প্রাথমিকের টেট হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ১০ তারিখ। কিন্তু এই তারিখই কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হল।
৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার হবে প্রাইমারির টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট। তবে পরীক্ষার সময়ের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা দেবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে ঠিক কী কারণে টেটের দিনবদল করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও ডেপুটি সেক্রেটারিকেও কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী-র বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সেকারণে সিবিআইকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যদিও তারপরেই রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে
পুজোর আগেই আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁদের নিয়োগের দাবিতে। এদিনও কিছু ব্যতিক্রম হল না। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের সময়ই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। নইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে। শুধুমাত্র করুণাময়ীতে নয়, কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৫ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হলেও নিয়োগ এখনও অধরা। নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে প্রতিবাদে সরব চাকরির প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের হাতে ঘট ও গঙ্গাজল নিয়ে এক অভিনব উপায়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগে নিয়োগ-কাউন্সিলিং-এর নোটিস দিতে হবে, নইলে এই আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে। তবে এদিন তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
করুণাময়ীর পাশাপাশি এদিন কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা। কালীঘাট থানার পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর তাঁদেরও টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত হাজরা মোড় বুধবার যেন মিছিল-আন্দোলনের হটস্পট। হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর ক্যামাক স্ট্রিট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল শুরু করে নিজাম প্যালেস এবং এক্সাইড মোড় ঘুরে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করেন রাজ্য গ্রুপ ডি (Group D) চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে তার আগেই হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রুট ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিসের সঙ্গে বিপুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাঁদের।
২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা বুধবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে একাধিকবার মেল এবং লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে বিনা অনুমতিতেই তাঁরা হাজরা মোড়ে জড়ো হন। পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যেই কয়েকজন পুলিসের ঘেরাটোপ গলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। তখন উলটো দিক থেকে পুলিস এবং কমব্যাট ফোর্স এসে তাদের আটকে দেয়। রাস্তায় রীতিমত শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের গাড়িতে তোলা হয়।
তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজরা মোড়ে এসে হাজির হয় রাজ্য গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। হাজরা মোড়ে পৌঁছে গিয়েও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা বারবার স্লোগান তোলেন, দ্রুত নিয়োগ দিন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিন। একই দাবি তাঁদের অভিভাবকদেরও। সে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিসি ব্যারিকেডের মধ্যে থেকেই তাদের এই স্লোগান বিক্ষোভে অন্য মাত্রা নেয়।
জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।
একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক।
রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ। তার মধ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক (Primary) ও সাড়ে ১৪ হাজার উচ্চপ্রাথমিক পদে নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এবার রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগে জোর দিচ্ছে। দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০০ জন অধ্যাপক নিয়োগের কাজ হাতে নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে ২০ হাজার নিয়োগ হবে। ৩০০০ এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করছি। গ্রুপ সি পদেও ৩০০০ নিয়োগ হবে। স্বাস্থ্য দফতরে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ হবে। ৭ হাজার নার্স নিয়োগ হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ২০০০ এবং ৭০০০ আশা কর্মীও নিয়োগ হবে। সমাজকল্যাণ বিভাগে অঙ্গনওয়াড়ি পদে ৯৪৯৩ পদে নিয়োগ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে ১৭ হাজার পদে কর্মী নিয়োগ হবে।"
এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।
প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে এবার চ্যালেঞ্জ জানাল পর্ষদ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে।
এই চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে ধোঁয়াশা ছিলই। বারবার প্রশ্ন উঠছিল অ্যাপটিটিউট টেস্ট নিয়ে বিবাদ ও অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে গোটা প্যানেলটা কেন বাতিল হচ্ছে না।
যদিও বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আগেভাগেই জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে নিয়োগের সময়ে প্রাথমিকে ডিএলড ট্রেনিং বাধ্যতামূলক ছিল না। যদিও এই নিয়োগ পর এনসিটিই এর নিয়ম মেনে দু বছরের মধ্যেই ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় গৌতম পাল। ফলতো এই রায় যে ভুল বা এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হবে তা জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি।
২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। যদিও বিচারপতি জানিয়েছিল চাকরিচ্যুতরা আগামী চার মাস প্যারা টিচার হিসাবে স্কুলে কাজ করবেন। আর এই চার মাসের মধ্যেই এই শিক্ষকদের ছেড়ে যাওয়া পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ শুরু করে শেষ করতে হবে পর্ষদকে। সোমবার এই চাকরিচ্যুতদের তরফেও বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা হয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Primary Education) পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির (ED)। প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রত্না দেবীকে। তাঁকে করা সম্ভাব্য প্রশ্নগুলোর জবাব বেশ কৌশলে দিয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সচিব (Board Secretary)। সূত্রের খবর, যে যে সম্ভাব্য প্রশ্ন তাঁকে করা হয়: আপনি সচিব পদে ছিলেন ভূমিকা কী ছিল? দায়িত্ব কী ছিল? জবাবে রত্নাদেবী জানান, 'সমস্ত রকম কাজের যা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনে সেই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি।'
প্রশ্ন ছিল, 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের যোগসাজশ কী ছিল? আপনি কি জানেন?' পাল্টা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব জানান, 'আমি ওর বিষয়ে কিছু জানি না। উনি যা কথা বলতেন উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গেই আলাদা করে কথা বলতেন। আমার যা দায়িত্ব ছিল আমি সেই দায়িত্বের মধ্যেই কাজ করেছি।'
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্যকে কারা নির্দেশ দিতেন? আপনি কি জানেন?' উত্তরে রত্নাদেবী জানান, 'কারা কোথা থেকে নির্দেশ দিয়েছে তিনি জানতেন না। কিন্তু নির্দেশ কিছু আসতো তাঁর কাছে। কী নির্দেশ বা কারা দিয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।' রত্নাদেবীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন পুরো সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা কমিটি নিতেন। আপনি এ বিষয়ে কী জানেন?' জবাবে রত্নাদেবী বলেন, 'আমি আগেই বলেছি উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কথা হতো। কিন্তু কী কথা হতো, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না।'
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'আপনি তো পদে ছিলেন। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি?' তিনি জানান, 'মানিক ভট্টাচার্য সমস্ত রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।' ইডি সূত্রে খবর রত্নাদেবীকে সম্ভাব্য এই প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল। জবাবে তিনিও সম্ভাব্য এই জবাব দেন।
স্কুলে টিফিন চলাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু (Death) এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলে (School)। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর বাবা-মা স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম পিয়ের লুই (৫)। নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল লুই। স্কুলের ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন করতে যায় লুই। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের মাঠে খেলাও করে সে। খেলা করতে করতে হঠাৎই লুই মাঠের মধ্যে শুয়ে পড়ে। এই অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকরা দূরে দাঁড়িয়ে ভেবেছিলেন লুই বোধহয় মশকরা করছে। যায় ফলে তাঁরা লুইকে তুলতে এগিয়ে যাননি।
সূত্রের খবর, বেশ অনেকক্ষণ ধরেই মাঠে শুয়ে ছিল লুই। যার ফলে সন্দেহ হয় স্কুলের শিক্ষকদের। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন লুইয়ের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চিকিৎসককে খবর দিলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও ময়নাতদন্তের পরই লুইয়ের মৃত্যুর কারণ জানা যায়। ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর কারণেই মৃত্যু হয় শিশুর। তবে চিকিৎসকের মতে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে হয়তো বাঁচানো যেত ওই শিশুকে।
লুইয়ের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন লুই তার বাবার সঙ্গে স্কুলে যায়। লুইয়ের আগে থেকে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখেননি বাবা-মা। এমনকি লুই স্কুলে গিয়ে দুটো ক্লাসও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুইয়ের পরিবার অভিযোগ তুলেছে স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
ভুয়ো প্যানেল লিস্ট তৈরি করে সেই লিস্ট অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Education Scam) তদন্তে নেমে এই দাবি করেছে ইডি (ED)। লিস্টে ব্যবহার করা হয় নকল স্ট্যাম্পও। চাকরি না পাওয়ায় অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে কুন্তলের উপর। আর সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো প্যানেল লিস্ট, দাবি ইডির।
টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি এরকম একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিক এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সমস্ত প্রার্থীদের থেকে একটি চাকরি প্রাপকের তালিকা উদ্ধার করে ইডি। এই তালিকা চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলো কুন্তল ঘোষ।
কুন্তল তাঁদের জানায়, 'যারা সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছে তাঁদের চাকরি আগে হবে। এই তালিকায় যারা সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছিল তাদেরই নাম রয়েছে।' ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো তালিকা বের করে কুন্তল টাকা নিয়েছিল একাধিক চাকরিপ্রার্থীর থেকে। একই সঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের স্ট্যাম্পও নকল করেছিলেন। চাকরি না দিতে পারায় ভুয়ো চাকরির তালিকা তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেয় তাঁদের চাকরি হবে। এমনকি তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের বলে আশ্বস্ত করা হয়। ২০১৪ সালে চাকরি দেওয়ার নামে এভাবেই কোটি কোটি টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তুলেছিল কুন্তল।
প্রাথমিক শিক্ষায় (Primary Education) লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে না? জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নতুন এই খসড়ায় রাখা প্রস্তাবে ভ্রু কুঁচকেছেন শিক্ষাবিদরা। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (Union Education Ministry) কাছে পাঠানো খসড়ায় বলা, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে না পড়ুয়াদের। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) অনুসরণ করে তৈরি জাতীয় পাঠক্রম অনুযায়ী নতুন এই বদলের পথে হাঁটবে কি মোদী সরকার। ন্যাশনাল সিলেবাস কমিটির নয়া খসড়ায় বলা, নয়া পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।
ওই খসড়ায় বলা, 'পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশুদের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে।' কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপের সুপারিশ। লিখিত পরীক্ষা উঠে গেলে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী? বলা হয়েছে, শিশুর পর্যবেক্ষণ এবং শেখার অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণের উপর জোর দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সেখানে প্রথম শ্রেণির আগে তিন বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল।
অয়নের অফিসে উদ্ধার হয়েছিল বহু তথ্য, নথি, যা হাতড়ে এজেন্ট, পুরসভার চেয়ারম্যান, মেয়র, রহস্যময়ী নারী, আরও কত কী। সেই নথি ঘেটে ইডির অধিকারিকরা জানতে পারেন অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ২০১২ সালের প্রাইমারির তালিকা ও ওএমআর শিট আছে। সেই মোতাবেক মঙ্গলবারই তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।
ইডি সূত্রে দাবি, তাঁকে ২০১২ সালের নিয়োগের তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল যে অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের সমন্ধে আরও জানার জন্য তাঁকে নথি-সহ ডাকা হয়েছে। ইডির নির্দেশ মোতাবেক, মঙ্গলবার সমস্ত তথ্য সহ ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিরা, কিন্তু এদিন প্রাথমিকের সচিব এলেন না। ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নথি পাঠানো হয়েছে সে সমস্ত খুঁটিয়ে দেখা হবে, এরপরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২০১২ টেটের নথি উদ্ধার নিয়ে, সোমবার ফেসবুক পোস্ট করে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তোলেন। তিনি মঙ্গলবারের ফেসবুক পোস্টে বলেন, '২০১২ টেট খাতা খুলছে, মনে হচ্ছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীও বেশিদিন বাইরে থাকতে পারবে না। যারা চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল তাদের বিষ্ণুমাতাও উদ্ধার করতে পারবে না।'
প্রাথমিক শিক্ষায়(Primary Education) সিভিক ভলান্টিয়ার-কাণ্ডে বাঁকুড়া(Bankura) জেলা পুলিসের(Police) নতুন বিবৃতি। হইচইয়ের পর নবান্ন নড়েচড়ে বসতেই অবস্থান বদল অঙ্কুর প্রকল্পের। অঙ্কুর নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নতুন বিবৃতিতে বলা, কিছু মানুষ এই উদ্যোগকে বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস প্রতিস্থাপনের প্রচেষ্টা হিসাবে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিকৃত, ভুল তথ্য। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাবিজ্ঞানের যে ক্লাসগুলি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোচিং ক্লাসের আকারে বিদ্যালয়ের পশাপাশি ক্লাসের মতো চলবে।
বাঁকুড়া পুলিসের বিবৃতিতে আরও বলেন, বর্তমান উদ্যোগের সঙ্গে বিদ্যালয়ের ক্লাসের কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাসের পরেই এই কোচিং চলবে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ক্লাসগুলি কোনও বিদ্যালয়ে করা হবে না। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের পরে শিশু-শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের সুবিধা অনুসারে নির্বাচিত স্থানগুলি থেকেই পরিচালিত হবে। বাঁকুড়া পুলিস জেলার সাধারণ মানুষদের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাবে। আপনাদের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া সাদরে গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলা পুলিসের নেওয়া এই অঙ্কুর প্রকল্প ঘিরে বুধবার হইচই বাঁধে রাজ্য রাজনীতিতে। সরকারি স্কুলে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকলে সুযোগ দেওয়া হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক পড়ুয়াদের শিক্ষার মান উন্নতি করতে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। কিন্তু হইচই শুরু হতেই পদক্ষেপ করে নবান্ন।