ফের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরে। জানা গিয়েছে, রবিবার কোতয়ালি কুলগাছির বাসিন্দা বছর ২৩-এর পাপিয়া পারভিন সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর রবিবারই সন্তানের জন্ম দেন। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয় তাঁর। অভিযোগ, মৃত্যুর ঠিক ১০ মিনিট আগে পরিবারের কাছে রক্ত জোগাড় করার আবেদন জানায় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। অকালেই মৃত্যু হয় পাপিয়ার। পরিবারের দাবি, সময় মত রক্ত কেন দেওয়া হয়িনি পাপিয়াকে? গাফিলতি না করলে হয়তো বাঁচানো যেত সদ্যোজাতের মাকে।
যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি। বেশ কিছু জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পারভিন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না পাপিয়ার। যার জেরে হঠাৎই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
খবর পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিস। পরিবারের তরফে গাফিলতির অভিযোগ আনে হাসপাতাল সুপার ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করা কথাও জানানো হয়। প্রশ্ন উঠছে, রোগীর শারীরিক অবস্থার হাল জেনেও কেন দ্রুততার সঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? একের পর এক হাসপাতালের বেহাল অবস্থার ছবি ধরা পড়ছে এরাজ্যে।
ইউটিউব (Youtube) দেখে প্রসব করানোর কৌশল শিখেছিলেন এক যুবক। আর সেই কৌশল প্রয়োগ করলেন নিজেরই স্ত্রীর উপর। আর এই কাণ্ড ঘটানোর পরই মর্মান্তিক পরিণতি। ঠিক মত প্রসব করাতে না পেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এমনটাই অভিযোগ সেই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরির।
সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরির পুলিয়ামপাত্তির বাসিন্দা মাধেশ। তিনি তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির সঙ্গে বসবাস করতেন। এর পর তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতেই তাঁর প্রসব তিনিই করাবেন, এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন। এর পর তিনি তেমনটাই করলেনও। কিন্তু এতেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর প্রসব করানোর জন্য বাড়িতেই ইউটিউব দেখে তার কৌশল শিখছিলেন। এর পর তাঁর স্ত্রীর যখন প্রসব ব্যথা ওঠে, সেসময় তিনি চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই তাঁর স্ত্রীর প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতেই মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির।
পুলিস সূত্রে খবর, মাধেশ তাঁর স্ত্রীর প্রসব করাতে গেলে তিনি ভুল করে নাড়ি কাটতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে যায়। এর পরই মাধেশ ঘাবড়ে গেলে প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার রাথিকা মাধেশের বিরুদ্ধে পুলিস স্টেশনে মামলা দায়ের করেন। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অন্তঃসত্বা বধূকে(Pregnant Woman) বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ(Rape) এক যুবকের বিরুদ্ধে। কুলতুলি(Kultali Police) থানা এলাকার ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম নাজির পুরকাইত। দেড় বছরের বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বধূর বাড়িতে ঢুকে যৌন নির্যাতন চালায় নাজির বলে অভিযোগ। বধুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। সে সময় পালাতে গেলে প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। তখন স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
নির্যাতিতা জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকায় দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন বধূ। নির্যাতিতার স্বামী রং-এর কাজ করেন। কাজের কারণে তাকে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাই বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা আরও জানান, অভিযুক্ত যুবক তাঁর পুর্ব পরিচিত। মাঝেমধ্যে তাঁরা ফোনে কথাও বলতেন।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মেইন গেটের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন খোদ অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা। তাদের দাবি, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক নয়। ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে প্রসূতি মহিলাদের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল ক্যানিং থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতি ইংরেজি মাসের ৯ তারিখে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আসতে হয়। এদিন গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক-পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ফলে যাতে গর্ভবতী মহিলাদের কোনও অসুবিধা না হয়, তাই তাঁদের পরিবারের লোকজন আগের রাত থেকে হাসপাতালের সামনে লাইন দিয়ে রাখেন। এমনকি খোদ গর্ভবতী মায়েরাও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। তবে সোমবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৭ই জানুয়ারি গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েগিয়েছে। এমনকি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্তানসম্ভবা মায়েদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আবার ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে হবে। ক্ষিপ্ত হয়ে হবু মায়েরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মেইন গেটের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতাল থেকে এই বিষয়ে আগে থেকে জানানো হয়নি। এমনকি ৭ই জানুয়ারিতেই যে তা হয়ে গিয়েছে তাও জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার পুলিস।
স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু (death)। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অভিযোগ, ঘটনার পরই পলাতক স্বামী (husband)। তাঁর খোঁজে পুলিস (police)। নির্মম এই ঘটনা নৈহাটি (Naihati) কুলিয়াগড় দিঘীরপাড় এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর ২২-এর পূজার। পেশায় রাজমিস্ত্রীর কনট্রাকটর ছিলেন বিধান। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পূজার বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত। টাকা না পেয়ে চরম অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি।
এরপর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজাকে পেটে লাথি মারেন তাঁরই স্বামী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ছেড়ে দেওয়া হয় পূজাকে। এই ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামেই অভিযোগ দায়ের করেন পূজা। কিন্তু এরপর ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। দু'দিন আগে ফের পূজাকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে।
কিন্তু গত সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় পূজার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পূজার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে শিবদাসপুর থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করে পূজার পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিবাদের জের, গর্ভস্থ সন্তানকে হারালেন এক প্রসূতি (pregnant women)। অভিযোগ, মহিলা পুলিস ছাড়াই আটক করা হয় এক প্রসূতিকে। প্রসূতি তাঁর চিকিত্সা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজ ও নথি দেখে জামিন পান। কিন্তু এরপরই গর্ভেই মারা (death) যায় তাঁর সন্তান। বর্তমানে তিনি ভর্তি স্থানীয় হাসপাতালে (hospital)। ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির।
জানা যায়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক ও রাজনৈতিক অশান্তি দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগেই সেই অশান্তি ফের মাথাচাড়া দেয়। অভিযোগ, বাড়ির দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত পরিবারেরই এক সদস্য। এরপর খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিস এসে পরিবারের সকলকে আটক করে নিয়ে যায়। সেই তালিকাতেই ছিলেন প্রসূতিও। তবে পরিবারের মহিলাদেরকেও আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুরুষ পুলিস। ছিল না একজনও মহিলা পুলিস।
এরপর থানায় একদিন থাকার পর সিউড়ি আদালতে তাঁদের পেশ করা হয়। তখন ওই প্রসূতি তাঁর যাবতীয় চিকিত্সার কাগজ দেখিয়ে জামিন পান। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই তাঁর প্রচন্ড পেটে যন্ত্রণা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় তাঁর সন্তান। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
কেন মহিলা পুরুষ ছাড়াই পরিবারের মহিলাদের আটক করা হল? প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবিও করেছে পরিবার।
প্রসবের দু'দিনের মাথায় মৃত্যু ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত প্রসূতি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভবানীপুরের (Bhabanipore) গুড়িয়া রজকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২২ বছর ।কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ভবানীপুর নন্দন পার্কের বাসিন্দা তিনি। রবিবার ডেঙ্গি পজিটিভ ধরা পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর (Pregnant Woman) প্রসব করানো হয়। আর প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনা। এসএসকেএম হাসপাতাল মৃতার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি আক্রান্তের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে।
এদিকে, বুধবার স্কুলছুটির মধ্যেও দমদম মাঠকল চারুচন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দির স্কুল এলাকায ঘুরে ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচার করেছে। পাশাপাশি মশারিও বিতরণ করা হয়েছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। ডেঙ্গি থেকে কী করে রক্ষা পাওয়া যায় এবং কী কী সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, সেই সমস্ত বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের অবগত করেছে স্কুল।
প্রসঙ্গত, স্কুলটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত। যে পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই দু'জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে একজন দশম শ্রেণীর ছাত্রও রয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান ছাত্ররা। প্রধান শিক্ষক জানান, তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই সচেতনতা প্রচার করছেন, স্কুলছুটির মধ্যেও যাতে ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ থাকে।
এ যেন অবাক কাণ্ড। হাসপাতালে (hospital) আসার পথে অসম্ভব প্রসবযন্ত্রণা (labor pains), এরপরই চমৎকার! মাঝরাস্তায় টোটোর মধ্যেই এক ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন মা। উলুধ্বনি দিয়ে সদ্যোজাতকে শুভকামনা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। শুক্রবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল হাবরা (Habra) থানার নতুনহাট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা (Deganga) থানার উত্তর বারণী এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মৌমিতা গাইন টোটোতে (toto) করে হাবরা হাসপাতাল যাচ্ছিলেন। টোটোতে যেতে যেতেই শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। শেষমেষ হাবরা থানার নতুনহাট কাঠালতলা বাজারে স্থানীয় মহিলাদের তৎপরতায় টোটোর চারদিকেই কাপড় দিয়ে ঘিরে টোটোর মধ্যেই একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন মৌমিতা। এরপরে স্থানীয় এক কোয়াক ডাক্তারের সহযোগিতায় বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন মা এবং সদ্যজাত সন্তান।
পরিবার সূত্রে খবর, মৌমিতা দেবীর পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তারপরে এই ছেলে হওয়ায় স্বভাবতই খুশি মা। শুধুই যে বাবা-মা খুশি তা নয়, এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি স্থানীয়রাও। এমনকি উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে সদ্যোজাতকে বরণ করে নেন স্থানীয়রা। এমন ঘটনায় সদ্যোজাতকে দেখতে ভিড় জমিয়ে ছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে কচিকাচারা। কেউ তুলে দিলেন তোয়ালে আবার কেউ আশীর্বাদ স্বরূপ বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলেন টাকা।
স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ তো আবার বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেল, বড় হলে ছেলেকে জন্মস্থান দেখাতে নিয়ে আসবেন। এরপরে সেই টোটোতে করেই সদ্যোজাতকে নিয়ে দেগঙ্গার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন দম্পতি।
চারিদিকে ধর্ষণ (Rape), খুন (Murder), যৌন নিগ্রহ (Sexual abuse) একাধিক নৃশংসতার খবর প্রতিনিয়ত উঠে আসে। এরই মধ্যে এখনও মানবতা জিইয়ে। তারই এক নিদর্শন মিলল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নীমচ জেলার স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা এলাকা। বুকসমান বৃষ্টির জলস্তর। এ অবস্থায় শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি ফোন করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। কিন্তু এত জল পেরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা গড়ানো কার্যত দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আসতে দেরি হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। জেসিবি এনে প্রসূতিকে সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা।
মহিলার বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে বিধায়ক এবং পুলিসের কাছে সাহায্যের আর্তি জানান। বিধায়কের নির্দেশে পুলিস এবং স্থানীয় প্রশাসন তৎক্ষণাৎ একটি জেসিবির ব্যবস্থা করে। গ্রাম থেকে মহিলাকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা। প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সকল গ্রামবাসী।
দুঃসাহসিক কাণ্ড শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে। সোমবার নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) প্রোমোটিং বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Pal), স্থানীয় এক কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলাকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল। মঙ্গলবার ফের অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস। পরিষ্কার বলা হয়েছে, বাড়িতে এখন ঢোকা যাবে না।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, হাসপাতালে দীপক দাসের পরিবারকে বলা হয়, তাঁর স্ত্রীর জন্য জামা কাপড় লাগবে। এই কথা শুনে দীপক বাড়িতে গেলে দেখেন, কিছু লোকজন বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি সেই পরিবারের দাবি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যাবে না। যদি করা হয় তবে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে আক্রমণ করা হবে দীপকের পরিবারের উপর। এমনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীদের দাবি, দীপক এবং তাঁর পরিবার এই বাড়িতে থাকতেন না। তাঁরা জোর করে এই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। অন্যদিকে দীপকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে এখনও কোমরে ব্যাথা রয়েছে।
সন্তানসম্ভবা (Pregnant) একজন মহিলাকে যদি জেলের মধ্যে সম্তানের জন্ম দিতে হয়, তাহলে তাঁর মনের অবস্থা কী হতে পারে? আর যে সন্তান (New Born) পৃথিবীর আলো দেখবে, এর জন্য তার মনেও কি আদৌ কোনও ভালো প্রভাব পড়বে? মাতৃত্ব চলাকালীন প্রতিটি সন্তানসম্ভবা মহিলাই উপযুক্ত সম্মানের অধিকারিণী। সংবিধানেই একথা বলা আছে। এমনই মন্তব্য করে এক সন্তানসম্ভবার তিনমাসের অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। অপহরণ এবং খুনের চেষ্টার মামলায় ওই মহিলা বর্তমানে জেলে রয়েছেন।
বিচারপতি অনুপকুমার মেন্ডিরাত্তা বলেছেন, গর্ভে সন্তান আসাটা একটি বিশেষ ঘটনা। কিন্তু সেই মা যখন জেলের মধ্যে সম্তানের জন্ম দেবেন, তখন তিনি তো মানসিকভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেনই, সেই সন্তানকেও সারা জীবন এই দুঃসহ স্ম়তি বয়ে বেড়াতে হবে। জন্ম কোথায়, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাকে বারেবারে বিব্রত হতে হবে। অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া যদি মারাত্মক বিপজ্জনক কিছু না হয়, তাহলে ওই সন্তানকে যাতে জেলের মধ্যে জন্ম নিতে না হয়, সেটাই আদালত বিশেষভাবে চাইবে। মহিলা, ১৬ বছরের নিচে কেউ এবং অসুস্থদের জন্য ছাড়ের কথাও আইনেই বলা আছে।
তাছাড়া জেলের রুলেই বলা আছে, বাইরে কোনও হাসপাতালে যদি ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হয়, তাহলে সাময়িক জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। কোর্ট এটাও জেনেছে, ওই জেলে ডেলিভারির কোনও ব্যবস্থা নেই এবং সেই কারণে ওই মহিলাকে রেফার করা হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে। এরপরই কোর্ট তাঁকে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তিনমাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে।