Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Primary

Summon: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তৎপর ইডি, ইডি দফতরে হাজিরা বাপ্পাদিত্যের, জমা দিলেন একাধিক নথি

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তলব করা হল কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে দফতরে আসেন বাপ্পাদিত্য। ইডি সূত্রে খবর, এই তৃণমূল কাউন্সিলরকে তাঁর ব্যাংকের পাসবুক, সমস্ত লেনদেন এবং আয়কর রিটার্নের সমস্ত কাগজপত্র সহ বেশ কয়েকটি নথি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে জমা দেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাস।

প্রসঙ্গত, একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা ছিল বাপ্পাদিত্যের। সেই কারণে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় পার্থের ভূমিকা সম্পর্কে বাপ্পাদিত্য অনেকটাই জানেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে তলব, এমনটাই দাবি এদিন ইডির দফতরে হাজিরা দিতে আসা বাপ্পাদিত্যের। পাশাপাশি তাঁর সাফ দাবি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।

তবে গত বছর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে উদ্ধার হয় প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এবং এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। প্রায় ১০০ পাতার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এরপর বৃহস্পতিবার বাপ্পাদিত্যকে আবার তলব ইডির। এই বিষয়ে জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।

3 months ago
Agitation: আশ্বাস নয়, নিয়োগ চাই, কালি মেখে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের

নিয়োগ চাই মাননীয়া। চাই বঞ্চনার অবসান। এই দাবি যেন আজ শহরের খুব পরিচিত আন্দোলনের ভাষা। প্রায় রোজই প্রাপ্য চাকরি আদায়ের দাবিতে গর্জে উঠছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু মিলছে না কোনও সুরাহা। চোখ বুজিয়ে সিংহাসন আগলে বসে সরকার। আর জীবন বাজি রেখে রাজপথে দিন গুজরান হবু শিক্ষক-শিক্ষিকার। সরকারের হুঁশ ফেরাতে তাই বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগেই মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। আবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল বাংলা। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের ৫০০ তম দিনে মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ ২০১৪ প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু বাস্তবে এই কালি কি সত্যিই তাদের প্রাপ্য? নাকি আজ এই কালি দুর্নীতির প্রতীক,সরকারের অক্ষমতার প্রতি যে কালি জানায় ধিক্কার?

তবে যে রাজ্যের সরকার দাবি করে, এগিয়ে বাংলা সেই রাজ্যে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদ জানাতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। আর অন্যদিকে নিয়োগ দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটায় বিহার। 'এগিয়ে থাকা বাংলা' কেন পিছিয়ে বিহারের থেকেও? জবাব চান চাকরিপ্রার্থীরা।

কারোর সংসারে একমাত্র আশার আলো ছেলে, আজ চাকরির দাবিতে পড়ে রয়েছে রাজপথে। কারোর আবার ছোট্ট ছেলেটাকে বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন পথেই কাটাতে হচ্ছে দিন। নিয়োগযন্ত্রনার কাছে আজ যেন সব কিছুই ফিকে। তাই নিয়োগের জন্য লড়াইতে সামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও। সন্তান কোলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন এক চাকরিপ্রার্থী মাও।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটবাক্স ভরাতে আবারও সরকারের তরফে মিলবে ভুরি প্রতিশ্রুতি আর কিছু গালভরা আশ্বাস। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা সেসবে ভুলতে নারাজ। তাদের সাফ জবাব আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি নয়, চাই নিয়োগ। নিজেদের গায়ে চাবুক মেরে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের।

4 months ago
Justice Abhijit Ganguly: ১০ দিনের মধ্যেই প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই শুনানি শেষে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলার বুধবার শুনানি ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। সেখানে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। যদি প্যানেল আগেই প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড কপি ও সফ্ট কপি উভয়ই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি। ওই দিনই পর্ষদকে আদালতে প্যানেলের হার্ড কপি জমা দিতে হবে।

২০১৪ র টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় তার মাধ্যমে প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়। মামলায় অভিযোগ ওঠে যে সংরক্ষণ নীতি না মেনেই নিয়োগ হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতেই অভিযোগ ওঠে যে অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই ইচ্ছামত নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ নিয়ম মেনে হয়নি। কারও ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি না মেনে নিয়োগ হয়েছে। এই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারভিউয়ার অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর ৩৬ হাজার চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেন তিনি।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার মাধ্যমে  ২০১৬ এবং ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী গত ১২ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। জানানো হয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। তবে সে যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি সিনহা। দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল প্রকাশের কথা বলেন। পর্ষদের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপর বুধবার ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দেয়, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

4 months ago


HC: প্রাথমিকে নিয়োগে ৭.৫ কোটির দুর্নীতির হদিশ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর যোগ খুঁজে পেল ইডি

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার উঠে এল ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার নাম। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ জড়িত। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে ইডির বক্তব্য, মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে ইডি। এই সাড়ে ৭ কোটি টাকার পুরোটাই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার সম্পত্তি। এছাড়া আটটি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এগুলি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ইডি।

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় এদিন সিবিআই ও ইডি আলাদা আলাদা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে। বিচারপতি রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর বুধবার ফের এই মামলার শুনানি করবেন। ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ইএসআই হাসপাতালের একজন সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসারকে আগামীকাল, বুধবার আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, ইডির স্ক্যানারে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ছাড়া আরও চারটি কোম্পানির নাম উঠে এসেছে তদন্তে। চার কোম্পানির ডিরেক্টরদের তলব করেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সহ এই চারটি সংস্থা যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই কোম্পানিগুলি থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টাকা যেত বলে অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের।

4 months ago
Job Seekers: ফের ধাক্কা রাজ্যের! চার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরই জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর আদালত

বড়দিনে জোর ধাক্কা রাজ্যের। জামিন পেলেন চার চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে প্রতিবাদ করায় ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়েছিল হাজতবাস। আদালতের রায়ে মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের অন্তর্বতী জামিন হওয়ার পর অবশেষে জামিন পেলেন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরাও। দু'হাজার টাকার বন্ডে শর্তশাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। তবে সহযোদ্ধা হলেও সেদিন তাঁরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।

নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন  ইন্টারভিউ বঞ্চিত ২০১৪ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু প্রতিবাদ শুরু হতেই চাকরিপ্রার্থীদের দিকে ধেয়ে আসে পুলিসি বাধা। গ্রেফতার করা হয় ৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে।তবে শনিবারই অন্তর্বর্তী জামিন পান ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু জামিন মেলেনি পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ঝুলছিল তাঁদের উপর। এরপর আজ সোমবার তাঁদের জামিন দিল আলিপুর আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ দেখানোর ফলে তাঁদের ফের পুলিসি হেফাজতে আবেদন করে রাজ্য পুলিস। কিন্তু এদিন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানান, 'কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও আবেদন পুলিসের নেই। তাই আমরা জামিন চাইছি।' এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, 'বিভিন্ন স্কুলে শূন্য পদ পরে রয়েছে। ইন্টারভিউয়ের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। মূলত এটা মহিলা চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ছিল। যে চারজন আছে জেলে। এদের দু'জনকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে এসেছে পুলিস। সিকিউরিটি ভাঙার কোনও বিষয় ছিল না। কিছুই রিকভারি হয়নি নতুন করে। আগের দিন ৫৫ জন জামিন পেয়েছেন। তাহলে এদের চার জনের কেন হবে না?' এরপরই তাঁদের ওই চার চাকরিপ্রার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

4 months ago


Protest: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হল আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের!

এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পৌঁছে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কালীঘাটে। শুক্রবার চাকরির দাবিতে আন্দোলন এবার কার্যত পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। অন্তত আধঘণ্টা পুলিস-চাকরীপ্রার্থীর টানাপোড়েনে শীতের শহরের উত্তাপ বাড়ল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদ ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিচে অবস্থানে থাকা চাকরীপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়। এতেই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ ৫৫৫ দিন ধরে অবস্থানে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউতে পাশ করার পরেও এখনও নিয়োগ অধরা। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। এরই পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হোক। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে না কেন? এই দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই এই বিক্ষোভ।

আবার বিক্ষোভস্থলে পুলিস বাধা দিলে চাকরিপ্রার্থীরা পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে সরানো হয় রাস্তা থেকে, তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা।

4 months ago
Primary TET 2023: বদলে গেল প্রাইমারি টেটের দিন, কবে হবে পরীক্ষা, জানাল পর্ষদ

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য যখন তোলপাড়, সেসময়ই আরও এক বড় খবর ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। আজ অর্থাৎ সোমবার ঘোষণা করা হল প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০২৩-এর প্রাথমিকের টেট হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ১০ তারিখ। কিন্তু এই তারিখই কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হল।

৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার হবে প্রাইমারির টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট। তবে পরীক্ষার সময়ের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা দেবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে ঠিক কী কারণে টেটের দিনবদল করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

5 months ago
Supreme Court: শীর্ষ আদালতেও রক্ষাকবচ পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও ডেপুটি সেক্রেটারিকেও কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী-র বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সেকারণে সিবিআইকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যদিও তারপরেই রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে

6 months ago


Upper Primary: আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে

পুজোর আগেই আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁদের নিয়োগের দাবিতে। এদিনও কিছু ব্যতিক্রম হল না। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের সময়ই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। নইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে। শুধুমাত্র করুণাময়ীতে নয়, কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।

২০১৫ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হলেও নিয়োগ এখনও অধরা। নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে প্রতিবাদে সরব চাকরির প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের হাতে ঘট ও গঙ্গাজল নিয়ে এক অভিনব উপায়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগে নিয়োগ-কাউন্সিলিং-এর নোটিস দিতে হবে, নইলে এই আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে। তবে এদিন তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

করুণাময়ীর পাশাপাশি এদিন কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা। কালীঘাট থানার পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর তাঁদেরও টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। 

7 months ago
Group D: গ্রুপ ডি মিছিলের মাঝেই প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের হঠাৎ বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হাজরা

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত হাজরা মোড় বুধবার যেন মিছিল-আন্দোলনের হটস্পট। হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর ক্যামাক স্ট্রিট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল শুরু করে নিজাম প্যালেস এবং এক্সাইড মোড় ঘুরে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করেন রাজ্য গ্রুপ ডি (Group D) চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে তার আগেই হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রুট ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিসের সঙ্গে বিপুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাঁদের।

২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা বুধবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে একাধিকবার মেল এবং লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে বিনা অনুমতিতেই তাঁরা হাজরা মোড়ে জড়ো হন। পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যেই কয়েকজন পুলিসের ঘেরাটোপ গলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। তখন উলটো দিক থেকে পুলিস এবং কমব্যাট ফোর্স এসে তাদের আটকে দেয়। রাস্তায় রীতিমত শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা।  টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের গাড়িতে তোলা হয়।

তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজরা মোড়ে এসে হাজির হয় রাজ্য গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। হাজরা মোড়ে পৌঁছে গিয়েও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা বারবার স্লোগান তোলেন, দ্রুত নিয়োগ দিন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিন। একই দাবি তাঁদের অভিভাবকদেরও। সে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিসি ব্যারিকেডের মধ্যে থেকেই তাদের এই স্লোগান বিক্ষোভে অন্য মাত্রা নেয়।

7 months ago


Teacher: জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক, বিতর্কে সুতির প্রাথমিক স্কুল

জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?

সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?

এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি। 

8 months ago
Teacher: কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে প্রাইমারি শিক্ষক, শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।

সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।

সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।

একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক। 

8 months ago
Mamata: রাজ্যে হবে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ, নবান্নে জানালেন মমতা

রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ। তার মধ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক (Primary) ও সাড়ে ১৪ হাজার উচ্চপ্রাথমিক পদে নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এবার রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগে জোর দিচ্ছে। দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০০ জন অধ্যাপক নিয়োগের কাজ হাতে নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে ২০ হাজার নিয়োগ হবে। ৩০০০ এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করছি। গ্রুপ সি পদেও ৩০০০ নিয়োগ হবে। স্বাস্থ্য দফতরে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ হবে। ৭ হাজার নার্স নিয়োগ হবে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ২০০০ এবং ৭০০০ আশা কর্মীও নিয়োগ হবে। সমাজকল্যাণ বিভাগে অঙ্গনওয়াড়ি পদে ৯৪৯৩ পদে নিয়োগ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে ১৭ হাজার পদে কর্মী নিয়োগ হবে।"

11 months ago


Primary: এখনই ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়ে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।

সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।

12 months ago
Justice:জাস্টিস গাঙ্গুলির ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, জোড়া মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে এবার চ্যালেঞ্জ জানাল পর্ষদ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে।

এই চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে ধোঁয়াশা ছিলই। বারবার প্রশ্ন উঠছিল অ্যাপটিটিউট টেস্ট নিয়ে বিবাদ ও অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে গোটা প্যানেলটা কেন বাতিল হচ্ছে না।

যদিও বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আগেভাগেই জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে নিয়োগের সময়ে প্রাথমিকে ডিএলড ট্রেনিং বাধ্যতামূলক ছিল না। যদিও এই নিয়োগ পর এনসিটিই এর নিয়ম মেনে দু বছরের মধ্যেই ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় গৌতম পাল। ফলতো এই রায় যে ভুল বা এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হবে তা জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি।

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। যদিও বিচারপতি জানিয়েছিল চাকরিচ্যুতরা আগামী চার মাস প্যারা টিচার হিসাবে স্কুলে কাজ করবেন। আর এই চার মাসের মধ্যেই এই শিক্ষকদের ছেড়ে যাওয়া পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ শুরু করে শেষ করতে হবে পর্ষদকে। সোমবার এই চাকরিচ্যুতদের তরফেও বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা হয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

12 months ago