আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর সেই উপলক্ষে মহিলাদের জন্য বিশেষ উপহার মোদী সরকারের তরফে। এক ধাক্কায় ১০০ টাকা রান্নার গ্যাসের দাম কমাল কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবে বড় চমক নরেন্দ্র মোদীর। শুক্রবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এরফলে কয়েক লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই উজ্জ্বলা প্রকল্পে ভর্তুকি আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি পান গ্রাহকরা। এরপরেই গৃহস্থ্যের ঘরে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শুক্রবার থেকেই নয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকেই সম্ভবত দেশে ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটে ৪০০ পারের টার্গেট নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু একাধিক ইস্যুর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি বড় চ্যালেঞ্জ দিল্লির মোদী সরকারের কাছে। সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।
এমনকি রান্নার গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা। আর এই বিষয়টিকে নিয়ে বারবার কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় রান্নার গ্যাসের দাম কমানো বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাও আবার মহিলা দিবসের দিনেই ১০০ টাকা গ্যাসের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখছেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা কমাবে। বিশেষ করে দেশের নারী শক্তি উপকৃত হবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে বলেও টুইট প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা ভোটের মুখে ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। শুক্রবার থেকেই সিলিন্ডার পিছু ২৪ টাকা বাড়ল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম। এর আগে গতমাসের ১ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের দিন রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল। এর ফলে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হল ১৯১১ টাকা। গতমাসে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ছিল ১৮৮৭ টাকা।
তার আগে জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ছিল ১৮৬৯ টাকা। এ নিয়ে চলতি বছরে সিলিন্ডার পিছু বাণিজ্যিক রান্না গ্যাসের দাম বেড়েছে ৪২.৫০ টাকা। তেল বিপণন সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের নিরিখেই এই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ১৪ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনই একলাফে বেড়ে গেল রান্নার গ্যাসের দাম। গোটা দেশেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি রয়েছে। তার আগে আজই অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ মোদী সরকারের। এই দিনই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়ে গেল ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। কলকাতায় ১৯ কেজির বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৮৭ টাকা। ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হয়েছে। গত মাসে এই দাম ছিল ১,৮৬৯ টাকা। অর্থাৎ, কলকাতায় বাণিজ্য়িক সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ১৮ টাকা করে।
তবে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বাড়লেও এখন বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। সুতরাং সেদিক থেকে বড়সড় স্বস্তি গৃহস্থ পরিবারের।
মাসের শুরুতেই ফের ধাক্কা। উৎসবের মরশুমে ফের বৃদ্ধি করা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। কিন্তু গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস নয়, বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। একধাক্কায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি (Price Hike) করা হয়েছে ১৯ কেজি সিলিন্ডার অর্থাৎ বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। ১ নভেম্বর তেল বিপণন সংস্থাগুলি সারা দেশে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম একলাফে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তবে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত দুই মাসে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য এটি দ্বিতীয় মূল্যবৃদ্ধি। আজ অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকেই এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে।
বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দাম দাঁড়াল ১৮৩৩ টাকা। কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হল ১৯৪৩ টকা, মুম্বইতে ১৭৮৫ টাকা ও বেঙ্গালুরুতে ১৯১৪.৫০ টাকা ও চেন্নাইতে ১৯৯৯.৫০ টাকা। ১৯ কেজি রান্নার গ্যাস হোটেল, রেস্তোরাঁয় সাধারণত ব্যবহার করা হয়। ফলে উৎসবের মরশুমে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ায় হোটেলের খাবারের দাম বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
দেখতে দেখতে কেটে গেল পুজোর চারটে দিন। কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন উমা। চারিদিকে বিষাদের সুর। তবে উৎসবের মরশুম এখনও অনেক বাকি। সামনেই রয়েছে লক্ষ্মী পুজো, ধনতেরাস, কালী পুজো। ধনতেরাস মানেই সোনা-রুপো কেনা। যা অত্য়ন্ত শুভ বলে মানা হয়। আপনারও যদি ধনতেরাসের আগে বা উৎসবের মরশুমের মাঝে গহনা কেনার পরিকল্পনা থাকে, তবে আজ সোনা-রুপোর দর কত রয়েছে, তা জেনে নিন।
গত মে মাসে হলমার্ক সোনার গয়নার ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা। যা এখন ঘোরাফেরা করছে ৫৮ হাজার থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম সোনার দাম, একাদশীতে রয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা। মঙ্গলবারের তুলনায় ১০০০ টাকা দাম বেড়েছে। বুধবার ২৪ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম সোনার দাম ৬ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। মঙ্গলবারের তুলনায় ১১০০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার পর থেকেই মূল্যবান সোনালি ধাতুর দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। যুদ্ধের জেরেই বাড়ছে সোনার দাম বলে মনে করছেন সকলে।
নিম্নবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ফের রান্নার গ্যাসের (LPG Gas) দাম কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত এলপিজির দামই (LPG Price) কমানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনা সুবিধাভোগীদের জন্য এলপিজি সিলিন্ডার প্রতি ভর্তুকি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করা হল। অর্থাৎ সিলিন্ডার প্রতি ভর্তুকি আরও ১০০ টাকা করে বাড়ানো হল। এখন থেকে উজ্জ্বলা যোজনা সুবিধাভোগীরা এলপিজি সিলিন্ডার মাত্র ৬০০ টাকায় কিনতে পারবেন।
সূত্রের খবর, বুধবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। চলতি বছরের অগাস্টেই গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা ভর্তুকি অনুমোদন করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার আগে থেকেই উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে ভর্তুকি পেতেন। কিন্তু এবার উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে সুবিধাভোগীরা ২০০ টাকার বদলে ৩০০ টাকার ভর্তুকি পাবেন।
বর্তমানে বাড়ির রান্নার গ্যাসের দাম ৯০৩ টাকা প্রতি সিলিন্ডার৷ কিন্তু ভর্তুকি বৃ্দ্ধি পাওয়ার পর উজ্জ্বলা যোজনায় ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম পড়ছে ৬০৩ টাকা। কলকাতায় এখন থেকে উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তারা ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাস পাবেন মাত্র ৬২৯ টাকায়।
আর মাত্র কয়েকদিন, তার পরই শুরু হবে উৎসব। আর এই উৎসবের মরশুমেই বড় ধাক্কা পেল সাধারণ মানুষ। আজ থেকে ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক রান্নার (Commercial Gas) গ্যাসের দাম ২০৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলি। আগের মাসেই গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত ও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানো হয়েছিল। কিন্তু মাস পেরোতে না পেরোতেই এবারে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম (LPG Price Hike) বাড়ানো হল, তাও আবার দুশো টাকার বেশি। এই দাম রবিবার অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হয়েছে৷
এই দাম বৃদ্ধির পরে দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৭৩১.৫০ টাকা৷ এদিকে চেন্নাইতে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৮৯৮ টাকা। মুম্বইতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম হল ১৬৮৪ টাকা। আর কলকাতায় ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৮৩৯.৫ টাকা।
এর আগের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেই বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৭ টাকা কমানো হয়েছিল। ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামও ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। কিন্তু ঠিক পুজোর মাসেই বাড়িয়ে দেওয়া হল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। ফলে এর থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, উৎসবের মরশুমে হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এর ফলে পকেটে টান পড়তে চলেছে নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের। তবে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়লেও গার্হস্থ্যের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এবারে কেজি প্রতি টোম্যাটোর দাম হল ৪ টাকা! কিছুদিন আগেই টোম্যাটোর (Tomato) দাম হয়েছিল আকাশছোঁয়া। দাম বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছে গিয়েছিল ২০০ টাকায়। ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে পড়েছিল টান। হেঁশেলে কয়েকদিন দেখাই পাওয়া যাচ্ছিল না টোম্যাটোর। কিন্তু এবারে দাম কমে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হলেন কৃষকরা। তাই তাঁরা টোম্যাটো রাস্তায় ফেলে দিয়ে এক অভিনব পন্থায় বিক্ষোভ দেখালেন। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কুর্নূলের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নূলের স্থানীয় একটি বাজারে টোম্যাটো বিক্রি করা হচ্ছে ৪ টাকা কেজি দরে। আর এতেই ক্ষুব্ধ সেখানকার কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, টোম্যাটোর দাম ২০০ টাকা প্রতি কেজি থেকে কমে ৪ টাকা কেজি হয়েছে। কিন্তু টোম্যাটো চাষ করে ফলাতে এর থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাছাড়াও বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসার পরিবহণ খরচও রয়েছে। ফলে ৪ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হলে কোনও খরচই উঠবে না কৃষকদের। তাই এই পরিস্থিতিতে আর কোনও উপায় না পেয়ে রাস্তায় সব টোম্যাটো ঢেলে দেন এক দল কৃষক। টোম্যাটোর বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
আরও সস্তা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas)! কয়েকদিন আগেই দেশের মহিলাদের রাখির উপহার হিসেবে কেন্দ্রের তরফে গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। এর ফলে আম জনতার পকেটে চাপ কিছুটা হলেও কমেছে। আর এবারে কমল কমার্শিয়াল অর্থাৎ ১৯ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। সূত্রের খবর, পাবলিক সেক্টর অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৮ টাকা কমালো। বাণিজ্যিক এলপিজি গ্রাহকদের (LPG Price Cut) স্বস্তি দিতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাস অর্থাৎ অগাস্টে হোটেলে রান্নার জন্য ব্যবহৃত বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমানো হয়েছিল। তার আগে জুলাইতে ১৯ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ৭ টাকা। আর জুন মাসে ৮৩.৫০ টাকা কমেছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। আর এই মাসে তা আবার কমানো হল। ফলে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানোর পরই ফের নতুন মাসের শুরুতেই ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমায় বেজায় খুশি গৃহকর্ত্রী থেকে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।
আজ অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে ১৯ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হল ১৫২২.৫ টাকা। যেটা আগে ছিল ১৬৮০ টাকা। দাম কমায় কলকাতায় দাম দাঁড়াল ১৬৩৬ টাকা, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমে হল যথাক্রমে ১৪৮২ টাকা ও ১৬৯৫ টাকা।
গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের (LPG Gas) দাম প্রায় বহু মাস ধরে অপরিবর্তিত ছিল। একমাত্র ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ধাপে ধাপে কমেছিল, আবার কখনও বৃদ্ধিও পেয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ১৪.২ কেজি গ্যাসের দাম একধাক্কায় ২০০ টাকা কমে যাওয়ায় দেশের মহিলাদের মুখে হাসি ফুটেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, রাখি বন্ধন (Rakhi Bandhan) উৎসবের আগে দেশের মহিলাদের জন্য এটাই উপহার ছিল প্রধানমন্ত্রীর তরফে। ফলে দাম কমে যাওয়ায় আদৌ কোনও সাশ্রয় হবে কিনা, এই নিয়েই সিএন-কে কী জানালেন শহরের গৃহকর্ত্রীরা।
কসবার এক গৃহকর্ত্রী পাপিয়া ভৌমিকের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সিএন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা গিয়েছে, তিনি একজন হাউস ওয়াইফ-এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীও। তাঁর খাবারের ব্যবসা রয়েছে। হেঁশেলের গ্যাসের দাম কমায় কী কী সুবিধা হল, তা নিয়ে বলতে গেলে তিনি জানান, গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হল। মাসের শেষে ২০০ টাকা সাশ্রয় হবে। এবারে বাড়িতেই বিভিন্ন রকমের খাবার তাঁর ছেলেকে তৈরি করে দিতে পারবেন তিনি। তাঁকে যখন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? তখন পাপিয়া ভৌমিক উত্তরে বলেন, 'আমার মনে হয় না এতে কোনও রাজনীতি রয়েছে। সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত মানুষদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমি করি। আমার মনে হয় না এর পিছনে কোনও পলিটিক্স আছে।' তবে তিনি আশাবাদী যে, বাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি যদি ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামও কমে যায়, তবে আরও ভালো হয়।
অন্যদিকে সল্টলেকের এক গৃহকর্ত্রী অর্পিতা সরকারের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল সিএন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় কী কী সুবিধা হয়েছে তাঁদের। তখন তিনি বলেন, 'বাজারের শাক-সবজির দাম কতটা পরিমাণে বেড়েছে, আপনারা জানেন। সেই জায়গায় রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের বাড়িতে মাসে দু'টো করে গ্যাস সিলিন্ডার লাগে। ফলে সেক্ষেত্রে মাসে ৪০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে আমাদের জন্য এটা অনেক বড় খুশির খবর। তাই আমরা চাই, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার যেন এভাবেই যেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আরও প্রকল্প আনেন। আর রাখি উৎসবের আগে এটি সেরা উপহার।' তাঁকে যখন উজ্জ্বলা প্রকল্পের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি জানান, যাঁদের মাসের শেষে রোজগার খুবই সীমিত, সেক্ষেত্রে তাঁদের মাসে ৪০০ টাকা করে সাশ্রয় হবে। যা অনেক বড় ব্যাপার। তাই আজ দেশের প্রত্যেকে মোদীজিকে দূর থেকেই আশীর্বাদ দিচ্ছেন। তাঁর জন্য শুভকামনা করছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই সোনার দরে বিক্রি হচ্ছে টোম্যাটো (Tomato)। দাম বৃদ্ধি পেতে পেতে তা প্রায় ২০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। আবার কোথাও ১৫০ টাকা কেজিও হয়েছিল টোম্যাটোর দাম (Tomato Price)। কিন্তু এবারে কেন্দ্রের থেকে এল সুখবর। সোমবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কমতে চলেছে টোম্যাটোর দাম। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট থেকেই অনেক কম দামে টোম্যাটো কিনতে পারবেন। সূত্রের খবর, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে কিনতে পারবেন টোম্য়াটো।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন ও ন্য়াশনাল এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে পাইকারি বাজারে টোম্যাটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়ে। ফলে টোম্যাটোর দাম কিছুটা কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, আপাতত এনসিসিএফ ও এনজিসিএমএফ দিল্লি, রাজস্থানের কোটা, লখনউ, কানপুর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ও প্রয়াগরাজ এবং বিহারের পাটনা, মুজাফফরপুর, আরাহ এবং বক্সারে টোম্যাটো কম দামে বিক্রি করবে। তারপর সারা দেশে ধীরে ধীরে টোম্যাটো কম দামে পাওয়া যাবে।
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য খানিক স্বস্তির খবর। বিশেষ করে হোটেল, ক্যাটারিং ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি। মাসের শুরুতেই সস্তা হল বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG cylinder price) দাম। ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় একেবারে ৯৯.৭৫ টাকা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১০০ টাকা দাম কমেছে। যদিও এতে গৃহস্থের খুশি হওয়ার কারণ নেই। রান্নার গ্যাসের দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে দিল্লির পাইকারি বাজারে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ১,৬৮০ টাকা। অন্যদিকে, কলকাতায় ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮০২.৫০ টাকা। মুম্বই ও চেন্নাইয়ে দাম হয়েছে যথাক্রমে ১,৬৪০.৫০ টাকা এবং ১,৮৫২.৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারে দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তবে তার আগে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে দাম কমানো হয়। এই মাসে প্রায় ১০০ টাকা দাম কমল। দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১ অগাস্ট থেকে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। সরকারি তেল কোম্পানিগুলি প্রতি মাসের প্রথম দিকে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করে। গত মাসেও বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দামে অবশ্য তখনও কোনও হেরফের হয়নি। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
বেশ কিছু দিন ধরেই বেড়ে চলেছে সবজির দাম (Vagetable Price)। বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনলেই চোখ যেন কপালে উঠছে ক্রেতাদের। কেউ কেউ তো আবার খুব দরকার না হলে বাজার থেকেই খালি থলি নিয়েই বাড়ি ফিরে আসছে। তবে এই দুর্মূল্যের বাজারেও বেশ কিছু বিক্রেতা আছে যাঁরা এই দাম বাড়ার সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলেছে। যেখানে কোনও সবজির দাম ১০০ টাকা কেজি, সেখানে ওই সুবিধাবাদী বিক্রেতারা ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। তাই এই দুর্নীতি এড়াতে বাজার পরিদর্শনে নেমেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) অফিসারেরা। মানিকতলা বাজার, গড়িয়াহাট বাজার, শোভাবাজারে গিয়ে সবজির দামও জিজ্ঞাসা করছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় বাজারের অনেক খুচরো সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সবজির আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির ফলে বেশি ক্ষতি হচ্ছে তাঁদেরই। কারণ, অত্যধিক দামের কারণে বহু ক্রেতা প্রয়োজনের চেয়েও কম পরিমাণে আনাজ কিনছেন। আবার কেউ কেউ তো দাম শুনেই হাঁটা দিচ্ছেন। ফলে ভুগছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, ভোটের জন্য গ্রাম থেকে সবজির গাড়ি শহরে পৌঁছতে পারছে না। যার ফলে অল্প জিনিসের জন্য দামও বাড়ছে প্রচুর।
তবে এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের মতে,‘‘গরমে ফসল শুকিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন বর্ষায় সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। তবে সেইসব সবজি বাজারে আসতে আরও দিনপাঁচেক সময় লাগবে।’’
পুরাণ কাহিনীতে লঙ্কাকাণ্ডের কথা আমরা সকলেই শুনেছি। আর সেই লঙ্কাকাণ্ডের ছবি যেন এখন বাস্তব জীবনে ফুটে উঠছে। লঙ্কার ঝালে নয়, দামে (price) চোখে জল আনছে এখন মধ্যবিত্তের। কাঁচা লঙ্কার দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রাজ্যে দীর্ঘ চার মাস ধরেই বৃষ্টি (rain) ছিল না বললেই চলে। এর ফলে সব চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়াতে আবার ফসল ফলতে শুরু করেছে।
বর্ষার শুরু থেকেই সবজির দাম যেন আকাশছোঁয়া। সোমবার, কলেজস্ট্রিট মার্কেট পরিদর্শন করলেন কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক প্রতিনিধি দল। সমস্ত বাজার ঘুরে ঘুরে সবজির দাম নিয়ে আলোচনা করলেন তাঁরা। এ দিন বাজারে কাঁচালঙ্কা আড়াইশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি টমেটো কিনতে গিয়েও পকেটে ছেঁকা মধ্যবিত্তের। মূলত বেগুন, টমেটো, আদা, কাঁচালঙ্কা, পটল এই সবজি গুলো নিয়েও নালিশ ছিল। সমগ্র বাজার পরিদর্শন করার পর স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এর তরফে রবীন্দ্রনাথ কোলে জানালেন বাজারের দরদাম।
সোমবার কলেজ স্ট্রিট মার্কেটে বাজার দর:
বেগুন- ৮০-১২০ টাকা/কেজি
টমেটো- ১০০-১২০ টাকা/কেজি
আদা- ১৫০-১৮০ টাকা/কেজি
লঙ্কা- ২০০-২৫০ টাকা/কেজি
পটল- ৫০-৮০ টাকা/কেজি
ঢেঁড়শ- ৬০ -৮০ টাকা/কেজি
ডিম- ৬ টাকা পিস, ৭২ টাকা/ডজন
কুমড়ো- ৩০ টাকা/কেজি
ক্যাপসিকাম- ১৫০-১৬০ টাকা/কেজি
আলু- ২০ টাকা/কেজি
চন্দ্রমুখী আলু- ২৪ টাকা/কেজি
পেঁয়াজ- ২০-২৫ টাকা/কেজি
রসুন- ১৫০টাকা/কেজি
মাসের শুরুতেই দুঃখের খবর। এবারে দাম বাড়ল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের (Commercial LPG Gas) দাম। অয়েল মার্কেটিং সংস্থার (Oil Marketing Companies) তরফে জানানো হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস বা ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ১৭৮০ টাকা। তবে বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪ কেজি রান্নার গ্যাসের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এর আগের তিন মাসে দাম কমেছিল বাণিজ্যিক এলপিজির গ্যাসের দাম। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে এর দাম কমেছিল। তবে মার্চ মাসে এই সিলিন্ডারের দাম কিছুটা বেড়েছিল। ১লা জুন অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ৮৩ টাকা কমিয়েছিল। এর পরে দিল্লিতে এর দাম ১৭৭৩ টাকা হয়ে গিয়েছিল। মে মাসে বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ১৭১.৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। এপ্রিলেও এলপিজির দাম কমানো হয়েছিল ৯২ টাকা।
কিন্তু এবারে ৭ টাকা দাম বাড়ানোর পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৭৩ থেকে ১৭৮০ টাকা হল। আবার কলকাতায় ১৯০২ টাকা, মুম্বইয়ে ১৭৪০ টাকা ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১৯৫২ টাকা।